রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন

ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা প্রত্যাশিত

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার রক্ত যেন বৃথা না যায়। বঙ্গবন্ধু এ দেশকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিলেন। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাঁকে সে সময় দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধ পূরণে নিজের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, নিজের সবটুকু সাধ্য দিয়ে তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন। যাতে তাঁর আত্মা শান্তি পায় এবং রক্ত বৃথা না যায়। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হাজার বছরের সেরা অর্জন বলেই বঙ্গবন্ধুকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বাঙালি। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী দেশের জন্য স্বপ্ন দেখা শুধু নয়, সে পথে পৌঁছানোর জন্য নিরন্তর লড়াই চালিয়েছেন। স্বাধীনতার শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রকেই পাল্টে দিতে চেয়েছিল। তবে তারা সফল হয়নি, ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার পরও জনগণের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি সজীব থাকায়। স্বভাবতই জাতির পিতার স্বপ্নসাধ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা কবিগুরুর ভাষায় সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা দেশবাসীর ব্রত হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নসাধের বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকা পালন করবেন- এটি প্রত্যাশিত হলেও তা শুধু তাঁর একার দায়বোধ নয়। সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ের সঙ্গে পুরো জাতিকে একাত্ম হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধ পূরণ হওয়ার বিষয়টি সম্মিলিত প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর নাম বুকে ধারণ করে কৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে সে পরিচিতিকে আরও উজ্জ্বল করতে হবে।

সর্বশেষ খবর