শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
এন্ড্রু কিশোর : বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু

এন্ড্রু কিশোর বাংলা গানের ঐশ^র্য। যার খ্যাতির চেয়ে কণ্ঠের দ্যুতি বেশি। জাদুময় কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর একজন বহুমাত্রিক শিল্পী। চলচ্চিত্রে নায়কের ঠোঁটে কিশোরের গান শুনে নায়িকারা যেমন রোমাঞ্চিত হতো, তেমনই তার গান শুনে দর্শকরা কাঁদত। যে কোনো শ্রেণি, যে কোনো বয়সের গান তার কণ্ঠে সহজেই মানিয়ে যেত। সৃষ্টি করত অন্যরকম আবেদন। এ গান গেয়েই কিশোর পেয়েছিল সবার ভালোবাসা। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ সারা দেশের মানুষ শোকাভিভূত। শুধু শিল্পী নয়, মানবিক চেতনায় অনন্য এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিল এন্ড্রু কিশোর।

১৯৬২ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হয় এন্ড্রু কিশোর। আর তখন রাজশাহী বেতারের প্রযোজক হিসেবে শিশু বিভাগটি দেখতেন আজকের খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। রাজশাহীতে তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষাগুরু ছিলেন আবদুল আজিজ বাচ্চু। দেশের সেরা সংগীত তারকা হওয়ার পরও এক মুহূর্তের জন্যও কিশোর ভুলে যায়নি তার এই শিক্ষাগুরুকে। ভোলেনি সুরকার আলম খানকেও, যার মাধ্যমে ঢাকায় এসে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয় কিশোর। প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ বিচিত্র সব অনুভূতির হাজারো সুরের গান গেয়েছে এন্ড্রু কিশোর। এ গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি, পেয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং তার গান সম্পর্কে সবারই কম বেশি ধারণা রয়েছে। আর তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন গুণীজনের কথায় সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু মানুষ এন্ড্রু কিশোর বা বন্ধু হিসেবে এন্ড্রু কিশোর কেমন ছিল, সেটা তাকে কাছে থেকে না দেখলে বা তার সঙ্গে না মিশলে কল্পনা করাও কঠিন। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারত, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারত। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। তার মৃত্যুতে আমার কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই কিশোরকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য পত্রিকার বারবার তাগাদা সত্ত্বেও কিছু লিখতে পারছিলাম না। কী লিখব? কোনো স্মৃতি? কবেকার স্মৃতি? দেশে-বিদেশে কিশোরের সঙ্গে রয়েছে আমার হাজারো স্মৃতি। ও এমন একটি মানুষ যার সঙ্গে সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্ব কেবল গাঢ়ই হয়েছে। শুধু আমারই নয়, কিশোরের সঙ্গে কখনো কারও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে শুনিনি। কখনো কারও বিরুদ্ধে দুর্নাম করতে শুনিনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পী অথচ কখনো তার মধ্যে কোনো অহংকার দেখিনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করত। আজকাল পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ার কল্যাণে চার-পাঁচ দিন টিভিতে গান গাইলেই অনেকে সুপার স্টার হয়ে যায়, হয়ে যায় অহংকারী। ফেসবুকে দেখা যায় নানান স্ট্যাটাস, কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই আয়োজকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। ভুলে যায় অর্থের বিনিময়ে তাদের আনা হয়েছে। এসব ব্যাপারে কিশোর ছিল উল্টো। যদি কোথাও অনুষ্ঠানে যেত, তার আচরণে মনে হতো সে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসেছে, সবাই তার আত্মীয়।

কিশোরের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে বহুবার বিদেশে গেছি, একসঙ্গে থেকেছি। নিজের সুবিধা দেখার চেয়ে সব সময় অন্যের সুবিধা দেখার প্রতি কিশোরের খেয়াল ছিল বেশি। দেশ-বিদেশের এসব অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনা। আমরা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। পথে যাত্রাবিরতি। একটি হোটেলের সামনে আমাদের মাইক্রোবাস থামল। হঠাৎ দেখি একটি ছেলে কিশোরের গান গাইছে, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউবা হারায়...’। আমরা থমকে দাঁড়ালাম। ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো, হাত মেলাল। কিশোর নির্বাক তাকিয়ে থাকল ছেলেটির দিকে, কিশোরকে চিনল না। কারণ টিভিতে গান না গাওয়ায় তাকে কখনো দেখেনি। আমি বললাম- ‘বাঃ, চমৎকার গাও তো তুমি। এটা কার গান জানো?’ এন্ড্রু কিশুরের (তার উচ্চারণে) ছেলেটি উত্তর দিল। কিশোরকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘ওনাকে চেনো? দেখেছো কখনো?’

না, জবাব দিল ছেলেটি। আমার এতসব প্রশ্নে কিশোরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর ছিল না। হাসি হাসি মুখে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরে আমি কিশোরের পরিচয় দিয়ে বললাম, ‘তুমি যার গান গাইলে, ইনিই হচ্ছেন সেই এন্ড্রু কিশোর।’ আমার এ কথা শুনে ছেলেটি ‘থ’ হয়ে গেল। অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল কিশোরের দিকে। ঘোর কেটে যেতেই ছেলেটি কিশোরের পা ছুঁয়ে সালাম করল। কিশোরও ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরল। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিংগার হিসেবে দেশব্যাপী কিশোরের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। কথার সঙ্গে সুর এবং অভিব্যক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ে কিশোর গানকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। কিশোরের অনেক গানই তখন মানুষের মুখে মুখে।

অনেক সময় দুই বন্ধু রিকশায় কোথাও যাচ্ছি কিংবা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি, দর্শকরা আমাকে সালাম দিচ্ছে, কেউ বা অটোগ্রাফ নিচ্ছে, কেউ করমর্দন করছে, কিশোরের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। আমি ইতস্তত বোধ করতাম, মনে মনে ভাবতাম এই ভক্তরা যদি জানত আমার পাশে যে লোকটি বসে আছে সে হচ্ছে দেশসেরা সংগীতশিল্পী, রেডিও খুললেই যার দরাজ গলা ভেসে আসে। দেশের স্বনামখ্যাত নায়করা যার গানে ঠোঁট মেলায়। তাহলে হয়তো তারা আরও বেশি খুশি হতো, অটোগ্রাফ নেওয়ার লাইন আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু কিশোরের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ভক্তরা চলে যাওয়ার পর কিশোরকে বোঝাতাম, ‘দেখ দোস্ত! তোর গান মানুষ শুনছে ঠিক আছে কিন্তু তারা তাদের প্রিয় শিল্পীকে দেখতেও চায়। তুই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিস না।’ আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বলত, ‘বন্ধু! আমি যদি আবার কখনো টিভিতে গাই তবে তোর অনুষ্ঠানেই গাইব।’ অবশেষে একসময় কিশোর টিভিতে গাইতে রাজি হলো। ১৯৯৯ সালে আমার অনুরোধে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’তে আবার পুরনো এন্ড্রু কিশোরের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটল দর্শকদের সামনে। গাইল ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়...’। লিখেছিলেন ১৯৬২ সালে যেই লোকটির হাতে তার শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়েছিল সেই গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। প্রথম দিকে পরপর ‘ইত্যাদি’র তিনটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিল কিশোর। সেই শুরু, পরে নিজেই একসময় বলল, ‘দোস্ত! আমাকে দিয়ে এত গাওয়ানো ঠিক না। আরও শিল্পী আছে, তাদেরও সুযোগ দে, আমি তো আছিই।’ এই ছিল এন্ড্রু কিশোর। মনটা ছিল অনেক বড়। কিশোরের কাছ থেকে এখনকার শিল্পীদের অনেক কিছুই শেখার আছে। সংগীত সম্পর্কে যেমন শেখার আছে, তেমনি একজন শিল্পীর আচার-আচরণ, সংগীতজ্ঞান, চর্চা সব বিষয়েই শেখার আছে। অথচ এখন কেউ একটু ওপরে উঠলে কী করে তাকে টেনে নিচে নামানো যায় সেই অপচেষ্টাই করে অনেকে। ’৯৯ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর ছিল ‘ইত্যাদি’র বিশেষ অনুষ্ঠানগুলর প্রায় নিয়মিত শিল্পী। হয়ে উঠেছিল ‘ইত্যাদি’ পরিবারেরও সদস্য। শুধু ‘ইত্যাদি’র জন্যই গেয়েছে অর্ধশতাধিক গান; যার অধিকাংশই দেশাত্মবোধক।

প্রতিটি গানের স্টুডিও রেকর্ডিং ও চিত্রায়ণের সময়ও কিশোরকে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি; যা মনে হলে চোখ দুটো অজান্তেই ঝাপসা হয়ে আসে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি। দেশে তখন বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অবস্থা। সে সময় ‘ইত্যাদি’ ধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই জানেন, কিশোর ছিল একটু ভোজনরসিক, খেতে খুব ভালোবাসত। ফেনী পার হওয়ার পর তার প্রচ- ক্ষুধা পায়। যেতে যেতে পথের দুই পাশে হোটেল খুঁজতে লাগল। একটা জায়গায় এসে বলল, বন্ধু গাড়ি থামাও, ওই যে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কোনো হোটেল চোখে পড়ল না আমার। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরাম্যান বন্ধু আনোয়ার হোসেন বুলুও ছিল, সেও তাকিয়ে কোনো হোটেল দেখতে পেল না। কিশোর রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা টংয়ের মতো হোটেল দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে দেখ’। আমরা অবাক। হোটেলের সামনে দু-তিনটি বড় বড় থালায় কিছু সবজি আর ডাল রাখা আছে। কিশোর এসব দেখে সরাসরি দোকানের পেছনে চলে গেল, গিয়ে দেখল কিছু ডিম সিদ্ধ রয়েছে। টপাটপ চার-পাঁচটি সিদ্ধ ডিম তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি বললাম, এতগুলো ডিম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক হয়নি। তোর আর একটু স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। আমরা ওর ভুঁড়ি দেখিয়ে বললাম, তোর ভুঁড়ি কিন্তু অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, দেখ তোদের পেটের চামড়া কত মোটা আর আমার কত পাতলা। তোদের মেদ আছে আমার নেই। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তার আত্মবিশ^াস ছিল প্রচ-। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো বাছবিচার ছিল না। আর একটি ঘটনা মনে পড়ছে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাচ্ছিলাম। পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। একটা জায়গায় প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো পথ খাড়া। আমার একটু ‘হাইট ফোবিয়া’ অর্থাৎ উচ্চতাভীতি থাকায় ভয় পাচ্ছিলাম। কিশোর আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ‘ভয় পাসনে। আমার সঙ্গে কথা বল বাইরে তাকাস নে।’ তারপর আমাকে ভয় পেতে দেখে গলা জড়িয়ে ধরল। সেদিন বুঝেছিলাম কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

দীর্ঘদিন থেকেই আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অনুষ্ঠান করি। যেখানে হাজার হাজার দর্শক হয়, কখনো তা লাখও ছাড়িয়ে যায়। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে কিশোর গেলে আমি থাকতাম টেনশন ফ্রি, অর্থাৎ তার জন্য আমার বাড়তি কোনো টেনশন হতো না; যা অন্য অনেকের বেলায় হয়। কারণ এসব স্থানে কিশোর থাকত ‘ইত্যাদি’র একজন কর্মীর মতো। কোথায় আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখব তা না, উল্টো সে আমার দেখাশোনা করত। আমার সহকর্মীদের ডেকে বলত, ‘ওকে বাতাস কর, চা দে।’ অনেক সময় ভিড় সামলাত। দর্শকদের বলত, ‘ওকে এখন বিরক্ত করবেন না। বেচারা কত কষ্ট করছে দেখছেন না? ভালো অনুষ্ঠান কি এমনি এমনি হয়?’ আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর একদিন স্টুডিও রেকর্ডিং করছি। শরীরটা খারাপ লাগছিল। কিশোর আমার অবস্থা বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে?’ বললাম, ‘শরীরটা খারাপ লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আজ বাদ দে, বাসায় চল। আর একদিন রেকর্ডিং করব।’ বললাম, ‘পরপর তো শিডিউল পাব না’। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, ‘রাখ বেটা তোর শিডিউল, জীবনের শিডিউল আগে।’ এখানেও সেই একই উপলব্ধি হলো- কিশোর শুধু বন্ধুই নয়, বন্ধুর চেয়েও বড় কিছু।

কেন জানি আজ বারবার মনে হচ্ছে, যেই কিশোর গেয়েছিল- ‘জীবনটাকে বুঝতে হলে, জীবন ভালোবাসতে হয়’, যেই কিশোর সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, জীবনের শিডিউল আগে, সেই কিশোরই জীবনকে ফেলে রেখে চলে গেল! কিশোরের যে ভিতরে ভিতরে শরীর এতটা খারাপ হয়েছিল তা কখনো বুঝতে পারিনি। ‘ইত্যাদি’তেই কিশোর শেষ গান গেয়েছে ২০১৯-এর জুনে অর্থাৎ এক বছর আগে। অনুষ্ঠানের ঠিক এক মাস পরই আগস্টের দিকে কিশোর অসুস্থ হয়। তাও সে জানায়নি। যেই হসপিটালে কিশোর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছিল, সেখানকারই একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে খবর পাই কিশোর অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করি। আমাকে চিন্তিত দেখে উল্টো ধমক, আরে চিন্তা করিস না, তেমন কিছু না। চামড়াটা কালো হয়ে যাচ্ছে। সেটাই টেস্ট করছে। বললাম, আসব? বলল, না, আমি কালই বাসায় চলে যাব। হাসপাতাল থেকে বাসায় গেলে তিন-চার দিন পরপর কথা হতো। হঠাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বলল, ‘আমি দু-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।’ জানতে চাইলাম, ‘কেন?’ কিশোর বলল, ‘একটু ডাক্তার দেখাব।’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওর তো এত সহজে ডাক্তার দেখাতে বিদেশ যাওয়ার কথা নয়। এর পরের ঘটনা তো সবাই জানেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ল। সে সময় হাসপাতালে প্রায়ই কিশোর এবং তার স্ত্রী ইতির সঙ্গে কথা হতো। কিশোরের ইচ্ছানুযায়ী সে সময় মাঝেমধ্যে কিশোরের শিষ্য মোমিনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে হতো। এভাবেই চলছিল। মে-র শুরুর দিকে কিশোরকে একটু খুশি খুশি মনে হলো। বলল, ‘কেমো প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই চলে আসব।’ ঢাকায় এসে অনেক পরিকল্পনার কথা জানাল। সবাইকে নিয়ে বসবে। একটা ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করবে। আমাকে বলল একটা সুন্দর নাম চিন্তা করতে। মে-র মাঝামাঝি ফিরতে পারবে। কিশোরকে আগেই বলে রেখেছিলাম, এসেই ঈদের অনুষ্ঠানে গাইতে হবে। কথা দিল গাইবে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানকে অনুরোধ করলাম কিশোরের জন্য গান লিখতে। বললাম, কিশোরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন গানের কথায় থাকে। যেভাবে সাবিনা ইয়াসমিনের রোগমুক্তির পর তাকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’তে প্রথম গান করেছিলাম। আমি জানি ১৩ মে কিশোর আসবে। সুতরাং গানটা আলাদাভাবে চিত্রায়ণ করব। তিনি লিখলেন,

‘কতো যে বিশাল-

এ দেশের মানুষের প্রাণ

ভালোবাসা জয় ক’রে

জনম জনম ধ’রে

এখানেই বেঁচে আছে জীবনের গান।’

না, জীবন নিয়ে অনেক গানই কিশোর গেয়েছে কিন্তু জীবন নিয়ে এই শেষ গানটি জীবন থাকতে কিশোরের আর গাওয়া হলো না। করোনার কারণে আমরা যেমন অনুষ্ঠান করতে পারিনি, অসুস্থতার কারণে কিশোরও মে মাসে আসতে পারেনি। ১০ জুন সিঙ্গাপুরে কিশোরের চিকিৎসক তাদের জানান, লিমফোমা আবার ব্যাক করেছে। সুতরাং তাদের আর কিছুই করার নেই। এসব কিছুই জানতে পারিনি। ১২ জুন সকালে হঠাৎ কিশোরের একটা ফোন পাই, ‘বন্ধু আমি ঢাকায়।’ ফোন পেয়ে আমি অবাক। বললাম, ‘আসার আগে একটু জানাবি না!’

‘জানিয়ে কী হবে?’

‘কেন?’

‘লিমফোমা ব্যাক।’

‘লিমফোমা ব্যাক মানে? ক্যান্সার ব্যাক করবে?’ জানতে চাইলাম।

কিশোর একটু জোর দিয়েই বলল, ‘ব্যাক করবে না, ব্যাক করেছে।’

‘তার মানে?’

‘মানে আর কিছুই নয়, আমার জার্নি শেষ। এখন রেডি টু ফ্লাই। কাউকে কিছু বলিস না। আমি কাল রাজশাহী যাব।’ বলেই ফোন রেখে দিল।

আমি হতভম্ব। খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হলো। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারও সঙ্গে কিছু বলতেও পারছিলাম না। এরপর তিন-চার দিন আর যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী থেকে দু-তিন বার কথা হয়েছে। বলছিল সময় ঘনিয়ে আসছে। শেষ কথা হয়েছিল মৃত্যুর তিন দিন আগে। কিশোরই ফোন দিয়েছিল, বলল, ‘দোস্ত! আর বোধহয় কথা বলতে পারব না। দোয়া করিস, কষ্টটা যেন কম হয়।’

শুনেছি ডাক্তারের কাছে ক্যান্সার ফিরে এসেছে শুনেই কিশোর মেনে নিয়েছিল অবধারিত মৃত্যুকে। সবাইকে একদিন মরতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নিতে বড়ই কষ্ট হয়। তার পরও মেনে নিতে হয়, কারণ মৃত্যু বড়ই সত্য। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। তার এ অকালমৃত্যুতে বাংলা সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এন্ড্রু কিশোর তার গানের মাধ্যমে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আসলেই কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

                লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মহান পয়লা মে
মহান পয়লা মে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
চাল নিয়ে চালবাজি
চাল নিয়ে চালবাজি
শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
সর্বশেষ খবর
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত
আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৮ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক

নগর জীবন

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল
পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর

রকমারি নগর পরিক্রমা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট
এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট

রকমারি নগর পরিক্রমা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সংশোধন
সংশোধন

খবর

উজ্জ্বলের আশাবাদ...
উজ্জ্বলের আশাবাদ...

শোবিজ

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু

দেশগ্রাম

সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ
সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ

মাঠে ময়দানে

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন