শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

এন্ড্রু কিশোর বাংলা গানের ঐশ^র্য। যার খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতি বেশি। জাদুময় কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর একজন বহুমাত্রিক শিল্পী। চলচ্চিত্রে নায়কের ঠোঁটে কিশোরের গান শুনে নায়িকারা যেমন রোমাঞ্চিত হতো, তেমনই তার গান শুনে দর্শকরা কাঁদত। যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো বয়সের গান তার কণ্ঠে সহজেই মানিয়ে যেত। সৃষ্টি করত অন্যরকম আবেদন। এ গান গেয়েই কিশোর পেয়েছিল সবার ভালোবাসা। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ সারা দেশের মানুষ শোকাভিভূত। শুধু শিল্পী নয়, মানবিক চেতনায় অনন্য এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিল এন্ড্রু কিশোর।

১৯৬২ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হয় এন্ড্রু কিশোর। আর তখন রাজশাহী বেতারের প্রযোজক হিসেবে শিশু বিভাগটি দেখতেন আজকের খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। রাজশাহীতে তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন আবদুল আজিজ বাচ্চু। দেশের সেরা সংগীত তারকা হওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্যও কিশোর ভুলে যায়নি তার এই শিক্ষাগুরুকে। ভোলেনি সুরকার আলম খানকেও, যার মাধ্যমে ঢাকায় এসে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয় কিশোর। প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ বিচিত্র সব অনুভূতির হাজারো সুরের গান গেয়েছে এন্ড্রু কিশোর। এ গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি, পেয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং তার গান সম্পর্কে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আর তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন গুণীজনের কথায় সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মানুষ এন্ড্রু কিশোর বা বন্ধু হিসেবে এন্ড্রু কিশোর কেমন ছিল, সেটা তাকে কাছে থেকে না দেখলে বা তার সঙ্গে না মিশলে কল্পনা করাও কঠিন। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। তার মৃত্যুতে আমার কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই কিশোরকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য পত্রিকার বারবার তাগাদা সত্ত্বেও কিছু লিখতে পারছিলাম না। কী লিখব? কোনো স্মৃতি? কবেকার স্মৃতি? দেশে-বিদেশে কিশোরের সঙ্গে রয়েছে আমার হাজারো স্মৃতি। ও এমন একটি মানুষ যার সঙ্গে সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্ব কেবল গাঢ়ই হয়েছে। শুধু আমারই নয়, কিশোরের সঙ্গে কখনো কারও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে শুনিনি। কখনো কারও বিরুদ্ধে দুর্নাম করতে শুনিনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পী অথচ কখনো তার মধ্যে কোনো অহংকার দেখিনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করত। আজকাল পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যাণে চার-পাঁচ দিন টিভিতে গান গাইলেই অনেকে সুপার স্টার হয়ে যায়, হয়ে যায় অহংকারী। ফেসবুকে দেখা যায় নানান স্ট্যাটাস, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই আয়োজকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। ভুলে যায় অর্থের বিনিময়ে তাদের আনা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কিশোর ছিল উল্টো। যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যেত, তার আচরণে মনে হতো সে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছে, সবাই তার আত্মীয়।

কিশোরের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। নিজের সুবিধা দেখার চেয়ে সব সময় অন্যের সুবিধা দেখার প্রতি কিশোরের খেয়াল ছিল বেশি। দেশ-বিদেশের এসব অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনা। আমরা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। পথে যাত্রাবিরতি। একটি হোটেলের সামনে আমাদের মাইক্রোবাস থামল। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে কিশোরের গান গাইছে, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউবা হারায়...’। আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো, হাত মেলাল। কিশোর নির্বাক তাকিয়ে থাকল ছেলেটির দিকে, কিশোরকে চিনল না। কারণ টিভিতে গান না গাওয়ায় তাকে কখনো দেখেনি। আমি বললাম- ‘বাঃ, চমৎকার গাও তো তুমি। এটা কার গান জানো?’ এন্ড্রু কিশুরের (তার উচ্চারণে) ছেলেটি উত্তর দিল। কিশোরকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘ওনাকে চেনো? দেখেছো কখনো?’

না, জবাব দিল ছেলেটি। আমার এতসব প্রশ্নে কিশোরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর ছিল না। হাসি হাসি মুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরে আমি কিশোরের পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘তুমি যার গান গাইলে, ইনিই হচ্ছেন সেই এন্ড্রু কিশোর।’ আমার এ কথা শুনে ছেলেটি ‘থ’ হয়ে গেল। অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল কিশোরের দিকে। ঘোর কেটে যেতেই ছেলেটি কিশোরের পা ছুঁয়ে সালাম করল। কিশোরও ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে দেশব্যাপী কিশোরের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। কথার সঙ্গে সুর এবং অভিব্যক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে কিশোর গানকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। কিশোরের অনেক গানই তখন মানুষের মুখে মুখে।

অনেক সময় দুই বন্ধু রিকশায় কোথাও যাচ্ছি কিংবা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি, দর্শকরা আমাকে সালাম দিচ্ছে, কেউ বা অটোগ্রাফ নিচ্ছে, কেউ করমর্দন করছে, কিশোরের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। আমি ইতস্তত বোধ করতাম, মনে মনে ভাবতাম এই ভক্তরা যদি জানত আমার পাশে যে লোকটি বসে আছে সে হচ্ছে দেশসেরা সংগীতশিল্পী, রেডিও খুললেই যার দরাজ গলা ভেসে আসে। দেশের স্বনামখ্যাত নায়করা যার গানে ঠোঁট মেলায়। তাহলে হয়তো তারা আরও বেশি খুশি হতো, অটোগ্রাফ নেওয়ার লাইন আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু কিশোরের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ভক্তরা চলে যাওয়ার পর কিশোরকে বোঝাতাম, ‘দেখ দোস্ত! তোর গান মানুষ শুনছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তাদের প্রিয় শিল্পীকে দেখতেও চায়। তুই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিস না।’ আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বলত, ‘বন্ধু! আমি যদি আবার কখনো টিভিতে গাই তবে তোর অনুষ্ঠানেই গাইব।’ অবশেষে একসময় কিশোর টিভিতে গাইতে রাজি হলো। ১৯৯৯ সালে আমার অনুরোধে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’তে আবার পুরনো এন্ড্রু কিশোরের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল দর্শকদের সামনে। গাইল ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়...’। লিখেছিলেন ১৯৬২ সালে যেই লোকটির হাতে তার শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়েছিল সেই গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। প্রথম দিকে পরপর ‘ইত্যাদি’র তিনটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিল কিশোর। সেই শুরু, পরে নিজেই একসময় বলল, ‘দোস্ত! আমাকে দিয়ে এত গাওয়ানো ঠিক না। আরও শিল্পী আছে, তাদেরও সুযোগ দে, আমি তো আছিই।’ এই ছিল এন্ড্রু কিশোর। মনটা ছিল অনেক বড়। কিশোরের কাছ থেকে এখনকার শিল্পীদের অনেক কিছুই শেখার আছে। সংগীত সম্পর্কে যেমন শেখার আছে, তেমনি একজন শিল্পীর আচার-আচরণ, সংগীতজ্ঞান, চর্চা সব বিষয়েই শেখার আছে। অথচ এখন কেউ একটু ওপরে উঠলে কী করে তাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই অপচেষ্টাই করে অনেকে। ’৯৯ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর ছিল ‘ইত্যাদি’র বিশেষ অনুষ্ঠানগুলর প্রায় নিয়মিত শিল্পী। হয়ে উঠেছিল ‘ইত্যাদি’ পরিবারেরও সদস্য। শুধু ‘ইত্যাদি’র জন্যই গেয়েছে অর্ধশতাধিক গান; যার অধিকাংশই দেশাত্মবোধক।

প্রতিটি গানের স্টুডিও রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণের সময়ও কিশোরকে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি; যা মনে হলে চোখ দুটো অজান্তেই ঝাপসা হয়ে আসে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি। দেশে তখন বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থা। সে সময় ‘ইত্যাদি’ ধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই জানেন, কিশোর ছিল একটু ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসত। ফেনী পার হওয়ার পর তার প্রচ- ক্ষুধা পায়। যেতে যেতে পথের দুই পাশে হোটেল খুঁজতে লাগল। একটা জায়গায় এসে বলল, বন্ধু গাড়ি থামাও, ওই যে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কোনো হোটেল চোখে পড়ল না আমার। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরাম্যান বন্ধু আনোয়ার হোসেন বুলুও ছিল, সেও তাকিয়ে কোনো হোটেল দেখতে পেল না। কিশোর রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা টংয়ের মতো হোটেল দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে দেখ’। আমরা অবাক। হোটেলের সামনে দু-তিনটি বড় বড় থালায় কিছু সবজি আর ডাল রাখা আছে। কিশোর এসব দেখে সরাসরি দোকানের পেছনে চলে গেল, গিয়ে দেখল কিছু ডিম সিদ্ধ রয়েছে। টপাটপ চার-পাঁচটি সিদ্ধ ডিম তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, এতগুলো ডিম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক হয়নি। তোর আর একটু স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। আমরা ওর ভুঁড়ি দেখিয়ে বললাম, তোর ভুঁড়ি কিন্তু অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, দেখ তোদের পেটের চামড়া কত মোটা আর আমার কত পাতলা। তোদের মেদ আছে আমার নেই। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার আত্মবিশ^াস ছিল প্রচ-। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো বাছবিচার ছিল না। আর একটি ঘটনা মনে পড়ছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাচ্ছিলাম। পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। একটা জায়গায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো পথ খাড়া। আমার একটু ‘হাইট ফোবিয়া’ অর্থাৎ উচ্চতাভীতি থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম। কিশোর আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ‘ভয় পাসনে। আমার সঙ্গে কথা বল বাইরে তাকাস নে।’ তারপর আমাকে ভয় পেতে দেখে গলা জড়িয়ে ধরল। সেদিন বুঝেছিলাম কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

দীর্ঘদিন থেকেই আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করি। যেখানে হাজার হাজার দর্শক হয়, কখনো তা লাখও ছাড়িয়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে কিশোর গেলে আমি থাকতাম টেনশন ফ্রি, অর্থাৎ তার জন্য আমার বাড়তি কোনো টেনশন হতো না; যা অন্য অনেকের বেলায় হয়। কারণ এসব স্থানে কিশোর থাকত ‘ইত্যাদি’র একজন কর্মীর মতো। কোথায় আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখব তা না, উল্টো সে আমার দেখাশোনা করত। আমার সহকর্মীদের ডেকে বলত, ‘ওকে বাতাস কর, চা দে।’ অনেক সময় ভিড় সামলাত। দর্শকদের বলত, ‘ওকে এখন বিরক্ত করবেন না। বেচারা কত কষ্ট করছে দেখছেন না? ভালো অনুষ্ঠান কি এমনি এমনি হয়?’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর একদিন স্টুডিও রেকর্ডিং করছি। শরীরটা খারাপ লাগছিল। কিশোর আমার অবস্থা বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে?’ বললাম, ‘শরীরটা খারাপ লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আজ বাদ দে, বাসায় চল। আর একদিন রেকর্ডিং করব।’ বললাম, ‘পরপর তো শিডিউল পাব না’। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘রাখ বেটা তোর শিডিউল, জীবনের শিডিউল আগে।’ এখানেও সেই একই উপলব্ধি হলো- কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

কেন জানি আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেই কিশোর গেয়েছিল- ‘জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়’, যেই কিশোর সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, জীবনের শিডিউল আগে, সেই কিশোরই জীবনকে ফেলে রেখে চলে গেল! কিশোরের যে ভিতরে ভিতরে শরীর এতটা খারাপ হয়েছিল তা কখনো বুঝতে পারিনি। ‘ইত্যাদি’তেই কিশোর শেষ গান গেয়েছে ২০১৯-এর জুনে অর্থাৎ এক বছর আগে। অনুষ্ঠানের ঠিক এক মাস পরই আগস্টের দিকে কিশোর অসুস্থ হয়। তাও সে জানায়নি। যেই হসপিটালে কিশোর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছিল, সেখানকারই একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে খবর পাই কিশোর অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। আমাকে চিন্তিত দেখে উল্টো ধমক, আরে চিন্তা করিস না, তেমন কিছু না। চামড়াটা কালো হয়ে যাচ্ছে। সেটাই টেস্ট করছে। বললাম, আসব? বলল, না, আমি কালই বাসায় চলে যাব। হাসপাতাল থেকে বাসায় গেলে তিন-চার দিন পরপর কথা হতো। হঠাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বলল, ‘আমি দু-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।’ জানতে চাইলাম, ‘কেন?’ কিশোর বলল, ‘একটু ডাক্তার দেখাব।’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর তো এত সহজে ডাক্তার দেখাতে বিদেশ যাওয়ার কথা নয়। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ল। সে সময় হাসপাতালে প্রায়ই কিশোর এবং তার স্ত্রী ইতির সঙ্গে কথা হতো। কিশোরের ইচ্ছানুযায়ী সে সময় মাঝেমধ্যে কিশোরের শিষ্য মোমিনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে হতো। এভাবেই চলছিল। মে-র শুরুর দিকে কিশোরকে একটু খুশি খুশি মনে হলো। বলল, ‘কেমো প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই চলে আসব।’ ঢাকায় এসে অনেক পরিকল্পনার কথা জানাল। সবাইকে নিয়ে বসবে। একটা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করবে। আমাকে বলল একটা সুন্দর নাম চিন্তা করতে। মে-র মাঝামাঝি ফিরতে পারবে। কিশোরকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এসেই ঈদের অনুষ্ঠানে গাইতে হবে। কথা দিল গাইবে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে অনুরোধ করলাম কিশোরের জন্য গান লিখতে। বললাম, কিশোরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন গানের কথায় থাকে। যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিনের রোগমুক্তির পর তাকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’তে প্রথম গান করেছিলাম। আমি জানি ১৩ মে কিশোর আসবে। সুতরাং গানটা আলাদাভাবে চিত্রায়ণ করব। তিনি লিখলেন,

‘কতো যে বিশাল-

এ দেশের মানুষের প্রাণ

ভালোবাসা জয় ক’রে

জনম জনম ধ’রে

এখানেই বেঁচে আছে জীবনের গান।’

না, জীবন নিয়ে অনেক গানই কিশোর গেয়েছে কিন্তু জীবন নিয়ে এই শেষ গানটি জীবন থাকতে কিশোরের আর গাওয়া হলো না। করোনার কারণে আমরা যেমন অনুষ্ঠান করতে পারিনি, অসুস্থতার কারণে কিশোরও মে মাসে আসতে পারেনি। ১০ জুন সিঙ্গাপুরে কিশোরের চিকিৎসক তাদের জানান, লিমফোমা আবার ব্যাক করেছে। সুতরাং তাদের আর কিছুই করার নেই। এসব কিছুই জানতে পারিনি। ১২ জুন সকালে হঠাৎ কিশোরের একটা ফোন পাই, ‘বন্ধু আমি ঢাকায়।’ ফোন পেয়ে আমি অবাক। বললাম, ‘আসার আগে একটু জানাবি না!’

‘জানিয়ে কী হবে?’

‘কেন?’

‘লিমফোমা ব্যাক।’

‘লিমফোমা ব্যাক মানে? ক্যান্সার ব্যাক করবে?’ জানতে চাইলাম।

কিশোর একটু জোর দিয়েই বলল, ‘ব্যাক করবে না, ব্যাক করেছে।’

‘তার মানে?’

‘মানে আর কিছুই নয়, আমার জার্নি শেষ। এখন রেডি টু ফ্লাই। কাউকে কিছু বলিস না। আমি কাল রাজশাহী যাব।’ বলেই ফোন রেখে দিল।

আমি হতভম্ব। খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হলো। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারও সঙ্গে কিছু বলতেও পারছিলাম না। এরপর তিন-চার দিন আর যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী থেকে দু-তিন বার কথা হয়েছে। বলছিল সময় ঘনিয়ে আসছে। শেষ কথা হয়েছিল মৃত্যুর তিন দিন আগে। কিশোরই ফোন দিয়েছিল, বলল, ‘দোস্ত! আর বোধহয় কথা বলতে পারব না। দোয়া করিস, কষ্টটা যেন কম হয়।’

শুনেছি ডাক্তারের কাছে ক্যান্সার ফিরে এসেছে শুনেই কিশোর মেনে নিয়েছিল অবধারিত মৃত্যুকে। সবাইকে একদিন মরতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়। তার পরও মেনে নিতে হয়, কারণ মৃত্যু বড়ই সত্য। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। তার এ অকালমৃত্যুতে বাংলা সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আসলেই কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
রাজপথে শিক্ষকরা
রাজপথে শিক্ষকরা
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
রাজধানীর যানজট
রাজধানীর যানজট
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
সর্বশেষ খবর
গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে

২৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই

৩১ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে
ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ
সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা
ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল
নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন
কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির
রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা
খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ
ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম
যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ
নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল
যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত
রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী
১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’

শোবিজ