শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

ভুট্টোর ফাঁসি ও জিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
ভুট্টোর ফাঁসি ও জিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

‘তিনি আমার কথা রাখলেন না। রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা।’ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে এভাবে বলা আছে জুলফিকার আলী ভুট্টোর কথা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে আলোচিত-সমালোচিত এই নাম। ’৭১ সালের গণহত্যার দায়ও তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। জাতিসংঘে গিয়েছিলেন বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায়। এরপর তিনি ছিলেন এই যুদ্ধের সুবিধাভোগীও। ভুট্টোর আচরণ, কার্যক্রম সব সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। যদিও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে যোগাযোগ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। আরব বিশ্বের স্বীকৃতি আদায় করতে বঙ্গবন্ধু যান পাকিস্তানে ওআইসি সম্মেলনে। ভুট্টোও বাংলাদেশ সফরে আসেন। সেসব আলাদা ইতিহাস। সে ইতিহাস লেখার জন্য এ লেখা নয়। এ লেখা ভুট্টোর করুণ পরিণতি নিয়ে। নিষ্ঠুর পতন ও ফাঁসি নিয়ে। পাকিস্তানের জমিদার পরিবারের সন্তান অক্সফোর্ডপড়–য়া জুলফিকার আলী ভুট্টোর চালচলন-বেশভূষা ছিল পাশ্চাত্য স্টাইলের। ধোপদুরস্ত চলতেন। ছিল এক ধরনের অহমিকাও। বাংলাদেশের সঙ্গে ভয়াবহ পরাজয়ের পর ইয়াহিয়ার কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ’৭৩ সালে সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রী হন। ’৭৭ সালে আবার নির্বাচিত হন। কিন্তু ক্ষমতায় আর থাকা হয় না। বেলুচ সংকট, রাষ্ট্রের ভিতরে নানামুখী অন্তর্ঘাতে সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান জিয়াউল হক। বিশ্বাস ও আস্থাভাজন হিসেবে জিয়াউল হককে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভুট্টো। বাংলার কসাই টিক্কা খানের উত্তরাধিকার হিসেবে জিয়াউল হককে এ দায়িত্ব দিতে পাঁচজনকে ডিঙাতে হয়েছিল। আর সাতজনকে ডিঙিয়ে জেনারেল মইনকে সেনাপ্রধান করেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু ইতিহাস সব সময় নিষ্ঠুরই হয়। ভুট্টো সে নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাননি। তার শেষ পরিণতি হয়েছিল করুণ। এমন পরিস্থিতির জন্য তিনি তৈরি ছিলেন না। লে. কর্নেল রাফিউদ্দিন উর্দু ভাষায় এ নিয়ে একটি বই লেখেন। বইটির নাম ‘ভুট্টো কা আখেরি ৩২৩ দিন’। এ বইতে অনেক কিছু উঠে এসেছে। রাওয়ালপিন্ডি জেলের নিরাপত্তা ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিলেন রাফি। অবসরের পর ভুট্টো অধ্যায় নিয়ে বই লিখে সাড়া জাগান। ভুট্টো নিজেও মৃত্যুর আগে কারাগারে বসে লিখেছিলেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হলে কী সর্বনাশ হবে পাকিস্তানের!

৩ এপ্রিল, ১৯৭৭। সন্ধ্যা ৬টা। রাওয়ালপিন্ডি কারাগারের একটি সেলের ফ্লোরে জাজিমের ওপর শুয়ে আছেন পাকিস্তানের দাপটশালী নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো। সামরিক শাসনের আগমুহূর্তের প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিন আগে তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। ভুট্টোর কক্ষে প্রবেশ করেন জেল সুপার ইয়ার মোহাম্মদ। সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল রাফিউদ্দিন, ম্যাজিস্ট্রেট বশির আহমেদ খান ও জেল চিকিৎসক সগির হোসেন শাহ। তিনি তাকালেন আগতদের দিকে। জেল সুপার ইয়ার মোহাম্মদ বললেন, ‘আমরা আপনার শেষ পরোয়ানা নিয়ে এসেছি। এখনই পড়ে শোনাতে চাই।’ ভুট্টো কোনো কিছু বলার আগেই জেল সুপার পড়তে থাকেন, ‘১৯৭৮ সালের ১৮ মার্চ লাহোর হাই কোর্টের জারিকৃত আদেশে আপনাকে নওয়াব মোহাম্মদ আহমেদ খানকে হত্যার অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।’ আদেশের বিস্তারিত এরপর পড়ে শোনানো হয়। জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে আপিল ও পরে রিভিউ পিটিশন খারিজের বিষয়ও। পরিশেষে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। তাই আপনার ফাঁসির আদেশ রাতে কার্যকর হবে।’ শান্তভাবে ভুট্টো পুরোটা শুনলেন। বিস্মিত হলেন। তারপর বললেন, ‘ফাঁসির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে আমাকে জানানো উচিত ছিল তোমাদের। সকালে আমার স্ত্রী, কন্যা এলো, তখনো জানালে না। তাদেরও কিছু বললে না।’ জেল সুপার কোনো জবাব দিলেন না। নুসরাত ভুট্টো ও বেনজির সাক্ষাৎ করেছিলেন বেলা ১১টায়। এ ব্যাপারে বেনজির তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, সেদিন তাদের হঠাৎ করে খবর দিয়ে নেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তা ছিল কারাগারে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেননি এ সাক্ষাৎই শেষ সাক্ষাৎ। এরপর আর কোনো দিন তাদের দেখা হবে না। এরপর তাদেরও আটক করা হয়। নেওয়া হয় অন্য কারাগারে।

এ ছাড়া সেদিন সাক্ষাৎ করেন আত্মীয় মনোয়ারুল ইসলাম ও মমতাজ। ভুট্টো জেল সুপারকে বললেন, ‘আমার দাঁতের অবস্থা খারাপ। চিকিৎসক নিয়াজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা দরকার ছিল। পারলে তাকে নিয়ে এসো।’ ভুট্টো আরও কিছু সময় পর গরম পানি আনতে বললেন জেলখানার কাজকর্মে সহযোগী আবদুর রহমানকে। বললেন, ‘শেভ করব।’ তিনি নতুন ব্লেড নিলেন শেভের জন্য। মুখে ফেনা তুললেন শেভিং ক্রিম দিয়ে। তারপর শেভ শেষ করলেন নীরবে। কর্নেল রাফিকে বললেন, ‘সকালে স্ত্রী-সন্তান এলো, তোমরা কিছু বললে না। ওদের সঙ্গে আমার শেষ দেখার প্রয়োজন ছিল। তোমরা এ রকম তামাশা না করলেই পারতে।’ জবাবে রাফি বললেন, ‘স্যার! আমরা আদেশ পালন করছি আর কিছু না। আপনি তো জানেন আমরা কেউ নই।’ তারপর তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আর কত ঘণ্টা সময় পাব?’ তারা বললেন, সাত ঘণ্টা। এই প্রথম তাকে একটু বিচলিত মনে হলো। রাত ৮টায় আবদুর রহমানকে বললেন গরম কফি বানিয়ে আনতে। কফি খেতে খেতে তার চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ল। তিনি অশ্রু মুছলেন। যার বর্ণনা কর্নেল রাফি বইতে দিয়েছেন। তারপর আবদুর রহমানকে বললেন, ‘জেলজীবনে তুমি অনেক করেছ আমার জন্য। এই সময়ে তোমার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করলে ক্ষমা করে দিও। আজ আমার মৃত্যু হবে। আমি আর কয়েক ঘণ্টার জন্য তোমার অতিথি।’ ৮টা ৪৫ থেকে ৯টা ৪৫- এক ঘণ্টা উইল লিখলেন। তারপর দাঁত ব্রাশ করলেন কিছুক্ষণ ধরে। মুখ ধুয়ে চুল আঁচড়ালেন। সিগারের পাইপ ও পোড়া কাগজ পরিষ্কার করলেন। নামাজের বিছানা গুছিয়ে রাখলেন টেবিলে। কারারক্ষীকে বললেন, ‘এক ঘণ্টা ঘুমাব। জাগিয়ে দিও।’

রাত ১২টা বাজার ১ মিনিট আগে তার কক্ষে প্রবেশ করলেন জেল সুপার, চিকিৎসক ও কর্নেল রাফি। ভুট্টো তখন গভীর ঘুমে। তাকে ডাকা হলো। তিনি উঠলেন না। আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। তার নাড়ি ও হার্টবিট পরীক্ষা করলেন চিকিৎসক। বললেন, ‘সব ঠিক আছে। সমস্যা তো দেখছি না।’ ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪ এপ্রিল। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় চার কারারক্ষী তাকে স্ট্রেচারে তুলে নিয়ে গেলেন ফাঁসির মঞ্চে। এরপর তিনি জেগে উঠলেন। চারদিকে তাকালেন। তার চেহারায় বিস্ময়! হতাশা। কোথায় তিনি? এ অবস্থায় পরিয়ে দেওয়া হলো কালো মুখোশ। একজন বললেন, ‘আপনি সাহসী মানুষ। স্বাভাবিক থাকুন।’ রাত ২টা ৪ মিনিটে কার্যকর হলো ফাঁসি। ৩০ মিনিট পর ফাঁসির মঞ্চ থেকে দেহ নামানো হয়। জেল চিকিৎসক আবার পরীক্ষা করলেন। তারপর ঘোষণা দিলেন ‘মৃত’। কারাগারের ভিতরে পিনপতন নীরবতা। মৃতদেহের গোসল শেষে তোলা হয় সেনাবাহিনীর ছোট্ট একটি ট্রাকে। সবকিছু দ্রুত করা হয়। কোথায় যেন তাড়াহুড়া সেনা সদস্যদের। সবকিছু হচ্ছে কঠোর গোপনীয়তায়। সতর্কতায়। কাকপক্ষীও যেন টের না পায়। সেনাশাসকদের ভয় ছিল বাইরে খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষ কারাগারে ভেঙে পড়তে পারে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভঙ্গ হতে পারে সামরিক শাসন। জীবিত ভুট্টোর চেয়ে মৃত ভুট্টোকে নিয়ে বেশি উৎকণ্ঠা! কারাগারে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও জানতেন না ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে। লাশ বহনকারী সেনাগাড়িটি বিমানবন্দরে গিয়ে থামে। ছোট একটি বিমানে লাশ নেওয়া হয় সিন্ধু প্রদেশের লারকানায়। ভুট্টোর পারিবারিক এলাকা। এ অঞ্চলের দাপটশালী জমিদার ছিলেন ভুট্টোর পূর্বপুরুষরা। সেনা-পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তায় দাফন সম্পন্ন হয় গরহি খুদা গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে। এভাবেই শেষ হয় পাকিস্তানের দাপুটে শাসক জুলফিকার আলী ভুট্টোর অধ্যায়।

ফাঁসির বিষয়টি কেন এত গোপন রাখা- এ নিয়ে বিবিসি কাজ করে। বিবিসি কথা বলে তখন দায়িত্ব পালনকারী একজন সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাহাত লতিফের সঙ্গে। পরে এ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল হন। সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার লতিফ বিবিসি রেডিওকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে মধ্যরাতে এ ফাঁসি কার্যকর হয়। সময়টা গোপন রাখা হয়। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী ভুট্টোর পরিবারকেও এ খবর জানানো হয়নি। বেনজির ও তার মা নুসরাত ভুট্টো সকালে সাক্ষাৎ করেন। ভুট্টো তখনো জানতেন না রাতে ফাঁসি দেওয়া হবে। গোপনীয়তা বজায় রাখা হয় সামরিক সিদ্ধান্ত অনুসারে। বেনজিরের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘কারাগারে ভুট্টো অবস্থানকালে রাতে ঘুমাতে পারতেন না। সেনারা তাকে উত্ত্যক্তের চেষ্টা করে; যাতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রতি রাতে তার ঘরের ছাদে উঠে বুটজুতা পরে দাপাদাপি করত। বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় এ কাজটি তারা করেছিল কারাবন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। তারা আশা করে বন্দী মেজাজ গরম করে রক্ষীদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় লিপ্ত হবে। বদমেজাজি কোনো সৈন্য তখন গুলি চালাবে।’ নিয়তি বলে কথা! বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যা করেছে তা-ই হলো ভুট্টোর সঙ্গে। ভুট্টো কারাগারে থাকাকালেও ভাবেননি নিষ্ঠুরভাবে ফাঁসি দেওয়া হবে। তিনি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতেন। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তেন। সব সংবাদপত্র দেওয়া হতো। রাত অবধি জেগে বিভিন্ন বই পড়তেন। সকালে ডিম ভাজা রুটি খেয়ে গরম কফির পেয়ালায় চুমুক দিতেন। তারপর ধরাতেন প্রিয় চুরুট। সেলের বাইরে হাঁটাহাঁটির অনুমতি ছিল কিছু সময়ের জন্য। তিনি হাঁটাহাঁটি করতেন। তার পর আবার নির্জন সেলে ফিরে যেতেন। মামলা চলাকালে তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত থাকার আগ্রহ ব্যক্ত করেন একবার। অনুমতি পেলেন। ধোপদুরস্ত কাপড় পরেই আদালতে গেলেন। বিচারকের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন। উচ্চ আদালতের একজন বিচারক ছিলেন ভুট্টোর সময়ের পররাষ্ট্র সচিব। ভুট্টো তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। নিয়তি বলে কথা! এই বিচারকই ছিলেন ভুট্টোর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বলিষ্ঠ। আর যে হত্যাকান্ডের দায়ে ফাঁসি হয় সে মামলাটি ভুট্টোর শাসনকালেই দায়ের। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছিল। মামলার বাদী প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদ আহমেদ রাজা কাসুরি। তার গাড়িতে বারবার হামলা হয়। একটি হামলায় তার বাবা নওয়াব মোহাম্মদ আহমেদ খান নিহত হন। কাসুরি এ হামলার জন্য ভুট্টো ও গোয়েন্দাপ্রধানকে দায়ী করেন। জিয়াউল হকের সামরিক শাসনকালে খারিজ হয়ে যাওয়া পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত হয়। মামলার বাকি আসামি ছিলেন সে সময়ের গোয়েন্দাপ্রধান ও সেই বিভাগের পাঁচ সদস্য। তাদের থেকে একজন সাক্ষীও হন। ভুট্টোর বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ আসে। বেশির ভাগ ছিল বিরোধী পক্ষকে কঠোরভাবে দমনের।

ভুট্টো ট্র্যাজেডির এ লেখা এখানেই শেষ করলে ভালো হতো। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো জিয়াউল হকের শেষ পরিণতি তুলে আনলে কেমন হয়। চুলের মাঝখানে সিঁিথ করতেন এই জেনারেল। ঠান্ডা  মাথায় ঘটাতেন অনেক কিছু। সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতায় আসেন। টানা ক্ষমতায় ছিলেন ১১ বছর। মারা যান রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায়। লাশও শনাক্ত করা যায়নি। সময়টা ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট। রাজধানী ইসলামাবাদের ৪০০ মাইল দক্ষিণে ভাওয়ালপুর থেকে ৬০ মাইল দূরে তেমওয়ালিতে মার্কিন আব্রামস ট্যাংকের মহড়া দেখতে যান প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক। সঙ্গে আরও পাঁচ জেনারেল। ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তাও। একই সময়ে তেমওয়ালিতে খুন হওয়া এক আমেরিকান নানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল ও প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হার্বাপ ওয়াসসোম। জিয়াউল হক তাদের দুপুরের খাবার খেতে আমন্ত্রণ জানান। খাবার শেষে সবাই আইসক্রিম খান। জিয়াউল হকসহ জেনারেলদের মেজাজ ভালো ছিল না। মহড়ার গোলা ঠিক লক্ষ্যতে আঘাত হানতে পারেনি। ১০ বারই পরীক্ষা হয়েছিল ব্যর্থ। বিষণœ মনে খাওয়া শেষে জিয়াউল হক নামাজ পড়েন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিকে তার সঙ্গে পাকওয়ান প্লেনে ফেরার আমন্ত্রণ জানান। আলাদা প্লেনে ফেরার কথা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের। প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ কূটনীতিকের পক্ষে অবজ্ঞা সৌজন্যে পড়ে না। প্রেসিডেন্টের প্লেন পাকওয়ানে ওঠেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্লেনটি আমেরিকার তৈরি সি-১৩০। ভিআইপি কেবিন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত। ককপিটে ছিলেন পাইলট, কো-পাইলট, নেভিগেটর ও প্রকৌশলী। ভাওয়ালপুর থেকে প্লেনটি যাত্রা করে ৩টা ৪৬ মিনিটে। গন্তব্যস্থল ইসলামাবাদ। কিন্তু ওড়ার পরই প্লেনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ভাওয়ালপুর টাওয়ারের সঙ্গে। গ্রামবাসী দেখতে পান বিমানবন্দর থেকে ১৮ মাইল দূরে নদীর ওপর পাকওয়ান ওঠানামা করছে। এডওয়ার্ড জেয় অ্যাপস্টেন লিখেছেন, তৃতীয় গোত্তায় মরুভূমিতে আছড়ে পড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী প্লেনটি। তারপর সোজা মাটির ভিতরে ঢুকে প্রচ- বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। ৩১ যাত্রীর সবাই নিহত হন। তাদের লাশও ঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টা ৫১ মিনিট। এ ব্যাপারে আমেরিকা ও পাকিস্তান অনেক তদন্ত করে। কিন্তু আমেরিকান তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। একজন রাষ্ট্রদূতকে হারিয়েও আমেরিকা ছিল নীরব! পাকিস্তানের তদন্ত কমিটি বলেছিল, খুব সম্ভবত অন্তর্ঘাত! প্লেনে ওঠানো আমের ঝুড়িতে বিস্ফোরক ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। সে বিস্ফোরকেই সুরক্ষিত বিমান বিধ্বস্ত হয়। জিয়াউল হকের মৃত্যুর পর নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন ভুট্টোকন্যা বেনজির। কিন্তু থাকতে পারেননি বেশিদিন। সে আরেক ইতিহাস! আজ থাকুক সে ইতিহাস।

 

             লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন
বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন
বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু
চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান
মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়লো ৪২ দোকান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত
হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪
বগুড়ায় অপহৃত তিন শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ভাগ্নের হাতে মামা খুন
ঝিনাইদহে ভাগ্নের হাতে মামা খুন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'এনসিপির কার্যালয় হবে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল'
'এনসিপির কার্যালয় হবে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের আশ্রয়স্থল'

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
জনতার হাতে মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা
টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি
৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০
গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ
টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো
বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে
এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ
আপিল বিভাগের রায়ে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর
কলেজের সামনেই মাথায় ঘাড়ে কোপ পরীক্ষার্থীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
বগুড়ায় ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নগর জীবন

এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে
এবার পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২
সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম