শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

অপারেশন ক্লিন হার্টের কথা ভুলে গিয়েছেন?

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
অপারেশন ক্লিন হার্টের কথা ভুলে গিয়েছেন?

১৮ বছর আগের ঘটনাপঞ্জি স্বভাব নিয়ন্ত্রিত পন্থায় ভুলে যাওয়ারই কথা। তবে ঘটনাগুলো যখন বিভীষিকাময় হয়, তখন কি তা আদৌ ভোলা যায়? ১৯৭১-এর গণহত্যার কথা কি কেউ ভুলতে পারবেন? তবে এখন যাদের বয়স ২৫-অনূর্ধ্ব তাদের তো সেই লোমহর্ষক ঘটনাগুলো জানারই কথা নয়। হ্যাঁ, আমি সেই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কু-প্রবর্তিত অপারেশন ক্লিন হার্টের কথাই বলছি, যেটি তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া প্রবর্তন করেছিলেন ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর। সেই দিনটিতে বেগম জিয়া এক নির্বাহী আদেশক্রমে তার নির্বাচিত ৪০ হাজার লোককে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাছাই করা লোকজনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করতে, গ্রেফতার করতে, জখম করতে, আহত করতে, বিকলাঙ্গ করতে, অঙ্গহানি ঘটাতে, তাদের সম্পত্তি দখল করাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে। এই ৪০ হাজার লোক নেওয়া হয়েছিল সামরিক বাহিনী, নৌবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ এবং আনসার থেকে।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, অতীতে আলেকজান্ডার, চেঙ্গিস খান, তৈমুর লং, সুলতান মাহমুদ, নাদির শাহ প্রমুখের মতো দুর্ধর্ষ, নিষ্ঠুর দিগি¦জয়ীরা অযথা হাজার হাজার নির্দোষ মানুষকে হত্যা করে পৈশাচিক আনন্দ ভোগ করত। কখনো বিজিতদের মনে ত্রাস সৃষ্টির জন্য, কখনো নিজেদের বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য, কখনো বা রক্তের হলি খেলার মাধ্যমে নিষ্ঠুর প্রবৃত্তিদায়ক আনন্দের জন্য। ইংল্যান্ডের পরপীড়ক, অত্যাচারী শাসক অষ্টম হেনরির নির্দেশনায় কয়েক হাজার লোকের মু-ুপাত ঘটেছিল, যার মধ্যে হেনরির দুজন স্ত্রীও ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মনগড়া অভিযোগ আনা হয়েছিল। হেনরিকন্যা প্রথম এলিজাবেথও নির্দয় হত্যাযজ্ঞে পিছিয়ে ছিলেন না। ফরাসি বিপ্লবের পর রেইন অব টেররের সময় হাজারো জেকোবাইনসদের গিলোটিনে মু-ুপাত করা হয়েছিল। বলশেভিক বিপ্লবের আগে রাশিয়ার জার রাজন্যবর্গ, অনেক ক্ষেত্রে রাসপুটিনের সহায়তায়, বহু লোক হত্যা করেছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসররা গণহত্যার সমস্ত বৈশ্বিক নজির ভেঙে রক্তগঙ্গা বইয়ে ছিল। অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিককালে ইন্দোনেশিয়ার ঘাতক সুহার্তো এবং চিলির কসাই পিনুসে যে হত্যার মহোৎসবে জড়িয়ে পড়েছিল তার জন্য পরবর্তীতে দুজনকেই আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। বয়সজনিত ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে সুহার্তোর বিরুদ্ধে মামলার সমাপ্তি ঘটানো হলেও পিনুসেকে তার পঙ্কিলতার প্রেতাত্মা এখনো ধাওয়া করছে।

উপরোল্লিখিত বর্বর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ছিলেন হয় রাজ্যলোভী রাজা বাদশাহগণ অথবা সর্বগ্রাসী বা কর্তৃত্বব্যঞ্জক অথবা স্বৈরশাসকগণ। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রথায় বিচারিক প্রক্রিয়া ভিন্ন সরকার বা সরকারপ্রধানের প্রকাশ্য নির্দেশনায় ওই ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটানোর কোনো উদাহরণ নেই, খালেদা জিয়ার উপরোল্লিখিত নজিরবিহীন প্রশাসনিক, অবৈধ, সভ্যতাবিবর্জিত নির্দেশ ছাড়া। খালেদা নির্দেশিত এই ত্রাসের আয়ুষ্কাল ছিল ১৬ অক্টোবর, ২০০২ থেকে ২০০৩-এর ৯ জানুয়ারি মোট ৮৫ দিন। এ নির্দেশ খালেদা এমনকি পার্লামেন্টকে পর্যন্ত অবহিত করেননি। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই জঘন্য নরহত্যার প্রকল্প গ্রহণ করে হঠাৎই ঘোষণা আসে। বলা হয়, দেশে অরাজকতা এবং সন্ত্রাস দমনের জন্যই নাকি এ নির্দেশ। অথচ আমাদের দেশের বিচার বিভাগের দক্ষতার ইতিহাস ২০০ বছরের বেশি পুরনো। ১৭৭৪ সালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে প্রথম ব্রিটিশ বিচার পদ্ধতির আদালত স্থাপনের পর থেকে এ উপমহাদেশে, আমাদের দেশসহ, গড়ে উঠেছে এক সুযোগ্য বিচারব্যবস্থা এবং প্রণীত হয়েছে সব ধরনের অপরাধ বিচারের আইন। তাই বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ অন্যান্য অমানবিক নির্দেশনার পেছনে যে খালেদার ভিন্নতর মতলব ছিল তা বলাই বাহুল্য।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বস্ত পত্রপত্রিকা রেডিও, টেলিভিশন এমনকি বিদেশি বিশ্বস্ত প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই বিচার ভিন্ন হত্যাকান্ডে যারা খুন হয়েছে তার সংখ্যা শতাধিক। তা ছাড়া অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যাদের অঙ্গহানি ঘটানো হয়েছে, যাদের বিকলাঙ্গ করা হয়েছে, যাদের বিনা পরোয়ানা এবং আদালতের নির্দেশ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছিল তার সংখ্যা শত সহস্র (হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী)। ভুক্তভোগীর সবাই বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক। ওই দুর্বিষহ দিনগুলোয় বিরোধী দলের হাজারো নেতা-কর্মী গা-ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

খালেদার পঙ্কিল কর্মকান্ড শুধু খুন, জখম, অঙ্গহানি, নির্যাতন, গ্রেফতার ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তার নির্দেশে যারা ওই সব পাপাচার বাস্তবায়ন করেছিল আইন এবং বিচারের হাত থেকে তাদের এবং খালেদা জিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার প্রয়াত স্বামীর অনুকরণে একটি অবান্তর এবং ধিকৃত দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করেন। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, নির্যাতন, অঙ্গহানি ঘটানো, জখম, বিকলাঙ্গকরণ, বেআইনি গ্রেফতার, সম্পত্তি জবরদখলসহ খালেদা জিয়া নিজে এবং যেসব ব্যক্তি উপরোক্ত অপরাধের জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতামুক্ত রাখার নিষ্ঠুর এবং পাপাচারী প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় সমাপ্ত হয়। কারণ মাননীয় হাই কোর্ট অবশেষে খালেদা প্রণীত অমানবিক ওই আইনটি শুরু থেকেই অবৈধ বলে বাতিল করে দেয়।

বেআইনি ঘোষিত ওই আইনটির কিছু অংশ নিচে হুবহু মুদ্রণ করা হলো : ‘যৌথ অভিযানে কৃত যাবতীয় কার্যাদির জন্য দায়মুক্তি

(ক) ১৬ই অক্টোবর, ২০০২ তারিখ হইতে ৯ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখ কার্যদিবস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার কর্তৃক ১৬ই অক্টোবর, ২০০২ তারিখে প্রদত্ত আদেশ এবং তৎপরবর্তী সময়ে প্রদত্ত সকল আদেশ, উক্ত আদেশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য কৃত যাবতীয় কার্য এবং উক্ত আদেশসমূহ বলে ও অনুসারে যৌথ অভিযানে নিয়োজিত শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য বা যৌথ অভিযানের অন্য কোন সদস্য বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত সময়ের মধ্যে তাহার দায়িত্ব বিবেচনায় প্রদত্ত আদেশকৃত আটক, গ্রেফতার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদসহ সকল প্রকার কার্য ও গৃহীত ব্যবস্থা, প্রচলিত আইনে ও আদেশ সমূহে যাহাই থাকুক না কেন, ১৬ই অক্টোবর, ২০০২ তারিখ প্রদত্ত আদেশ প্রদানকারী এবং উক্ত আদেশ বলে ও অনুসারে আদেশ প্রদানকারী এবং কার্য সম্পাদনকারী, এবং যৌথ অভিযানে নিয়োজিত শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণকে তজ্জন্য সর্বপ্রকার দায়মুক্ত করা হইল;

(খ) দফা (ক) এ উল্লিখিত ১৬ই অক্টোবর, ২০০২ তারিখে প্রদত্ত আদেশ বা তৎপরবর্তী সময়ে প্রদত্ত কোন আদেশ বা কার্যের দ্বারা কাহারও প্রাণহানি ঘটিলে, কাহারও জান বা মালের কোন ক্ষতি হইলে বা কাহারও কোন অধিকার ক্ষুণœ হইলে বা কেহ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা কেহ অন্য কোনভাবে সংক্ষুব্ধ হইলে তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আদেশ প্রদানকারীর বিরুদ্ধে বা কার্য নির্বাহীর বিরুদ্ধে বা উক্ত দফায় উল্লিখিত কোন সদস্য বা ব্যক্তি বা শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণের বিরুদ্ধে বা তাহাদিগকে আদেশ প্রদানকারীর বিরুদ্ধে বা উক্ত বাহিনীর কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বা যৌথ অভিযানে নিয়োজিত শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে বা সরকার বা সরকারের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে বা সরকারের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রকার দেওয়ানি বা ফৌজদারি মোকদ্দমা বা কার্যধারা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা চলিবে না বা তৎসম্পর্কে কোন আদালতের নিকট কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না এবং এতদ্সম্পর্কে বা এই প্রকার কোন মোকদ্দমা বা কার্যধারা কোন আদালতে দায়ের করা হইলে বা এই ধরনের কোন মোকদ্দমায় বা কার্যধারায় বা প্রশ্নের ভিত্তিতে কোন রায়, আদেশ বা সিদ্ধান্ত দেওয়া হইলে তাহা বাতিল, অকার্যকর হইবে বা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’

উক্ত হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া তথাকথিত আইনটি ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিশেষ গেজেটে প্রকাশিত হয়। এ আইনটি রিট মামলার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, যিনি বহু মানবাধিকার রক্ষার মামলা করে দেশে বিদেশে বিশেষভাবে সুনাম অর্জন করেছেন। হাই কোর্টোর মাননীয় বিচারপতিদ্বয় মাইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং আশরাফুল কামাল আইনটি বাতিল করে যে রায় প্রদান করেন তার মূল অংশবিশেষ সংক্ষিপ্ত আকারে নি¤েœ প্রকাশিত হলো বাংলায় অনুবাদ করে :

‘‘এই মামলার বাদী সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট, যিনি বিগত বছরগুলোতে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছেন সংবিধানের প্রাধান্য এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে। যাই হোক ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন ২০০৩’ নামে একটি আইন ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রণয়ন করা হয় যার দ্বারা সকল শৃঙ্খলাভুক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অন্য সকল সরকারি কর্মকর্তা যারা ২০০২ সালে ১৬ অক্টোবরে জারিকৃত সরকারি নির্দেশ পালনার্থে বিভিন্ন জনকে আটক, গ্রেফতার, তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ এবং অন্য কোন কর্মপন্থা, যাহা ২০০২ সালের ১৬ আগস্ট থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে পালন করেছেন অথবা তৎপরবর্তী কোন সময়ে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ দায়মুক্তি বা ইনডেমনিটি প্রদান করা হয়। উক্ত আইনে ৩(খ) ধারায় বলা হয়েছে উক্ত সরকারি নির্দেশ পালনকল্পে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোন কর্মকান্ডে কারো জীবন, স্বাধীনতা অথবা সম্পদ বিনষ্ট হয়ে থাকলে, অথবা কেউ মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ উক্ত সরকারি নির্দেশ পালনকারী কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন ধরনের মামলা করতে বা প্রতিকার প্রার্থনা করতে পারবেন না। ৩(খ) ধারায় আরো বলা হয়েছে যদি ক্ষতিগ্রস্ত কেউ ক্ষতির প্রতিকার বা বিচার প্রার্থনা করে কোন আদালতে কোন মামলা করে থাকেন তাহলে সে মামলা বা কোন আদালত যদি সে ধরনের কোন মামলার প্রেক্ষিতে কোন রায় বা আদেশ বা সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন তাহলে সে মামলা বা রায় বা আদেশ বা সিদ্ধান্ত বাতিল এবং অপ্রয়োগযোগ্য বলে গণ্য হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস দমন, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের ধুয়া তুলে সরকার ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর অপারেশন ক্লিন হার্ট নাম দিয়ে শৃঙ্খলা বাহিনীসমূহকে দেশব্যাপী অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। সে মর্মে নির্দেশিত হয়ে তারা ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যান। ওই অভিযানকালে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অবাধে এবং অব্যাহতভাবে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেআইনি কার্যকলাপ করেছেন বলে ক্রমাগত অভিযোগ পাওয়া যায়। বহু লোককে হত্যা, নির্যাতন, বেআইনি গ্রেফতার, জনগণের সম্পত্তি বেআইনি দখল, অঙ্গহানি ঘটানো, হয়রানিসহ অপারেশন ক্লিন হার্টের সদস্যরা বহুবিধ ভয়ঙ্করী অপরাধ করেছে। বাহিনীর হেফাজতে বহু লোককে হত্যা, বিকলাঙ্গ করা হয় এবং তাদের অঙ্গহানি ঘাটনো হয়। ওই সময় প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বাসযোগ্য পত্রপত্রিকা এবং বিদ্যুৎচালিত সংবাদমাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ব্যাপক আকারে বহু জঘন্য অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য এবং সংবাদ প্রকাশ করা হয়। দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং অন্যান্য দৈনিক পত্রিকায় জনগণের মারাত্মক দুর্দশার খবর এবং বাহিনীর লোকদের দ্বারা সংঘটিত নিষ্ঠুরতা ছাড়াও বাহিনীর হেফাজতে হত্যা করার খবর প্রকাশিত হয়। ওই সকল গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই ৮৫ দিনের অভিযানকালে কমপক্ষে ৪৩ জনকে হেফাজতে রাখাকালে হত্যা করা হয়। বাহিনীর কর্মকান্ডে ভুক্তভোগী সবাই দেশের ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে বিচার চাইতে পারেন। বাহিনীর সদস্যরা যাদের খুন করেছে তাদের পোষ্যরা সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে মামলা করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। যেহেতু ২০০৩ সালে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) আইনের শাসনের এবং সংবিধানে প্রদত্ত মানবাধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক এটি আইনবহির্ভূত এবং অবৈধ বলে ঘোষিত হওয়ার যোগ্য।”

“যৌথ বাহিনীর সদস্য এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী আইনের ঊর্ধ্বে নয়। হেফাজতে নির্যাতিতদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নির্যাতকদের শাস্তি চেয়ে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার।”

“কিন্তু নির্যাতকদের আইনি সুরক্ষা দিয়ে ২০০৩ সালে দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের কারণে ভুক্তভোগী বা তাদের পোষ্যরা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। কিন্তু এ ধরনের দায়মুক্তি আইন আইনের শাসনের তত্ত্বের পরিপন্থী অথচ আইনের শাসনই হচ্ছে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি। সেহেতু ওই আইনের ৩(ক) ধারা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। ওই আইন দ্বারা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি প্রদান করে তাদের আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া হয়েছে, যার দ্বারা সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের সমান অধিকারের বিধান ধ্বংস করা হয়েছে।

আমরা দেখতে পাই আইনটি দ্বারা ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনের কবল থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের নিরঙ্কুশ দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যারা মারাত্মকভাবে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গ করেছে। এ ধরনের দায়মুক্তি অচিন্ত্যনীয়, অযৌক্তিক, বর্বরতাসুলভ এবং সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের প্রতি ধ্বংসাত্মক।”

“এই মামলার সাথে প্রদত্ত কাগজ থেকে এটা পরিষ্কার যে ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে যৌথ বাহিনীর দ্বারা বিকলাঙ্গ হয়ে, আহত হয়ে, অঙ্গ হারিয়ে, তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করার কারণে শত সহস্র নাগরিক মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদুপরি যেসব নাগরিককে যৌথ বাহিনী হত্যা করেছে তাদের পোষ্যরা নিহতদের উপার্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।”

“উপরের আলোচনার আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত দিচ্ছি যে উক্ত দায়মুক্তি আইনটি মোটেও কোন বৈধ আইন নয় এবং তৎকারণে অবৈধ আইন বলে ঘোষিত হওয়ার যোগ্য, যার কারণে এটি শুরুর থেকেই অবৈধ এবং আইনবহির্ভূত।” “এ কারণে মামলাটির পক্ষে রায় দেওয়া হলো। অপারেশন ক্লিন হার্টের কারণে যারা বর্বর, নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা, যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের পোষ্যরা ইচ্ছা অনুযায়ী হত্যা, নির্যাতনকারীদের শাস্তি চেয়ে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইচ্ছামতো আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।”

অপারেশন ক্লিন হার্ট থেকেই আমাদের দেশে জঘন্য বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়।

               লেখক : সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু
৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ
ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা
পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা
ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা
কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব
কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’
‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’
যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?
এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা
ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম

সাহিত্য

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড
মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি

সম্পাদকীয়

কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল

সাহিত্য

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ

সাহিত্য

শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

সম্পাদকীয়