শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

জাহান্নামের আগুনে পুড়ে দেখি ইবলিশের হাসি

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
জাহান্নামের আগুনে পুড়ে দেখি ইবলিশের হাসি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, ‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর কোরআন তিলাওয়াত করি। সকালের নিজের চা-টা নিজে বানিয়ে খাই। আমার ছোট বোন রেহানা আছে। যে আগে ওঠে, সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুলও রয়েছে। সেও যদি ঘুম থেকে আগে ওঠে তাহলে সেও চা বানায়। তার আগে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে।’

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এখন তো করোনাকালে নামাজ পড়ে, চা খেয়ে বই-টই পড়ার থাকলে পড়ি। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি। গণভবনে একটা লেক আছে। সেই লেকের পাশে বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরি।’ ‘আমাদের বাবার শিক্ষা, রিকশাওয়ালাকে আপনি করে বলতে হবে। ড্রাইভারকে সাহেব বলতে হবে। বাড়ির কাজের লোকজনকে হুকুম দেওয়া যাবে না। আমরা সেই শিক্ষাই অর্জন করেছি। আমার বাসায় যারা কাজ করে, তাদের কখনো হুকুম দিই না। বলি, আমাকে এটা করে দিতে পারবে? সেই শিক্ষাই জাতির পিতা আমাদের দিয়েছেন।’

আমরা যখন রাজনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে নব্বই-উত্তর গণতন্ত্রের শুরুতেই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সংবাদ সংগ্রহে সারা দেশ তাঁর সঙ্গে সফর করি তখনই তাহাজ্জুদের নামাজ দিয়ে তাঁর জীবন শুরুর রিপোর্ট করি। বড় কেয়ারিং ছিলেন তিনি সফরসঙ্গীদের বিষয়ে। তিনি সংবাদপত্র খুঁটিয়ে পড়েন এবং বই পড়ার প্রবল নেশা রাখেন। কঠোর পরিশ্রমও করতে পারেন। শারীরিকভাবে ফিট, খাবারে পরিমিতিবোধ নিয়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড মনিটর করেন। তাঁর ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রমের গতিময়তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষিপ্রগতির জন্য তাঁকে অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্সও বলা হয়।

যাক, আমি ইতিহাসের রাজকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি ও শাসন নিয়ে লিখতে আসিনি। সংসদে সরল-সহজ ভাষায় তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তা আমাকে নস্টালজিক করেছে। তিনি পারিবারিক উত্তরাধিকারসূত্রে যেমন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান তেমনি একই ধারায় পিতার আদর্শে একজন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ। ধর্মের রাজনীতি যে ধর্মেরই হোক, মানবজাতিকে প্রতিহিংসার আগুনেই পোড়ায় না, সমাজ-সভ্যতা-মানবিকতাকে বিষাক্ত করে। সংসদে মুজিবকন্যার বক্তব্য আমাকে নস্টালজিক করেছে। আমার কাছে শেখ হাসিনা মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের স্নেহময়ী বড় বোনের প্রতীক।

আমাদের সেই সাদাকালো সময়ে মা-বাবা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে জীবন শুরু করতেন। ভোরের আলোয় কোরআন তিলাওয়াতের সুরে ঘুম ভাঙত। বোনদের কণ্ঠে সুরেলা আওয়াজে ‘ফাবি আইয়্যি আলা ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ এখনো কানে বাজে। আমাদেরও ফজর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করে পড়তে বসতে হতো। আট ভাইবোনের সংসারে পরিবার ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা গভীরে দিয়েছে। দিয়েছে অসাম্প্রদায়িক পাঠ মননে চেতনায়। স্বশিক্ষিত মা শিখিয়েছেন ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি’ এমন আদর্শলিপি। মানুষের প্রতি সহানুভূতি, মায়া-মমতা, সততা, আত্মমর্যাদা ও আভিজাত্যের পাঠ পরিবার থেকেই দেওয়া হয়েছে। আবেগ-অনুভূতিপ্রবণ সহজ-সরল জীবনের চিত্তসুখও সেখানেই পাওয়া। তখন যাত্রাপালা, কবিতা, গান, নাটক ব্যাপক হতো। আলেম-ওলামারা ধর্মপ্রচার করতেন। ওয়াজ মাহফিল হতো। ধর্মবিদ্বেষ ছড়াতেন না। একালে ওয়াজ করেন হেলিকপ্টারে চড়ে। মূল্যবান পোশাক, মোটা চাঁদা নেন। ভুলে যান মহানবী থেকে খলিফাদের সাধারণ জীবন। সবখানে লোভের আগ্রাসন।

সে সময়টা আদর্শিক রাজনীতির স্বর্ণযুগ। হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান মিলে আমাদের পাড়া থেকে শহরে এক আত্মিক সম্পর্কে জড়ানো ছিল। যিনি যে দল করেছেন কেউ তাকে দুর্নীতিবাজ, অপকর্ম, অপরাধের প্রশ্রয়দাতা বলেনি। পরিবারের বন্ধন হয়ে সামাজিক বন্ধন বড় শক্তিশালী ছিল। সমাজের শিক্ষাও অভিন্ন ছিল। সেই সহজ-সরল সাদামাটা নিরাভরণ জীবনের আদর্শিক পরিবার, সমাজ, রাজনীতি সারা দেশেই বহমান ছিল। সেনাশাসকরা অস্ত্র অর্থ পেশিশক্তির দখলদারি রাজনীতি চালু করলেও আদর্শিক শক্তিতেই সে শক্তি মোকাবিলা করা হয়েছে। অর্থ আর অস্ত্রই যদি রাজনীতির শক্তি হতো তাহলে আজ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির এমন করুণ দশা হতো না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যেসব ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসকে অস্ত্র ও পেশিশক্তিতে দাবড়িয়ে রাখত তাদের রাজনৈতিক দাফন কবে হয়ে গেছে। সশস্ত্র রাজনীতির রগকাটা শিবির এখন কোন গর্তে? রাজনীতি আদর্শ সৎ সাহসী নেতা সংগঠক ও জনগণের শক্তির ওপরই দাঁড়ায়। সে আদর্শিক রাজনীতির যৌবনকালটাতে রাজনৈতিক বাণিজ্য ছিল না। রাজনীতিবিদরা সাদামাটা জীবনে চলতেন। শুভাকাক্সক্ষীরা সহযোগিতা করতেন নির্বাচনে ও রাজনীতি চালাতে। অনেকে ভিটেমাটি বেচতেন। সব পেশার মানুষ, প্রশাসনসহ বাড়াবাড়ি করতেন না। মানুষের সম্মান সবার জন্য ছিল। এখন যেন এসব মিথ।

সে সময় জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে আদর্শিক জননেতা থেকে ছাত্রনেতারা ছিলেন আইডল। একজন জাতীয় বা কেন্দ্রীয় নেতা এলে জনসভায় সব দলের মানুষ যেত বক্তৃতা শোনতে। রসবোধ মানুষের কথা আর সরকারের সমালোচনা হতো। এখন চিৎকার হয়। অর্থবিত্তের অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই, ছিল পড়াশোনা ও জ্ঞান আহরণের তাগিদ ও নেশা। শিক্ষক লেখক সাংবাদিক সাহিত্যিকরা ছিলেন সমাজের বাতিঘর। সংবাদপত্র ও বইবিহীন বাড়ি ছিল না বললেই চলে। সবার বিনয়ী আচরণ আত্মমর্যাদাবোধ ছিল প্রখর। জীবন জৌলুসের চেয়ে চিত্তের আনন্দে ছিল ভরপুর। কার কত টাকা, কার কত সম্পদ, কার কত বড় প্রাসাদ এসব হিসাবে ছিল না। ক্ষমতার দম্ভ কখনো কোথাও দেখা যায়নি।

আজ সব বদলে গেছে। তখন ঘুষখোর, থানার দালাল, মিথ্যুক, টাউট বাটপাড়রা সমাজে ছিল অবহেলিত, ঘৃণিত। সমাজ এড়িয়ে চলত। উকিল মোক্তার শিক্ষকরাই বেশি ছিলেন নির্লোভ চরিত্রে রাজনীতির নেতৃত্বে। সেই মুগ্ধতায় ভরা একটা অসহ্য সুন্দর সমাজে আমরা বেড়ে উঠেছিলাম।

আজ অসহ্য কুৎসিত দয়ামায়াহীন লোভ হিংসা-বিদ্বেষে ভরা একটা অপরাধপ্রবণ কলুষিত বিকৃত সমাজে বসবাস। সেই অসহ্য সুন্দরকালে পৃথিবীজুড়েই নয়, আমাদের দেশ ও সমাজে সামনে-পেছনে চারদিকে তাকালেই আইডল দেখতাম। আমরা এতটা লোভের বিষে বিষাক্ত ছিলাম না। হিংসা-প্রতিহিংসায় আক্রান্ত ছিলাম না। এমন স্বপ্নহীন জীবন কখনো দেখিনি। লোভ, সন্দেহ অবিশ্বাস রক্তে মাংসে অস্থিমজ্জায় ছিল না। এমন করে দুর্নীতিকে কখনো ভালোবাসিনি। ঘুষকে দিইনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। রাজনৈতিক বাণিজ্য বলে শব্দ ছিল না। রাজনীতি মানেই আদর্শ, মানবকল্যাণ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। নেতা মানেই সাহসী নীতিমান। চরিত্রবান। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ থেকে সরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তা, লুটেরা ঠিকাদার, সমাজে দুর্বল, ঘৃণিত ছিল।

এখন সৎ নির্লোভ নেতা-কর্মীরা, বিনয়ী ভদ্র রাজনীতিবিদরা কোণঠাসা। যোগ্যতাই তাদের অযোগ্যতা, ভদ্রতা রুচি শিক্ষাই দুর্বলতা। এরা আজ সমাজে বিদ্রƒপ উপহাসের পাত্র। দুর্নীতি করতেও যোগ্যতা লাগে- এমন নির্লজ্জ অহংকারে নষ্টদের মিছিলে লোভে ভাসে সমাজে তথাকথিত শিক্ষিতরা। যে যত দুর্নীতিবাজ, যে যত মিথ্যুক, চাপাবাজ, আমিত্বের অহংকারে অন্ধ, লোভী, প্রতারক, যৌনবিকৃত সেসব নর-নারী একালের সমাজে প্রবল দাপটে। পরিবার, সমাজ লোকলজ্জার ভয় যার নেই তারাই প্রতাপশালী। কমিশন খায়, হোন্ডা-গুন্ডা পোষে সে-ই শক্তিমান দাপুটে নেতা। সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা-কর্মী ও মানুষ সৎ হলেও ওদের কাছে অসহায়। বিতর্কিত নষ্টরাই এখন ক্ষমতাধর প্রতিপত্তিশালী। সমাজে ভারসাম্য রক্ষা করা মধ্যবিত্তের একাংশ লোভে তলিয়ে গেছে। আরেক অংশ টিকে থাকার লড়াইয়ে। হাতে হাতে স্মার্টফোন, সন্তানদের বলি না গুগুল সার্চ করে জগদ্বিখ্যাতদের কাহিনি পাঠ কর। ইউটিউব থেকে বিকৃতি নয়, ফেসবুকে সংগ্রহ নয়, জানো বীরদের ইতিহাস। আলেকজান্ডার, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, আল্লাহর তরবারিখ্যাত ইসলামের ইতিহাসের বীর খালিদ বিন ওয়ালিদের গল্প বলি আমাদের জাতীয় বীর বাঘা সিদ্দিকী থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনি কি জানাই?

বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে পন্ডিত মর্যাদাবান আলোকিত শিক্ষক খুঁজে পাওয়া যায় না সেখান থেকে বের হওয়া ছাত্রছাত্রীরা লোভে গা ভাসাবে না সে গ্যারান্টি কোথায়? দেশের ছাত্ররাজনীতি যেখানে দেউলিয়া সেখানে আদর্শিক কর্মী-নেতার জন্ম হবে? এ অসহ্য ভয়ঙ্কর সমাজে অসংখ্য রাজনীতিবিদ নর-নারীর ড্রইংরুম থেকে খাবার টেবিলে উইনস্টন চার্চিল, আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, গান্ধী, বঙ্গবন্ধু, নেতাজি, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, বার্ট্রান্ড রাসেল, রবীন্দ্রনাথ কবে কোথায় কী বলেছিলেন তা আসে না। আসে বাণিজ্য, অর্থ, এলাকার নিয়ন্ত্রণ। এমপিদের আসরে ঠিকাদারি, উন্নয়ন কর্মকান্ডে কমিশন, টিআর কাবিখার ভাগ। হাট মাঠ ঘাট। প্রশাসনের কর্তাদেরও তাই। প্রতাপে কাটিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শেষে দেখে এমপি-মন্ত্রীর স্বপ্ন! এভাবেই চলছে দেশ। বেশ্যা ও তার দালালরা এখন ভরদুপুরে ভরা মজলিসের মধ্যমণি।

যৌন নিপীড়ক ও নিপীড়নের শিকার নর-নারী একসঙ্গে হাঁটে লোভের হিসাবে। ব্যক্তিত্বহীন নারী বিগলিত হয় ক্ষমতাবানের ভোগের প্রস্তাবে। নিজের সম্মান মর্যাদা বুঝবে কি, সস্তার কাতারে নামায় স্বার্থে! প্রতিবাদ দূরে থাক ঘৃণাও করতে পারে না। কি বিকৃতি নিয়ে শয্যায় শয্যায়, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে, তদবির বাণিজ্যের রমরমা হাটে। কেউ কাউকে সাহায্য করে না, তদবিরও এখন স্বীকৃত পেশা। আদালতপাড়া থেকে সচিবালয়, মন্ত্রিপাড়া থেকে ন্যাম ভবন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে দৌড়ায় দালালরা। শিক্ষকের কাছে ছাত্রী, ডাক্তারের চেম্বারে রোগী, ধর্মশালায় হুজুরের কাছে মাসুম বাচ্চারা লালসার শিকার। শিল্প-সাহিত্য কবিতা থিয়েটার সিনেমা এখন আলোচনায় আসে না। প্রচারবিমুখ দলমুক্ত পন্ডিত সাহিত্যিক গবেষক আলোচক সমালোচক খোঁজে না অনুষ্ঠানের চেয়ার।  মন্ত্রী ছাড়া কোথাও কোনো অনুষ্ঠানও হয় না। বঙ্গবন্ধু ’৭০ সালের আগে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে অতিথি হননি। বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা হতেন। কি চমৎকার ছিল সেই জ্ঞান আহরণের রাজনীতি ও সমাজের সময়।

অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন হঠাৎ। ভিতরে তরুণ পন্ডিত সৈয়দ আহমদের বক্তব্য শুনতে। হলভর্তি শ্রোতার সারিতে বসে শেরেবাংলা বললেন, শুনেছি ছেলেটি বলে ভালো তাই আমিও চলে এলাম। কেন তার আলোচনা শুনব না? সৈয়দ আহমদ সম্পর্কে শেরেবাংলার শ্যালক ছিলেন। পন্ডিত নেহরুর বোন বিজয় লক্ষ্মী পন্ডিত তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন মেধা, শিক্ষা বাগ্মিতায়। বিয়ে করতে চাইলে গান্ধী দেননি। ভারতের স্বাধীনতায় আহমদ আমেরিকায় গণজাগরণ ঘটান। প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টও পক্ষে আসেন। স্বাধীনতার পর নেহরু সৈয়দ আহমদকে মিসরে, বিজয় লক্ষ্মী পন্ডিতকে রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত করেন। তখন বিজয় লক্ষ্মী প্রায়ই মিসরে চলে যেতেন অবকাশে প্রেমের টানে। প্রেম ও রাজনীতিহীন এ কালে কেউ কারও কথা মন দিয়ে শোনেন না। মন্ত্রী-এমপিরা প্রধান অতিথির আসন ছাড়া যাবেন, ইজ্জতের বিষয়। সংসদে আসতে সবাই পাগল। কার্যপ্রণালি বিধি পড়তেও নারাজ। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কী বলবেন তাও জানেন না। ছাত্ররাজনীতি করে এসেও সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠ করেন লিখিত ভাষণ। সংসদ বোঝেন না বাণিজ্য ঠিক বোঝেন। দলের পদবি লাভে জ্যোতিষীর রত্ন মিলে ভাগ্য ফিরে। অর্থবিত্ত সম্পদ অঢেল হয়। এই নষ্ট রাজনীতির সিঁড়িতে তুলে আনা হয় পাপিয়া, সাহেদ, লুপা সহস্রজোড়া মুখ। সবখানে ঠাঁই হয় সমাদরে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির পবিত্র পোশাক সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি গায়ে মুজিবকোট পরে হাঁটে প্রতারক অভিযানে। দলও উপকমিটিতে ঠাঁই দেয়। বিএনপির শাসনে হাওয়া ভবনসহ নানাখানে যারা কামান তাদের টাকা কাজে লাগেনি খালেদা জিয়ার দুঃসময়ে। আজকের ব্যাংক ডাকাত, অর্থ পাচারকারী দুর্নীতির বরপুত্রদের টাকাও লাগবে না আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে। জেনারেল ওসমানীকেও সাজেদা চৌধুরীর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক করে ধানমন্ডি কমিটির সদস্যপদ নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ’৭০ সালে মনোনয়ন নিতে হয়। সেই ধারায় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী থেকে শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ কত যোগ দেন। দলের পদবি পেতেও সময় লাগত। এখন লাগে না। যখন তখন গার্মেন্ট মালিক মনোনয়ন পান, এমনকি দলের ওয়ার্কিং কমিটির নেতা হন প্রেস রিলিজে। যেন সামরিক শাসকদের দলের স্টাইলে ফরমান!

’৭৮-৭৯ সালে মতিয়া চৌধুরী যিনি ষাটের অগ্নিকন্যা ছিলেন তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলের মধ্যমণি তখন আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ। ’৮১ সালের সম্মেলনেও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হননি মতিয়া। দলে এলে তিন বছর লাগত পদলাভে। ’৭২ সালে দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক, আবদুর রাজ্জাক সাংগঠনিক সম্পাদক। তোফায়েল আহমেদ ওয়ার্কিং কমিটির সর্বকনিষ্ঠ ২৭ নম্বর সদস্য। অথচ আজ আসেন, দেখেন, জয় করেন। আতিক উত্তরের মেয়র। মহিউদ্দিন এমপি। সিদ্দিক সম্পাদক হলেন। তারা ভদ্র-ভালো মানুষ। কিন্তু দলের কবে সদস্য? দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী তারাই, যারা দেশে বিশাল বিনিয়োগ করেন। উৎপাদন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অর্থনীতিতে অবদান রাখেন। তাদের কতটা পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়? অর্থ পাচারকারী ব্যাংক লুটেরা দেশের শত্রু। এদের কেন ধরা হয় না? দুদক বোয়াল ধরে না, পুঁটি মাছ নিয়ে খেলে। এভাবে অর্থনীতি বাঁচে? অর্থ পাচারকারীদের ধরতেই হবে। ব্যাংক ডাকাতদের ধরতেই হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে।

এই আওয়ামী লীগই স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর রক্ত দেওয়া দল। কত নেতা মহাদুঃসময়ে সারা দেশে জন্ম নিল তারা না দলের পদে; না সংসদে না সরকারে। কেন? দেশে এ দল ছাড়া কোনো আদর্শিক গণমুখী দল নেই। এই দলের জনপ্রিয়তা রাখতে হবে। ভুলের সংশোধন অনিবার্য। কাল বিরোধী দলে গেলে আন্দোলন-কর্মসূচিতে কি সিদ্দিক ফার্মগেটে মতিয়ার মতো, মহিউদ্দিন রাসেল স্কয়ারে সামাদ আজাদ-নাসিমের মতো, আতিক তোফায়েলের মতো, মহাখালী থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রতিরোধ গড়বেন?

১৯৭৫ সালের কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনকবলিত আমাদের রাজনীতি ও সমাজে দিন দিন সব নীতি আদর্শ মূল্যবোধ নির্বাসিত। সামরিক শাসনকে দায়ী করা হলেও গণতন্ত্রের বিজয়ের পর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিও আর সেই আদর্শিক মূল্যবোধের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে পারেননি। রাজনীতিবিদরা কি আদর্শিক নেতা-কর্মী তৈরি, লালন ও নেতৃত্ব তৈরিতে অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালন করেছেন? করেননি। অনেকেই ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রভাব-প্রতিপত্তি কর্তৃত্ব রাখতে গিয়েই হোক আর নানা কারণেই হোক নিজের লোক প্রতিষ্ঠায় আদর্শিক কর্মীদের কোরবানি দিয়েছেন। অর্থবানদের দলে টেনেছেন। গণতন্ত্রের জমানায় ছাত্ররাজনীতির মৃত্যু ঘটেছে। নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বেও নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করেছেন। ’৯১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আদর্শিকদের ধরে রাখে। ’৯৬ সালেও অনেকটাই। তারপর বিশেষ করে গত এক যুগের শাসনে ক্ষমতার দম্ভে কি ভুল করছে না? ’৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের রাজনীতি প্রশংসনীয়। গ্রহণযোগ্য। তারপর সর্বনাশ!

বালিশ, পর্দাসহ সরকারি কর্মচারীদের কত লুট! পুকুর খনন থেকে গাড়ি দর্শনে বিদেশ যাত্রা। এখন শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার শিখতে বিদেশ যাবেন। ফাতরামির পর্যায়ে লুটপাট। সব সেক্টরে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। সরকারি আমলা, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কর্মচারী ছাড়া কখনো কোথাও দুর্নীতি সম্ভব না। একটা আদর্শহীন মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ে পতিত দেশ ও নষ্ট সমাজে আজ, আমাদের জাহান্নামের আগুনে পুড়ে দেখতে হয় ইবলিশের হাসি! শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি থিয়েটার চিত্রকর্ম, কবি ও কবিতা- এক কথায় সাহিত্য ও তার রসবোধ আসে না আড্ডার আসরে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নেই, পন্ডিত মর্যাদাবান শিক্ষকের আকাল, আছে সব পেশায় দলকানা দলদাস। রাজনীতি সে তো কারও বিনিয়োগ কারও বিনা বিনিয়োগে লাভ আর লাভ, হাত দিলেই ফলে সোনা। আমরা কেউ কোথাও দাঁড়াচ্ছি না, সরবে বলছি না আমাদের সেই আদর্শিক রাজনীতি, সেই মানবিক সমাজ ফিরিয়ে দাও। বঙ্গবন্ধু পরিষ্কার বলেছেন, তিনি একজন মুসলমান তবে রাজনীতিতে সেক্যুলার। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেশি ধর্মচর্চা করেন। কিন্তু রাজনীতিটা অসাম্প্রদায়িক। দলটি চরিত্র অনেক হারালেও মুক্তিযুদ্ধ ও সেক্যুলার রাজনীতিটা এখনো হারায়নি। আওয়ামী লীগকেই আজ দেশ ও সমাজকে সেই অসহ্য সুন্দর সময়ের আদর্শিক রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনীতিটা রাজনীতিবিদদের হাতে রাখতে ব্যবসায়ী-আমলাদের রুখতে হবে। জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ইউএনওদের দেহরক্ষী, বাড়িতে আনসার বসাতে হয়। আদর্শের সমাজ-রাজনীতি ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

এই মাত্র | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

১ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রয়লার  ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা
ব্রয়লার ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

২৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ
এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু
রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব
মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে
ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব
খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫
গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ
এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা
আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি
ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা