বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

পরিবহন নৈরাজ্যের অবসান হোক

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী করোনাকালে বাড়ানো ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া মঙ্গলবার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে তিন মাস পর আগের ভাড়ায় ফিরেছে গণপরিবহন। বাতিল করা হয়েছে দুই সিটে একজন বসার নিয়ম। স্বাভাবিক চলাচলে ফিরতে কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- আসনসংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার ও টিকিট বিক্রিতে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান এবং তাদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান, পানি ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রা শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীর হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধিসংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় মেনে চলতে হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী না নেওয়ার নিয়ম চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু বুধবার দাঁড়িয়ে যাত্রী না নেওয়ার নিয়ম মানা হয়নি রাজধানীর কোনো কোনো পরিবহনে। বাসচালক, হেলপার, কন্ডাক্টর, চেকার এবং কোনো কোনো যাত্রীর মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে সচেতনতা দেখা যায়নি। কোনো কোনো গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সরকার অনুমোদিত ভাড়ার তালিকা গাড়িতে প্রদর্শনের বিধান বাস্তবায়নে বিআরটিএ ও মালিক সমিতিকে অনুরোধ করলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। আইনে থাকলেও বাস-মিনিবাসে ভাড়ার তালিকা নেই। বিআরটিএর পক্ষ থেকে জোরালো তদারকির কথা বলা হলেও তা দেখা যায়নি। এ দায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ, ভ্রাম্যমাণ আদালত, ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে সোচ্চার ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এবারও আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়া ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সড়কের শৃঙ্খলার জন্য সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

সর্বশেষ খবর