শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

করোনা মোকাবিলায় যেন ডেঙ্গুকে ভুলে না যাই

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
প্রিন্ট ভার্সন
করোনা মোকাবিলায় যেন ডেঙ্গুকে ভুলে না যাই

চোখে দেখা যায় না, এ ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু, ভয়ানক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) আক্রমণে বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত, উদ্বিগ্ন, বিচ্ছিন্ন ও স্থবির। করোনার সর্বগ্রাসী বিস্তার, সংক্রমণ এবং শক্তি মনুষ্যসৃষ্ট যে কোনো মারণাস্ত্রকে হার মানিয়ে বিশে^র প্রায় প্রতিটি দেশ, জাতি, জনপদ ও মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাস মিউটেশনে রূপ বদলায় এবং পরিবেশ পেলে বিধ্বংসী হয়। এতে রূপান্তরিত জিনের অংশ থাকায় সুপ্ত প্রোটিন সতেজ করতে হলে ভাইরাসকে শরীরে ঢুকতে হয়। ফিউরিন নামক এনজাইম সুপ্ত প্রোটিনকে সতেজ করে। ভাইরাস ফিউরিনকে আক্রমণ করে প্রোটিনকে সতেজ করে। এ ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় ভাইরাস ও মানবকোষের সংমিশ্রণ ঘটে এবং রোগের বিস্তার করে। রোগটি যে কত বিধ্বংসী তা বিশ^ব্যাপী মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। তারপর এ পর্যন্ত (২৬ মার্চ, ২০২০) বিশে^র ১৯৮টি দেশে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ২১ হাজার ২৯০ জনের বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। সংক্রমণের কেন্দ্র চীনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ হাজার ২৮৫ এবং তার মধ্যে ৬৭ হাজার ৮০০ জনের অধিক উহান শহরের। যেখানে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছিল, সেই শহরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মাত্র একজন ছাড়া আর কোনো নতুন সংক্রমণ হয়নি বলে চীন দাবি করেছে। ঘটনার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই উহান শহরকে প্রথমে এবং পরে হুবেই প্রদেশকে অবরুদ্ধ করে সমগ্র দেশকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছিল চীন। আর তা সম্ভব হয়েছিল চীনের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র, সুদূরপ্রসারী চিন্তা, কঠোর পরিশ্রম ও বিপুল সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু চীন থেকে এরই মধ্যে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার ফলে বিশ্ব বর্তমানে দিশাহীন এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত। চীনের বাইরে ইতালি, স্পেন, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা উদ্বেগজনক। ইউরোপের অন্যান্য দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের ভয়াবহতা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সব চেষ্টা করেছি, আমরা ব্যর্থ! এখন বাকিটা আকাশে যিনি বসে আছেন উনার হাতে।’ বুঝতে কষ্ট হয় না যে, ইতালিতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ তাদের ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা এখন দেখার অপেক্ষায়। এসব পরাশক্তি, উন্নত ও সম্পদশালী দেশ যদি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এত অসহায় হয় তাহলে বাংলাদেশের জনগণের জন্য তো স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তার বিষয় হবে।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক যোগাযোগ ও ভৌগোলিকভাবে অদূরবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের করোনাভাইরাস সম্পর্কে উদাসীনতা, নীরবতা ও দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। চীনে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়া ও সংক্রমণের বিস্তার দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা এ বিষয়ে আগে থেকেই সব দেশকে সতর্ক করেছিল। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে চীনের উহান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার পর কোয়ারেন্টাইন পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও ঘাটতি প্রকাশিত হওয়ার পরও সরকার সেগুলো কাটিয়ে ওঠার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকার এতই উদাসীন ছিল যে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ঢাকা-কুনমিং আকাশপথ খোলা রেখেছিল। টেস্টিংয়ের পরীক্ষাগার, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত করার কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। ৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দিশাহীন বিশ্ব, চীনসহ ৭৫টি দেশে ৯১ হাজার আক্রান্ত ও বিশ্বে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, তখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ১০০ বছরে একবার আমরা পাব। যেহেতু দেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি, কাজেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের কোনো অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না।’ এর পর থেকেই জনগণের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, মুজিবর্ষের মূল অনুষ্ঠান ১৭ মার্চ পালনের জন্য করোনা মহামারী সম্পর্কে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই তথ্য গোপন করেছে এবং বিমান চলাচল বন্ধসহ দৃশ্যত প্রস্তুতি গ্রহণে সময়োপযোগী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

করোনা মহামারী সম্পর্কে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর লাগামহীন বক্তব্যের ফলে জনমনে অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই জনগণ একাদশ সংসদে ভোট থেকে বঞ্চিত হয়ে সরকারের প্রতি চরমভাবে ক্ষুব্ধ। করোনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘করোনা যত বড় শক্ত হোক, আমরা তার চেয়েও শক্তিশালী।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘করোনা বিধ্বংসী রোগ নয়, ফ্লু ও জ¦রের মতো।’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ উন্নত দেশসমূহ থেকে বেশি প্রস্তুত।’ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জনগণকে আরও আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, ‘দেশে শেখ হাসিনা থাকতে করোনাভাইরাস আমাদের কিছুই করতে পারবে না।’ স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রামক ব্যাধি, তবে বিধ্বংসী রোগ নয়।’ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ যখন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের তান্ডব ও শক্তি দেখছে, তখন সরকারের মন্ত্রীদের দায়িত্বহীন ও অসার বক্তব্য জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম ঘুম ভাঙে ৭ মার্চ, ২০২০ তারিখে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘বাংলাদেশ যে কোনো সময় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে’ তখন সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দেড় লাখের বেশি। ১১ মার্চ, ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে ভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা উদ্বেগজনক বলে বিশ^বাসীকে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষাপটে দেশের সর্ববৃহৎ দল বিএনপি করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের উদাসীনতার সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলন করে। ১৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাদের দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় করোনা নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেন। বিশ্ব যখন দল-মত-গোষ্ঠী নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা মোকাবিলা করছে, তখন সরকারদলীয় সাধারণ সম্পাদকের এহেন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ হতাশাজনক। সবচাইতে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ ভাইরাস মোকাবিলায় নমুনা পরীক্ষা (টেস্ট) করার মতো মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান ‘আইইসিডিআর’কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সরঞ্জাম (কিট) ১ হাজার ৭৩২টি মজুদ আছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। ফলে এই একটি কেন্দ্র সীমিতভাবে পরীক্ষা করার কাজ করছে। ভিড় এড়ানোর জন্য ‘আইইডিসিআর’ তাদের হটলাইনে টেলিফোন করে রোগী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। ২২ মার্চ, ২০২০ তারিখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সারা দেশে আরও আটটি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং তার জন্য ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন আক্রান্ত দেশে পরীক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য মাত্র একটি পরীক্ষা কেন্দ্র! যেখানে দিনে গড়ে ২৫-৩০ জন রোগীর বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় আড়াই মাস পাওয়ার পরও দেশে পর্যাপ্ত মানসম্মত পরীক্ষাগার প্রস্তুত এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কিট কেন আমদানি করা হলো না, তার জবাব কে দেবে? টেস্টের পরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল কোয়ারেন্টাইনের কার্যকর পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী আকার ধারণ করার পরও আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দর খোলা রাখা হয়েছিল। এ সময়ে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিগত ১৫ দিনে এসেছে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৪৬৯ জনকে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চরম ব্যর্থতা ও গাফিলতি। এ পর্যবেক্ষণ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের গাফিলতি, ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। রোগী পরীক্ষার জন্য শুধু একটি কেন্দ্রে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী পরীক্ষা করে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তা অসম্পূর্ণ; নির্ভরশীল নয়। যে বিশাল জনগোষ্ঠী এ পরীক্ষার বাইরে তাদের মধ্যে কতজন সংক্রমিত রোগী আছে আর কতজন মারা যাচ্ছে সে হিসাব কেউ দিতে পারবে না। আরও দুশ্চিন্তার বিষয় এই যে, বিদেশফেরত ব্যক্তি ছাড়াও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই এ ধরনের ব্যক্তিরা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। ২২ মার্চ, ২০২০ তারিখে সরকারের দেওয়া হিসাব মোতাবেক যে ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ১০ জন বিদেশফেরত, বাকি ১৩ জন বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। অবশিষ্ট চারজন সম্পর্কে তখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতএব, বিধ্বংসী করোনাভাইরাস যে সমাজে Community) ছড়িয়ে পড়েছে তা পরিষ্কার। ২৬ মার্চ, ২০২০ তারিখের সর্বশেষ আইইডিসিআর অর্থাৎ সরকারি তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে সর্বমোট ৩৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন মোট পাঁচজন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন সাতজন। যদিও সরকারি এ তথ্য সম্পর্কে বিভিন্ন মহলে সন্দেহ রয়েছে যেহেতু বাংলাদেশে আইইডিসিআর ছাড়া করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার দ্বিতীয় কোনো স্থান নেই।

চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণকে মোটামুটি সামলে দিতে পেরেছে অবরুদ্ধ (Lockdown) করা এবং দ্রুত পরীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে। বর্তমানে আক্রান্ত পশ্চিমা দেশগুলো একই পথে হাঁটছে। ২৪ মার্চ, ২০২০ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতের ১৩৮ কোটি মানুষের দেশ ২১ দিনের জন্য বন্ধ (Lockdown) ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে ইতালিতে করোনাভাইরাসের তান্ডব চলছে। বিশেষজ্ঞরা করোনা সম্পর্কে ইতালির দীর্ঘ নীরবতা, উদাসীনতা ও অবজ্ঞা করাকে দায়ী করেছেন। ইতালিসহ বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের পিছে নয়, সামনে ছুটতে হবে। যারা এ উপলব্ধিতে পিছে পড়েছে তারাই তার খেসারত দিচ্ছে।

বাংলাদেশে অপ্রতুল টেস্ট (পরীক্ষা) ব্যবস্থার মধ্যেও যারা রোগী হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন বা ভবিষ্যতে হবেন তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল এখনো প্রস্তুত হয়নি। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (Personal Protection Equipment-PPE) পর্যাপ্ত আমদানি করা হয়নি। বিশ^ব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার সময় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংক্রমিত হওয়ায় অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। চীনের উহান শহরে প্রথম যে চিকিৎসক করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছিলেন, তিনি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াও ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিবিড় পরিচর্র্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেনটিলেশন মেশিন অপ্রতুল। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হাসপাতালগুলোয় এসব সুবিধা নেই, সুবিধা সৃষ্টির কোনো পদক্ষেপও নেই।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশ যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং তার মোকাবিলায় সারা জাতি যখন যুদ্ধে লিপ্ত, তখন বাংলাদেশে আরেকটি মরণব্যাধি ‘ডেঙ্গু’ দরজায় কড়া নাড়ছে। সাধারণত মে-জুনে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশার জন্মের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যেসব এলাকায় ডেঙ্গুবাহক এডিস মশা একবার বিস্তার লাভ করে, সে এলাকায় পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এডিস মশার ডিম শুকনো পরিবেশে নয় মাস পর্যন্ত নষ্ট হয় না। যখনই বৃষ্টির পানির সংস্পর্শে যাবে, তখন তা লারভায় পরিণত হয় এবং পরিপূর্ণ মশার জন্ম হয়। উদ্বেগের বিষয় এই যে, গত বছর সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুজ¦র নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল লক্ষাধিক মানুষ এবং মৃত্যুবরণ করেছিল ২৪৮ জন। পত্র-পত্রিকার তথ্যানুযায়ী প্রকৃত ভর্তির ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক। ১৯৯৬ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ। গত বছরে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে সারা দেশে। এ অবস্থায় গত বছরের ডেঙ্গু প্রকোপের ভয়াবহতা (মহামারী) থেকেই এ বছরের সতর্কবার্তা বিদ্যমান। গত বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছিল। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এডিস মশাকে নিধন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই মার্চ-এপ্রিলেই (বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে) দুই সিটি করপোরেশন এবং সারা দেশে পৌরসভাসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকর ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশার ডিম ধ্বংস করার এখনই সময়। তা না হলে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

গত বছরে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করার জন্য বিগত ২২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ঢাকা জেলা জজের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটিকে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। এ কমিটিকে ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হলে তাদের আরও দুই মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ ১৫ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন পেলেও তাদের সুপারিশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আর সময় অবশিষ্ট থাকবে না। ইতিমধ্যে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪১ জন। গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মাত্র ৫৬ জন। বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে চার গুণের বেশি। অর্থাৎ এ বছর ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ গত বছরের চেয়ে আরও ভয়াবহ হতে পারে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু প্রকোপের এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে এখনই সারা দেশে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে।

উদ্ভূত এ কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সব মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিলম্বে হলেও সরকারকে তাদের দম্ভ, অহংকার ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করা জরুরি। জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে আস্থায় নিয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো উচিত। অন্যান্য দেশের মতো এই অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলায় সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দৃঢ়তা ও সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সারা দেশে সর্বাত্মকভাবে ভাইরাস পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত করাসহ সব কার্যক্রম সমন্বিতভাবে জোরদার করতে হবে। ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ভয়াবহ প্রকোপ থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে একই সঙ্গে এখনই এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস ও ডেঙ্গু রোগ চিহ্নিত করার পর্যাপ্ত পরীক্ষার কিট আমদানি করা অত্যাবশ্যক। ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৃথক ইউনিট প্রস্তুত করার আগাম কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিধ্বংসী করোনাভাইরাস ও সম্ভাব্য ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে জনগণকে সুরক্ষা করা সহজ হবে না। আগাম প্রস্তুতি ও দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতা লাভ করার কোনো বিকল্প নেই। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা আমাদের সহায় হবেন।

লেখক : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সদস্য জাতীয় স্থায়ী কমিটি-বিএনপি।

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৪২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৫৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে
সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশ সহযোগীসহ গ্রেফতার
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশ সহযোগীসহ গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা