শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২১

এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

বাংলাদেশের ছিমছাম নিরুত্তাপ ম্রিয়মাণ রাজনীতি এক অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে। নিঃসন্দেহে এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। সত্যি কথা বলতে কি, ঝড় ওঠার আগে আকাশ গম্ভীর ও রুদ্ররোষ ধারণ করে। এটি তাও নয়। নীরব, নিথর, নির্জীব পরিবেশটি বাংলাদেশে অভূতপূর্ব। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে। পৃথিবীজোড়াই আজকে রাজনৈতিক অঙ্গন কেমন যেন নিস্তব্ধ ও নিষ্ক্রিয়। গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শিবির- উভয় শিবিরেই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী নামক গ্রহটি রাজনৈতিকভাবে কখনই এতটা নিষ্প্রভ, নিথর ও নিস্তব্ধ ছিল না। এ নিস্তব্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার মাঝে সুখের আবিরমাখানো একটা স্নিগ্ধ আবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে আবেশটি করোনা নামক অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ও অনাকাক্সিক্ষত একটি জীবাণু সারা বিশ্বকে শুধু স্তম্ভিত ও শঙ্কিতই করেনি, অনেকটা পরস্পরের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস অসংখ্য প্রাণ যেমন সংহার করেছে, তেমন তার আসুরিক নৃত্য থামাতে বিশ্বমানবতা একযোগে এ মহামারীকে রুখবার মহতী উদ্যোগে ব্রতী হয়েছে। গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র উন্নত-অনুন্নত উন্নয়নশীল- বিশ্বের সব দেশের ও প্রান্তের সব মহতী প্রাণ একটি মহান সাধনায় ব্রতী হয়েছেন, করোনাভাইরাসকে রুখবার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র আবিষ্কারের সাধনায়। এ সাধনার সমুদ্রমন্থনে তারা যেটুকু অমৃত পেয়েছেন বা পাবেন তা অকাতরে অম্লান হৃদয়ে ও নিঃসংশয় চিত্তে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বকে বিমুগ্ধ করার এহেন মহান প্রয়াস পৃথিবী নামক গ্রহটির সব মনুষ্য জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে, বিমোহিত করেছে।

একবার একটি প্রতিভাপ্রদীপ্ত ছাত্র বার্ট্রান্ড রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে? জ্ঞানতাপস বার্ট্রান্ড রাসেল জ্ঞানের প্রবাহে হিমাচলের উচ্চতায় যাঁর অবস্থান- জবাবে বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা বলা অত্যন্ত দুরূহ ও দুষ্কর। অসম্ভব ও অকল্পনীয় বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতের পরও আদৌ মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব থাকলে তাদের গড়ন-গঠন ও আকৃতিতে তারা হবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এখন অত্যন্ত আদরের নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্বপুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরবের ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটিকে আমার প্রতীতি বলা চলে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার থাকে বটে, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন ও পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ অগণিত প্রশাসনিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্রোতধারাকে সুশৃঙ্খল ও সুসংহতভাবে পরিচালনা, ধর্ম-কর্ম, জীবনপ্রবাহের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকান্ডগুলোকে সচল রাখতে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করাই মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজন ও ক্ষেত্র বর্ণনায় বলেছেন- হবস্, লক, রুশো রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন- দেশের নাগরিকরা শুধু ট্যাক্স প্রদানই করে না, রাষ্ট্রের কাছে তাদের কিছু অধিকার গচ্ছিত রাখে। তাদের নিজস্ব ও ন্যায্য অধিকার কেউ যেন লুণ্ঠন করতে না পারে সে প্রত্যাশায়। যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আনুগত্যের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেহেতু রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব-সচেতন হওয়া নিতান্ত জরুরি বটে। হবস্, লক, রুশো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করে গেছেন যে, নাগরিকের রাষ্ট্রকে প্রদেয় ট্যাক্স ও রাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত কিছু অধিকার এবং তার বিনিময়ে নাগরিকের ধর্ম-কর্ম ও জীবিকানির্বাহের পথ বিনির্মাণের নিষ্কলুষ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে যে সরকার (ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তো তা বিশ্বাস করেই, শ্রমিকরাজ বা সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উত্তরসূরিরাও আজকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন) দোষত্রুটি, ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও জনগণের নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিকাশ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত হয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রপিতামহ দার্শনিক প্লেটো বলেছেন- রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হলেও রাষ্ট্র শাসিত হবে একগুচ্ছ প্রতিভাপ্রদীপ্ত অভিজাত শ্রেণির মাধ্যমে। সেখানে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান তিনি রাখেননি। তাঁরই শিষ্য অ্যারিস্টটল গুরুর অভিব্যক্তি অস্বীকার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বিধান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন। সেই প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড জি লাস্কি পর্যন্ত অনেক গবেষণা পর্যালোচনা এবং নানাবিধ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শেষমেশ ওই একই কথা- ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাহার থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে রাজনৈতিক সংগঠন। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দর্শন নিয়ে প্রতিভাত হয়। আর সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পুঁজি করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সর্বজনীন সত্য। গণতন্ত্র সফল করতে হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের অত্যন্ত প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল, সভা ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের কর্মসূচি ও অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে জনমত গঠন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন কুড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে দেশ পরিচালনায় চার/পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ধারায়ও দুটি পদ্ধতি পৃথিবীতে সফলভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয়- এ দুটি রাষ্ট্রশাসনের স্বীকৃত ধারা। বাংলাদেশে অনেক টানাপোড়েন ও উত্থান-পতনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সংসদীয় ধারা প্রবর্তিত হয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিরলস ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন ও তা টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তারা অর্জন করেছে নির্বাচনী ম্যান্ডেট সম্বল করে। নিরস্ত্র মানুষগুলোকে সশস্ত্র হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেখেছি। ’৭১-এর বিজয়োত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়যাত্রা বিশ্ববাসী বিমুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করেছে। আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠায় বামধারার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হোঁচট খেতেও বেদনাহত চিত্তে বাংলাদেশকে দেখতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র অবলুপ্ত হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষিত হয়ে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির অপশাসন জাতীয় চেতনাকে সমূলে গ্রাস করেছে। তা সত্ত্বেও এ চিরবিজয়ী জাতি আবারও মেরুদন্ড খাড়া করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে- তাদের চেতনা ও বিশ্বাসের বিজয় সাধন করেছে। এ বিজয়ের অগ্রদূত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। তাদেরই অদম্য উৎসাহ, নির্যাতন-নিগ্রহ সহ্য করে পথপরিক্রমণ এবং পথপরিক্রমণের ফলেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয় চেতনা পুনরর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিজয়ের বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। বাঙালি মার খেয়ে খেয়ে মরে যায়নি। বাংলার সূর্যস্নাত আকাশ আলোয় ভরা মাটি অন্ধকারের গহ্বরে অনন্তকালের জন্য কেউ নিমজ্জিত করতে পারেনি।

দেশ যেমন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শোকাবহ স্মৃতি বক্ষে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে, তেমনি বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিমালিকানার উদগ্র প্রচেষ্টায় যে সফলতা অর্জন করেছে, তা বিশ্বকে অবাক না করে পারে না। রপ্তানির দিক থেকে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিবর্গ একটি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে ২২ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ না করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন না করে, ক্যাসিনো ও কালোবাজারির আশ্রয় না নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিল্পোন্নয়নের পথে যদি তারা ভাগ্যটি নির্মাণ করে থাকেন, নিষ্ঠুর সমালোচনা না করে তাদের সাধুবাদও তো জানাতে হয়। আজকে দেশের যে আর্থিক উন্নয়ন, এটি তো বায়বীয় বিষয় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকারখানা প্রতিস্থাপন, কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু সুযোগ সৃষ্টির ফলে এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যে কোনো অর্থনীতির মূলসূত্রই হলো কর্মকান্ডের সংস্থান তৈরি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যক্তিমালিকানার উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন ও পরিবর্তন। আবাদি জমির পরিমাণ এক ইঞ্চিও বাড়েনি, নগর-বন্দর গড়ে ওঠার ফলে বরং কমেছে। তবু আল্লাহর রহমতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত না হলেও আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আরেকটু উদ্যোগী হতে পারলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশও হতে পারব, ইনশা আল্লাহ। তা আজ আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়, বরং অনেকটাই হাতের নাগালে। আমি যেখানে বাস করি, সেই গুলশান সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের আবাসস্থল। ওখানকার বহু অট্টালিকার ছাদ শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছে ভরা। আমি অনেক পরিবারকে চিনি, যারা সবজি তো কিনে খান-ই না, ক্ষেত্রবিশেষ আপনজনদেরও দেন।

আমি বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদকে ফল-ফুলের বাগানে পরিণত করার উদ্যোগকে তাদের উদ্গত উচ্ছ্বসিত মানসিকতাকে আমার উদ্বেলিত চিত্তের শুভেচ্ছা জানাই। বসে না থেকে কিছু কর- এ মানসিকতা মনের বিষণ্ণতা ও হতাশাকেই কাটায় না, উপার্জনেরও পথ বিনির্মাণ করে। বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদের ক্ষেত্রগুলো তারই দৃষ্টান্ত বহন করে। আরও মজার কথা, যাদের দখলে ছাদ নেই, তাদেরও অনেকে বারান্দায় ঝুলন্ত শিকায় ফুল ও ফলের চাষ করছেন সফলভাবে। এ মানসিকতা ও মনন সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করে। এটি শুধু ফুল ও ফলেরই জন্ম দেয় না, সৃজনশীল মানসিকতারও জন্ম দেয়।

আততায়ীর গুলিতে নিহত আমেরিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর নির্বাচনী বিজয়োত্তর এক ভাষণে বলেছিলেন My fellow Americans: ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country. My fellow citizens of the world: ask not what America will do for you, but what together we can do for the freedom of man. আমেরিকার রাজনীতিসচেতন সমাজে এটি অত্যন্ত সমাদৃত একটি উক্তি।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ মাতৃভূমি আজকে কেন জানি না অনেকটাই স্থবির এবং নিষ্প্রভ। গণতন্ত্রের সেই জাজ্বল্যমান আলোকরশ্মিতে ভরা দেশটিতে আবার যেন ক্রমেই আঁধার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংসদ তো বটেই, রাজপথেও দাবি আদায়ের উত্তাল মিছিলের পদচারণ, রাজপথের মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতে দাবি আদায়ের স্লোগান তুলতে দেখা যায় না। সংসদ থেকে রাজপথ- সবটাই যেন নিষ্প্রভ, নিস্তব্ধ ও প্রতিবাদহীন। এ বাংলার চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেদনাদায়ক। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থাটা চলে যাচ্ছে। অথচ কে না জানে, নির্বাচন গণতন্ত্রের বর্ম। ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার অন্ধ অহমিকায় সরকারি দলও যদি এ গুমোটধরা অস্বস্তিকর পরিবেশটাকে নির্বিকারভাবে মেনে নেয়, তাহলে গণতন্ত্র তো বটেই, দেশের সার্বভৌমত্বও আশঙ্কার সংকটে পড়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি অনীহার এ সংকট থেকে উত্তরণের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের; আপনার আমার সবার। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটই যে দেশটির জন্য লড়াই করার দ্বার উন্মোচিত করে মানুষের চিত্তকে শানিত করে, উপলব্ধিকে তীক্ষè করে, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার অবলুপ্তি হলে এ দেশটির মান-মর্যাদা তো বটেই, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত আশঙ্কার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করে। নাগরিক অধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাপ্রিয় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে- এটিই মূল সত্য। এ সত্য যত কঠিনই হোক- এ উপলব্ধিকে বরণ করতে হবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
দিল্লিতে শতাধিক ফ্লাইট বিলম্ব, দুর্ভোগ চরমে
দিল্লিতে শতাধিক ফ্লাইট বিলম্ব, দুর্ভোগ চরমে

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বাস খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৭
মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বাস খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৭

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যেকোনো সময় ন্যাটো ভূখণ্ডে হামলায় সক্ষম রাশিয়া: জার্মান কর্মকর্তা
যেকোনো সময় ন্যাটো ভূখণ্ডে হামলায় সক্ষম রাশিয়া: জার্মান কর্মকর্তা

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খুব শিগগিরই’ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আশা ট্রাম্পের
‘খুব শিগগিরই’ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আশা ট্রাম্পের

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বগুড়ায় স্থিরচিত্র প্রদর্শনী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বগুড়ায় স্থিরচিত্র প্রদর্শনী

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বক্স অফিসে ঝড় তুলল ‘ডায়েস ইরায়ে’
বক্স অফিসে ঝড় তুলল ‘ডায়েস ইরায়ে’

২৪ মিনিট আগে | শোবিজ

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের ৩১ নেতাকর্মী গ্রেফতার
আওয়ামী লীগের ৩১ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৮৩১
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৮৩১

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পোশাক বিতর্কে’ দেশ ছাড়লেন পাকিস্তানি টিকটকার
‘পোশাক বিতর্কে’ দেশ ছাড়লেন পাকিস্তানি টিকটকার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত সিইও এখন ইলন মাস্ক
সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত সিইও এখন ইলন মাস্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি প্রত্যাহার চায় ইরান: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি প্রত্যাহার চায় ইরান: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ছবি তুলবেন যেভাবে
মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ছবি তুলবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোংলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মোংলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দৌলতপুরে নিজ বাড়ি থেকে মা-শিশুর মরদেহ উদ্ধার
দৌলতপুরে নিজ বাড়ি থেকে মা-শিশুর মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
জয়পুরহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ
মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জার্মানিতে যেসব বিষয়ে পড়লে পাবেন চাকরি
জার্মানিতে যেসব বিষয়ে পড়লে পাবেন চাকরি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যারিয়ার

রাজধানীর তিলপাপাড়ায় অসহায় পরিবারকে সহায়তা দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
রাজধানীর তিলপাপাড়ায় অসহায় পরিবারকে সহায়তা দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

চালিতাতলী হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ৬ জন গ্রেফতার
চালিতাতলী হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ৬ জন গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিজিটালেই ভবিষ্যৎ: নতুন উচ্চতায় নিউইয়র্ক টাইমসের আয়
ডিজিটালেই ভবিষ্যৎ: নতুন উচ্চতায় নিউইয়র্ক টাইমসের আয়

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে : দক্ষিণ কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে : দক্ষিণ কোরিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় সৎছেলের হাতে বাবা খুন
বগুড়ায় সৎছেলের হাতে বাবা খুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন
জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি
বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল
তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী
ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৫ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ
২৫ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের
আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গিয়ে যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখল বিবিসি
গাজায় গিয়ে যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখল বিবিসি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না
জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার
নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা