শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

হানিফ সংকেত
এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

এন্ড্রু কিশোর বাংলা গানের ঐশ^র্য। যার খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতি বেশি। জাদুময় কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর একজন বহুমাত্রিক শিল্পী। চলচ্চিত্রে নায়কের ঠোঁটে কিশোরের গান শুনে নায়িকারা যেমন রোমাঞ্চিত হতো, তেমনই তার গান শুনে দর্শকরা কাঁদত। যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো বয়সের গান তার কণ্ঠে সহজেই মানিয়ে যেত। সৃষ্টি করত অন্যরকম আবেদন। এ গান গেয়েই কিশোর পেয়েছিল সবার ভালোবাসা। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ সারা দেশের মানুষ শোকাভিভূত। শুধু শিল্পী নয়, মানবিক চেতনায় অনন্য এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিল এন্ড্রু কিশোর।

১৯৬২ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হয় এন্ড্রু কিশোর। আর তখন রাজশাহী বেতারের প্রযোজক হিসেবে শিশু বিভাগটি দেখতেন আজকের খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। রাজশাহীতে তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন আবদুল আজিজ বাচ্চু। দেশের সেরা সংগীত তারকা হওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্যও কিশোর ভুলে যায়নি তার এই শিক্ষাগুরুকে। ভোলেনি সুরকার আলম খানকেও, যার মাধ্যমে ঢাকায় এসে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয় কিশোর। প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ বিচিত্র সব অনুভূতির হাজারো সুরের গান গেয়েছে এন্ড্রু কিশোর। এ গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি, পেয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং তার গান সম্পর্কে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আর তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন গুণীজনের কথায় সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মানুষ এন্ড্রু কিশোর বা বন্ধু হিসেবে এন্ড্রু কিশোর কেমন ছিল, সেটা তাকে কাছে থেকে না দেখলে বা তার সঙ্গে না মিশলে কল্পনা করাও কঠিন। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। তার মৃত্যুতে আমার কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই কিশোরকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য পত্রিকার বারবার তাগাদা সত্ত্বেও কিছু লিখতে পারছিলাম না। কী লিখব? কোনো স্মৃতি? কবেকার স্মৃতি? দেশে-বিদেশে কিশোরের সঙ্গে রয়েছে আমার হাজারো স্মৃতি। ও এমন একটি মানুষ যার সঙ্গে সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্ব কেবল গাঢ়ই হয়েছে। শুধু আমারই নয়, কিশোরের সঙ্গে কখনো কারও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে শুনিনি। কখনো কারও বিরুদ্ধে দুর্নাম করতে শুনিনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পী অথচ কখনো তার মধ্যে কোনো অহংকার দেখিনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করত। আজকাল পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যাণে চার-পাঁচ দিন টিভিতে গান গাইলেই অনেকে সুপার স্টার হয়ে যায়, হয়ে যায় অহংকারী। ফেসবুকে দেখা যায় নানান স্ট্যাটাস, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই আয়োজকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। ভুলে যায় অর্থের বিনিময়ে তাদের আনা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কিশোর ছিল উল্টো। যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যেত, তার আচরণে মনে হতো সে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছে, সবাই তার আত্মীয়।

কিশোরের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। নিজের সুবিধা দেখার চেয়ে সব সময় অন্যের সুবিধা দেখার প্রতি কিশোরের খেয়াল ছিল বেশি। দেশ-বিদেশের এসব অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনা। আমরা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। পথে যাত্রাবিরতি। একটি হোটেলের সামনে আমাদের মাইক্রোবাস থামল। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে কিশোরের গান গাইছে, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউবা হারায়...’। আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো, হাত মেলাল। কিশোর নির্বাক তাকিয়ে থাকল ছেলেটির দিকে, কিশোরকে চিনল না। কারণ টিভিতে গান না গাওয়ায় তাকে কখনো দেখেনি। আমি বললাম- ‘বাঃ, চমৎকার গাও তো তুমি। এটা কার গান জানো?’ এন্ড্রু কিশুরের (তার উচ্চারণে) ছেলেটি উত্তর দিল। কিশোরকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘ওনাকে চেনো? দেখেছো কখনো?’

না, জবাব দিল ছেলেটি। আমার এতসব প্রশ্নে কিশোরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর ছিল না। হাসি হাসি মুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরে আমি কিশোরের পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘তুমি যার গান গাইলে, ইনিই হচ্ছেন সেই এন্ড্রু কিশোর।’ আমার এ কথা শুনে ছেলেটি ‘থ’ হয়ে গেল। অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল কিশোরের দিকে। ঘোর কেটে যেতেই ছেলেটি কিশোরের পা ছুঁয়ে সালাম করল। কিশোরও ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে দেশব্যাপী কিশোরের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। কথার সঙ্গে সুর এবং অভিব্যক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে কিশোর গানকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। কিশোরের অনেক গানই তখন মানুষের মুখে মুখে।

অনেক সময় দুই বন্ধু রিকশায় কোথাও যাচ্ছি কিংবা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি, দর্শকরা আমাকে সালাম দিচ্ছে, কেউ বা অটোগ্রাফ নিচ্ছে, কেউ করমর্দন করছে, কিশোরের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। আমি ইতস্তত বোধ করতাম, মনে মনে ভাবতাম এই ভক্তরা যদি জানত আমার পাশে যে লোকটি বসে আছে সে হচ্ছে দেশসেরা সংগীতশিল্পী, রেডিও খুললেই যার দরাজ গলা ভেসে আসে। দেশের স্বনামখ্যাত নায়করা যার গানে ঠোঁট মেলায়। তাহলে হয়তো তারা আরও বেশি খুশি হতো, অটোগ্রাফ নেওয়ার লাইন আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু কিশোরের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ভক্তরা চলে যাওয়ার পর কিশোরকে বোঝাতাম, ‘দেখ দোস্ত! তোর গান মানুষ শুনছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তাদের প্রিয় শিল্পীকে দেখতেও চায়। তুই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিস না।’ আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বলত, ‘বন্ধু! আমি যদি আবার কখনো টিভিতে গাই তবে তোর অনুষ্ঠানেই গাইব।’ অবশেষে একসময় কিশোর টিভিতে গাইতে রাজি হলো। ১৯৯৯ সালে আমার অনুরোধে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’তে আবার পুরনো এন্ড্রু কিশোরের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল দর্শকদের সামনে। গাইল ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়...’। লিখেছিলেন ১৯৬২ সালে যেই লোকটির হাতে তার শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়েছিল সেই গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। প্রথম দিকে পরপর ‘ইত্যাদি’র তিনটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিল কিশোর। সেই শুরু, পরে নিজেই একসময় বলল, ‘দোস্ত! আমাকে দিয়ে এত গাওয়ানো ঠিক না। আরও শিল্পী আছে, তাদেরও সুযোগ দে, আমি তো আছিই।’ এই ছিল এন্ড্রু কিশোর। মনটা ছিল অনেক বড়। কিশোরের কাছ থেকে এখনকার শিল্পীদের অনেক কিছুই শেখার আছে। সংগীত সম্পর্কে যেমন শেখার আছে, তেমনি একজন শিল্পীর আচার-আচরণ, সংগীতজ্ঞান, চর্চা সব বিষয়েই শেখার আছে। অথচ এখন কেউ একটু ওপরে উঠলে কী করে তাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই অপচেষ্টাই করে অনেকে। ’৯৯ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর ছিল ‘ইত্যাদি’র বিশেষ অনুষ্ঠানগুলর প্রায় নিয়মিত শিল্পী। হয়ে উঠেছিল ‘ইত্যাদি’ পরিবারেরও সদস্য। শুধু ‘ইত্যাদি’র জন্যই গেয়েছে অর্ধশতাধিক গান; যার অধিকাংশই দেশাত্মবোধক।

প্রতিটি গানের স্টুডিও রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণের সময়ও কিশোরকে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি; যা মনে হলে চোখ দুটো অজান্তেই ঝাপসা হয়ে আসে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি। দেশে তখন বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থা। সে সময় ‘ইত্যাদি’ ধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই জানেন, কিশোর ছিল একটু ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসত। ফেনী পার হওয়ার পর তার প্রচ- ক্ষুধা পায়। যেতে যেতে পথের দুই পাশে হোটেল খুঁজতে লাগল। একটা জায়গায় এসে বলল, বন্ধু গাড়ি থামাও, ওই যে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কোনো হোটেল চোখে পড়ল না আমার। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরাম্যান বন্ধু আনোয়ার হোসেন বুলুও ছিল, সেও তাকিয়ে কোনো হোটেল দেখতে পেল না। কিশোর রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা টংয়ের মতো হোটেল দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে দেখ’। আমরা অবাক। হোটেলের সামনে দু-তিনটি বড় বড় থালায় কিছু সবজি আর ডাল রাখা আছে। কিশোর এসব দেখে সরাসরি দোকানের পেছনে চলে গেল, গিয়ে দেখল কিছু ডিম সিদ্ধ রয়েছে। টপাটপ চার-পাঁচটি সিদ্ধ ডিম তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, এতগুলো ডিম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক হয়নি। তোর আর একটু স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। আমরা ওর ভুঁড়ি দেখিয়ে বললাম, তোর ভুঁড়ি কিন্তু অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, দেখ তোদের পেটের চামড়া কত মোটা আর আমার কত পাতলা। তোদের মেদ আছে আমার নেই। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার আত্মবিশ^াস ছিল প্রচ-। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো বাছবিচার ছিল না। আর একটি ঘটনা মনে পড়ছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাচ্ছিলাম। পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। একটা জায়গায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো পথ খাড়া। আমার একটু ‘হাইট ফোবিয়া’ অর্থাৎ উচ্চতাভীতি থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম। কিশোর আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ‘ভয় পাসনে। আমার সঙ্গে কথা বল বাইরে তাকাস নে।’ তারপর আমাকে ভয় পেতে দেখে গলা জড়িয়ে ধরল। সেদিন বুঝেছিলাম কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

দীর্ঘদিন থেকেই আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করি। যেখানে হাজার হাজার দর্শক হয়, কখনো তা লাখও ছাড়িয়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে কিশোর গেলে আমি থাকতাম টেনশন ফ্রি, অর্থাৎ তার জন্য আমার বাড়তি কোনো টেনশন হতো না; যা অন্য অনেকের বেলায় হয়। কারণ এসব স্থানে কিশোর থাকত ‘ইত্যাদি’র একজন কর্মীর মতো। কোথায় আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখব তা না, উল্টো সে আমার দেখাশোনা করত। আমার সহকর্মীদের ডেকে বলত, ‘ওকে বাতাস কর, চা দে।’ অনেক সময় ভিড় সামলাত। দর্শকদের বলত, ‘ওকে এখন বিরক্ত করবেন না। বেচারা কত কষ্ট করছে দেখছেন না? ভালো অনুষ্ঠান কি এমনি এমনি হয়?’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর একদিন স্টুডিও রেকর্ডিং করছি। শরীরটা খারাপ লাগছিল। কিশোর আমার অবস্থা বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে?’ বললাম, ‘শরীরটা খারাপ লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আজ বাদ দে, বাসায় চল। আর একদিন রেকর্ডিং করব।’ বললাম, ‘পরপর তো শিডিউল পাব না’। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘রাখ বেটা তোর শিডিউল, জীবনের শিডিউল আগে।’ এখানেও সেই একই উপলব্ধি হলো- কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

কেন জানি আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেই কিশোর গেয়েছিল- ‘জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়’, যেই কিশোর সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, জীবনের শিডিউল আগে, সেই কিশোরই জীবনকে ফেলে রেখে চলে গেল! কিশোরের যে ভিতরে ভিতরে শরীর এতটা খারাপ হয়েছিল তা কখনো বুঝতে পারিনি। ‘ইত্যাদি’তেই কিশোর শেষ গান গেয়েছে ২০১৯-এর জুনে অর্থাৎ এক বছর আগে। অনুষ্ঠানের ঠিক এক মাস পরই আগস্টের দিকে কিশোর অসুস্থ হয়। তাও সে জানায়নি। যেই হসপিটালে কিশোর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছিল, সেখানকারই একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে খবর পাই কিশোর অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। আমাকে চিন্তিত দেখে উল্টো ধমক, আরে চিন্তা করিস না, তেমন কিছু না। চামড়াটা কালো হয়ে যাচ্ছে। সেটাই টেস্ট করছে। বললাম, আসব? বলল, না, আমি কালই বাসায় চলে যাব। হাসপাতাল থেকে বাসায় গেলে তিন-চার দিন পরপর কথা হতো। হঠাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বলল, ‘আমি দু-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।’ জানতে চাইলাম, ‘কেন?’ কিশোর বলল, ‘একটু ডাক্তার দেখাব।’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর তো এত সহজে ডাক্তার দেখাতে বিদেশ যাওয়ার কথা নয়। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ল। সে সময় হাসপাতালে প্রায়ই কিশোর এবং তার স্ত্রী ইতির সঙ্গে কথা হতো। কিশোরের ইচ্ছানুযায়ী সে সময় মাঝেমধ্যে কিশোরের শিষ্য মোমিনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে হতো। এভাবেই চলছিল। মে-র শুরুর দিকে কিশোরকে একটু খুশি খুশি মনে হলো। বলল, ‘কেমো প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই চলে আসব।’ ঢাকায় এসে অনেক পরিকল্পনার কথা জানাল। সবাইকে নিয়ে বসবে। একটা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করবে। আমাকে বলল একটা সুন্দর নাম চিন্তা করতে। মে-র মাঝামাঝি ফিরতে পারবে। কিশোরকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এসেই ঈদের অনুষ্ঠানে গাইতে হবে। কথা দিল গাইবে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে অনুরোধ করলাম কিশোরের জন্য গান লিখতে। বললাম, কিশোরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন গানের কথায় থাকে। যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিনের রোগমুক্তির পর তাকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’তে প্রথম গান করেছিলাম। আমি জানি ১৩ মে কিশোর আসবে। সুতরাং গানটা আলাদাভাবে চিত্রায়ণ করব। তিনি লিখলেন,

‘কতো যে বিশাল-

এ দেশের মানুষের প্রাণ

ভালোবাসা জয় ক’রে

জনম জনম ধ’রে

এখানেই বেঁচে আছে জীবনের গান।’

না, জীবন নিয়ে অনেক গানই কিশোর গেয়েছে কিন্তু জীবন নিয়ে এই শেষ গানটি জীবন থাকতে কিশোরের আর গাওয়া হলো না। করোনার কারণে আমরা যেমন অনুষ্ঠান করতে পারিনি, অসুস্থতার কারণে কিশোরও মে মাসে আসতে পারেনি। ১০ জুন সিঙ্গাপুরে কিশোরের চিকিৎসক তাদের জানান, লিমফোমা আবার ব্যাক করেছে। সুতরাং তাদের আর কিছুই করার নেই। এসব কিছুই জানতে পারিনি। ১২ জুন সকালে হঠাৎ কিশোরের একটা ফোন পাই, ‘বন্ধু আমি ঢাকায়।’ ফোন পেয়ে আমি অবাক। বললাম, ‘আসার আগে একটু জানাবি না!’

‘জানিয়ে কী হবে?’

‘কেন?’

‘লিমফোমা ব্যাক।’

‘লিমফোমা ব্যাক মানে? ক্যান্সার ব্যাক করবে?’ জানতে চাইলাম।

কিশোর একটু জোর দিয়েই বলল, ‘ব্যাক করবে না, ব্যাক করেছে।’

‘তার মানে?’

‘মানে আর কিছুই নয়, আমার জার্নি শেষ। এখন রেডি টু ফ্লাই। কাউকে কিছু বলিস না। আমি কাল রাজশাহী যাব।’ বলেই ফোন রেখে দিল।

আমি হতভম্ব। খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হলো। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারও সঙ্গে কিছু বলতেও পারছিলাম না। এরপর তিন-চার দিন আর যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী থেকে দু-তিন বার কথা হয়েছে। বলছিল সময় ঘনিয়ে আসছে। শেষ কথা হয়েছিল মৃত্যুর তিন দিন আগে। কিশোরই ফোন দিয়েছিল, বলল, ‘দোস্ত! আর বোধহয় কথা বলতে পারব না। দোয়া করিস, কষ্টটা যেন কম হয়।’

শুনেছি ডাক্তারের কাছে ক্যান্সার ফিরে এসেছে শুনেই কিশোর মেনে নিয়েছিল অবধারিত মৃত্যুকে। সবাইকে একদিন মরতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়। তার পরও মেনে নিতে হয়, কারণ মৃত্যু বড়ই সত্য। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। তার এ অকালমৃত্যুতে বাংলা সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আসলেই কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রতিবেশীর অধিকার
প্রতিবেশীর অধিকার
খাদ্য মূল্যস্ফীতি
খাদ্য মূল্যস্ফীতি
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
শুভ্র সমুজ্জ্বল তাজমহল
শুভ্র সমুজ্জ্বল তাজমহল
গণ অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে কেন?
গণ অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে কেন?
গায়েবি মামলার আব্বাহুজুরের আত্মকথা!
গায়েবি মামলার আব্বাহুজুরের আত্মকথা!
পলিথিনের পাপ
পলিথিনের পাপ
রপ্তানি খাত
রপ্তানি খাত
সোনা কেন মূল্যবান?
সোনা কেন মূল্যবান?
সিজদার মহত্ত্ব অপরিসীম
সিজদার মহত্ত্ব অপরিসীম
নির্মমতার শিকার পরিযায়ী পাখি
নির্মমতার শিকার পরিযায়ী পাখি
বিএনপির প্রতিশ্রুতি জাতীয় সরকার
বিএনপির প্রতিশ্রুতি জাতীয় সরকার
সর্বশেষ খবর
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্টের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জামায়াত নেতার
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনষ্টের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জামায়াত নেতার

এই মাত্র | দেশগ্রাম

বাজার পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগের অবস্থায় ফেরানো হবে করহার : এনবিআর
বাজার পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগের অবস্থায় ফেরানো হবে করহার : এনবিআর

২ মিনিট আগে | বাণিজ্য

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশে পৌঁছেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কবে কোথায় দেখতে পাবেন
দেশে পৌঁছেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, কবে কোথায় দেখতে পাবেন

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে ‘রিমেম্বারিং দ্য রেড জুলাই’ পালিত
শাবিপ্রবিতে ‘রিমেম্বারিং দ্য রেড জুলাই’ পালিত

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেসরকারি খাতের উন্নয়নে এডিবির ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বেসরকারি খাতের উন্নয়নে এডিবির ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

২৪ মিনিট আগে | বাণিজ্য

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুদকে দুর্নীতি একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে : ড. ইফতেখারুজ্জামান
দুদকে দুর্নীতি একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে : ড. ইফতেখারুজ্জামান

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টিভি চ্যানেল দখলের মামলায় গ্রেফতার তাপস
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টিভি চ্যানেল দখলের মামলায় গ্রেফতার তাপস

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

৩০০ দলকে হারিয়ে আইসিপিসি চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবি
৩০০ দলকে হারিয়ে আইসিপিসি চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবি

৪৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বনাথে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
বিশ্বনাথে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

৫২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় এনডিএফ’র চিকিৎসক সমাবেশ
বগুড়ায় এনডিএফ’র চিকিৎসক সমাবেশ

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারত বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝলে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হবে মুখোমুখি: গয়েশ্বর
ভারত বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝলে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হবে মুখোমুখি: গয়েশ্বর

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে আদাবর থানার এসআই শাহিনকে প্রত্যাহার
মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে আদাবর থানার এসআই শাহিনকে প্রত্যাহার

১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় সাড়া ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার
বগুড়ায় সাড়া ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মন ভালো করার ইনডোর প্লান্ট
মন ভালো করার ইনডোর প্লান্ট

১ ঘন্টা আগে | জীবন ধারা

শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন
শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

হাকিমপুরে ২ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
হাকিমপুরে ২ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলা, বিচার দাবি
বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলা, বিচার দাবি

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সাদা পোশাকে কাউকেই গ্রেফতার করা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাদা পোশাকে কাউকেই গ্রেফতার করা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পটুয়াখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
পটুয়াখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
জামালপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার
পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পায়ের পাতা ব্যথায় করণীয়
পায়ের পাতা ব্যথায় করণীয়

১ ঘন্টা আগে | হেলথ কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
বাশার আল-আসাদ পালাতেই সিরিয়ায় মার্কিন হামলা
বাশার আল-আসাদ পালাতেই সিরিয়ায় মার্কিন হামলা

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ
জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

২২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

খুলল রহস্য জট, আসাদ এখন রাশিয়ায়
খুলল রহস্য জট, আসাদ এখন রাশিয়ায়

১৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাশার আল আসাদের পতনের পর প্রথম ভাষণে যা বললেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা
বাশার আল আসাদের পতনের পর প্রথম ভাষণে যা বললেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা

১৭ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.)-এর ১০ বার্তা
সিরিয়া সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.)-এর ১০ বার্তা

৭ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রথম ভাষণেই ইরান সম্পর্কে যা বললেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জোলানি
প্রথম ভাষণেই ইরান সম্পর্কে যা বললেন সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জোলানি

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসাদের পতনে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আসাদের পতনে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে কাঁদিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ভারতকে কাঁদিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

২১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাশার আল আসাদের পতন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানাল সৌদি আরব
বাশার আল আসাদের পতন নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানাল সৌদি আরব

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মাত্র দু’জন নেতা আছেন: এরদোয়ান
বিশ্বে মাত্র দু’জন নেতা আছেন: এরদোয়ান

৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া নিয়ে অবস্থান জানাল ইরান
সিরিয়া নিয়ে অবস্থান জানাল ইরান

১৯ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের কাছে হার নিয়ে যা বললেন ভারতের অধিনায়ক আমান
বাংলাদেশের কাছে হার নিয়ে যা বললেন ভারতের অধিনায়ক আমান

২০ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিরিয়া সীমান্তের বাফার জোন দখলের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
সিরিয়া সীমান্তের বাফার জোন দখলের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাশার আল আসাদের বাসভবনে ব্যাপক লুটপাট
বাশার আল আসাদের বাসভবনে ব্যাপক লুটপাট

২০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথার দাম এক কোটি ডলার, সেই জুলানিই বাশারকে তাড়ালেন!
মাথার দাম এক কোটি ডলার, সেই জুলানিই বাশারকে তাড়ালেন!

১৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাচ্ছে না বাংলাদেশিরা, বিপাকে পশ্চিমবঙ্গ, চাকরিও হারাচ্ছেন অনেকে!
যাচ্ছে না বাংলাদেশিরা, বিপাকে পশ্চিমবঙ্গ, চাকরিও হারাচ্ছেন অনেকে!

১২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির পথে জেলেনস্কি, বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির পথে জেলেনস্কি, বললেন ট্রাম্প

১৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাশার আল আসাদের পতন নিয়ে যা বলল রাশিয়া
বাশার আল আসাদের পতন নিয়ে যা বলল রাশিয়া

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চারদিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের যে স্টেশন
চারদিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের যে স্টেশন

২২ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলা
ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলা

৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি
ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি

৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাড়বে শীত, রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
বাড়বে শীত, রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

এখনও অবিবাহিত থাকায় বাবা-মায়ের উপর ক্ষোভ অভিনেত্রী পায়েলের
এখনও অবিবাহিত থাকায় বাবা-মায়ের উপর ক্ষোভ অভিনেত্রী পায়েলের

২৩ ঘন্টা আগে | শোবিজ

তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, পলকের জন্য হাই কমোড চাইলেন আইনজীবী
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, পলকের জন্য হাই কমোড চাইলেন আইনজীবী

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আগামীকাল
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আগামীকাল

৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ফের অন্তঃসত্ত্বা জনি ডেপের সাবেক স্ত্রী
ফের অন্তঃসত্ত্বা জনি ডেপের সাবেক স্ত্রী

৭ ঘন্টা আগে | শোবিজ

দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে হামলা
দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে হামলা

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইইউ’র ২৮ রাষ্ট্রদূত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইইউ’র ২৮ রাষ্ট্রদূত

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাসর রাতে দেনমোহরের টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ যুবলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে
বাসর রাতে দেনমোহরের টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ যুবলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে

১৩ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছক্কার ডাবল সেঞ্চুরি স্পর্শ মাহমুদউল্লাহর
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছক্কার ডাবল সেঞ্চুরি স্পর্শ মাহমুদউল্লাহর

৬ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফেঁসে যাচ্ছেন অনেক রাঘববোয়াল
ফেঁসে যাচ্ছেন অনেক রাঘববোয়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

বছরে যায় ১৪ বিলিয়ন ডলার
বছরে যায় ১৪ বিলিয়ন ডলার

প্রথম পৃষ্ঠা

গায়েবি মামলার আব্বাহুজুরের আত্মকথা!
গায়েবি মামলার আব্বাহুজুরের আত্মকথা!

সম্পাদকীয়

মাইনাস টু-এর দুরভিসন্ধি করে লাভ হবে না
মাইনাস টু-এর দুরভিসন্ধি করে লাভ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রেলের জলাধারে পার্ক জানে না রেলওয়ে
রেলের জলাধারে পার্ক জানে না রেলওয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

কী বার্তা দেবেন ভারতের সচিব
কী বার্তা দেবেন ভারতের সচিব

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পালালেন আরেক স্বৈরাচার
পালালেন আরেক স্বৈরাচার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদ ভবন প্রস্তুত করতে লাগবে এক বছর
সংসদ ভবন প্রস্তুত করতে লাগবে এক বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

সাত হাজার বিঘা জমি বেহাত
সাত হাজার বিঘা জমি বেহাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ভারতকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোজ্য তেলের জন্য হাহাকার
ভোজ্য তেলের জন্য হাহাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আগাম তরমুজের স্বাদ নিচ্ছেন পর্যটকরা
আগাম তরমুজের স্বাদ নিচ্ছেন পর্যটকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণের আস্থা অর্জনে মাঠে চট্টগ্রাম বিএনপি
জনগণের আস্থা অর্জনে মাঠে চট্টগ্রাম বিএনপি

নগর জীবন

আশ্রয় নিয়েছেন রাশিয়ায়
আশ্রয় নিয়েছেন রাশিয়ায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শিক্ষা উপদেষ্টার মতামত ব্যক্তিগত
শিক্ষা উপদেষ্টার মতামত ব্যক্তিগত

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রতিবাদলিপি দিল জামায়াত
ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রতিবাদলিপি দিল জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

বেবী হেলেন থেকে সুচরিতা হয়ে ওঠার গল্প
বেবী হেলেন থেকে সুচরিতা হয়ে ওঠার গল্প

শোবিজ

২ জানুয়ারির আগে এনআইডি সংশোধনের অনুরোধ ইসির
২ জানুয়ারির আগে এনআইডি সংশোধনের অনুরোধ ইসির

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার শ্রীলেখার সঙ্গে ডিপজল...
এবার শ্রীলেখার সঙ্গে ডিপজল...

শোবিজ

গণ-মামলায় গণ-আসামি থাকবে না
গণ-মামলায় গণ-আসামি থাকবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

৫ টাকা অটো ভাড়া নিয়ে চার গ্রামবাসীর ভয়াবহ সংঘর্ষ
৫ টাকা অটো ভাড়া নিয়ে চার গ্রামবাসীর ভয়াবহ সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় ব্যবসায়ী খুনের যে কারণ জানাল পুলিশ
ঢাকায় ব্যবসায়ী খুনের যে কারণ জানাল পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে নারী ফুটবলাররা
দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে নারী ফুটবলাররা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

চিন্ময়সহ ৬ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ
চিন্ময়সহ ৬ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যাহ্নভোজে বিএনপি নেতারা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যাহ্নভোজে বিএনপি নেতারা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাই কোর্টে আজ ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
হাই কোর্টে আজ ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে কেন?
গণ অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে কেন?

সম্পাদকীয়

সব স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয় চান প্রতিনিধিরা
সব স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয় চান প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা