শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসা ব্যয়

স্বাস্থ্য খাত নিয়মনীতির মধ্যে আনতে হবে

নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের সংবিধানেই রয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ বিষয়টি গুরুত্ব পায় ১৯৭৮ সালে সে সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের শহর বর্তমানে কাজাখস্তানের রাজধানী আলমা আতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে। এরপর দীর্ঘ সময় চলে গেছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যের কথা বলা হলেও ব্যবস্থার বদল খুব হয়নি। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ হিসেবে হয়তো হাসপাতাল করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে জনগণ আদৌ সেবা পেল কিনা বা সেবার মান কেমন- তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। ধনীরা চিকিৎসা নিচ্ছে দেশের দামি হাসপাতালে কিংবা বিদেশে। নামি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্য ব্যয় এত বেশি যে দরিদ্র মানুষের সেখানে ঠাঁই হয় না। প্রতি বছর বিদেশে চলে যাচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা যদি ভালো হতো, উন্নত হতো, তাহলে এত টাকা বিদেশে চলে যেত না। এ টাকা ধরে রাখতে হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করতে হবে। চিকিৎসার জন্য হাজার কোটি টাকা বিদেশে যাচ্ছে- এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ জন অবহিতকরণ’ সভায় তিনি এ তথ্য দিয়েছেন। তবে নগর স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। হাসপাতাল-গুলোর মান ও হাইজিন নিশ্চিত করা এক বড় চ্যালেঞ্জ। হাসপাতালগুলোর অবস্থা এমন যে সেখানে গিয়ে উল্টো অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বা রোগ বাঁধিয়ে ফেলেন। স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা সব দেশেই বড় একটি ব্যবসা। কিন্তু এখানে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা বা নৈতিক ব্যবসা নিশ্চিত করার বিষয়টি খুবই জরুরি। বেসরকারি খাতের চিকিৎসাসেবার ব্যয় বাড়ছে। ওষুধের দামের ওপরও এখন কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে নিয়মনীতির মধ্যে আনতে হবে। দেশের মানুষ যাতে দেশেই চিকিৎসা নেয়, আমাদের সে উদ্যোগ নিতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর