শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

উড়াল ও পাতাল রেল

ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা পাল্টে দেবে

মেগাসিটি ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে জোরেশোরে। সরকার একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মেট্রোরেল ও পাতালরেল বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে এক দশকের মধ্যে। রাজধানীর ৫০ লাখ অধিবাসী মেট্রোরেল ও পাতালরেলের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট। প্রথম ধাপে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল প্রকল্পের এমআরটি লাইন-৬-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকা মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্মাণ হবে আরও পাঁচটি মেট্রোলাইন। এতে প্রায় ২ কোটি মানুষের নগরী ঢাকায় মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়বে রেলপথ। উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। নগরীজুড়ে স্টেশন থাকবে ১০৪টি। পুরো রেলপথ নির্মাণ চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকার যানজট কমানো, মানুষের যাতায়াত নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা এবং সময় ও কর্মঘণ্টা বাঁচাতে মেট্রোরেলের মোট ছয়টি লাইন স্থাপন করছে সরকার, যার মধ্যে একটির অর্থাৎ লাইন-৬-এর কাজ চলছে। এ ছাড়া বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট নামে আরেকটি প্রকল্প গাজীপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চালু হলে যাতায়াত ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছন্দ আসবে। ঢাকাকে বলা হয় যানজটের শহর। যানজট ঢাকার পরিচিতির জন্য কলঙ্ক বয়ে আনছে। রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে যে সময় লাগে সে সময়ে অন্য দেশ থেকে বিমানে ঘুরে আসা যায়। উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেল চালু হলে তা রাজধানীর এক চতুর্থাংশ অধিবাসীর নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়াবে। বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর কাজ, এর পুরোটাই হবে উড়ালপথ। উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এ পথ নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে আগামী বছরের ডিসেম্বরে চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন হলে পূর্বাচল ও সংলগ্ন এলাকা এর আওতায় আসবে। হেমায়েতপুর ও সংলগ্ন এলাকাগুলো ঢাকার অংশে পরিণত হবে। মেট্রোরেল নগরবাসীর জন্য স্বচ্ছন্দ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করবে বিধায় মেগাসিটি ঢাকা দ্রুত সম্প্রসারণ হবে পূর্বাচল ও সংলগ্ন এলাকায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর