শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

এন্ড্রু কিশোর বাংলা গানের ঐশ^র্য। যার খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতি বেশি। জাদুময় কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর একজন বহুমাত্রিক শিল্পী। চলচ্চিত্রে নায়কের ঠোঁটে কিশোরের গান শুনে নায়িকারা যেমন রোমাঞ্চিত হতো, তেমনই তার গান শুনে দর্শকরা কাঁদত। যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো বয়সের গান তার কণ্ঠে সহজেই মানিয়ে যেত। সৃষ্টি করত অন্যরকম আবেদন। এ গান গেয়েই কিশোর পেয়েছিল সবার ভালোবাসা। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ সারা দেশের মানুষ শোকাভিভূত। শুধু শিল্পী নয়, মানবিক চেতনায় অনন্য এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিল এন্ড্রু কিশোর।

১৯৬২ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হয় এন্ড্রু কিশোর। আর তখন রাজশাহী বেতারের প্রযোজক হিসেবে শিশু বিভাগটি দেখতেন আজকের খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। রাজশাহীতে তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন আবদুল আজিজ বাচ্চু। দেশের সেরা সংগীত তারকা হওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্যও কিশোর ভুলে যায়নি তার এই শিক্ষাগুরুকে। ভোলেনি সুরকার আলম খানকেও, যার মাধ্যমে ঢাকায় এসে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয় কিশোর। প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ বিচিত্র সব অনুভূতির হাজারো সুরের গান গেয়েছে এন্ড্রু কিশোর। এ গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি, পেয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং তার গান সম্পর্কে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আর তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন গুণীজনের কথায় সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মানুষ এন্ড্রু কিশোর বা বন্ধু হিসেবে এন্ড্রু কিশোর কেমন ছিল, সেটা তাকে কাছে থেকে না দেখলে বা তার সঙ্গে না মিশলে কল্পনা করাও কঠিন। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। তার মৃত্যুতে আমার কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই কিশোরকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য পত্রিকার বারবার তাগাদা সত্ত্বেও কিছু লিখতে পারছিলাম না। কী লিখব? কোনো স্মৃতি? কবেকার স্মৃতি? দেশে-বিদেশে কিশোরের সঙ্গে রয়েছে আমার হাজারো স্মৃতি। ও এমন একটি মানুষ যার সঙ্গে সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্ব কেবল গাঢ়ই হয়েছে। শুধু আমারই নয়, কিশোরের সঙ্গে কখনো কারও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে শুনিনি। কখনো কারও বিরুদ্ধে দুর্নাম করতে শুনিনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পী অথচ কখনো তার মধ্যে কোনো অহংকার দেখিনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করত। আজকাল পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যাণে চার-পাঁচ দিন টিভিতে গান গাইলেই অনেকে সুপার স্টার হয়ে যায়, হয়ে যায় অহংকারী। ফেসবুকে দেখা যায় নানান স্ট্যাটাস, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই আয়োজকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। ভুলে যায় অর্থের বিনিময়ে তাদের আনা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কিশোর ছিল উল্টো। যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যেত, তার আচরণে মনে হতো সে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছে, সবাই তার আত্মীয়।

কিশোরের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। নিজের সুবিধা দেখার চেয়ে সব সময় অন্যের সুবিধা দেখার প্রতি কিশোরের খেয়াল ছিল বেশি। দেশ-বিদেশের এসব অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনা। আমরা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। পথে যাত্রাবিরতি। একটি হোটেলের সামনে আমাদের মাইক্রোবাস থামল। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে কিশোরের গান গাইছে, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউবা হারায়...’। আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো, হাত মেলাল। কিশোর নির্বাক তাকিয়ে থাকল ছেলেটির দিকে, কিশোরকে চিনল না। কারণ টিভিতে গান না গাওয়ায় তাকে কখনো দেখেনি। আমি বললাম- ‘বাঃ, চমৎকার গাও তো তুমি। এটা কার গান জানো?’ এন্ড্রু কিশুরের (তার উচ্চারণে) ছেলেটি উত্তর দিল। কিশোরকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘ওনাকে চেনো? দেখেছো কখনো?’

না, জবাব দিল ছেলেটি। আমার এতসব প্রশ্নে কিশোরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর ছিল না। হাসি হাসি মুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরে আমি কিশোরের পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘তুমি যার গান গাইলে, ইনিই হচ্ছেন সেই এন্ড্রু কিশোর।’ আমার এ কথা শুনে ছেলেটি ‘থ’ হয়ে গেল। অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল কিশোরের দিকে। ঘোর কেটে যেতেই ছেলেটি কিশোরের পা ছুঁয়ে সালাম করল। কিশোরও ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে দেশব্যাপী কিশোরের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। কথার সঙ্গে সুর এবং অভিব্যক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে কিশোর গানকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। কিশোরের অনেক গানই তখন মানুষের মুখে মুখে।

অনেক সময় দুই বন্ধু রিকশায় কোথাও যাচ্ছি কিংবা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি, দর্শকরা আমাকে সালাম দিচ্ছে, কেউ বা অটোগ্রাফ নিচ্ছে, কেউ করমর্দন করছে, কিশোরের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। আমি ইতস্তত বোধ করতাম, মনে মনে ভাবতাম এই ভক্তরা যদি জানত আমার পাশে যে লোকটি বসে আছে সে হচ্ছে দেশসেরা সংগীতশিল্পী, রেডিও খুললেই যার দরাজ গলা ভেসে আসে। দেশের স্বনামখ্যাত নায়করা যার গানে ঠোঁট মেলায়। তাহলে হয়তো তারা আরও বেশি খুশি হতো, অটোগ্রাফ নেওয়ার লাইন আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু কিশোরের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ভক্তরা চলে যাওয়ার পর কিশোরকে বোঝাতাম, ‘দেখ দোস্ত! তোর গান মানুষ শুনছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তাদের প্রিয় শিল্পীকে দেখতেও চায়। তুই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিস না।’ আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বলত, ‘বন্ধু! আমি যদি আবার কখনো টিভিতে গাই তবে তোর অনুষ্ঠানেই গাইব।’ অবশেষে একসময় কিশোর টিভিতে গাইতে রাজি হলো। ১৯৯৯ সালে আমার অনুরোধে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’তে আবার পুরনো এন্ড্রু কিশোরের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল দর্শকদের সামনে। গাইল ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়...’। লিখেছিলেন ১৯৬২ সালে যেই লোকটির হাতে তার শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়েছিল সেই গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। প্রথম দিকে পরপর ‘ইত্যাদি’র তিনটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিল কিশোর। সেই শুরু, পরে নিজেই একসময় বলল, ‘দোস্ত! আমাকে দিয়ে এত গাওয়ানো ঠিক না। আরও শিল্পী আছে, তাদেরও সুযোগ দে, আমি তো আছিই।’ এই ছিল এন্ড্রু কিশোর। মনটা ছিল অনেক বড়। কিশোরের কাছ থেকে এখনকার শিল্পীদের অনেক কিছুই শেখার আছে। সংগীত সম্পর্কে যেমন শেখার আছে, তেমনি একজন শিল্পীর আচার-আচরণ, সংগীতজ্ঞান, চর্চা সব বিষয়েই শেখার আছে। অথচ এখন কেউ একটু ওপরে উঠলে কী করে তাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই অপচেষ্টাই করে অনেকে। ’৯৯ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর ছিল ‘ইত্যাদি’র বিশেষ অনুষ্ঠানগুলর প্রায় নিয়মিত শিল্পী। হয়ে উঠেছিল ‘ইত্যাদি’ পরিবারেরও সদস্য। শুধু ‘ইত্যাদি’র জন্যই গেয়েছে অর্ধশতাধিক গান; যার অধিকাংশই দেশাত্মবোধক।

প্রতিটি গানের স্টুডিও রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণের সময়ও কিশোরকে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি; যা মনে হলে চোখ দুটো অজান্তেই ঝাপসা হয়ে আসে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি। দেশে তখন বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থা। সে সময় ‘ইত্যাদি’ ধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই জানেন, কিশোর ছিল একটু ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসত। ফেনী পার হওয়ার পর তার প্রচ- ক্ষুধা পায়। যেতে যেতে পথের দুই পাশে হোটেল খুঁজতে লাগল। একটা জায়গায় এসে বলল, বন্ধু গাড়ি থামাও, ওই যে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কোনো হোটেল চোখে পড়ল না আমার। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরাম্যান বন্ধু আনোয়ার হোসেন বুলুও ছিল, সেও তাকিয়ে কোনো হোটেল দেখতে পেল না। কিশোর রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা টংয়ের মতো হোটেল দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে দেখ’। আমরা অবাক। হোটেলের সামনে দু-তিনটি বড় বড় থালায় কিছু সবজি আর ডাল রাখা আছে। কিশোর এসব দেখে সরাসরি দোকানের পেছনে চলে গেল, গিয়ে দেখল কিছু ডিম সিদ্ধ রয়েছে। টপাটপ চার-পাঁচটি সিদ্ধ ডিম তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, এতগুলো ডিম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক হয়নি। তোর আর একটু স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। আমরা ওর ভুঁড়ি দেখিয়ে বললাম, তোর ভুঁড়ি কিন্তু অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, দেখ তোদের পেটের চামড়া কত মোটা আর আমার কত পাতলা। তোদের মেদ আছে আমার নেই। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার আত্মবিশ^াস ছিল প্রচ-। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো বাছবিচার ছিল না। আর একটি ঘটনা মনে পড়ছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাচ্ছিলাম। পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। একটা জায়গায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো পথ খাড়া। আমার একটু ‘হাইট ফোবিয়া’ অর্থাৎ উচ্চতাভীতি থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম। কিশোর আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ‘ভয় পাসনে। আমার সঙ্গে কথা বল বাইরে তাকাস নে।’ তারপর আমাকে ভয় পেতে দেখে গলা জড়িয়ে ধরল। সেদিন বুঝেছিলাম কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

দীর্ঘদিন থেকেই আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করি। যেখানে হাজার হাজার দর্শক হয়, কখনো তা লাখও ছাড়িয়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে কিশোর গেলে আমি থাকতাম টেনশন ফ্রি, অর্থাৎ তার জন্য আমার বাড়তি কোনো টেনশন হতো না; যা অন্য অনেকের বেলায় হয়। কারণ এসব স্থানে কিশোর থাকত ‘ইত্যাদি’র একজন কর্মীর মতো। কোথায় আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখব তা না, উল্টো সে আমার দেখাশোনা করত। আমার সহকর্মীদের ডেকে বলত, ‘ওকে বাতাস কর, চা দে।’ অনেক সময় ভিড় সামলাত। দর্শকদের বলত, ‘ওকে এখন বিরক্ত করবেন না। বেচারা কত কষ্ট করছে দেখছেন না? ভালো অনুষ্ঠান কি এমনি এমনি হয়?’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর একদিন স্টুডিও রেকর্ডিং করছি। শরীরটা খারাপ লাগছিল। কিশোর আমার অবস্থা বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে?’ বললাম, ‘শরীরটা খারাপ লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আজ বাদ দে, বাসায় চল। আর একদিন রেকর্ডিং করব।’ বললাম, ‘পরপর তো শিডিউল পাব না’। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘রাখ বেটা তোর শিডিউল, জীবনের শিডিউল আগে।’ এখানেও সেই একই উপলব্ধি হলো- কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

কেন জানি আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেই কিশোর গেয়েছিল- ‘জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়’, যেই কিশোর সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, জীবনের শিডিউল আগে, সেই কিশোরই জীবনকে ফেলে রেখে চলে গেল! কিশোরের যে ভিতরে ভিতরে শরীর এতটা খারাপ হয়েছিল তা কখনো বুঝতে পারিনি। ‘ইত্যাদি’তেই কিশোর শেষ গান গেয়েছে ২০১৯-এর জুনে অর্থাৎ এক বছর আগে। অনুষ্ঠানের ঠিক এক মাস পরই আগস্টের দিকে কিশোর অসুস্থ হয়। তাও সে জানায়নি। যেই হসপিটালে কিশোর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছিল, সেখানকারই একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে খবর পাই কিশোর অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। আমাকে চিন্তিত দেখে উল্টো ধমক, আরে চিন্তা করিস না, তেমন কিছু না। চামড়াটা কালো হয়ে যাচ্ছে। সেটাই টেস্ট করছে। বললাম, আসব? বলল, না, আমি কালই বাসায় চলে যাব। হাসপাতাল থেকে বাসায় গেলে তিন-চার দিন পরপর কথা হতো। হঠাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বলল, ‘আমি দু-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।’ জানতে চাইলাম, ‘কেন?’ কিশোর বলল, ‘একটু ডাক্তার দেখাব।’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর তো এত সহজে ডাক্তার দেখাতে বিদেশ যাওয়ার কথা নয়। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ল। সে সময় হাসপাতালে প্রায়ই কিশোর এবং তার স্ত্রী ইতির সঙ্গে কথা হতো। কিশোরের ইচ্ছানুযায়ী সে সময় মাঝেমধ্যে কিশোরের শিষ্য মোমিনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে হতো। এভাবেই চলছিল। মে-র শুরুর দিকে কিশোরকে একটু খুশি খুশি মনে হলো। বলল, ‘কেমো প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই চলে আসব।’ ঢাকায় এসে অনেক পরিকল্পনার কথা জানাল। সবাইকে নিয়ে বসবে। একটা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করবে। আমাকে বলল একটা সুন্দর নাম চিন্তা করতে। মে-র মাঝামাঝি ফিরতে পারবে। কিশোরকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এসেই ঈদের অনুষ্ঠানে গাইতে হবে। কথা দিল গাইবে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে অনুরোধ করলাম কিশোরের জন্য গান লিখতে। বললাম, কিশোরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন গানের কথায় থাকে। যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিনের রোগমুক্তির পর তাকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’তে প্রথম গান করেছিলাম। আমি জানি ১৩ মে কিশোর আসবে। সুতরাং গানটা আলাদাভাবে চিত্রায়ণ করব। তিনি লিখলেন,

‘কতো যে বিশাল-

এ দেশের মানুষের প্রাণ

ভালোবাসা জয় ক’রে

জনম জনম ধ’রে

এখানেই বেঁচে আছে জীবনের গান।’

না, জীবন নিয়ে অনেক গানই কিশোর গেয়েছে কিন্তু জীবন নিয়ে এই শেষ গানটি জীবন থাকতে কিশোরের আর গাওয়া হলো না। করোনার কারণে আমরা যেমন অনুষ্ঠান করতে পারিনি, অসুস্থতার কারণে কিশোরও মে মাসে আসতে পারেনি। ১০ জুন সিঙ্গাপুরে কিশোরের চিকিৎসক তাদের জানান, লিমফোমা আবার ব্যাক করেছে। সুতরাং তাদের আর কিছুই করার নেই। এসব কিছুই জানতে পারিনি। ১২ জুন সকালে হঠাৎ কিশোরের একটা ফোন পাই, ‘বন্ধু আমি ঢাকায়।’ ফোন পেয়ে আমি অবাক। বললাম, ‘আসার আগে একটু জানাবি না!’

‘জানিয়ে কী হবে?’

‘কেন?’

‘লিমফোমা ব্যাক।’

‘লিমফোমা ব্যাক মানে? ক্যান্সার ব্যাক করবে?’ জানতে চাইলাম।

কিশোর একটু জোর দিয়েই বলল, ‘ব্যাক করবে না, ব্যাক করেছে।’

‘তার মানে?’

‘মানে আর কিছুই নয়, আমার জার্নি শেষ। এখন রেডি টু ফ্লাই। কাউকে কিছু বলিস না। আমি কাল রাজশাহী যাব।’ বলেই ফোন রেখে দিল।

আমি হতভম্ব। খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হলো। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারও সঙ্গে কিছু বলতেও পারছিলাম না। এরপর তিন-চার দিন আর যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী থেকে দু-তিন বার কথা হয়েছে। বলছিল সময় ঘনিয়ে আসছে। শেষ কথা হয়েছিল মৃত্যুর তিন দিন আগে। কিশোরই ফোন দিয়েছিল, বলল, ‘দোস্ত! আর বোধহয় কথা বলতে পারব না। দোয়া করিস, কষ্টটা যেন কম হয়।’

শুনেছি ডাক্তারের কাছে ক্যান্সার ফিরে এসেছে শুনেই কিশোর মেনে নিয়েছিল অবধারিত মৃত্যুকে। সবাইকে একদিন মরতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়। তার পরও মেনে নিতে হয়, কারণ মৃত্যু বড়ই সত্য। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। তার এ অকালমৃত্যুতে বাংলা সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আসলেই কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার
সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা

৩৪ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট
কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক
যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক

৫০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা