শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২১

এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

বাংলাদেশের ছিমছাম নিরুত্তাপ ম্রিয়মাণ রাজনীতি এক অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে। নিঃসন্দেহে এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। সত্যি কথা বলতে কি, ঝড় ওঠার আগে আকাশ গম্ভীর ও রুদ্ররোষ ধারণ করে। এটি তাও নয়। নীরব, নিথর, নির্জীব পরিবেশটি বাংলাদেশে অভূতপূর্ব। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে। পৃথিবীজোড়াই আজকে রাজনৈতিক অঙ্গন কেমন যেন নিস্তব্ধ ও নিষ্ক্রিয়। গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শিবির- উভয় শিবিরেই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী নামক গ্রহটি রাজনৈতিকভাবে কখনই এতটা নিষ্প্রভ, নিথর ও নিস্তব্ধ ছিল না। এ নিস্তব্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার মাঝে সুখের আবিরমাখানো একটা স্নিগ্ধ আবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে আবেশটি করোনা নামক অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ও অনাকাক্সিক্ষত একটি জীবাণু সারা বিশ্বকে শুধু স্তম্ভিত ও শঙ্কিতই করেনি, অনেকটা পরস্পরের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস অসংখ্য প্রাণ যেমন সংহার করেছে, তেমন তার আসুরিক নৃত্য থামাতে বিশ্বমানবতা একযোগে এ মহামারীকে রুখবার মহতী উদ্যোগে ব্রতী হয়েছে। গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র উন্নত-অনুন্নত উন্নয়নশীল- বিশ্বের সব দেশের ও প্রান্তের সব মহতী প্রাণ একটি মহান সাধনায় ব্রতী হয়েছেন, করোনাভাইরাসকে রুখবার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র আবিষ্কারের সাধনায়। এ সাধনার সমুদ্রমন্থনে তারা যেটুকু অমৃত পেয়েছেন বা পাবেন তা অকাতরে অম্লান হৃদয়ে ও নিঃসংশয় চিত্তে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বকে বিমুগ্ধ করার এহেন মহান প্রয়াস পৃথিবী নামক গ্রহটির সব মনুষ্য জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে, বিমোহিত করেছে।

একবার একটি প্রতিভাপ্রদীপ্ত ছাত্র বার্ট্রান্ড রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে? জ্ঞানতাপস বার্ট্রান্ড রাসেল জ্ঞানের প্রবাহে হিমাচলের উচ্চতায় যাঁর অবস্থান- জবাবে বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা বলা অত্যন্ত দুরূহ ও দুষ্কর। অসম্ভব ও অকল্পনীয় বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতের পরও আদৌ মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব থাকলে তাদের গড়ন-গঠন ও আকৃতিতে তারা হবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এখন অত্যন্ত আদরের নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্বপুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরবের ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটিকে আমার প্রতীতি বলা চলে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার থাকে বটে, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন ও পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ অগণিত প্রশাসনিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্রোতধারাকে সুশৃঙ্খল ও সুসংহতভাবে পরিচালনা, ধর্ম-কর্ম, জীবনপ্রবাহের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকান্ডগুলোকে সচল রাখতে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করাই মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজন ও ক্ষেত্র বর্ণনায় বলেছেন- হবস্, লক, রুশো রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন- দেশের নাগরিকরা শুধু ট্যাক্স প্রদানই করে না, রাষ্ট্রের কাছে তাদের কিছু অধিকার গচ্ছিত রাখে। তাদের নিজস্ব ও ন্যায্য অধিকার কেউ যেন লুণ্ঠন করতে না পারে সে প্রত্যাশায়। যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আনুগত্যের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেহেতু রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব-সচেতন হওয়া নিতান্ত জরুরি বটে। হবস্, লক, রুশো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করে গেছেন যে, নাগরিকের রাষ্ট্রকে প্রদেয় ট্যাক্স ও রাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত কিছু অধিকার এবং তার বিনিময়ে নাগরিকের ধর্ম-কর্ম ও জীবিকানির্বাহের পথ বিনির্মাণের নিষ্কলুষ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে যে সরকার (ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তো তা বিশ্বাস করেই, শ্রমিকরাজ বা সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উত্তরসূরিরাও আজকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন) দোষত্রুটি, ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও জনগণের নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিকাশ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত হয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রপিতামহ দার্শনিক প্লেটো বলেছেন- রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হলেও রাষ্ট্র শাসিত হবে একগুচ্ছ প্রতিভাপ্রদীপ্ত অভিজাত শ্রেণির মাধ্যমে। সেখানে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান তিনি রাখেননি। তাঁরই শিষ্য অ্যারিস্টটল গুরুর অভিব্যক্তি অস্বীকার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বিধান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন। সেই প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড জি লাস্কি পর্যন্ত অনেক গবেষণা পর্যালোচনা এবং নানাবিধ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শেষমেশ ওই একই কথা- ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাহার থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে রাজনৈতিক সংগঠন। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দর্শন নিয়ে প্রতিভাত হয়। আর সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পুঁজি করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সর্বজনীন সত্য। গণতন্ত্র সফল করতে হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের অত্যন্ত প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল, সভা ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের কর্মসূচি ও অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে জনমত গঠন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন কুড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে দেশ পরিচালনায় চার/পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ধারায়ও দুটি পদ্ধতি পৃথিবীতে সফলভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয়- এ দুটি রাষ্ট্রশাসনের স্বীকৃত ধারা। বাংলাদেশে অনেক টানাপোড়েন ও উত্থান-পতনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সংসদীয় ধারা প্রবর্তিত হয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিরলস ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন ও তা টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তারা অর্জন করেছে নির্বাচনী ম্যান্ডেট সম্বল করে। নিরস্ত্র মানুষগুলোকে সশস্ত্র হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেখেছি। ’৭১-এর বিজয়োত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়যাত্রা বিশ্ববাসী বিমুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করেছে। আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠায় বামধারার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হোঁচট খেতেও বেদনাহত চিত্তে বাংলাদেশকে দেখতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র অবলুপ্ত হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষিত হয়ে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির অপশাসন জাতীয় চেতনাকে সমূলে গ্রাস করেছে। তা সত্ত্বেও এ চিরবিজয়ী জাতি আবারও মেরুদন্ড খাড়া করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে- তাদের চেতনা ও বিশ্বাসের বিজয় সাধন করেছে। এ বিজয়ের অগ্রদূত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। তাদেরই অদম্য উৎসাহ, নির্যাতন-নিগ্রহ সহ্য করে পথপরিক্রমণ এবং পথপরিক্রমণের ফলেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয় চেতনা পুনরর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিজয়ের বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। বাঙালি মার খেয়ে খেয়ে মরে যায়নি। বাংলার সূর্যস্নাত আকাশ আলোয় ভরা মাটি অন্ধকারের গহ্বরে অনন্তকালের জন্য কেউ নিমজ্জিত করতে পারেনি।

দেশ যেমন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শোকাবহ স্মৃতি বক্ষে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে, তেমনি বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিমালিকানার উদগ্র প্রচেষ্টায় যে সফলতা অর্জন করেছে, তা বিশ্বকে অবাক না করে পারে না। রপ্তানির দিক থেকে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিবর্গ একটি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে ২২ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ না করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন না করে, ক্যাসিনো ও কালোবাজারির আশ্রয় না নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিল্পোন্নয়নের পথে যদি তারা ভাগ্যটি নির্মাণ করে থাকেন, নিষ্ঠুর সমালোচনা না করে তাদের সাধুবাদও তো জানাতে হয়। আজকে দেশের যে আর্থিক উন্নয়ন, এটি তো বায়বীয় বিষয় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকারখানা প্রতিস্থাপন, কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু সুযোগ সৃষ্টির ফলে এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যে কোনো অর্থনীতির মূলসূত্রই হলো কর্মকান্ডের সংস্থান তৈরি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যক্তিমালিকানার উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন ও পরিবর্তন। আবাদি জমির পরিমাণ এক ইঞ্চিও বাড়েনি, নগর-বন্দর গড়ে ওঠার ফলে বরং কমেছে। তবু আল্লাহর রহমতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত না হলেও আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আরেকটু উদ্যোগী হতে পারলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশও হতে পারব, ইনশা আল্লাহ। তা আজ আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়, বরং অনেকটাই হাতের নাগালে। আমি যেখানে বাস করি, সেই গুলশান সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের আবাসস্থল। ওখানকার বহু অট্টালিকার ছাদ শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছে ভরা। আমি অনেক পরিবারকে চিনি, যারা সবজি তো কিনে খান-ই না, ক্ষেত্রবিশেষ আপনজনদেরও দেন।

আমি বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদকে ফল-ফুলের বাগানে পরিণত করার উদ্যোগকে তাদের উদ্গত উচ্ছ্বসিত মানসিকতাকে আমার উদ্বেলিত চিত্তের শুভেচ্ছা জানাই। বসে না থেকে কিছু কর- এ মানসিকতা মনের বিষণ্ণতা ও হতাশাকেই কাটায় না, উপার্জনেরও পথ বিনির্মাণ করে। বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদের ক্ষেত্রগুলো তারই দৃষ্টান্ত বহন করে। আরও মজার কথা, যাদের দখলে ছাদ নেই, তাদেরও অনেকে বারান্দায় ঝুলন্ত শিকায় ফুল ও ফলের চাষ করছেন সফলভাবে। এ মানসিকতা ও মনন সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করে। এটি শুধু ফুল ও ফলেরই জন্ম দেয় না, সৃজনশীল মানসিকতারও জন্ম দেয়।

আততায়ীর গুলিতে নিহত আমেরিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর নির্বাচনী বিজয়োত্তর এক ভাষণে বলেছিলেন My fellow Americans: ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country. My fellow citizens of the world: ask not what America will do for you, but what together we can do for the freedom of man. আমেরিকার রাজনীতিসচেতন সমাজে এটি অত্যন্ত সমাদৃত একটি উক্তি।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ মাতৃভূমি আজকে কেন জানি না অনেকটাই স্থবির এবং নিষ্প্রভ। গণতন্ত্রের সেই জাজ্বল্যমান আলোকরশ্মিতে ভরা দেশটিতে আবার যেন ক্রমেই আঁধার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংসদ তো বটেই, রাজপথেও দাবি আদায়ের উত্তাল মিছিলের পদচারণ, রাজপথের মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতে দাবি আদায়ের স্লোগান তুলতে দেখা যায় না। সংসদ থেকে রাজপথ- সবটাই যেন নিষ্প্রভ, নিস্তব্ধ ও প্রতিবাদহীন। এ বাংলার চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেদনাদায়ক। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থাটা চলে যাচ্ছে। অথচ কে না জানে, নির্বাচন গণতন্ত্রের বর্ম। ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার অন্ধ অহমিকায় সরকারি দলও যদি এ গুমোটধরা অস্বস্তিকর পরিবেশটাকে নির্বিকারভাবে মেনে নেয়, তাহলে গণতন্ত্র তো বটেই, দেশের সার্বভৌমত্বও আশঙ্কার সংকটে পড়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি অনীহার এ সংকট থেকে উত্তরণের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের; আপনার আমার সবার। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটই যে দেশটির জন্য লড়াই করার দ্বার উন্মোচিত করে মানুষের চিত্তকে শানিত করে, উপলব্ধিকে তীক্ষè করে, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার অবলুপ্তি হলে এ দেশটির মান-মর্যাদা তো বটেই, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত আশঙ্কার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করে। নাগরিক অধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাপ্রিয় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে- এটিই মূল সত্য। এ সত্য যত কঠিনই হোক- এ উপলব্ধিকে বরণ করতে হবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি
মাইজভান্ডারী তরিকার মূল শিক্ষা মানবকল্যাণ : কাদের গনি

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়
বিহার বিধানসভায় এনডিএর জয়যাত্রা, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২২

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৩১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে: যুবদল নেতা শাহেদ
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে: যুবদল নেতা শাহেদ

৪৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র‌্যালি
নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র‌্যালি

৪৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মোহাম্মদপুরে গোপন কারখানায় পুলিশের অভিযান, বিপুল ককটেল উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে গোপন কারখানায় পুলিশের অভিযান, বিপুল ককটেল উদ্ধার

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০

৫৬ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত মেয়েরা বেকার থাকবে না: তৃপ্তি
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত মেয়েরা বেকার থাকবে না: তৃপ্তি

৫৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে জহির উদ্দিন স্বপনকে জয়ী করার আহ্বান বিএনপি নেতার
বরিশালে জহির উদ্দিন স্বপনকে জয়ী করার আহ্বান বিএনপি নেতার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করা মোনাফেকি: টুকু
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করা মোনাফেকি: টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলা বন্দর আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি বিএনপি নেতার
মোংলা বন্দর আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি বিএনপি নেতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যশোর উপশহর মাঠ হবে মিনি স্টেডিয়াম: বাফুফে সভাপতি
যশোর উপশহর মাঠ হবে মিনি স্টেডিয়াম: বাফুফে সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজাপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা
রাজাপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ: কলাপাড়ায় হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ: কলাপাড়ায় হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
বগুড়ায় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোচালক খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোচালক খুন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
রংপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণীকে বাঁচানো তিন পুলিশ অফিসারের একজন বাংলাদেশি
নিউইয়র্কে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণীকে বাঁচানো তিন পুলিশ অফিসারের একজন বাংলাদেশি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

'আরও একটা ভোট, আরও একটা পরাজয়', রাহুলকে কটাক্ষ বিজেপির
'আরও একটা ভোট, আরও একটা পরাজয়', রাহুলকে কটাক্ষ বিজেপির

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির নির্বাচনি মতবিনিময় সভা
নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির নির্বাচনি মতবিনিময় সভা

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
বগুড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

৪ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

সম্পাদকীয়

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন