দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মচ্ছব। সাইনবোর্ড-সর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। হাতুড়ে টেকনিশিয়ান দ্বারাই চালানো হয় রোগ নির্ণয়ের যাবতীয় পরীক্ষা। মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে তারা ঠকিয়ে চলেছে নিরীহ মানুষকে। একই রোগ পরীক্ষায় একেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একেকরকম রিপোর্ট পাওয়ার নজিরও বিস্তর। পুরুষদের পরীক্ষা রিপোর্টে তুলে ধরা হয় মেয়েলি রোগের হালফিল বিবরণ। মেয়েদের রিপোর্টে কখনো কখনো পুরুষদের বিবরণ দেওয়া হয়। বিলের ক্ষেত্রেও আছে সীমাহীন নিয়ন্ত্রণহীনতা। একই পরীক্ষা-নিরীক্ষা একেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একেকরকম বিল আদায় করার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। ডায়াগনস্টিক টেস্টের ক্ষেত্রে কোনো মানদ- নিশ্চিত হচ্ছে না। নিশ্চিত হচ্ছে না জবাবদিহি। একশ্রেণির ডাক্তারের সহায়তায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের টেস্টবাণিজ্য চলছে বেপরোয়াভাবে। বেশির ভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত সার্টিফিকেটধারী দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। ডায়াগনস্টিক প্রতারণার শিকার মানুষজন বারবার অভিযোগ তুলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে, কমিশনের লোভে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল বিভাগকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া হয় না। সবচেয়ে দামি আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলেও এবং এগুলোর তত্ত্বাবধানে দক্ষ টেকনেশিয়ানরা কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে দ্রুততম সময়েই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের এক বড় অংশ রোগ নির্ণয় ও তার নিরাময় নয় কমিশন লাভের জন্য বিনা কারণেও নানা পরীক্ষার জন্য রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। সাধারণ জ্বর বা পেটব্যথা নিয়ে কোনো রোগী হাজির হলেও কয়েক হালি টেস্ট, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অপারেশন করাসহ জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে উল্টো রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে লাইফ সাপোর্টে। টেস্টের নামে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় এখন অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে সীমাহীন প্রতারণা চলছে তা বন্ধে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সক্রিয়তা প্রত্যাশিত।
শিরোনাম
- সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সিরিয়ার এইচটিএসকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা
- পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
- গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
- ৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
- ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
- টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
- হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
- ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
- ১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
- টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
- গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
- বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
চিকিৎসা প্রতারণা
সরকারকে কঠোর হতে হবে
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সিরিয়ার এইচটিএসকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম