শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ আপডেট:

অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে এটি হয়তো নিয়মিত এক রোগ হিসেবে রয়ে যাবে। তাই আসছে দিনগুলোয় করোনাভীতি এবং সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এক মানসিক সংকটের জন্ম দেবে। মানুষের জীবনাচরণে আসবে পরিবর্তন। মানবিকতায় বৈকল্য দেখা দেবে। ১৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব অভিমত ব্যক্ত করেছে। এ থেকে অনুমেয়, সামনে অচেনা এক পৃথিবী অপেক্ষা করছে। এখনই দীর্ঘ সাধারণ ছুটির আদলে চলমান লকডাউনেই দেখছি কত অচেনা হয়ে উঠছে সমাজ, পৃথিবীর কত কিছু!

১৪ মে বিকালে হঠাৎ টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ : জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চমকে গেলাম। ধাক্কা খেলাম। বুকটা মুহূর্তে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলো। ভারী হয়ে উঠল। দেশের প্রখ্যাত প্রবীণ একজন শিক্ষাবিদ। তাঁকে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে খুব কাছ থেকে দেখা ও তাঁর কথা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। একজন বিশাল প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন তিনি। ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক। ছিলেন জাতির জন্য একজন বড় মাপের নির্মোহ অভিভাবক। সাদা মনের স্বল্পবাক মানুষ। তাঁর স্থানটা শূন্যই রয়ে যাবে। একে একে দেশের সব গুণী প্রবীণ জাগতিক পরিভ্রমণ শেষে প্রস্থান করছেন। ওই রাতেই অনলাইন নিউজ পোর্টালে জেনেছিলাম প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় প্রয়াত অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতাও তাঁর ছিল। পরদিন সকালে উঠে টিভি অন করে জানলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেদিন সকালে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন হবে। মনটা ভীষণ এবং ভীষণ খারাপ হলো। প্রয়াত সর্বজন পরম শ্রদ্ধেয় দেশের একজন গুণী উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জানাজা ও দাফনে কত শোকাহত সজল মানুষ, শুভানুধ্যায়ী ছুটে আসতেন! কিন্তু  আজ তা সম্ভব হলো না কভিড-১৯-এর প্রবল থাবায়। এটি আরেক কষ্টের।

নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর সংক্রমণে পুরো বিশ্বই এখন তছনছ। বাংলাদেশও সংক্রমিত। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর রেখাটিও ঊর্ধ্বমুখী। এ মহাদুর্যোগে প্রায় সব মানুষই ঘরে অবরুদ্ধ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে। দৈনন্দিন জীবনে নামছে স্থবিরতা। আবার কিছু মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষ থাকছে না ঘরে। কর্ম ও জীবিকার টানে ছুটে যাচ্ছে ঘরের বাইরে। এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তা হলো, প্রতিদিনই করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়ছেই। মৃত্যুর মিছিলটাও হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। হাসপাতালগুলোয় স্থান সংকুলান হচ্ছে না রোগীর। কভিড-১৯ পজিটিভ কিনা তা টেস্ট করানোর জন্য অনেককে দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই এ পরীক্ষা করিয়ে মানুষ জানতে চাইছে সে কভিড শঙ্কামুক্ত কিনা।

প্রতিদিনই দুপুর পেরিয়ে যখন ঘড়ির কাঁটায় ২টা ৩০ বাজে তখন টেলিভিশনের সামনে বসি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন কী বলে তা জানতে। ডা. নাসিমা সুলতানা প্রাসঙ্গিক সব তথ্যসহ করোনা আপডেট বিবৃত করেন। ভালো কিছু শোনার আশা থাকলেও প্রতিদিনই কভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে চিত্র আসছে তা মনটাকে বিষণœতার সাগরে নিমজ্জিত করছে। কভিড-১৯-এর দৌরাত্ম্যের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। তার পরও বলি, অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ২২ মে পর্যন্ত কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে মারা গেছেন প্রায় ৪৩২ জন। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশাবলি ও বিধি মেনেই তার শেষকৃত্য হচ্ছে; স্বল্প কজন স্বজনের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচারে। এমনকি যারা ভিন্ন কোনো অসুখে বা অন্য কোনো উপসর্গে মৃত্যুবরণ করছেন তাদের সৎকারও হচ্ছে সরকারের নির্দেশাবলি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অত্যন্ত স্বল্প মানুষের উপস্থিতিতে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মাত্র কদিনের ব্যবধানে একে একে বেশকটি দেউটি নিভে গেল। কজন গুণী মানুষ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। তাঁদের পদচারণে আর মুখরিত হবে না বাংলাদেশ। সাহিত্য-সংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গন হবে না প্রাণবন্ত। তাঁদের সাহসী, প্রজ্ঞাময় সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আসাদুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. সা’দত হুসাইন, জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বিশিষ্ট সুরকার জনাব আজাদ রহমান এবং সর্বশেষ জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম চলে গেলেন পরপারে। প্রফেসর ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ এঁদের প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন সুপ্রতিষ্ঠিত। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নধারায় তাঁদের প্রত্যেকের অবদান উজ্জ্বল হয়ে রইবে চিরকাল। কভিড-১৯-এর চলমান দাপট আমাদের বঞ্চিত করেছে দেশের এই বিশিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিদের কারোরই জানাজা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আমার ও আমাদের অংশগ্রহণে। আজ এই লেখার মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা সবার প্রতি যাঁরা মাত্র কদিনের ব্যবধানে জাগতিক হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে চলে গেলেন ওপারে। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন আমাদের সবার শিক্ষক। একজন ধীরস্থির অভিভাবক। জাতির বাতিঘর। তাঁর সারা জীবনের পরিভ্রমণটা ছিল জাতির জন্য। শিক্ষা ও সভ্যতার জন্য। অসাম্প্রদায়িকতার জন্য। তাঁর চিরবিদায়ে দেখছি সবার বিনম্র উচ্চারণ- ‘স্যার, জাতির দিশারি’। অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর স্মৃতি সব সময় আমাদের পথ দেখাবে।’ আসলেই তিনি জাতির জন্য এক নির্মোহ পরিশীলিত পথপ্রদর্শক। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল বিশিষ্ট নয়, উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।’

আমি সরাসরি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছাত্র নই। তিনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক আর আমার বিষয় ছিল অর্থনীতি। তবে আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছি আনিসুজ্জামান ছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। সেই অর্থে অবশ্যই আমি তাঁর ছাত্র। শুধুু এই অর্থে কেন, সব অর্থেই তিনি আমার ও আমাদের সবারই শিক্ষক। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে আমার দুই কি তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। তাঁকে দেখলেই আমি এগিয়ে যেতাম কথা বলার জন্য। সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময়ের জন্য। এ রকম গুণী মানুষের সান্নিধ্যে কয়েকটি মুহূর্ত থাকা ভাগ্যের ব্যাপার বইকি। এই মানুষটি সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে অনেক গুণীজনই লিখেছেন এবং এখনো লিখছেন। আমি শুধু তাঁর কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেমের একটি দিক তুলে ধরব।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন ভারতে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখন্ডে সুসংগঠিতভাবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ বুদ্ধিজীবীদের বর্বর হতাকান্ডের বিচার চেয়ে আসছিল জাতি। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তায় প্রণীত হয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩। কিন্ত ’৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অসাংবিধানিক সামরিক শাসকদের দৃশ্যমান অনুমোদনে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। জাতি হতে থাকে রক্তাক্ত। ’৭৩ সালে প্রণীত আইনটি থেকে যায় নীরব এবং আড়ালে। অবশেষে বিচারহীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করার সাহসী উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের মার্চে গঠিত হয় আরও একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনালটি পরিচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হিসেবে। আমি ছিলাম এ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান। মাননীয় বিচারপতি জনাব মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জনাব মো. শাহিনুর ইসলাম ছিলেন এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুজন সম্মানিত সদস্য। শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় রাজাকার আলবদর ও পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় শক্তিধর দোসরদের বিচারকার্য।

বিচার শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার চলাকালে মোট ২২-২৩ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে একজন সাক্ষী ছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার লেখা বই ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’-এর ৩২ পৃষ্ঠায় জনাব আনিসুজ্জামানের সাক্ষ্যের কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ট্রাইব্যুনাল-১-এ চিফ প্রসিকিউটর বনাম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায়ও এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁর ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে এবং অন্য মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করে যথাক্রমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ও ১।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় বড় মাপের এক দোসর গোলাম আযমসহ সমস্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার চেয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময়ই ছিলেন সোচ্চার। ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যখন ‘গণআদালত’ বসে সেখানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জাতির পক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছিলেন-

‘মাননীয় আদালত!

আমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অভিযোগ উত্থাপন করছি।

আমি অভিযোগ করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে লাঞ্ছিত মায়েদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত বোনেদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর কর্তৃক নিহত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি শত্রুর হাতে প্রাণদানকারী পিতা-মাতার অসহায় এতিম সন্তানদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে।’

আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারে ফলাফল কী হলো সাধারণ মানুষ শুধু তা-ই জানতে আগ্রহী থাকে। তারা জানে না বিচারকাজের অন্য কী কী অনুষঙ্গ প্রয়োজন। একটি বিচারকাজ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় তখনই যখন তদন্তকারী সংস্থা, প্রসিকিউশন ও অভিযুক্ত পক্ষ সবাই স্বীয় স্বীয় অবস্থানে থেকে তাদের কর্তব্য কাজটি সম্পাদন করেন। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনাল কর্মরত আছে। এ পর্যন্ত ৪১টি মামলার বিচারকার্য্য সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এ ধরনের কোনো মামলায় যখন রিপোর্ট প্রদান করে তখন তাতে অনেক মানুষেরই নাম থাকে সাক্ষী হিসেবে। বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক মানিত সাক্ষীই সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসেননি তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বা নিজের সম্ভাব্য নিরাপত্তাঝুঁকির কথা মাথায় রেখে। অনেক বিশিষ্ট অধ্যাপক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশিষ্টজনের নাম ছিল সাক্ষীর তালিকায়। তাঁরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাঁদের নিজ বাড়িতে বসে বা কোনো নির্ধারিত স্থানে হাজির থেকে ঘটনা বিবৃত করেছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল যখন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাঁদের সমন বা নোটিস পাঠিয়েছে তখন তাঁদের অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যদিও এতে বিচারকার্যের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ সাক্ষীর সংখ্যার ওপর মামলার ফলাফল নির্ভর করে না, সাক্ষীর প্রদত্ত সাক্ষ্যের গুণগতমানের ওপরই মামলার ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এটিই প্রতিষ্ঠিত নীতি। যা হোক, এ কথা বলাই যায় যে, যাঁরা সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁরা, যাঁরা আসেননি তাঁদের চেয়ে একটু বেশিই ঝুঁকি নিয়েছেন জীবনের। এ কারণেই অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেবের জীবনের ওপর হুমকি এসেছিল। আনিসুজ্জামান এ ধরনের হুমকিকে আদৌ পরোয়া করেননি। আর করেননি বলেই ১৯৯২ সালে প্রতীকী গণআদালতের সামনে জাতির পক্ষ থেকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন নির্ভীক কণ্ঠে এবং পরে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাস্তব আদালতেও অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁর বিবেকের তাড়নায়, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; বিচারের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে। আর এ কারণেই তিনি জাতির কাছ থেকে পেয়েছিলেন সম্মানের আসন। জাতি তাঁকে চিরকাল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

আমার সঙ্গে জনাব আনিসুজ্জামানের যতবার দেখা হয়েছে আমি ততবার জিজ্ঞাসা করতাম স্যার আপনি কেমন আছেন, শরীর কেমন? আমাকে কি চিনতে পেরেছেন? সব সময়ই তাঁর সহজ সরল পাল্টা প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি জাস্টিস সাহেব না? আপনার কোর্টে তো আমি সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলাম।’ স্যারের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি কথা বলার মতো আমার তেমন সুযোগ ছিল না। কেননা সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে তাঁর ধারণার সঙ্গে আমি বিচারক হিসেবে সহমত বা অমত কোনোটাই পোষণ করতে পারি না। এটি বিচারক হিসেবে আমার অনিবার্য অক্ষমতা। তবে তাঁর কথা আমি মন দিয়ে শুনতাম। মৃদু হেসে যখন এটুকু কথাই তিনি আমাকে বলতেন তখন আমার কাছে মনে হতো, তাঁর এ কথাগুলোয় কত না স্নেহ ও মায়া মিশ্রিত। এই হলেন আমাদের শিক্ষক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। তিনি যেমন নিজ গুণে গুণান্বিত ও সম্মানিত, তাঁর ছাত্রদেরও তিনি সম্মান দিতে জানতেন।

যে দেশটি আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি যার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সে দেশের সংবিধানের বাংলা ভাষ্য প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ছিল উজ্জ্বল ভূমিকা। যে দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীরা তাঁদের জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন সেটি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করি। গর্ব করতে পারি কারণ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানরা তাঁদের কর্মে, দর্শন ও চেতনার মধ্য দিয়ে আমাদের গর্ব করার মতো জায়গায় রেখে গেছেন। সার্থক জন্ম আমার জন্মেছি এই দেশে।

সবার শ্রদ্ধেয় ‘স্যার’ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণের পরপরই তাঁর একজন খুব কাছের মানুষ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক জনকণ্ঠে তাঁর এক লেখায় বলেছেন, ‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পর দেশ যখন প্রায় বুদ্ধিজীবীহারা, তখন যে কয়জন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধি ও বিবেকের সততা রক্ষা করে জাতিকে পথ দেখাতে এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে আনিসুজ্জামান ছিলেন পুরোভাগে।’ হ্যাঁ, আমরাও দেখেছি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন মৃদুবাক পরিমিত একজন যথার্থ পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালের অভিভাবক। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করায় তাঁর অবদানও উজ্জ্বল হয়ে রইবে। অসময়ে জাতিকে তিনি পথ দেখিয়েছেন তাঁর কর্ম, ভাবনা ও দর্শন দিয়ে।

আসলে জগতের কোনো বিশেষণই বোধ করি যথেষ্ট নয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে চিত্রায়িত করতে। তাঁর জায়গাটি চিরদিন শূন্যই রয়ে যাবে। তিনি ছিলেন বাতিঘর। নিভে গেল এটি। জীবনের পথ পরিক্রমা থেমে যায়। কিন্তু জীবন বেঁচে রয় রেখে যাওয়া কর্মে। ‘স্যার’-এর কর্ম ও দর্শন রয়ে যাবে চির-অমলিন। এ দেশের প্রতিটি মানুষ বলেই যাবে- স্যার, আপনি আপনার কর্ম, অবদান, জ্ঞান ও ভালোবাসার নিরন্তর ছায়া দিয়ে নিজেকে জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের দিশারি, আমাদের প্রাণপ্রিয় বরেণ্য কীর্তিমান ‘স্যার’কে সবটুকু পারলৌকিক কল্যাণ দান করুন।

                লেখক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

এই মাত্র | রাজনীতি

ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া
ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম

২ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে
আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিবাহবার্ষিকীর দিনেই বাবা-মা হলেন রাজকুমার রাও-পত্রলেখা
বিবাহবার্ষিকীর দিনেই বাবা-মা হলেন রাজকুমার রাও-পত্রলেখা

৪০ মিনিট আগে | শোবিজ

মালিককে ‘গুলি করল কুকুর’!
মালিককে ‘গুলি করল কুকুর’!

৪৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ফুলবাড়ী বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ী বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ

৫০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে
জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?
‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি
লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া
মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৯ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা