শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

এন্ড্রু কিশোর বাংলা গানের ঐশ^র্য। যার খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতি বেশি। জাদুময় কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর একজন বহুমাত্রিক শিল্পী। চলচ্চিত্রে নায়কের ঠোঁটে কিশোরের গান শুনে নায়িকারা যেমন রোমাঞ্চিত হতো, তেমনই তার গান শুনে দর্শকরা কাঁদত। যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো বয়সের গান তার কণ্ঠে সহজেই মানিয়ে যেত। সৃষ্টি করত অন্যরকম আবেদন। এ গান গেয়েই কিশোর পেয়েছিল সবার ভালোবাসা। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ সারা দেশের মানুষ শোকাভিভূত। শুধু শিল্পী নয়, মানবিক চেতনায় অনন্য এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিল এন্ড্রু কিশোর।

১৯৬২ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হয় এন্ড্রু কিশোর। আর তখন রাজশাহী বেতারের প্রযোজক হিসেবে শিশু বিভাগটি দেখতেন আজকের খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। রাজশাহীতে তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন আবদুল আজিজ বাচ্চু। দেশের সেরা সংগীত তারকা হওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্যও কিশোর ভুলে যায়নি তার এই শিক্ষাগুরুকে। ভোলেনি সুরকার আলম খানকেও, যার মাধ্যমে ঢাকায় এসে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয় কিশোর। প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ বিচিত্র সব অনুভূতির হাজারো সুরের গান গেয়েছে এন্ড্রু কিশোর। এ গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি, পেয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং তার গান সম্পর্কে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আর তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন গুণীজনের কথায় সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মানুষ এন্ড্রু কিশোর বা বন্ধু হিসেবে এন্ড্রু কিশোর কেমন ছিল, সেটা তাকে কাছে থেকে না দেখলে বা তার সঙ্গে না মিশলে কল্পনা করাও কঠিন। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। তার মৃত্যুতে আমার কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই কিশোরকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য পত্রিকার বারবার তাগাদা সত্ত্বেও কিছু লিখতে পারছিলাম না। কী লিখব? কোনো স্মৃতি? কবেকার স্মৃতি? দেশে-বিদেশে কিশোরের সঙ্গে রয়েছে আমার হাজারো স্মৃতি। ও এমন একটি মানুষ যার সঙ্গে সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্ব কেবল গাঢ়ই হয়েছে। শুধু আমারই নয়, কিশোরের সঙ্গে কখনো কারও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে শুনিনি। কখনো কারও বিরুদ্ধে দুর্নাম করতে শুনিনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পী অথচ কখনো তার মধ্যে কোনো অহংকার দেখিনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করত। আজকাল পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যাণে চার-পাঁচ দিন টিভিতে গান গাইলেই অনেকে সুপার স্টার হয়ে যায়, হয়ে যায় অহংকারী। ফেসবুকে দেখা যায় নানান স্ট্যাটাস, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই আয়োজকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। ভুলে যায় অর্থের বিনিময়ে তাদের আনা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কিশোর ছিল উল্টো। যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যেত, তার আচরণে মনে হতো সে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছে, সবাই তার আত্মীয়।

কিশোরের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। নিজের সুবিধা দেখার চেয়ে সব সময় অন্যের সুবিধা দেখার প্রতি কিশোরের খেয়াল ছিল বেশি। দেশ-বিদেশের এসব অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনা। আমরা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। পথে যাত্রাবিরতি। একটি হোটেলের সামনে আমাদের মাইক্রোবাস থামল। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে কিশোরের গান গাইছে, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউবা হারায়...’। আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো, হাত মেলাল। কিশোর নির্বাক তাকিয়ে থাকল ছেলেটির দিকে, কিশোরকে চিনল না। কারণ টিভিতে গান না গাওয়ায় তাকে কখনো দেখেনি। আমি বললাম- ‘বাঃ, চমৎকার গাও তো তুমি। এটা কার গান জানো?’ এন্ড্রু কিশুরের (তার উচ্চারণে) ছেলেটি উত্তর দিল। কিশোরকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘ওনাকে চেনো? দেখেছো কখনো?’

না, জবাব দিল ছেলেটি। আমার এতসব প্রশ্নে কিশোরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর ছিল না। হাসি হাসি মুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরে আমি কিশোরের পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘তুমি যার গান গাইলে, ইনিই হচ্ছেন সেই এন্ড্রু কিশোর।’ আমার এ কথা শুনে ছেলেটি ‘থ’ হয়ে গেল। অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল কিশোরের দিকে। ঘোর কেটে যেতেই ছেলেটি কিশোরের পা ছুঁয়ে সালাম করল। কিশোরও ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে দেশব্যাপী কিশোরের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। কথার সঙ্গে সুর এবং অভিব্যক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে কিশোর গানকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। কিশোরের অনেক গানই তখন মানুষের মুখে মুখে।

অনেক সময় দুই বন্ধু রিকশায় কোথাও যাচ্ছি কিংবা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি, দর্শকরা আমাকে সালাম দিচ্ছে, কেউ বা অটোগ্রাফ নিচ্ছে, কেউ করমর্দন করছে, কিশোরের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। আমি ইতস্তত বোধ করতাম, মনে মনে ভাবতাম এই ভক্তরা যদি জানত আমার পাশে যে লোকটি বসে আছে সে হচ্ছে দেশসেরা সংগীতশিল্পী, রেডিও খুললেই যার দরাজ গলা ভেসে আসে। দেশের স্বনামখ্যাত নায়করা যার গানে ঠোঁট মেলায়। তাহলে হয়তো তারা আরও বেশি খুশি হতো, অটোগ্রাফ নেওয়ার লাইন আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু কিশোরের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ভক্তরা চলে যাওয়ার পর কিশোরকে বোঝাতাম, ‘দেখ দোস্ত! তোর গান মানুষ শুনছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তাদের প্রিয় শিল্পীকে দেখতেও চায়। তুই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিস না।’ আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বলত, ‘বন্ধু! আমি যদি আবার কখনো টিভিতে গাই তবে তোর অনুষ্ঠানেই গাইব।’ অবশেষে একসময় কিশোর টিভিতে গাইতে রাজি হলো। ১৯৯৯ সালে আমার অনুরোধে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’তে আবার পুরনো এন্ড্রু কিশোরের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল দর্শকদের সামনে। গাইল ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়...’। লিখেছিলেন ১৯৬২ সালে যেই লোকটির হাতে তার শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়েছিল সেই গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। প্রথম দিকে পরপর ‘ইত্যাদি’র তিনটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিল কিশোর। সেই শুরু, পরে নিজেই একসময় বলল, ‘দোস্ত! আমাকে দিয়ে এত গাওয়ানো ঠিক না। আরও শিল্পী আছে, তাদেরও সুযোগ দে, আমি তো আছিই।’ এই ছিল এন্ড্রু কিশোর। মনটা ছিল অনেক বড়। কিশোরের কাছ থেকে এখনকার শিল্পীদের অনেক কিছুই শেখার আছে। সংগীত সম্পর্কে যেমন শেখার আছে, তেমনি একজন শিল্পীর আচার-আচরণ, সংগীতজ্ঞান, চর্চা সব বিষয়েই শেখার আছে। অথচ এখন কেউ একটু ওপরে উঠলে কী করে তাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই অপচেষ্টাই করে অনেকে। ’৯৯ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর ছিল ‘ইত্যাদি’র বিশেষ অনুষ্ঠানগুলর প্রায় নিয়মিত শিল্পী। হয়ে উঠেছিল ‘ইত্যাদি’ পরিবারেরও সদস্য। শুধু ‘ইত্যাদি’র জন্যই গেয়েছে অর্ধশতাধিক গান; যার অধিকাংশই দেশাত্মবোধক।

প্রতিটি গানের স্টুডিও রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণের সময়ও কিশোরকে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি; যা মনে হলে চোখ দুটো অজান্তেই ঝাপসা হয়ে আসে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি। দেশে তখন বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থা। সে সময় ‘ইত্যাদি’ ধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই জানেন, কিশোর ছিল একটু ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসত। ফেনী পার হওয়ার পর তার প্রচ- ক্ষুধা পায়। যেতে যেতে পথের দুই পাশে হোটেল খুঁজতে লাগল। একটা জায়গায় এসে বলল, বন্ধু গাড়ি থামাও, ওই যে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কোনো হোটেল চোখে পড়ল না আমার। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরাম্যান বন্ধু আনোয়ার হোসেন বুলুও ছিল, সেও তাকিয়ে কোনো হোটেল দেখতে পেল না। কিশোর রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা টংয়ের মতো হোটেল দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে দেখ’। আমরা অবাক। হোটেলের সামনে দু-তিনটি বড় বড় থালায় কিছু সবজি আর ডাল রাখা আছে। কিশোর এসব দেখে সরাসরি দোকানের পেছনে চলে গেল, গিয়ে দেখল কিছু ডিম সিদ্ধ রয়েছে। টপাটপ চার-পাঁচটি সিদ্ধ ডিম তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, এতগুলো ডিম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক হয়নি। তোর আর একটু স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। আমরা ওর ভুঁড়ি দেখিয়ে বললাম, তোর ভুঁড়ি কিন্তু অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, দেখ তোদের পেটের চামড়া কত মোটা আর আমার কত পাতলা। তোদের মেদ আছে আমার নেই। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার আত্মবিশ^াস ছিল প্রচ-। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো বাছবিচার ছিল না। আর একটি ঘটনা মনে পড়ছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাচ্ছিলাম। পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। একটা জায়গায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো পথ খাড়া। আমার একটু ‘হাইট ফোবিয়া’ অর্থাৎ উচ্চতাভীতি থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম। কিশোর আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ‘ভয় পাসনে। আমার সঙ্গে কথা বল বাইরে তাকাস নে।’ তারপর আমাকে ভয় পেতে দেখে গলা জড়িয়ে ধরল। সেদিন বুঝেছিলাম কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

দীর্ঘদিন থেকেই আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করি। যেখানে হাজার হাজার দর্শক হয়, কখনো তা লাখও ছাড়িয়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে কিশোর গেলে আমি থাকতাম টেনশন ফ্রি, অর্থাৎ তার জন্য আমার বাড়তি কোনো টেনশন হতো না; যা অন্য অনেকের বেলায় হয়। কারণ এসব স্থানে কিশোর থাকত ‘ইত্যাদি’র একজন কর্মীর মতো। কোথায় আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখব তা না, উল্টো সে আমার দেখাশোনা করত। আমার সহকর্মীদের ডেকে বলত, ‘ওকে বাতাস কর, চা দে।’ অনেক সময় ভিড় সামলাত। দর্শকদের বলত, ‘ওকে এখন বিরক্ত করবেন না। বেচারা কত কষ্ট করছে দেখছেন না? ভালো অনুষ্ঠান কি এমনি এমনি হয়?’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর একদিন স্টুডিও রেকর্ডিং করছি। শরীরটা খারাপ লাগছিল। কিশোর আমার অবস্থা বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে?’ বললাম, ‘শরীরটা খারাপ লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আজ বাদ দে, বাসায় চল। আর একদিন রেকর্ডিং করব।’ বললাম, ‘পরপর তো শিডিউল পাব না’। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘রাখ বেটা তোর শিডিউল, জীবনের শিডিউল আগে।’ এখানেও সেই একই উপলব্ধি হলো- কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

কেন জানি আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেই কিশোর গেয়েছিল- ‘জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়’, যেই কিশোর সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, জীবনের শিডিউল আগে, সেই কিশোরই জীবনকে ফেলে রেখে চলে গেল! কিশোরের যে ভিতরে ভিতরে শরীর এতটা খারাপ হয়েছিল তা কখনো বুঝতে পারিনি। ‘ইত্যাদি’তেই কিশোর শেষ গান গেয়েছে ২০১৯-এর জুনে অর্থাৎ এক বছর আগে। অনুষ্ঠানের ঠিক এক মাস পরই আগস্টের দিকে কিশোর অসুস্থ হয়। তাও সে জানায়নি। যেই হসপিটালে কিশোর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছিল, সেখানকারই একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে খবর পাই কিশোর অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। আমাকে চিন্তিত দেখে উল্টো ধমক, আরে চিন্তা করিস না, তেমন কিছু না। চামড়াটা কালো হয়ে যাচ্ছে। সেটাই টেস্ট করছে। বললাম, আসব? বলল, না, আমি কালই বাসায় চলে যাব। হাসপাতাল থেকে বাসায় গেলে তিন-চার দিন পরপর কথা হতো। হঠাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বলল, ‘আমি দু-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।’ জানতে চাইলাম, ‘কেন?’ কিশোর বলল, ‘একটু ডাক্তার দেখাব।’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর তো এত সহজে ডাক্তার দেখাতে বিদেশ যাওয়ার কথা নয়। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ল। সে সময় হাসপাতালে প্রায়ই কিশোর এবং তার স্ত্রী ইতির সঙ্গে কথা হতো। কিশোরের ইচ্ছানুযায়ী সে সময় মাঝেমধ্যে কিশোরের শিষ্য মোমিনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে হতো। এভাবেই চলছিল। মে-র শুরুর দিকে কিশোরকে একটু খুশি খুশি মনে হলো। বলল, ‘কেমো প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই চলে আসব।’ ঢাকায় এসে অনেক পরিকল্পনার কথা জানাল। সবাইকে নিয়ে বসবে। একটা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করবে। আমাকে বলল একটা সুন্দর নাম চিন্তা করতে। মে-র মাঝামাঝি ফিরতে পারবে। কিশোরকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এসেই ঈদের অনুষ্ঠানে গাইতে হবে। কথা দিল গাইবে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে অনুরোধ করলাম কিশোরের জন্য গান লিখতে। বললাম, কিশোরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন গানের কথায় থাকে। যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিনের রোগমুক্তির পর তাকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’তে প্রথম গান করেছিলাম। আমি জানি ১৩ মে কিশোর আসবে। সুতরাং গানটা আলাদাভাবে চিত্রায়ণ করব। তিনি লিখলেন,

‘কতো যে বিশাল-

এ দেশের মানুষের প্রাণ

ভালোবাসা জয় ক’রে

জনম জনম ধ’রে

এখানেই বেঁচে আছে জীবনের গান।’

না, জীবন নিয়ে অনেক গানই কিশোর গেয়েছে কিন্তু জীবন নিয়ে এই শেষ গানটি জীবন থাকতে কিশোরের আর গাওয়া হলো না। করোনার কারণে আমরা যেমন অনুষ্ঠান করতে পারিনি, অসুস্থতার কারণে কিশোরও মে মাসে আসতে পারেনি। ১০ জুন সিঙ্গাপুরে কিশোরের চিকিৎসক তাদের জানান, লিমফোমা আবার ব্যাক করেছে। সুতরাং তাদের আর কিছুই করার নেই। এসব কিছুই জানতে পারিনি। ১২ জুন সকালে হঠাৎ কিশোরের একটা ফোন পাই, ‘বন্ধু আমি ঢাকায়।’ ফোন পেয়ে আমি অবাক। বললাম, ‘আসার আগে একটু জানাবি না!’

‘জানিয়ে কী হবে?’

‘কেন?’

‘লিমফোমা ব্যাক।’

‘লিমফোমা ব্যাক মানে? ক্যান্সার ব্যাক করবে?’ জানতে চাইলাম।

কিশোর একটু জোর দিয়েই বলল, ‘ব্যাক করবে না, ব্যাক করেছে।’

‘তার মানে?’

‘মানে আর কিছুই নয়, আমার জার্নি শেষ। এখন রেডি টু ফ্লাই। কাউকে কিছু বলিস না। আমি কাল রাজশাহী যাব।’ বলেই ফোন রেখে দিল।

আমি হতভম্ব। খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হলো। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারও সঙ্গে কিছু বলতেও পারছিলাম না। এরপর তিন-চার দিন আর যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী থেকে দু-তিন বার কথা হয়েছে। বলছিল সময় ঘনিয়ে আসছে। শেষ কথা হয়েছিল মৃত্যুর তিন দিন আগে। কিশোরই ফোন দিয়েছিল, বলল, ‘দোস্ত! আর বোধহয় কথা বলতে পারব না। দোয়া করিস, কষ্টটা যেন কম হয়।’

শুনেছি ডাক্তারের কাছে ক্যান্সার ফিরে এসেছে শুনেই কিশোর মেনে নিয়েছিল অবধারিত মৃত্যুকে। সবাইকে একদিন মরতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়। তার পরও মেনে নিতে হয়, কারণ মৃত্যু বড়ই সত্য। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। তার এ অকালমৃত্যুতে বাংলা সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আসলেই কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানে হামলা
ইরানে হামলা
ইউনূস-তারেক বৈঠক
ইউনূস-তারেক বৈঠক
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
পুশইন বিড়ম্বনা
পুশইন বিড়ম্বনা
মব ফ্যাসিজম
মব ফ্যাসিজম
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কোরবানির শিক্ষা প্রতিফলিত হোক সমাজের সর্বস্তরে
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
কেঁচো সারে কর্মসংস্থান
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
মাদকের বদলে নিত্যপণ্য
তীব্র তাপপ্রবাহ
তীব্র তাপপ্রবাহ
সর্বশেষ খবর
নির্বাচনের ঘোষণায় ব্যবসায় ইতিবাচক সংকেত
নির্বাচনের ঘোষণায় ব্যবসায় ইতিবাচক সংকেত

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ঋণ গ্রহণের ইসলামী নীতিমালা
ঋণ গ্রহণের ইসলামী নীতিমালা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

অশালীন পোস্টারের ফাঁদে ঈমান ও জীবন
অশালীন পোস্টারের ফাঁদে ঈমান ও জীবন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

শয়তান মানুষের শত্রু কেন
শয়তান মানুষের শত্রু কেন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তাপপ্রবাহ সম্পর্কে ইসলামের ব্যাখ্যা
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে ইসলামের ব্যাখ্যা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন
ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ার আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সিরিয়ার আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৩, আহত ৭
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৩, আহত ৭

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কখনও কাজ করিনি: কাজল
একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কখনও কাজ করিনি: কাজল

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনির্দিষ্টকালের জন্য জর্ডানের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা
অনির্দিষ্টকালের জন্য জর্ডানের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান
ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ
ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ
ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল আবিবের সামরিক সদরদপ্তরে ইরানের পাল্টা হামলা
তেল আবিবের সামরিক সদরদপ্তরে ইরানের পাল্টা হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত হচ্ছে ইসি
সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত হচ্ছে ইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুরু হচ্ছে শত কোটি ডলারের ক্লাব বিশ্বকাপ
শুরু হচ্ছে শত কোটি ডলারের ক্লাব বিশ্বকাপ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'
'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা কাতারের আমিরের
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা কাতারের আমিরের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইসরায়েল শুধু ইরান নয়, ইয়েমেন-ফিলিস্তিনকেও টার্গেট করেছে'
'ইসরায়েল শুধু ইরান নয়, ইয়েমেন-ফিলিস্তিনকেও টার্গেট করেছে'

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?
পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় আলোচনার আহ্বান
পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় আলোচনার আহ্বান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা করবে ইসরায়েল'
'ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা করবে ইসরায়েল'

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর্মস্থলে ফিরতে নিজস্ব বাস দিল নাটোর জেলা পুলিশ
কর্মস্থলে ফিরতে নিজস্ব বাস দিল নাটোর জেলা পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক, গানম্যান ও পিয়ন
সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক, গানম্যান ও পিয়ন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা
মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা
ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব
দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান
আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল
ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা
মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি
ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা
ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস
ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?
পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমা অতিক্রম করেছে ইরান : ইসরায়েল
সীমা অতিক্রম করেছে ইরান : ইসরায়েল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের
ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?
পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন
আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'
'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ
ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?
কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক’
‘ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের গ্যাস ফিল্ডে ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি
ইরানের গ্যাস ফিল্ডে ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে
ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক
কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক

শোবিজ

পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...
পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...

শোবিজ

বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি
বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি
বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব বাবা দিবস
আজ বিশ্ব বাবা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা
বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা

শোবিজ

৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’
৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’

শোবিজ

আজ পয়লা আষাঢ়
আজ পয়লা আষাঢ়

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য
কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য

মাঠে ময়দানে

নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম
নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম

মাঠে ময়দানে

গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’
গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’

শোবিজ

গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন
গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন

মাঠে ময়দানে

বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট
বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট

মাঠে ময়দানে

দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ
দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ

নগর জীবন

বাবা দিবসে আবুল হায়াত
বাবা দিবসে আবুল হায়াত

শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন
প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন
বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

অনেকের মনে এখন জ্বালা
অনেকের মনে এখন জ্বালা

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ
দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই
সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন
মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে
দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান
বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

রকমারি