বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সাংবাদিকদের ওপর হামলা

দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনুন

সাংবাদিকরা মুক্ত বুদ্ধি ও মুক্ত বিবেকের প্রতিনিধি। সব মত ও পথের খবর তুলে ধরেন তাঁরা। ফরাসি উপকথার মোরগ যেমন মনে করত সে বাক না দিলে সেদিন ভোর হবে না, তেমনি সাংবাদিকরা সচেতন থাকেন কোথায় কী ঘটছে তা তুলে না ধরলে মানুষ জানতে পারবে না। যে কারণে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের বাংলাদেশ সফরকে যথাযথভাবে তুলে ধরেছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। একইভাবে যারা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তাদের কর্মকা- সংবাদ মাধ্যমে স্থান পেয়েছে। তারপরও মোদিবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহের সময় অন্ধগলির জীবরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ গণমাধ্যমকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। দেশের গণমাধ্যমগুলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। একাত্তরে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী পরজীবীদের তা পছন্দ হয়নি। যে কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে নিষ্প্রভ করতে তারা উসকানিমূলক কর্মসূচি নেয়। বকধার্মিকরা সাধারণ মানুষকে উসকে দিতে অপপ্রচারও চালায়। আমরা নির্দ্বিধায় স্বীকার করি গণতান্ত্রিক সমাজে প্রতিবাদ জানানো যে কোনো নাগরিকের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা পালনকারী বিশেষ গোষ্ঠীর উত্তরসূরিরা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার প্রয়োগের বদলে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের বর্বর ও নোংরা কর্মকান্ড যাতে প্রকাশ না পায় তা নিশ্চিত করতেই বকধার্মিকরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অতীতে এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার আইনি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপরাধীদের দুঃসাহস সীমা ছাড়িয়েছে।  আমরা আশা করব সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার স্বার্থে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত  দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনতে সরকার দায়বোধের পরিচয় দেবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর