শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২১

এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

বাংলাদেশের ছিমছাম নিরুত্তাপ ম্রিয়মাণ রাজনীতি এক অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে। নিঃসন্দেহে এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। সত্যি কথা বলতে কি, ঝড় ওঠার আগে আকাশ গম্ভীর ও রুদ্ররোষ ধারণ করে। এটি তাও নয়। নীরব, নিথর, নির্জীব পরিবেশটি বাংলাদেশে অভূতপূর্ব। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে। পৃথিবীজোড়াই আজকে রাজনৈতিক অঙ্গন কেমন যেন নিস্তব্ধ ও নিষ্ক্রিয়। গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শিবির- উভয় শিবিরেই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী নামক গ্রহটি রাজনৈতিকভাবে কখনই এতটা নিষ্প্রভ, নিথর ও নিস্তব্ধ ছিল না। এ নিস্তব্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার মাঝে সুখের আবিরমাখানো একটা স্নিগ্ধ আবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে আবেশটি করোনা নামক অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ও অনাকাক্সিক্ষত একটি জীবাণু সারা বিশ্বকে শুধু স্তম্ভিত ও শঙ্কিতই করেনি, অনেকটা পরস্পরের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস অসংখ্য প্রাণ যেমন সংহার করেছে, তেমন তার আসুরিক নৃত্য থামাতে বিশ্বমানবতা একযোগে এ মহামারীকে রুখবার মহতী উদ্যোগে ব্রতী হয়েছে। গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র উন্নত-অনুন্নত উন্নয়নশীল- বিশ্বের সব দেশের ও প্রান্তের সব মহতী প্রাণ একটি মহান সাধনায় ব্রতী হয়েছেন, করোনাভাইরাসকে রুখবার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র আবিষ্কারের সাধনায়। এ সাধনার সমুদ্রমন্থনে তারা যেটুকু অমৃত পেয়েছেন বা পাবেন তা অকাতরে অম্লান হৃদয়ে ও নিঃসংশয় চিত্তে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বকে বিমুগ্ধ করার এহেন মহান প্রয়াস পৃথিবী নামক গ্রহটির সব মনুষ্য জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে, বিমোহিত করেছে।

একবার একটি প্রতিভাপ্রদীপ্ত ছাত্র বার্ট্রান্ড রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে? জ্ঞানতাপস বার্ট্রান্ড রাসেল জ্ঞানের প্রবাহে হিমাচলের উচ্চতায় যাঁর অবস্থান- জবাবে বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা বলা অত্যন্ত দুরূহ ও দুষ্কর। অসম্ভব ও অকল্পনীয় বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতের পরও আদৌ মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব থাকলে তাদের গড়ন-গঠন ও আকৃতিতে তারা হবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এখন অত্যন্ত আদরের নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্বপুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরবের ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটিকে আমার প্রতীতি বলা চলে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার থাকে বটে, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন ও পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ অগণিত প্রশাসনিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্রোতধারাকে সুশৃঙ্খল ও সুসংহতভাবে পরিচালনা, ধর্ম-কর্ম, জীবনপ্রবাহের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকান্ডগুলোকে সচল রাখতে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করাই মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজন ও ক্ষেত্র বর্ণনায় বলেছেন- হবস্, লক, রুশো রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন- দেশের নাগরিকরা শুধু ট্যাক্স প্রদানই করে না, রাষ্ট্রের কাছে তাদের কিছু অধিকার গচ্ছিত রাখে। তাদের নিজস্ব ও ন্যায্য অধিকার কেউ যেন লুণ্ঠন করতে না পারে সে প্রত্যাশায়। যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আনুগত্যের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেহেতু রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব-সচেতন হওয়া নিতান্ত জরুরি বটে। হবস্, লক, রুশো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করে গেছেন যে, নাগরিকের রাষ্ট্রকে প্রদেয় ট্যাক্স ও রাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত কিছু অধিকার এবং তার বিনিময়ে নাগরিকের ধর্ম-কর্ম ও জীবিকানির্বাহের পথ বিনির্মাণের নিষ্কলুষ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে যে সরকার (ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তো তা বিশ্বাস করেই, শ্রমিকরাজ বা সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উত্তরসূরিরাও আজকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন) দোষত্রুটি, ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও জনগণের নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিকাশ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত হয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রপিতামহ দার্শনিক প্লেটো বলেছেন- রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হলেও রাষ্ট্র শাসিত হবে একগুচ্ছ প্রতিভাপ্রদীপ্ত অভিজাত শ্রেণির মাধ্যমে। সেখানে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান তিনি রাখেননি। তাঁরই শিষ্য অ্যারিস্টটল গুরুর অভিব্যক্তি অস্বীকার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বিধান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন। সেই প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড জি লাস্কি পর্যন্ত অনেক গবেষণা পর্যালোচনা এবং নানাবিধ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শেষমেশ ওই একই কথা- ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাহার থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে রাজনৈতিক সংগঠন। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দর্শন নিয়ে প্রতিভাত হয়। আর সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পুঁজি করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সর্বজনীন সত্য। গণতন্ত্র সফল করতে হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের অত্যন্ত প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল, সভা ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের কর্মসূচি ও অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে জনমত গঠন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন কুড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে দেশ পরিচালনায় চার/পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ধারায়ও দুটি পদ্ধতি পৃথিবীতে সফলভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয়- এ দুটি রাষ্ট্রশাসনের স্বীকৃত ধারা। বাংলাদেশে অনেক টানাপোড়েন ও উত্থান-পতনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সংসদীয় ধারা প্রবর্তিত হয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিরলস ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন ও তা টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তারা অর্জন করেছে নির্বাচনী ম্যান্ডেট সম্বল করে। নিরস্ত্র মানুষগুলোকে সশস্ত্র হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেখেছি। ’৭১-এর বিজয়োত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়যাত্রা বিশ্ববাসী বিমুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করেছে। আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠায় বামধারার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হোঁচট খেতেও বেদনাহত চিত্তে বাংলাদেশকে দেখতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র অবলুপ্ত হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষিত হয়ে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির অপশাসন জাতীয় চেতনাকে সমূলে গ্রাস করেছে। তা সত্ত্বেও এ চিরবিজয়ী জাতি আবারও মেরুদন্ড খাড়া করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে- তাদের চেতনা ও বিশ্বাসের বিজয় সাধন করেছে। এ বিজয়ের অগ্রদূত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। তাদেরই অদম্য উৎসাহ, নির্যাতন-নিগ্রহ সহ্য করে পথপরিক্রমণ এবং পথপরিক্রমণের ফলেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয় চেতনা পুনরর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিজয়ের বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। বাঙালি মার খেয়ে খেয়ে মরে যায়নি। বাংলার সূর্যস্নাত আকাশ আলোয় ভরা মাটি অন্ধকারের গহ্বরে অনন্তকালের জন্য কেউ নিমজ্জিত করতে পারেনি।

দেশ যেমন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শোকাবহ স্মৃতি বক্ষে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে, তেমনি বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিমালিকানার উদগ্র প্রচেষ্টায় যে সফলতা অর্জন করেছে, তা বিশ্বকে অবাক না করে পারে না। রপ্তানির দিক থেকে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিবর্গ একটি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে ২২ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ না করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন না করে, ক্যাসিনো ও কালোবাজারির আশ্রয় না নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিল্পোন্নয়নের পথে যদি তারা ভাগ্যটি নির্মাণ করে থাকেন, নিষ্ঠুর সমালোচনা না করে তাদের সাধুবাদও তো জানাতে হয়। আজকে দেশের যে আর্থিক উন্নয়ন, এটি তো বায়বীয় বিষয় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকারখানা প্রতিস্থাপন, কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু সুযোগ সৃষ্টির ফলে এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যে কোনো অর্থনীতির মূলসূত্রই হলো কর্মকান্ডের সংস্থান তৈরি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যক্তিমালিকানার উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন ও পরিবর্তন। আবাদি জমির পরিমাণ এক ইঞ্চিও বাড়েনি, নগর-বন্দর গড়ে ওঠার ফলে বরং কমেছে। তবু আল্লাহর রহমতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত না হলেও আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আরেকটু উদ্যোগী হতে পারলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশও হতে পারব, ইনশা আল্লাহ। তা আজ আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়, বরং অনেকটাই হাতের নাগালে। আমি যেখানে বাস করি, সেই গুলশান সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের আবাসস্থল। ওখানকার বহু অট্টালিকার ছাদ শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছে ভরা। আমি অনেক পরিবারকে চিনি, যারা সবজি তো কিনে খান-ই না, ক্ষেত্রবিশেষ আপনজনদেরও দেন।

আমি বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদকে ফল-ফুলের বাগানে পরিণত করার উদ্যোগকে তাদের উদ্গত উচ্ছ্বসিত মানসিকতাকে আমার উদ্বেলিত চিত্তের শুভেচ্ছা জানাই। বসে না থেকে কিছু কর- এ মানসিকতা মনের বিষণ্ণতা ও হতাশাকেই কাটায় না, উপার্জনেরও পথ বিনির্মাণ করে। বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদের ক্ষেত্রগুলো তারই দৃষ্টান্ত বহন করে। আরও মজার কথা, যাদের দখলে ছাদ নেই, তাদেরও অনেকে বারান্দায় ঝুলন্ত শিকায় ফুল ও ফলের চাষ করছেন সফলভাবে। এ মানসিকতা ও মনন সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করে। এটি শুধু ফুল ও ফলেরই জন্ম দেয় না, সৃজনশীল মানসিকতারও জন্ম দেয়।

আততায়ীর গুলিতে নিহত আমেরিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর নির্বাচনী বিজয়োত্তর এক ভাষণে বলেছিলেন My fellow Americans: ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country. My fellow citizens of the world: ask not what America will do for you, but what together we can do for the freedom of man. আমেরিকার রাজনীতিসচেতন সমাজে এটি অত্যন্ত সমাদৃত একটি উক্তি।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ মাতৃভূমি আজকে কেন জানি না অনেকটাই স্থবির এবং নিষ্প্রভ। গণতন্ত্রের সেই জাজ্বল্যমান আলোকরশ্মিতে ভরা দেশটিতে আবার যেন ক্রমেই আঁধার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংসদ তো বটেই, রাজপথেও দাবি আদায়ের উত্তাল মিছিলের পদচারণ, রাজপথের মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতে দাবি আদায়ের স্লোগান তুলতে দেখা যায় না। সংসদ থেকে রাজপথ- সবটাই যেন নিষ্প্রভ, নিস্তব্ধ ও প্রতিবাদহীন। এ বাংলার চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেদনাদায়ক। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থাটা চলে যাচ্ছে। অথচ কে না জানে, নির্বাচন গণতন্ত্রের বর্ম। ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার অন্ধ অহমিকায় সরকারি দলও যদি এ গুমোটধরা অস্বস্তিকর পরিবেশটাকে নির্বিকারভাবে মেনে নেয়, তাহলে গণতন্ত্র তো বটেই, দেশের সার্বভৌমত্বও আশঙ্কার সংকটে পড়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি অনীহার এ সংকট থেকে উত্তরণের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের; আপনার আমার সবার। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটই যে দেশটির জন্য লড়াই করার দ্বার উন্মোচিত করে মানুষের চিত্তকে শানিত করে, উপলব্ধিকে তীক্ষè করে, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার অবলুপ্তি হলে এ দেশটির মান-মর্যাদা তো বটেই, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত আশঙ্কার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করে। নাগরিক অধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাপ্রিয় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে- এটিই মূল সত্য। এ সত্য যত কঠিনই হোক- এ উপলব্ধিকে বরণ করতে হবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

২৭ মিনিট আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

৩২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

৩৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন
ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন
কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা