শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২১

এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

বাংলাদেশের ছিমছাম নিরুত্তাপ ম্রিয়মাণ রাজনীতি এক অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে। নিঃসন্দেহে এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। সত্যি কথা বলতে কি, ঝড় ওঠার আগে আকাশ গম্ভীর ও রুদ্ররোষ ধারণ করে। এটি তাও নয়। নীরব, নিথর, নির্জীব পরিবেশটি বাংলাদেশে অভূতপূর্ব। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে। পৃথিবীজোড়াই আজকে রাজনৈতিক অঙ্গন কেমন যেন নিস্তব্ধ ও নিষ্ক্রিয়। গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শিবির- উভয় শিবিরেই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী নামক গ্রহটি রাজনৈতিকভাবে কখনই এতটা নিষ্প্রভ, নিথর ও নিস্তব্ধ ছিল না। এ নিস্তব্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার মাঝে সুখের আবিরমাখানো একটা স্নিগ্ধ আবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে আবেশটি করোনা নামক অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ও অনাকাক্সিক্ষত একটি জীবাণু সারা বিশ্বকে শুধু স্তম্ভিত ও শঙ্কিতই করেনি, অনেকটা পরস্পরের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস অসংখ্য প্রাণ যেমন সংহার করেছে, তেমন তার আসুরিক নৃত্য থামাতে বিশ্বমানবতা একযোগে এ মহামারীকে রুখবার মহতী উদ্যোগে ব্রতী হয়েছে। গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র উন্নত-অনুন্নত উন্নয়নশীল- বিশ্বের সব দেশের ও প্রান্তের সব মহতী প্রাণ একটি মহান সাধনায় ব্রতী হয়েছেন, করোনাভাইরাসকে রুখবার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র আবিষ্কারের সাধনায়। এ সাধনার সমুদ্রমন্থনে তারা যেটুকু অমৃত পেয়েছেন বা পাবেন তা অকাতরে অম্লান হৃদয়ে ও নিঃসংশয় চিত্তে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বকে বিমুগ্ধ করার এহেন মহান প্রয়াস পৃথিবী নামক গ্রহটির সব মনুষ্য জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে, বিমোহিত করেছে।

একবার একটি প্রতিভাপ্রদীপ্ত ছাত্র বার্ট্রান্ড রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে? জ্ঞানতাপস বার্ট্রান্ড রাসেল জ্ঞানের প্রবাহে হিমাচলের উচ্চতায় যাঁর অবস্থান- জবাবে বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা বলা অত্যন্ত দুরূহ ও দুষ্কর। অসম্ভব ও অকল্পনীয় বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতের পরও আদৌ মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব থাকলে তাদের গড়ন-গঠন ও আকৃতিতে তারা হবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এখন অত্যন্ত আদরের নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্বপুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরবের ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটিকে আমার প্রতীতি বলা চলে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার থাকে বটে, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন ও পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ অগণিত প্রশাসনিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্রোতধারাকে সুশৃঙ্খল ও সুসংহতভাবে পরিচালনা, ধর্ম-কর্ম, জীবনপ্রবাহের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকান্ডগুলোকে সচল রাখতে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করাই মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজন ও ক্ষেত্র বর্ণনায় বলেছেন- হবস্, লক, রুশো রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন- দেশের নাগরিকরা শুধু ট্যাক্স প্রদানই করে না, রাষ্ট্রের কাছে তাদের কিছু অধিকার গচ্ছিত রাখে। তাদের নিজস্ব ও ন্যায্য অধিকার কেউ যেন লুণ্ঠন করতে না পারে সে প্রত্যাশায়। যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আনুগত্যের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেহেতু রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব-সচেতন হওয়া নিতান্ত জরুরি বটে। হবস্, লক, রুশো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করে গেছেন যে, নাগরিকের রাষ্ট্রকে প্রদেয় ট্যাক্স ও রাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত কিছু অধিকার এবং তার বিনিময়ে নাগরিকের ধর্ম-কর্ম ও জীবিকানির্বাহের পথ বিনির্মাণের নিষ্কলুষ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে যে সরকার (ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তো তা বিশ্বাস করেই, শ্রমিকরাজ বা সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উত্তরসূরিরাও আজকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন) দোষত্রুটি, ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও জনগণের নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিকাশ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত হয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রপিতামহ দার্শনিক প্লেটো বলেছেন- রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হলেও রাষ্ট্র শাসিত হবে একগুচ্ছ প্রতিভাপ্রদীপ্ত অভিজাত শ্রেণির মাধ্যমে। সেখানে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান তিনি রাখেননি। তাঁরই শিষ্য অ্যারিস্টটল গুরুর অভিব্যক্তি অস্বীকার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বিধান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন। সেই প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড জি লাস্কি পর্যন্ত অনেক গবেষণা পর্যালোচনা এবং নানাবিধ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শেষমেশ ওই একই কথা- ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাহার থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে রাজনৈতিক সংগঠন। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দর্শন নিয়ে প্রতিভাত হয়। আর সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পুঁজি করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সর্বজনীন সত্য। গণতন্ত্র সফল করতে হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের অত্যন্ত প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল, সভা ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের কর্মসূচি ও অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে জনমত গঠন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন কুড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে দেশ পরিচালনায় চার/পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ধারায়ও দুটি পদ্ধতি পৃথিবীতে সফলভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয়- এ দুটি রাষ্ট্রশাসনের স্বীকৃত ধারা। বাংলাদেশে অনেক টানাপোড়েন ও উত্থান-পতনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সংসদীয় ধারা প্রবর্তিত হয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিরলস ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন ও তা টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তারা অর্জন করেছে নির্বাচনী ম্যান্ডেট সম্বল করে। নিরস্ত্র মানুষগুলোকে সশস্ত্র হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেখেছি। ’৭১-এর বিজয়োত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়যাত্রা বিশ্ববাসী বিমুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করেছে। আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠায় বামধারার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হোঁচট খেতেও বেদনাহত চিত্তে বাংলাদেশকে দেখতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র অবলুপ্ত হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষিত হয়ে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির অপশাসন জাতীয় চেতনাকে সমূলে গ্রাস করেছে। তা সত্ত্বেও এ চিরবিজয়ী জাতি আবারও মেরুদন্ড খাড়া করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে- তাদের চেতনা ও বিশ্বাসের বিজয় সাধন করেছে। এ বিজয়ের অগ্রদূত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। তাদেরই অদম্য উৎসাহ, নির্যাতন-নিগ্রহ সহ্য করে পথপরিক্রমণ এবং পথপরিক্রমণের ফলেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয় চেতনা পুনরর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিজয়ের বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। বাঙালি মার খেয়ে খেয়ে মরে যায়নি। বাংলার সূর্যস্নাত আকাশ আলোয় ভরা মাটি অন্ধকারের গহ্বরে অনন্তকালের জন্য কেউ নিমজ্জিত করতে পারেনি।

দেশ যেমন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শোকাবহ স্মৃতি বক্ষে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে, তেমনি বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিমালিকানার উদগ্র প্রচেষ্টায় যে সফলতা অর্জন করেছে, তা বিশ্বকে অবাক না করে পারে না। রপ্তানির দিক থেকে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিবর্গ একটি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে ২২ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ না করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন না করে, ক্যাসিনো ও কালোবাজারির আশ্রয় না নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিল্পোন্নয়নের পথে যদি তারা ভাগ্যটি নির্মাণ করে থাকেন, নিষ্ঠুর সমালোচনা না করে তাদের সাধুবাদও তো জানাতে হয়। আজকে দেশের যে আর্থিক উন্নয়ন, এটি তো বায়বীয় বিষয় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকারখানা প্রতিস্থাপন, কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু সুযোগ সৃষ্টির ফলে এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যে কোনো অর্থনীতির মূলসূত্রই হলো কর্মকান্ডের সংস্থান তৈরি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যক্তিমালিকানার উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন ও পরিবর্তন। আবাদি জমির পরিমাণ এক ইঞ্চিও বাড়েনি, নগর-বন্দর গড়ে ওঠার ফলে বরং কমেছে। তবু আল্লাহর রহমতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত না হলেও আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আরেকটু উদ্যোগী হতে পারলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশও হতে পারব, ইনশা আল্লাহ। তা আজ আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়, বরং অনেকটাই হাতের নাগালে। আমি যেখানে বাস করি, সেই গুলশান সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের আবাসস্থল। ওখানকার বহু অট্টালিকার ছাদ শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছে ভরা। আমি অনেক পরিবারকে চিনি, যারা সবজি তো কিনে খান-ই না, ক্ষেত্রবিশেষ আপনজনদেরও দেন।

আমি বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদকে ফল-ফুলের বাগানে পরিণত করার উদ্যোগকে তাদের উদ্গত উচ্ছ্বসিত মানসিকতাকে আমার উদ্বেলিত চিত্তের শুভেচ্ছা জানাই। বসে না থেকে কিছু কর- এ মানসিকতা মনের বিষণ্ণতা ও হতাশাকেই কাটায় না, উপার্জনেরও পথ বিনির্মাণ করে। বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদের ক্ষেত্রগুলো তারই দৃষ্টান্ত বহন করে। আরও মজার কথা, যাদের দখলে ছাদ নেই, তাদেরও অনেকে বারান্দায় ঝুলন্ত শিকায় ফুল ও ফলের চাষ করছেন সফলভাবে। এ মানসিকতা ও মনন সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করে। এটি শুধু ফুল ও ফলেরই জন্ম দেয় না, সৃজনশীল মানসিকতারও জন্ম দেয়।

আততায়ীর গুলিতে নিহত আমেরিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর নির্বাচনী বিজয়োত্তর এক ভাষণে বলেছিলেন My fellow Americans: ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country. My fellow citizens of the world: ask not what America will do for you, but what together we can do for the freedom of man. আমেরিকার রাজনীতিসচেতন সমাজে এটি অত্যন্ত সমাদৃত একটি উক্তি।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ মাতৃভূমি আজকে কেন জানি না অনেকটাই স্থবির এবং নিষ্প্রভ। গণতন্ত্রের সেই জাজ্বল্যমান আলোকরশ্মিতে ভরা দেশটিতে আবার যেন ক্রমেই আঁধার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংসদ তো বটেই, রাজপথেও দাবি আদায়ের উত্তাল মিছিলের পদচারণ, রাজপথের মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতে দাবি আদায়ের স্লোগান তুলতে দেখা যায় না। সংসদ থেকে রাজপথ- সবটাই যেন নিষ্প্রভ, নিস্তব্ধ ও প্রতিবাদহীন। এ বাংলার চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেদনাদায়ক। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থাটা চলে যাচ্ছে। অথচ কে না জানে, নির্বাচন গণতন্ত্রের বর্ম। ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার অন্ধ অহমিকায় সরকারি দলও যদি এ গুমোটধরা অস্বস্তিকর পরিবেশটাকে নির্বিকারভাবে মেনে নেয়, তাহলে গণতন্ত্র তো বটেই, দেশের সার্বভৌমত্বও আশঙ্কার সংকটে পড়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি অনীহার এ সংকট থেকে উত্তরণের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের; আপনার আমার সবার। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটই যে দেশটির জন্য লড়াই করার দ্বার উন্মোচিত করে মানুষের চিত্তকে শানিত করে, উপলব্ধিকে তীক্ষè করে, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার অবলুপ্তি হলে এ দেশটির মান-মর্যাদা তো বটেই, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত আশঙ্কার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করে। নাগরিক অধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাপ্রিয় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে- এটিই মূল সত্য। এ সত্য যত কঠিনই হোক- এ উপলব্ধিকে বরণ করতে হবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
উত্তরায় বাংলাদেশের প্রথম হায়াত প্লেস হোটেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা