শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ আপডেট:

অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
অবশেষে স্যার চলেই গেলেন

করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে এটি হয়তো নিয়মিত এক রোগ হিসেবে রয়ে যাবে। তাই আসছে দিনগুলোয় করোনাভীতি এবং সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এক মানসিক সংকটের জন্ম দেবে। মানুষের জীবনাচরণে আসবে পরিবর্তন। মানবিকতায় বৈকল্য দেখা দেবে। ১৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব অভিমত ব্যক্ত করেছে। এ থেকে অনুমেয়, সামনে অচেনা এক পৃথিবী অপেক্ষা করছে। এখনই দীর্ঘ সাধারণ ছুটির আদলে চলমান লকডাউনেই দেখছি কত অচেনা হয়ে উঠছে সমাজ, পৃথিবীর কত কিছু!

১৪ মে বিকালে হঠাৎ টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ : জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চমকে গেলাম। ধাক্কা খেলাম। বুকটা মুহূর্তে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলো। ভারী হয়ে উঠল। দেশের প্রখ্যাত প্রবীণ একজন শিক্ষাবিদ। তাঁকে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে খুব কাছ থেকে দেখা ও তাঁর কথা শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। একজন বিশাল প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন তিনি। ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক। ছিলেন জাতির জন্য একজন বড় মাপের নির্মোহ অভিভাবক। সাদা মনের স্বল্পবাক মানুষ। তাঁর স্থানটা শূন্যই রয়ে যাবে। একে একে দেশের সব গুণী প্রবীণ জাগতিক পরিভ্রমণ শেষে প্রস্থান করছেন। ওই রাতেই অনলাইন নিউজ পোর্টালে জেনেছিলাম প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় প্রয়াত অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতাও তাঁর ছিল। পরদিন সকালে উঠে টিভি অন করে জানলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেদিন সকালে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন হবে। মনটা ভীষণ এবং ভীষণ খারাপ হলো। প্রয়াত সর্বজন পরম শ্রদ্ধেয় দেশের একজন গুণী উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জানাজা ও দাফনে কত শোকাহত সজল মানুষ, শুভানুধ্যায়ী ছুটে আসতেন! কিন্তু  আজ তা সম্ভব হলো না কভিড-১৯-এর প্রবল থাবায়। এটি আরেক কষ্টের।

নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর সংক্রমণে পুরো বিশ্বই এখন তছনছ। বাংলাদেশও সংক্রমিত। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর রেখাটিও ঊর্ধ্বমুখী। এ মহাদুর্যোগে প্রায় সব মানুষই ঘরে অবরুদ্ধ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে। দৈনন্দিন জীবনে নামছে স্থবিরতা। আবার কিছু মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষ থাকছে না ঘরে। কর্ম ও জীবিকার টানে ছুটে যাচ্ছে ঘরের বাইরে। এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তা হলো, প্রতিদিনই করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়ছেই। মৃত্যুর মিছিলটাও হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। হাসপাতালগুলোয় স্থান সংকুলান হচ্ছে না রোগীর। কভিড-১৯ পজিটিভ কিনা তা টেস্ট করানোর জন্য অনেককে দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই এ পরীক্ষা করিয়ে মানুষ জানতে চাইছে সে কভিড শঙ্কামুক্ত কিনা।

প্রতিদিনই দুপুর পেরিয়ে যখন ঘড়ির কাঁটায় ২টা ৩০ বাজে তখন টেলিভিশনের সামনে বসি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন কী বলে তা জানতে। ডা. নাসিমা সুলতানা প্রাসঙ্গিক সব তথ্যসহ করোনা আপডেট বিবৃত করেন। ভালো কিছু শোনার আশা থাকলেও প্রতিদিনই কভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে চিত্র আসছে তা মনটাকে বিষণœতার সাগরে নিমজ্জিত করছে। কভিড-১৯-এর দৌরাত্ম্যের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। তার পরও বলি, অহেতুক দুশ্চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর ২২ মে পর্যন্ত কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে মারা গেছেন প্রায় ৪৩২ জন। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশাবলি ও বিধি মেনেই তার শেষকৃত্য হচ্ছে; স্বল্প কজন স্বজনের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচারে। এমনকি যারা ভিন্ন কোনো অসুখে বা অন্য কোনো উপসর্গে মৃত্যুবরণ করছেন তাদের সৎকারও হচ্ছে সরকারের নির্দেশাবলি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অত্যন্ত স্বল্প মানুষের উপস্থিতিতে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মাত্র কদিনের ব্যবধানে একে একে বেশকটি দেউটি নিভে গেল। কজন গুণী মানুষ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। তাঁদের পদচারণে আর মুখরিত হবে না বাংলাদেশ। সাহিত্য-সংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গন হবে না প্রাণবন্ত। তাঁদের সাহসী, প্রজ্ঞাময় সুপরামর্শ থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আসাদুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. সা’দত হুসাইন, জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, বিশিষ্ট সুরকার জনাব আজাদ রহমান এবং সর্বশেষ জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম চলে গেলেন পরপারে। প্রফেসর ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ এঁদের প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন সুপ্রতিষ্ঠিত। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নধারায় তাঁদের প্রত্যেকের অবদান উজ্জ্বল হয়ে রইবে চিরকাল। কভিড-১৯-এর চলমান দাপট আমাদের বঞ্চিত করেছে দেশের এই বিশিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিদের কারোরই জানাজা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আমার ও আমাদের অংশগ্রহণে। আজ এই লেখার মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা সবার প্রতি যাঁরা মাত্র কদিনের ব্যবধানে জাগতিক হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে চলে গেলেন ওপারে। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন আমাদের সবার শিক্ষক। একজন ধীরস্থির অভিভাবক। জাতির বাতিঘর। তাঁর সারা জীবনের পরিভ্রমণটা ছিল জাতির জন্য। শিক্ষা ও সভ্যতার জন্য। অসাম্প্রদায়িকতার জন্য। তাঁর চিরবিদায়ে দেখছি সবার বিনম্র উচ্চারণ- ‘স্যার, জাতির দিশারি’। অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘তাঁর স্মৃতি সব সময় আমাদের পথ দেখাবে।’ আসলেই তিনি জাতির জন্য এক নির্মোহ পরিশীলিত পথপ্রদর্শক। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘কেবল বিশিষ্ট নয়, উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।’

আমি সরাসরি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছাত্র নই। তিনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক আর আমার বিষয় ছিল অর্থনীতি। তবে আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছি আনিসুজ্জামান ছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। সেই অর্থে অবশ্যই আমি তাঁর ছাত্র। শুধুু এই অর্থে কেন, সব অর্থেই তিনি আমার ও আমাদের সবারই শিক্ষক। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে আমার দুই কি তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে কটি সামাজিক অনুষ্ঠানে। তাঁকে দেখলেই আমি এগিয়ে যেতাম কথা বলার জন্য। সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময়ের জন্য। এ রকম গুণী মানুষের সান্নিধ্যে কয়েকটি মুহূর্ত থাকা ভাগ্যের ব্যাপার বইকি। এই মানুষটি সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে অনেক গুণীজনই লিখেছেন এবং এখনো লিখছেন। আমি শুধু তাঁর কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেমের একটি দিক তুলে ধরব।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন ভারতে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখন্ডে সুসংগঠিতভাবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ বুদ্ধিজীবীদের বর্বর হতাকান্ডের বিচার চেয়ে আসছিল জাতি। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তায় প্রণীত হয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩। কিন্ত ’৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অসাংবিধানিক সামরিক শাসকদের দৃশ্যমান অনুমোদনে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। জাতি হতে থাকে রক্তাক্ত। ’৭৩ সালে প্রণীত আইনটি থেকে যায় নীরব এবং আড়ালে। অবশেষে বিচারহীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করার সাহসী উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের মার্চে গঠিত হয় আরও একটি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনালটি পরিচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ হিসেবে। আমি ছিলাম এ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান। মাননীয় বিচারপতি জনাব মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জনাব মো. শাহিনুর ইসলাম ছিলেন এ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুজন সম্মানিত সদস্য। শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় রাজাকার আলবদর ও পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় শক্তিধর দোসরদের বিচারকার্য।

বিচার শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার চলাকালে মোট ২২-২৩ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে একজন সাক্ষী ছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমার লেখা বই ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ও অন্যান্য’-এর ৩২ পৃষ্ঠায় জনাব আনিসুজ্জামানের সাক্ষ্যের কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ট্রাইব্যুনাল-১-এ চিফ প্রসিকিউটর বনাম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায়ও এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাঁর ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে এবং অন্য মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করে যথাক্রমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ও ১।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ-দেশীয় বড় মাপের এক দোসর গোলাম আযমসহ সমস্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার চেয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময়ই ছিলেন সোচ্চার। ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যখন ‘গণআদালত’ বসে সেখানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জাতির পক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছিলেন-

‘মাননীয় আদালত!

আমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অভিযোগ উত্থাপন করছি।

আমি অভিযোগ করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে লাঞ্ছিত মায়েদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি হানাদার বাহিনী দ্বারা ধর্ষিত বোনেদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর কর্তৃক নিহত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি শত্রুর হাতে প্রাণদানকারী পিতা-মাতার অসহায় এতিম সন্তানদের পক্ষে, আমি অভিযোগ করছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে।’

আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারে ফলাফল কী হলো সাধারণ মানুষ শুধু তা-ই জানতে আগ্রহী থাকে। তারা জানে না বিচারকাজের অন্য কী কী অনুষঙ্গ প্রয়োজন। একটি বিচারকাজ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় তখনই যখন তদন্তকারী সংস্থা, প্রসিকিউশন ও অভিযুক্ত পক্ষ সবাই স্বীয় স্বীয় অবস্থানে থেকে তাদের কর্তব্য কাজটি সম্পাদন করেন। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনাল কর্মরত আছে। এ পর্যন্ত ৪১টি মামলার বিচারকার্য্য সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এ ধরনের কোনো মামলায় যখন রিপোর্ট প্রদান করে তখন তাতে অনেক মানুষেরই নাম থাকে সাক্ষী হিসেবে। বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি অনেক মানিত সাক্ষীই সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসেননি তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বা নিজের সম্ভাব্য নিরাপত্তাঝুঁকির কথা মাথায় রেখে। অনেক বিশিষ্ট অধ্যাপক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশিষ্টজনের নাম ছিল সাক্ষীর তালিকায়। তাঁরা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাঁদের নিজ বাড়িতে বসে বা কোনো নির্ধারিত স্থানে হাজির থেকে ঘটনা বিবৃত করেছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল যখন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাঁদের সমন বা নোটিস পাঠিয়েছে তখন তাঁদের অনেকেই সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যদিও এতে বিচারকার্যের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কারণ সাক্ষীর সংখ্যার ওপর মামলার ফলাফল নির্ভর করে না, সাক্ষীর প্রদত্ত সাক্ষ্যের গুণগতমানের ওপরই মামলার ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এটিই প্রতিষ্ঠিত নীতি। যা হোক, এ কথা বলাই যায় যে, যাঁরা সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁরা, যাঁরা আসেননি তাঁদের চেয়ে একটু বেশিই ঝুঁকি নিয়েছেন জীবনের। এ কারণেই অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেবের জীবনের ওপর হুমকি এসেছিল। আনিসুজ্জামান এ ধরনের হুমকিকে আদৌ পরোয়া করেননি। আর করেননি বলেই ১৯৯২ সালে প্রতীকী গণআদালতের সামনে জাতির পক্ষ থেকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন নির্ভীক কণ্ঠে এবং পরে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাস্তব আদালতেও অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তাঁর বিবেকের তাড়নায়, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; বিচারের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে। আর এ কারণেই তিনি জাতির কাছ থেকে পেয়েছিলেন সম্মানের আসন। জাতি তাঁকে চিরকাল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

আমার সঙ্গে জনাব আনিসুজ্জামানের যতবার দেখা হয়েছে আমি ততবার জিজ্ঞাসা করতাম স্যার আপনি কেমন আছেন, শরীর কেমন? আমাকে কি চিনতে পেরেছেন? সব সময়ই তাঁর সহজ সরল পাল্টা প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি জাস্টিস সাহেব না? আপনার কোর্টে তো আমি সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলাম।’ স্যারের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি কথা বলার মতো আমার তেমন সুযোগ ছিল না। কেননা সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে তাঁর ধারণার সঙ্গে আমি বিচারক হিসেবে সহমত বা অমত কোনোটাই পোষণ করতে পারি না। এটি বিচারক হিসেবে আমার অনিবার্য অক্ষমতা। তবে তাঁর কথা আমি মন দিয়ে শুনতাম। মৃদু হেসে যখন এটুকু কথাই তিনি আমাকে বলতেন তখন আমার কাছে মনে হতো, তাঁর এ কথাগুলোয় কত না স্নেহ ও মায়া মিশ্রিত। এই হলেন আমাদের শিক্ষক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। তিনি যেমন নিজ গুণে গুণান্বিত ও সম্মানিত, তাঁর ছাত্রদেরও তিনি সম্মান দিতে জানতেন।

যে দেশটি আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি যার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সে দেশের সংবিধানের বাংলা ভাষ্য প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ছিল উজ্জ্বল ভূমিকা। যে দেশটিকে গড়ে তোলার জন্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীরা তাঁদের জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন সেটি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশ নিয়ে আমরা গর্ব করি। গর্ব করতে পারি কারণ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানরা তাঁদের কর্মে, দর্শন ও চেতনার মধ্য দিয়ে আমাদের গর্ব করার মতো জায়গায় রেখে গেছেন। সার্থক জন্ম আমার জন্মেছি এই দেশে।

সবার শ্রদ্ধেয় ‘স্যার’ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণের পরপরই তাঁর একজন খুব কাছের মানুষ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক জনকণ্ঠে তাঁর এক লেখায় বলেছেন, ‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পর দেশ যখন প্রায় বুদ্ধিজীবীহারা, তখন যে কয়জন বুদ্ধিজীবী বুদ্ধি ও বিবেকের সততা রক্ষা করে জাতিকে পথ দেখাতে এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে আনিসুজ্জামান ছিলেন পুরোভাগে।’ হ্যাঁ, আমরাও দেখেছি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন মৃদুবাক পরিমিত একজন যথার্থ পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালের অভিভাবক। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করায় তাঁর অবদানও উজ্জ্বল হয়ে রইবে। অসময়ে জাতিকে তিনি পথ দেখিয়েছেন তাঁর কর্ম, ভাবনা ও দর্শন দিয়ে।

আসলে জগতের কোনো বিশেষণই বোধ করি যথেষ্ট নয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে চিত্রায়িত করতে। তাঁর জায়গাটি চিরদিন শূন্যই রয়ে যাবে। তিনি ছিলেন বাতিঘর। নিভে গেল এটি। জীবনের পথ পরিক্রমা থেমে যায়। কিন্তু জীবন বেঁচে রয় রেখে যাওয়া কর্মে। ‘স্যার’-এর কর্ম ও দর্শন রয়ে যাবে চির-অমলিন। এ দেশের প্রতিটি মানুষ বলেই যাবে- স্যার, আপনি আপনার কর্ম, অবদান, জ্ঞান ও ভালোবাসার নিরন্তর ছায়া দিয়ে নিজেকে জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের দিশারি, আমাদের প্রাণপ্রিয় বরেণ্য কীর্তিমান ‘স্যার’কে সবটুকু পারলৌকিক কল্যাণ দান করুন।

                লেখক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
সর্বশেষ খবর
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার বিভাগের ওপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে
বিচার বিভাগের ওপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ৫ নভেম্বর ২০২৫

১৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্তরায় অতিদারিদ্র্য
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্তরায় অতিদারিদ্র্য

১৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত, নিউইয়র্কে এগিয়ে মামদানি
ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত, নিউইয়র্কে এগিয়ে মামদানি

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের দৃঢ়তায় নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের দৃঢ়তায় নতুন দিগন্ত

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের সময় যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমানে আগুন, নিহত ৩
উড্ডয়নের সময় যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমানে আগুন, নিহত ৩

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি

৪০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

৪৫ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুমিনের বিপদ-আপদ পাপমোচনে সহায়ক
মুমিনের বিপদ-আপদ পাপমোচনে সহায়ক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কষ্টার্জিত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের
কষ্টার্জিত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস্টার নুডল্সের ভিডিও মেকিং প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কৃত
মিস্টার নুডল্সের ভিডিও মেকিং প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কৃত

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে আত্মসমর্পণ স্বামীর
হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে আত্মসমর্পণ স্বামীর

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং পেল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’
প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং পেল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ নভেম্বর)

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে চালু হলো পুলিশের ডিজিটাল সেবা ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’
গাজীপুরে চালু হলো পুলিশের ডিজিটাল সেবা ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা
কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি
যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?
ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন
আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি
যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি
জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, অধ্যাদেশ জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার
যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক
মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক
শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দেশের তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন
আজ নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম
শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে অত্যাধুনিক ৭ আগ্নেয়াস্ত্র চুরি
বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে অত্যাধুনিক ৭ আগ্নেয়াস্ত্র চুরি

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২ হাজার কোরআন বিতরণ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২ হাজার কোরআন বিতরণ

নগর জীবন

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবহমান’
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবহমান’

শোবিজ

সানট্যান থেকে মুক্তি ও ত্বকের সুরক্ষা
সানট্যান থেকে মুক্তি ও ত্বকের সুরক্ষা

রকমারি লাইফ স্টাইল

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা