শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২১

এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
এ গুমোট পরিবেশ অনাকাক্সিক্ষত

বাংলাদেশের ছিমছাম নিরুত্তাপ ম্রিয়মাণ রাজনীতি এক অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে। নিঃসন্দেহে এটি অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। সত্যি কথা বলতে কি, ঝড় ওঠার আগে আকাশ গম্ভীর ও রুদ্ররোষ ধারণ করে। এটি তাও নয়। নীরব, নিথর, নির্জীব পরিবেশটি বাংলাদেশে অভূতপূর্ব। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে। পৃথিবীজোড়াই আজকে রাজনৈতিক অঙ্গন কেমন যেন নিস্তব্ধ ও নিষ্ক্রিয়। গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শিবির- উভয় শিবিরেই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী নামক গ্রহটি রাজনৈতিকভাবে কখনই এতটা নিষ্প্রভ, নিথর ও নিস্তব্ধ ছিল না। এ নিস্তব্ধতা ও নিষ্ক্রিয়তার মাঝে সুখের আবিরমাখানো একটা স্নিগ্ধ আবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং সে আবেশটি করোনা নামক অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ও অনাকাক্সিক্ষত একটি জীবাণু সারা বিশ্বকে শুধু স্তম্ভিত ও শঙ্কিতই করেনি, অনেকটা পরস্পরের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস অসংখ্য প্রাণ যেমন সংহার করেছে, তেমন তার আসুরিক নৃত্য থামাতে বিশ্বমানবতা একযোগে এ মহামারীকে রুখবার মহতী উদ্যোগে ব্রতী হয়েছে। গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র উন্নত-অনুন্নত উন্নয়নশীল- বিশ্বের সব দেশের ও প্রান্তের সব মহতী প্রাণ একটি মহান সাধনায় ব্রতী হয়েছেন, করোনাভাইরাসকে রুখবার সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র আবিষ্কারের সাধনায়। এ সাধনার সমুদ্রমন্থনে তারা যেটুকু অমৃত পেয়েছেন বা পাবেন তা অকাতরে অম্লান হৃদয়ে ও নিঃসংশয় চিত্তে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বকে বিমুগ্ধ করার এহেন মহান প্রয়াস পৃথিবী নামক গ্রহটির সব মনুষ্য জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে, বিমোহিত করেছে।

একবার একটি প্রতিভাপ্রদীপ্ত ছাত্র বার্ট্রান্ড রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল- স্যার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে? জ্ঞানতাপস বার্ট্রান্ড রাসেল জ্ঞানের প্রবাহে হিমাচলের উচ্চতায় যাঁর অবস্থান- জবাবে বললেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা বলা অত্যন্ত দুরূহ ও দুষ্কর। অসম্ভব ও অকল্পনীয় বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতের পরও আদৌ মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব থাকলে তাদের গড়ন-গঠন ও আকৃতিতে তারা হবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এখন অত্যন্ত আদরের নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্বপুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরবের ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটিকে আমার প্রতীতি বলা চলে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার থাকে বটে, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন ও পরিচালনা, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ অগণিত প্রশাসনিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্রোতধারাকে সুশৃঙ্খল ও সুসংহতভাবে পরিচালনা, ধর্ম-কর্ম, জীবনপ্রবাহের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকান্ডগুলোকে সচল রাখতে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলোকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করাই মূলত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজন ও ক্ষেত্র বর্ণনায় বলেছেন- হবস্, লক, রুশো রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন- দেশের নাগরিকরা শুধু ট্যাক্স প্রদানই করে না, রাষ্ট্রের কাছে তাদের কিছু অধিকার গচ্ছিত রাখে। তাদের নিজস্ব ও ন্যায্য অধিকার কেউ যেন লুণ্ঠন করতে না পারে সে প্রত্যাশায়। যেহেতু জনগণের ট্যাক্সের টাকা এবং রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আনুগত্যের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেহেতু রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব-সচেতন হওয়া নিতান্ত জরুরি বটে। হবস্, লক, রুশো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করে গেছেন যে, নাগরিকের রাষ্ট্রকে প্রদেয় ট্যাক্স ও রাষ্ট্রের কাছে গচ্ছিত কিছু অধিকার এবং তার বিনিময়ে নাগরিকের ধর্ম-কর্ম ও জীবিকানির্বাহের পথ বিনির্মাণের নিষ্কলুষ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে যে সরকার (ধনতান্ত্রিক বিশ্ব তো তা বিশ্বাস করেই, শ্রমিকরাজ বা সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উত্তরসূরিরাও আজকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন) দোষত্রুটি, ব্যত্যয় ও বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও জনগণের নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্রের বিকাশ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত হয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রপিতামহ দার্শনিক প্লেটো বলেছেন- রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হলেও রাষ্ট্র শাসিত হবে একগুচ্ছ প্রতিভাপ্রদীপ্ত অভিজাত শ্রেণির মাধ্যমে। সেখানে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান তিনি রাখেননি। তাঁরই শিষ্য অ্যারিস্টটল গুরুর অভিব্যক্তি অস্বীকার করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বিধান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন। সেই প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল থেকে শুরু করে হ্যারল্ড জি লাস্কি পর্যন্ত অনেক গবেষণা পর্যালোচনা এবং নানাবিধ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শেষমেশ ওই একই কথা- ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাহার থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে রাজনৈতিক সংগঠন। তারা তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দর্শন নিয়ে প্রতিভাত হয়। আর সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পুঁজি করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটাই সর্বজনীন সত্য। গণতন্ত্র সফল করতে হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের অত্যন্ত প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে মিছিল, সভা ও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের কর্মসূচি ও অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে জনমত গঠন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন কুড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে দেশ পরিচালনায় চার/পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করে। নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ধারায়ও দুটি পদ্ধতি পৃথিবীতে সফলভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয়- এ দুটি রাষ্ট্রশাসনের স্বীকৃত ধারা। বাংলাদেশে অনেক টানাপোড়েন ও উত্থান-পতনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সংসদীয় ধারা প্রবর্তিত হয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নিরলস ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন ও তা টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তারা অর্জন করেছে নির্বাচনী ম্যান্ডেট সম্বল করে। নিরস্ত্র মানুষগুলোকে সশস্ত্র হায়েনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দেখেছি। ’৭১-এর বিজয়োত্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিজয়ের জয়যাত্রা বিশ্ববাসী বিমুগ্ধ চিত্তে অবলোকন করেছে। আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠায় বামধারার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রকে হোঁচট খেতেও বেদনাহত চিত্তে বাংলাদেশকে দেখতে হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুধু গণতন্ত্রই নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গণতন্ত্র অবলুপ্ত হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা নিঃশেষিত হয়ে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির অপশাসন জাতীয় চেতনাকে সমূলে গ্রাস করেছে। তা সত্ত্বেও এ চিরবিজয়ী জাতি আবারও মেরুদন্ড খাড়া করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে- তাদের চেতনা ও বিশ্বাসের বিজয় সাধন করেছে। এ বিজয়ের অগ্রদূত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। তাদেরই অদম্য উৎসাহ, নির্যাতন-নিগ্রহ সহ্য করে পথপরিক্রমণ এবং পথপরিক্রমণের ফলেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয় চেতনা পুনরর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিজয়ের বিরল দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। বাঙালি মার খেয়ে খেয়ে মরে যায়নি। বাংলার সূর্যস্নাত আকাশ আলোয় ভরা মাটি অন্ধকারের গহ্বরে অনন্তকালের জন্য কেউ নিমজ্জিত করতে পারেনি।

দেশ যেমন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শোকাবহ স্মৃতি বক্ষে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে, তেমনি বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিমালিকানার উদগ্র প্রচেষ্টায় যে সফলতা অর্জন করেছে, তা বিশ্বকে অবাক না করে পারে না। রপ্তানির দিক থেকে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিবর্গ একটি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের স্থলে ২২ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ না করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন না করে, ক্যাসিনো ও কালোবাজারির আশ্রয় না নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিল্পোন্নয়নের পথে যদি তারা ভাগ্যটি নির্মাণ করে থাকেন, নিষ্ঠুর সমালোচনা না করে তাদের সাধুবাদও তো জানাতে হয়। আজকে দেশের যে আর্থিক উন্নয়ন, এটি তো বায়বীয় বিষয় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কলকারখানা প্রতিস্থাপন, কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু সুযোগ সৃষ্টির ফলে এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যে কোনো অর্থনীতির মূলসূত্রই হলো কর্মকান্ডের সংস্থান তৈরি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্যক্তিমালিকানার উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছেন বলেই দেশের এ উন্নয়ন ও পরিবর্তন। আবাদি জমির পরিমাণ এক ইঞ্চিও বাড়েনি, নগর-বন্দর গড়ে ওঠার ফলে বরং কমেছে। তবু আল্লাহর রহমতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত না হলেও আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আরেকটু উদ্যোগী হতে পারলেই আমরা উন্নয়নশীল দেশও হতে পারব, ইনশা আল্লাহ। তা আজ আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়, বরং অনেকটাই হাতের নাগালে। আমি যেখানে বাস করি, সেই গুলশান সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের আবাসস্থল। ওখানকার বহু অট্টালিকার ছাদ শাক-সবজি ও ফলমূলের গাছে ভরা। আমি অনেক পরিবারকে চিনি, যারা সবজি তো কিনে খান-ই না, ক্ষেত্রবিশেষ আপনজনদেরও দেন।

আমি বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদকে ফল-ফুলের বাগানে পরিণত করার উদ্যোগকে তাদের উদ্গত উচ্ছ্বসিত মানসিকতাকে আমার উদ্বেলিত চিত্তের শুভেচ্ছা জানাই। বসে না থেকে কিছু কর- এ মানসিকতা মনের বিষণ্ণতা ও হতাশাকেই কাটায় না, উপার্জনেরও পথ বিনির্মাণ করে। বিলাসবহুল অট্টালিকার ছাদের ক্ষেত্রগুলো তারই দৃষ্টান্ত বহন করে। আরও মজার কথা, যাদের দখলে ছাদ নেই, তাদেরও অনেকে বারান্দায় ঝুলন্ত শিকায় ফুল ও ফলের চাষ করছেন সফলভাবে। এ মানসিকতা ও মনন সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করে। এটি শুধু ফুল ও ফলেরই জন্ম দেয় না, সৃজনশীল মানসিকতারও জন্ম দেয়।

আততায়ীর গুলিতে নিহত আমেরিকার জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি তাঁর নির্বাচনী বিজয়োত্তর এক ভাষণে বলেছিলেন My fellow Americans: ask not what your country can do for you, ask what you can do for your country. My fellow citizens of the world: ask not what America will do for you, but what together we can do for the freedom of man. আমেরিকার রাজনীতিসচেতন সমাজে এটি অত্যন্ত সমাদৃত একটি উক্তি।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ মাতৃভূমি আজকে কেন জানি না অনেকটাই স্থবির এবং নিষ্প্রভ। গণতন্ত্রের সেই জাজ্বল্যমান আলোকরশ্মিতে ভরা দেশটিতে আবার যেন ক্রমেই আঁধার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংসদ তো বটেই, রাজপথেও দাবি আদায়ের উত্তাল মিছিলের পদচারণ, রাজপথের মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত হাতে দাবি আদায়ের স্লোগান তুলতে দেখা যায় না। সংসদ থেকে রাজপথ- সবটাই যেন নিষ্প্রভ, নিস্তব্ধ ও প্রতিবাদহীন। এ বাংলার চারদিকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেদনাদায়ক। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ওপর থেকে মানুষের আস্থাটা চলে যাচ্ছে। অথচ কে না জানে, নির্বাচন গণতন্ত্রের বর্ম। ক্ষমতায় বসে থেকে ক্ষমতার অন্ধ অহমিকায় সরকারি দলও যদি এ গুমোটধরা অস্বস্তিকর পরিবেশটাকে নির্বিকারভাবে মেনে নেয়, তাহলে গণতন্ত্র তো বটেই, দেশের সার্বভৌমত্বও আশঙ্কার সংকটে পড়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি অনীহার এ সংকট থেকে উত্তরণের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের; আপনার আমার সবার। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটই যে দেশটির জন্য লড়াই করার দ্বার উন্মোচিত করে মানুষের চিত্তকে শানিত করে, উপলব্ধিকে তীক্ষè করে, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার অবলুপ্তি হলে এ দেশটির মান-মর্যাদা তো বটেই, সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত আশঙ্কার অতলান্তে নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করে। নাগরিক অধিকারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাপ্রিয় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে- এটিই মূল সত্য। এ সত্য যত কঠিনই হোক- এ উপলব্ধিকে বরণ করতে হবে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
গাজর
গাজর
ভোটের প্রস্তুতি
ভোটের প্রস্তুতি
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
সর্বশেষ খবর
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে র‌্যাবের অভিযান
ভালুকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে র‌্যাবের অভিযান

৪১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের লক্ষ্যে নতুন ১২ নির্দেশনা
সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের লক্ষ্যে নতুন ১২ নির্দেশনা

১ মিনিট আগে | পর্যটন

গাইবান্ধায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত
গাইবান্ধায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে তরুণীদের বিক্ষোভ
জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে তরুণীদের বিক্ষোভ

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ প্রয়োজন : শামসুজ্জামান দুদু
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ প্রয়োজন : শামসুজ্জামান দুদু

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ওষুধ সরবরাহে কমে আসবে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ
ওষুধ সরবরাহে কমে আসবে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি শিশু হিন্দ রাজাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য আইসিসিতে
ফিলিস্তিনি শিশু হিন্দ রাজাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য আইসিসিতে

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রবাসীরাই দেশ চালাচ্ছেন : সাখাওয়াত
প্রবাসীরাই দেশ চালাচ্ছেন : সাখাওয়াত

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্গো ভিলেজে আগুন : শুক্র-শনিও খোলা থাকবে ঢাকা কাস্টমস
কার্গো ভিলেজে আগুন : শুক্র-শনিও খোলা থাকবে ঢাকা কাস্টমস

৪৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

টেকসই উন্নয়নে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
টেকসই উন্নয়নে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরিয়ায় ফরাসি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান
সিরিয়ায় ফরাসি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ‘গোপনে’ গাজা পর্যবেক্ষণে ব্রিটিশ সেনারা!
যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ‘গোপনে’ গাজা পর্যবেক্ষণে ব্রিটিশ সেনারা!

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ দিবস পালন
বরিশালে কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ দিবস পালন

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় দিনব্যাপী প্লাস্টিক বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী
বগুড়ায় দিনব্যাপী প্লাস্টিক বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে নেপাল রাষ্ট্রদূতের আহ্বান
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে নেপাল রাষ্ট্রদূতের আহ্বান

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

‘সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি তুলে দেওয়া হবে’
‘সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি তুলে দেওয়া হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের মানুষ ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর মেনে নেবে না: রাশেদ প্রধান
দেশের মানুষ ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর মেনে নেবে না: রাশেদ প্রধান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তৃণমূলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট : শামীম
তৃণমূলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট : শামীম

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠক
নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও আফগানিস্তানে দূতাবাস চালু করলো ভারত
আবারও আফগানিস্তানে দূতাবাস চালু করলো ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড: আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড: আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি
পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক
১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি
ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে
টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সেই পর্ন-তারকা যুগল ৫ দিনের রিমান্ডে
সেই পর্ন-তারকা যুগল ৫ দিনের রিমান্ডে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল
পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এলডিপির
৮৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এলডিপির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির
চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের
শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার
ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

শোবিজ

প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ
প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি
নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে
সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’
ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’

পেছনের পৃষ্ঠা

গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা
গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা

শোবিজ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর

মাঠে ময়দানে

এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই
এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক
অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা
২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ
ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ

প্রথম পৃষ্ঠা

হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত
হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত

নগর জীবন

ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ফ্লাইওভার
ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ফ্লাইওভার

পেছনের পৃষ্ঠা

এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি
এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’
ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী
উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী

শোবিজ

গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন
গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি
মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর
সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর

পেছনের পৃষ্ঠা

আসরানির শেষ পোস্ট
আসরানির শেষ পোস্ট

শোবিজ

দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা
দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির
সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির

মাঠে ময়দানে

নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩
নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩

পেছনের পৃষ্ঠা

আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা

মাঠে ময়দানে