বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব

মুফতি হেলাল উদ্দীন হাবিবী

ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব

মহান আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত আদর করে সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য দিয়ে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। দান করেছেন অফুরন্ত সব নিয়ামত। প্রতিক্ষণে আমরা তাঁর হাজারো নিয়ামত ভোগ করছি। তাঁর দাক্ষিণ্য আনুকূল্য অনুগ্রহ ছাড়া কারও পক্ষে এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর নিয়ামতের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। কেউ কোনো দিন গণনা করেও শেষ করতে পারবে না।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ আল কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি আল্লাহর নিয়ামত গণনা কর তবে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ।’ সুরা ইবরাহিম আয়াত ৩৪।

মহান স্রষ্টা মানব জাতিকে সৃষ্টি করে বিভিন্ন শ্রেণি, গোত্র ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত করেছেন। দান করেছেন বৈচিত্র্যময় ভাষা ও বর্ণ। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার বিশেষ রহস্য। এ সম্পর্কে আল্লাহ আল কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে মানব সম্প্রদায়! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি; যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞাত, সবকিছুর খবর রাখেন।’ সুরা হুজুরাত আয়াত ১৩। আল্লাহতায়ালার বাণী, ‘তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ সুরা আর রুম আয়াত ২২। দয়াময় প্রভুর অগণিত নিয়ামতের অন্যতম একটি  মাতৃভাষা। আল্লাহ হেদায়াতের পতাকাবাহী জামাত সব নবী-রসুলকে মাতৃভাষা দিয়ে পাঠিয়েছেন। ‘মাতৃভাষা’ শব্দের সরল অর্থ মায়ের ভাষা। হজরত আদম ও হাওয়া (আ.) জান্নাত থেকে দুনিয়ায় এসে সর্বপ্রথম আরবি ভাষায় কথা বলতেন এবং তাঁদের সন্তানরাও আরবি ভাষায় কথা বলতেন। সে হিসেবে মানব জাতির সর্বপ্রথম মাতৃভাষা ছিল আরবি। তবে সে সময়ে ভাষা শুধু ধ্বনি বা আওয়াজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর কোনো লিখিত রূপ ছিল না।

লেখক :  ইসলামবিষয়ক গবেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর