শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ আপডেট:

অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে এটি হয়তো নিয়মিত এক রোগ হিসেবে রয়ে যাবে। তাই আসছে দিনগুলোয় করোনাভীতি এবং সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এক মানসিক সংকটের জন্ম দেবে। মানুষের জীবনাচরণে আসবে পরিবর্তন। মানবিকতায় বৈকল্য দেখা দেবে। ১৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব অভিমত ব্যক্ত করেছে। এ থেকে অনুমেয়, সামনে অচেনা এক পৃথিবী অপেক্ষা করছে। এখনই দীর্ঘ সাধারণ ছুটির আদলে চলমান লকডাউনেই দেখছি কত অচেনা হয়ে উঠছে সমাজ, পৃথিবীর কত কিছু!

১৪ মে বিকালে হঠাৎ টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ : জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চমকে গেলাম। ধাক্কা খেলাম। বুকটা মুহূর্তে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলো। ভারী হয়ে উঠল। দেশের প্রখ্যাত প্রবীণ একজন শিক্ষাবিদ। তাঁকে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে খুব কাছ থেকে দেখা ও তাঁর কথা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। একজন বিশাল প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন তিনি। ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক। ছিলেন জাতির জন্য একজন বড় মাপের নির্মোহ অভিভাবক। সাদা মনের স্বল্পবাক মানুষ। তাঁর স্থানটা শূন্যই রয়ে যাবে। একে একে দেশের সব গুণী প্রবীণ জাগতিক পরিভ্রমণ শেষে প্রস্থান করছেন। ওই রাতেই অনলাইন নিউজ পোর্টালে জেনেছিলাম প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় প্রয়াত অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতাও তাঁর ছিল। পরদিন সকালে উঠে টিভি অন করে জানলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেদিন সকালে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন হবে। মনটা ভীষণ এবং ভীষণ খারাপ হলো। প্রয়াত সর্বজন পরম শ্রদ্ধেয় দেশের একজন গুণী উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জানাজা ও দাফনে কত শোকাহত সজল মানুষ, শুভানুধ্যায়ী ছুটে আসতেন! কিন্তু  আজ তা সম্ভব হলো না কভিড-১৯-এর প্রবল থাবায়। এটি আরেক কষ্টের।

নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর সংক্রমণে পুরো বিশ্বই এখন তছনছ। বাংলাদেশও সংক্রমিত। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর রেখাটিও ঊর্ধ্বমুখী। এ মহাদুর্যোগে প্রায় সব মানুষই ঘরে অবরুদ্ধ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে। দৈনন্দিন জীবনে নামছে স্থবিরতা। আবার কিছু মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষ থাকছে না ঘরে। কর্ম ও জীবিকার টানে ছুটে যাচ্ছে ঘরের বাইরে। এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তা হলো, প্রতিদিনই করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়ছেই। মৃত্যুর মিছিলটাও হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। হাসপাতালগুলোয় স্থান সংকুলান হচ্ছে না রোগীর। কভিড-১৯ পজিটিভ কিনা তা টেস্ট করানোর জন্য অনেককে দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই এ পরীক্ষা করিয়ে মানুষ জানতে চাইছে সে কভিড শঙ্কামুক্ত কিনা।

প্রতিদিনই দুপুর পেরিয়ে যখন ঘড়ির কাঁটায় ২টা ৩০ বাজে তখন টেলিভিশনের সামনে বসি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন কী বলে তা জানতে। ডা. নাসিমা সুলতানা প্রাসঙ্গিক সব তথ্যসহ করোনা আপডেট বিবৃত করেন। ভালো কিছু শোনার আশা থাকলেও প্রতিদিনই কভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে চিত্র আসছে তা মনটাকে বিষণœতার সাগরে নিমজ্জিত করছে। কভিড-১৯-এর দৌরাত্ম্যের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। তার পরও বলি, অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ২২ মে পর্যন্ত কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে মারা গেছেন প্রায় ৪৩২ জন। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশাবলি ও বিধি মেনেই তার শেষকৃত্য হচ্ছে; স্বল্প কজন স্বজনের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচারে। এমনকি যারা ভিন্ন কোনো অসুখে বা অন্য কোনো উপসর্গে মৃত্যুবরণ করছেন তাদের সৎকারও হচ্ছে সরকারের নির্দেশাবলি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অত্যন্ত স্বল্প মানুষের উপস্থিতিতে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মাত্র কদিনের ব্যবধানে একে একে বেশকটি দেউটি নিভে গেল। কজন গুণী মানুষ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। তাঁদের পদচারণে আর মুখরিত হবে না বাংলাদেশ। সাহিত্য-সংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গন হবে না প্রাণবন্ত। তাঁদের সাহসী, প্রজ্ঞাময় সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আসাদুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. সা’দত হুসাইন, জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বিশিষ্ট সুরকার জনাব আজাদ রহমান এবং সর্বশেষ জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম চলে গেলেন পরপারে। প্রফেসর ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ এঁদের প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন সুপ্রতিষ্ঠিত। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নধারায় তাঁদের প্রত্যেকের অবদান উজ্জ্বল হয়ে রইবে চিরকাল। কভিড-১৯-এর চলমান দাপট আমাদের বঞ্চিত করেছে দেশের এই বিশিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিদের কারোরই জানাজা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আমার ও আমাদের অংশগ্রহণে। আজ এই লেখার মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা সবার প্রতি যাঁরা মাত্র কদিনের ব্যবধানে জাগতিক হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে চলে গেলেন ওপারে। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন আমাদের সবার শিক্ষক। একজন ধীরস্থির অভিভাবক। জাতির বাতিঘর। তাঁর সারা জীবনের পরিভ্রমণটা ছিল জাতির জন্য। শিক্ষা ও সভ্যতার জন্য। অসাম্প্রদায়িকতার জন্য। তাঁর চিরবিদায়ে দেখছি সবার বিনম্র উচ্চারণ- ‘স্যার, জাতির দিশারি’। অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর স্মৃতি সব সময় আমাদের পথ দেখাবে।’ আসলেই তিনি জাতির জন্য এক নির্মোহ পরিশীলিত পথপ্রদর্শক। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল বিশিষ্ট নয়, উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।’

আমি সরাসরি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছাত্র নই। তিনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক আর আমার বিষয় ছিল অর্থনীতি। তবে আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছি আনিসুজ্জামান ছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। সেই অর্থে অবশ্যই আমি তাঁর ছাত্র। শুধুু এই অর্থে কেন, সব অর্থেই তিনি আমার ও আমাদের সবারই শিক্ষক। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে আমার দুই কি তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। তাঁকে দেখলেই আমি এগিয়ে যেতাম কথা বলার জন্য। সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময়ের জন্য। এ রকম গুণী মানুষের সান্নিধ্যে কয়েকটি মুহূর্ত থাকা ভাগ্যের ব্যাপার বইকি। এই মানুষটি সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে অনেক গুণীজনই লিখেছেন এবং এখনো লিখছেন। আমি শুধু তাঁর কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেমের একটি দিক তুলে ধরব।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন ভারতে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখন্ডে সুসংগঠিতভাবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ বুদ্ধিজীবীদের বর্বর হতাকান্ডের বিচার চেয়ে আসছিল জাতি। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তায় প্রণীত হয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩। কিন্ত ’৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অসাংবিধানিক সামরিক শাসকদের দৃশ্যমান অনুমোদনে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। জাতি হতে থাকে রক্তাক্ত। ’৭৩ সালে প্রণীত আইনটি থেকে যায় নীরব এবং আড়ালে। অবশেষে বিচারহীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করার সাহসী উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের মার্চে গঠিত হয় আরও একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনালটি পরিচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হিসেবে। আমি ছিলাম এ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান। মাননীয় বিচারপতি জনাব মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জনাব মো. শাহিনুর ইসলাম ছিলেন এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুজন সম্মানিত সদস্য। শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় রাজাকার আলবদর ও পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় শক্তিধর দোসরদের বিচারকার্য।

বিচার শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার চলাকালে মোট ২২-২৩ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে একজন সাক্ষী ছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার লেখা বই ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’-এর ৩২ পৃষ্ঠায় জনাব আনিসুজ্জামানের সাক্ষ্যের কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ট্রাইব্যুনাল-১-এ চিফ প্রসিকিউটর বনাম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায়ও এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁর ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে এবং অন্য মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করে যথাক্রমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ও ১।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় বড় মাপের এক দোসর গোলাম আযমসহ সমস্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার চেয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময়ই ছিলেন সোচ্চার। ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যখন ‘গণআদালত’ বসে সেখানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জাতির পক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছিলেন-

‘মাননীয় আদালত!

আমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অভিযোগ উত্থাপন করছি।

আমি অভিযোগ করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে লাঞ্ছিত মায়েদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত বোনেদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর কর্তৃক নিহত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি শত্রুর হাতে প্রাণদানকারী পিতা-মাতার অসহায় এতিম সন্তানদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে।’

আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারে ফলাফল কী হলো সাধারণ মানুষ শুধু তা-ই জানতে আগ্রহী থাকে। তারা জানে না বিচারকাজের অন্য কী কী অনুষঙ্গ প্রয়োজন। একটি বিচারকাজ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় তখনই যখন তদন্তকারী সংস্থা, প্রসিকিউশন ও অভিযুক্ত পক্ষ সবাই স্বীয় স্বীয় অবস্থানে থেকে তাদের কর্তব্য কাজটি সম্পাদন করেন। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনাল কর্মরত আছে। এ পর্যন্ত ৪১টি মামলার বিচারকার্য্য সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এ ধরনের কোনো মামলায় যখন রিপোর্ট প্রদান করে তখন তাতে অনেক মানুষেরই নাম থাকে সাক্ষী হিসেবে। বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক মানিত সাক্ষীই সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসেননি তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বা নিজের সম্ভাব্য নিরাপত্তাঝুঁকির কথা মাথায় রেখে। অনেক বিশিষ্ট অধ্যাপক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশিষ্টজনের নাম ছিল সাক্ষীর তালিকায়। তাঁরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাঁদের নিজ বাড়িতে বসে বা কোনো নির্ধারিত স্থানে হাজির থেকে ঘটনা বিবৃত করেছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল যখন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাঁদের সমন বা নোটিস পাঠিয়েছে তখন তাঁদের অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যদিও এতে বিচারকার্যের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ সাক্ষীর সংখ্যার ওপর মামলার ফলাফল নির্ভর করে না, সাক্ষীর প্রদত্ত সাক্ষ্যের গুণগতমানের ওপরই মামলার ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এটিই প্রতিষ্ঠিত নীতি। যা হোক, এ কথা বলাই যায় যে, যাঁরা সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁরা, যাঁরা আসেননি তাঁদের চেয়ে একটু বেশিই ঝুঁকি নিয়েছেন জীবনের। এ কারণেই অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেবের জীবনের ওপর হুমকি এসেছিল। আনিসুজ্জামান এ ধরনের হুমকিকে আদৌ পরোয়া করেননি। আর করেননি বলেই ১৯৯২ সালে প্রতীকী গণআদালতের সামনে জাতির পক্ষ থেকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন নির্ভীক কণ্ঠে এবং পরে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাস্তব আদালতেও অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁর বিবেকের তাড়নায়, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; বিচারের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে। আর এ কারণেই তিনি জাতির কাছ থেকে পেয়েছিলেন সম্মানের আসন। জাতি তাঁকে চিরকাল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

আমার সঙ্গে জনাব আনিসুজ্জামানের যতবার দেখা হয়েছে আমি ততবার জিজ্ঞাসা করতাম স্যার আপনি কেমন আছেন, শরীর কেমন? আমাকে কি চিনতে পেরেছেন? সব সময়ই তাঁর সহজ সরল পাল্টা প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি জাস্টিস সাহেব না? আপনার কোর্টে তো আমি সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলাম।’ স্যারের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি কথা বলার মতো আমার তেমন সুযোগ ছিল না। কেননা সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে তাঁর ধারণার সঙ্গে আমি বিচারক হিসেবে সহমত বা অমত কোনোটাই পোষণ করতে পারি না। এটি বিচারক হিসেবে আমার অনিবার্য অক্ষমতা। তবে তাঁর কথা আমি মন দিয়ে শুনতাম। মৃদু হেসে যখন এটুকু কথাই তিনি আমাকে বলতেন তখন আমার কাছে মনে হতো, তাঁর এ কথাগুলোয় কত না স্নেহ ও মায়া মিশ্রিত। এই হলেন আমাদের শিক্ষক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। তিনি যেমন নিজ গুণে গুণান্বিত ও সম্মানিত, তাঁর ছাত্রদেরও তিনি সম্মান দিতে জানতেন।

যে দেশটি আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি যার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সে দেশের সংবিধানের বাংলা ভাষ্য প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ছিল উজ্জ্বল ভূমিকা। যে দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীরা তাঁদের জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন সেটি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করি। গর্ব করতে পারি কারণ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানরা তাঁদের কর্মে, দর্শন ও চেতনার মধ্য দিয়ে আমাদের গর্ব করার মতো জায়গায় রেখে গেছেন। সার্থক জন্ম আমার জন্মেছি এই দেশে।

সবার শ্রদ্ধেয় ‘স্যার’ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণের পরপরই তাঁর একজন খুব কাছের মানুষ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক জনকণ্ঠে তাঁর এক লেখায় বলেছেন, ‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পর দেশ যখন প্রায় বুদ্ধিজীবীহারা, তখন যে কয়জন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধি ও বিবেকের সততা রক্ষা করে জাতিকে পথ দেখাতে এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে আনিসুজ্জামান ছিলেন পুরোভাগে।’ হ্যাঁ, আমরাও দেখেছি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন মৃদুবাক পরিমিত একজন যথার্থ পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালের অভিভাবক। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করায় তাঁর অবদানও উজ্জ্বল হয়ে রইবে। অসময়ে জাতিকে তিনি পথ দেখিয়েছেন তাঁর কর্ম, ভাবনা ও দর্শন দিয়ে।

আসলে জগতের কোনো বিশেষণই বোধ করি যথেষ্ট নয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে চিত্রায়িত করতে। তাঁর জায়গাটি চিরদিন শূন্যই রয়ে যাবে। তিনি ছিলেন বাতিঘর। নিভে গেল এটি। জীবনের পথ পরিক্রমা থেমে যায়। কিন্তু জীবন বেঁচে রয় রেখে যাওয়া কর্মে। ‘স্যার’-এর কর্ম ও দর্শন রয়ে যাবে চির-অমলিন। এ দেশের প্রতিটি মানুষ বলেই যাবে- স্যার, আপনি আপনার কর্ম, অবদান, জ্ঞান ও ভালোবাসার নিরন্তর ছায়া দিয়ে নিজেকে জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের দিশারি, আমাদের প্রাণপ্রিয় বরেণ্য কীর্তিমান ‘স্যার’কে সবটুকু পারলৌকিক কল্যাণ দান করুন।

                লেখক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান

১১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল
ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত
দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে
বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে

২২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা
ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২
ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক
‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া
ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ ৪ কারবারি আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ ৪ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিলিয়ন কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া ধূমকেতুর বিরল ছবি হাতে পেল নাসা
বিলিয়ন কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া ধূমকেতুর বিরল ছবি হাতে পেল নাসা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

মানব ইতিহাসের ৫ প্রলয়ংকারী সুনামি
মানব ইতিহাসের ৫ প্রলয়ংকারী সুনামি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় হতদরিদ্র পরিবারের এক নারীর চিকিৎসায় ছাত্রদলের অর্থ সহায়তা
ভাঙ্গায় হতদরিদ্র পরিবারের এক নারীর চিকিৎসায় ছাত্রদলের অর্থ সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক ভবনে ফাটল
ভূমিকম্প : সিদ্ধিরগঞ্জে একাধিক ভবনে ফাটল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ব্রাকসু ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা
ব্রাকসু ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা