শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ আপডেট:

অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে এটি হয়তো নিয়মিত এক রোগ হিসেবে রয়ে যাবে। তাই আসছে দিনগুলোয় করোনাভীতি এবং সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এক মানসিক সংকটের জন্ম দেবে। মানুষের জীবনাচরণে আসবে পরিবর্তন। মানবিকতায় বৈকল্য দেখা দেবে। ১৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব অভিমত ব্যক্ত করেছে। এ থেকে অনুমেয়, সামনে অচেনা এক পৃথিবী অপেক্ষা করছে। এখনই দীর্ঘ সাধারণ ছুটির আদলে চলমান লকডাউনেই দেখছি কত অচেনা হয়ে উঠছে সমাজ, পৃথিবীর কত কিছু!

১৪ মে বিকালে হঠাৎ টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ : জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চমকে গেলাম। ধাক্কা খেলাম। বুকটা মুহূর্তে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলো। ভারী হয়ে উঠল। দেশের প্রখ্যাত প্রবীণ একজন শিক্ষাবিদ। তাঁকে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে খুব কাছ থেকে দেখা ও তাঁর কথা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। একজন বিশাল প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন তিনি। ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক। ছিলেন জাতির জন্য একজন বড় মাপের নির্মোহ অভিভাবক। সাদা মনের স্বল্পবাক মানুষ। তাঁর স্থানটা শূন্যই রয়ে যাবে। একে একে দেশের সব গুণী প্রবীণ জাগতিক পরিভ্রমণ শেষে প্রস্থান করছেন। ওই রাতেই অনলাইন নিউজ পোর্টালে জেনেছিলাম প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় প্রয়াত অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতাও তাঁর ছিল। পরদিন সকালে উঠে টিভি অন করে জানলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেদিন সকালে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন হবে। মনটা ভীষণ এবং ভীষণ খারাপ হলো। প্রয়াত সর্বজন পরম শ্রদ্ধেয় দেশের একজন গুণী উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জানাজা ও দাফনে কত শোকাহত সজল মানুষ, শুভানুধ্যায়ী ছুটে আসতেন! কিন্তু  আজ তা সম্ভব হলো না কভিড-১৯-এর প্রবল থাবায়। এটি আরেক কষ্টের।

নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর সংক্রমণে পুরো বিশ্বই এখন তছনছ। বাংলাদেশও সংক্রমিত। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর রেখাটিও ঊর্ধ্বমুখী। এ মহাদুর্যোগে প্রায় সব মানুষই ঘরে অবরুদ্ধ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে। দৈনন্দিন জীবনে নামছে স্থবিরতা। আবার কিছু মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষ থাকছে না ঘরে। কর্ম ও জীবিকার টানে ছুটে যাচ্ছে ঘরের বাইরে। এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তা হলো, প্রতিদিনই করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়ছেই। মৃত্যুর মিছিলটাও হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। হাসপাতালগুলোয় স্থান সংকুলান হচ্ছে না রোগীর। কভিড-১৯ পজিটিভ কিনা তা টেস্ট করানোর জন্য অনেককে দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই এ পরীক্ষা করিয়ে মানুষ জানতে চাইছে সে কভিড শঙ্কামুক্ত কিনা।

প্রতিদিনই দুপুর পেরিয়ে যখন ঘড়ির কাঁটায় ২টা ৩০ বাজে তখন টেলিভিশনের সামনে বসি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন কী বলে তা জানতে। ডা. নাসিমা সুলতানা প্রাসঙ্গিক সব তথ্যসহ করোনা আপডেট বিবৃত করেন। ভালো কিছু শোনার আশা থাকলেও প্রতিদিনই কভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে চিত্র আসছে তা মনটাকে বিষণœতার সাগরে নিমজ্জিত করছে। কভিড-১৯-এর দৌরাত্ম্যের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। তার পরও বলি, অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ২২ মে পর্যন্ত কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে মারা গেছেন প্রায় ৪৩২ জন। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশাবলি ও বিধি মেনেই তার শেষকৃত্য হচ্ছে; স্বল্প কজন স্বজনের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচারে। এমনকি যারা ভিন্ন কোনো অসুখে বা অন্য কোনো উপসর্গে মৃত্যুবরণ করছেন তাদের সৎকারও হচ্ছে সরকারের নির্দেশাবলি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অত্যন্ত স্বল্প মানুষের উপস্থিতিতে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মাত্র কদিনের ব্যবধানে একে একে বেশকটি দেউটি নিভে গেল। কজন গুণী মানুষ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। তাঁদের পদচারণে আর মুখরিত হবে না বাংলাদেশ। সাহিত্য-সংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গন হবে না প্রাণবন্ত। তাঁদের সাহসী, প্রজ্ঞাময় সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আসাদুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. সা’দত হুসাইন, জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বিশিষ্ট সুরকার জনাব আজাদ রহমান এবং সর্বশেষ জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম চলে গেলেন পরপারে। প্রফেসর ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ এঁদের প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন সুপ্রতিষ্ঠিত। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নধারায় তাঁদের প্রত্যেকের অবদান উজ্জ্বল হয়ে রইবে চিরকাল। কভিড-১৯-এর চলমান দাপট আমাদের বঞ্চিত করেছে দেশের এই বিশিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিদের কারোরই জানাজা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আমার ও আমাদের অংশগ্রহণে। আজ এই লেখার মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা সবার প্রতি যাঁরা মাত্র কদিনের ব্যবধানে জাগতিক হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে চলে গেলেন ওপারে। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন আমাদের সবার শিক্ষক। একজন ধীরস্থির অভিভাবক। জাতির বাতিঘর। তাঁর সারা জীবনের পরিভ্রমণটা ছিল জাতির জন্য। শিক্ষা ও সভ্যতার জন্য। অসাম্প্রদায়িকতার জন্য। তাঁর চিরবিদায়ে দেখছি সবার বিনম্র উচ্চারণ- ‘স্যার, জাতির দিশারি’। অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর স্মৃতি সব সময় আমাদের পথ দেখাবে।’ আসলেই তিনি জাতির জন্য এক নির্মোহ পরিশীলিত পথপ্রদর্শক। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল বিশিষ্ট নয়, উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।’

আমি সরাসরি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছাত্র নই। তিনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক আর আমার বিষয় ছিল অর্থনীতি। তবে আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছি আনিসুজ্জামান ছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। সেই অর্থে অবশ্যই আমি তাঁর ছাত্র। শুধুু এই অর্থে কেন, সব অর্থেই তিনি আমার ও আমাদের সবারই শিক্ষক। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে আমার দুই কি তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। তাঁকে দেখলেই আমি এগিয়ে যেতাম কথা বলার জন্য। সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময়ের জন্য। এ রকম গুণী মানুষের সান্নিধ্যে কয়েকটি মুহূর্ত থাকা ভাগ্যের ব্যাপার বইকি। এই মানুষটি সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে অনেক গুণীজনই লিখেছেন এবং এখনো লিখছেন। আমি শুধু তাঁর কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেমের একটি দিক তুলে ধরব।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন ভারতে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখন্ডে সুসংগঠিতভাবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ বুদ্ধিজীবীদের বর্বর হতাকান্ডের বিচার চেয়ে আসছিল জাতি। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তায় প্রণীত হয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩। কিন্ত ’৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অসাংবিধানিক সামরিক শাসকদের দৃশ্যমান অনুমোদনে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। জাতি হতে থাকে রক্তাক্ত। ’৭৩ সালে প্রণীত আইনটি থেকে যায় নীরব এবং আড়ালে। অবশেষে বিচারহীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করার সাহসী উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের মার্চে গঠিত হয় আরও একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনালটি পরিচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হিসেবে। আমি ছিলাম এ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান। মাননীয় বিচারপতি জনাব মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জনাব মো. শাহিনুর ইসলাম ছিলেন এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুজন সম্মানিত সদস্য। শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় রাজাকার আলবদর ও পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় শক্তিধর দোসরদের বিচারকার্য।

বিচার শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার চলাকালে মোট ২২-২৩ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে একজন সাক্ষী ছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার লেখা বই ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’-এর ৩২ পৃষ্ঠায় জনাব আনিসুজ্জামানের সাক্ষ্যের কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ট্রাইব্যুনাল-১-এ চিফ প্রসিকিউটর বনাম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায়ও এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁর ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে এবং অন্য মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করে যথাক্রমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ও ১।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় বড় মাপের এক দোসর গোলাম আযমসহ সমস্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার চেয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময়ই ছিলেন সোচ্চার। ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যখন ‘গণআদালত’ বসে সেখানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জাতির পক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছিলেন-

‘মাননীয় আদালত!

আমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অভিযোগ উত্থাপন করছি।

আমি অভিযোগ করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে লাঞ্ছিত মায়েদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত বোনেদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর কর্তৃক নিহত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি শত্রুর হাতে প্রাণদানকারী পিতা-মাতার অসহায় এতিম সন্তানদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে।’

আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারে ফলাফল কী হলো সাধারণ মানুষ শুধু তা-ই জানতে আগ্রহী থাকে। তারা জানে না বিচারকাজের অন্য কী কী অনুষঙ্গ প্রয়োজন। একটি বিচারকাজ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় তখনই যখন তদন্তকারী সংস্থা, প্রসিকিউশন ও অভিযুক্ত পক্ষ সবাই স্বীয় স্বীয় অবস্থানে থেকে তাদের কর্তব্য কাজটি সম্পাদন করেন। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনাল কর্মরত আছে। এ পর্যন্ত ৪১টি মামলার বিচারকার্য্য সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এ ধরনের কোনো মামলায় যখন রিপোর্ট প্রদান করে তখন তাতে অনেক মানুষেরই নাম থাকে সাক্ষী হিসেবে। বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক মানিত সাক্ষীই সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসেননি তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বা নিজের সম্ভাব্য নিরাপত্তাঝুঁকির কথা মাথায় রেখে। অনেক বিশিষ্ট অধ্যাপক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশিষ্টজনের নাম ছিল সাক্ষীর তালিকায়। তাঁরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাঁদের নিজ বাড়িতে বসে বা কোনো নির্ধারিত স্থানে হাজির থেকে ঘটনা বিবৃত করেছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল যখন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাঁদের সমন বা নোটিস পাঠিয়েছে তখন তাঁদের অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যদিও এতে বিচারকার্যের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ সাক্ষীর সংখ্যার ওপর মামলার ফলাফল নির্ভর করে না, সাক্ষীর প্রদত্ত সাক্ষ্যের গুণগতমানের ওপরই মামলার ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এটিই প্রতিষ্ঠিত নীতি। যা হোক, এ কথা বলাই যায় যে, যাঁরা সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁরা, যাঁরা আসেননি তাঁদের চেয়ে একটু বেশিই ঝুঁকি নিয়েছেন জীবনের। এ কারণেই অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেবের জীবনের ওপর হুমকি এসেছিল। আনিসুজ্জামান এ ধরনের হুমকিকে আদৌ পরোয়া করেননি। আর করেননি বলেই ১৯৯২ সালে প্রতীকী গণআদালতের সামনে জাতির পক্ষ থেকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন নির্ভীক কণ্ঠে এবং পরে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাস্তব আদালতেও অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁর বিবেকের তাড়নায়, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; বিচারের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে। আর এ কারণেই তিনি জাতির কাছ থেকে পেয়েছিলেন সম্মানের আসন। জাতি তাঁকে চিরকাল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

আমার সঙ্গে জনাব আনিসুজ্জামানের যতবার দেখা হয়েছে আমি ততবার জিজ্ঞাসা করতাম স্যার আপনি কেমন আছেন, শরীর কেমন? আমাকে কি চিনতে পেরেছেন? সব সময়ই তাঁর সহজ সরল পাল্টা প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি জাস্টিস সাহেব না? আপনার কোর্টে তো আমি সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলাম।’ স্যারের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি কথা বলার মতো আমার তেমন সুযোগ ছিল না। কেননা সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে তাঁর ধারণার সঙ্গে আমি বিচারক হিসেবে সহমত বা অমত কোনোটাই পোষণ করতে পারি না। এটি বিচারক হিসেবে আমার অনিবার্য অক্ষমতা। তবে তাঁর কথা আমি মন দিয়ে শুনতাম। মৃদু হেসে যখন এটুকু কথাই তিনি আমাকে বলতেন তখন আমার কাছে মনে হতো, তাঁর এ কথাগুলোয় কত না স্নেহ ও মায়া মিশ্রিত। এই হলেন আমাদের শিক্ষক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। তিনি যেমন নিজ গুণে গুণান্বিত ও সম্মানিত, তাঁর ছাত্রদেরও তিনি সম্মান দিতে জানতেন।

যে দেশটি আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি যার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সে দেশের সংবিধানের বাংলা ভাষ্য প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ছিল উজ্জ্বল ভূমিকা। যে দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীরা তাঁদের জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন সেটি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করি। গর্ব করতে পারি কারণ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানরা তাঁদের কর্মে, দর্শন ও চেতনার মধ্য দিয়ে আমাদের গর্ব করার মতো জায়গায় রেখে গেছেন। সার্থক জন্ম আমার জন্মেছি এই দেশে।

সবার শ্রদ্ধেয় ‘স্যার’ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণের পরপরই তাঁর একজন খুব কাছের মানুষ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক জনকণ্ঠে তাঁর এক লেখায় বলেছেন, ‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পর দেশ যখন প্রায় বুদ্ধিজীবীহারা, তখন যে কয়জন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধি ও বিবেকের সততা রক্ষা করে জাতিকে পথ দেখাতে এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে আনিসুজ্জামান ছিলেন পুরোভাগে।’ হ্যাঁ, আমরাও দেখেছি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন মৃদুবাক পরিমিত একজন যথার্থ পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালের অভিভাবক। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করায় তাঁর অবদানও উজ্জ্বল হয়ে রইবে। অসময়ে জাতিকে তিনি পথ দেখিয়েছেন তাঁর কর্ম, ভাবনা ও দর্শন দিয়ে।

আসলে জগতের কোনো বিশেষণই বোধ করি যথেষ্ট নয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে চিত্রায়িত করতে। তাঁর জায়গাটি চিরদিন শূন্যই রয়ে যাবে। তিনি ছিলেন বাতিঘর। নিভে গেল এটি। জীবনের পথ পরিক্রমা থেমে যায়। কিন্তু জীবন বেঁচে রয় রেখে যাওয়া কর্মে। ‘স্যার’-এর কর্ম ও দর্শন রয়ে যাবে চির-অমলিন। এ দেশের প্রতিটি মানুষ বলেই যাবে- স্যার, আপনি আপনার কর্ম, অবদান, জ্ঞান ও ভালোবাসার নিরন্তর ছায়া দিয়ে নিজেকে জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের দিশারি, আমাদের প্রাণপ্রিয় বরেণ্য কীর্তিমান ‘স্যার’কে সবটুকু পারলৌকিক কল্যাণ দান করুন।

                লেখক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন