শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল, ২০২১

‘দুর্যোগে, দুর্ভোগে, সংগ্রামে ও উন্নয়নে নারী’

ওয়াহিদা আক্তার
প্রিন্ট ভার্সন
‘দুর্যোগে, দুর্ভোগে, সংগ্রামে ও উন্নয়নে নারী’

যে কোনো দুর্যোগের শিকার হয় নারী ও শিশু। সেই দুর্যোগ যদি হয় প্রাকৃতিক ঝড়ঝঞ্ঝা, সাইক্লোন, ভূমিকম্প, বন্যা, প্লাবন ইত্যাদি সেখানেও দেখা যায় নির্দোষ শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে নয় মাসজুড়ে প্রসব বেদনার মতো অসহনীয় ও ভয়াবহ বেদনার মধ্য দিয়ে গেছে মুক্তি যুদ্ধকালীন বাংলার নারীদের জীবন। যারা দেশ ত্যাগ করতে পারেনি, যে নারীর বাবা, ভাই, স্বামী, পুত্র মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তাদের বিপদ ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই বেদনার ইতিহাসে সবার নাম হয়তো লেখা নেই। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাথা আমরা গর্বের সঙ্গে প্রচার করি, কিন্তু প্রচার করি না লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর সেই বেদনার ইতিহাস। বেঁচে থেকে যারা জীবনমৃৃত হয়ে ভুলতে পারেনি তাদের সম্ভ্রমহানির অত্যাচারের সেই নির্মম ভয়াবহতা, ভুলতে পারেনি সেই অপমান। কত স্বপ্ন, কত ঘর, কত পরিবার যে অসহায় অবস্থায় তাদের স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেখেছেন তার পরিসংখ্যান হয়তো কোথাও পাওয়া যাবে না। পরিবারের মা-বাবার সামনে মেয়ের অপমান, ভাইয়ের সামনে বোনের অপমান, ছেলের সামনে মায়ের অপমান ও নির্যাতন বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেদের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। কত শত মানুষ জীবন দিয়েছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ ভয়ংকর বিপদ জেনেও বাংলাদেশের নারী আঁচলের মধ্যে অস্ত্র রেখে মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়েছে, ভাত রান্না করে খাইয়েছে, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের নার্স হিসেবে সেবা করেছে, স্বামী-পুত্রের দুঃখ ভুলে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আপন করে প্রেরণা জুগিয়ে যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। দীর্ঘ নয় মাস ক্ষুধায় কাতর হয়ে, না ঘুমিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর দেশ-মাতৃকাকে অপমানের প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। আমাদের সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধকালীন নারীর প্রতি অবমাননার সেই ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরার। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের নারীরা সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। আমরা যারা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাবছি, কাজ করছি, তাদের প্রতি মুহূর্তে মনে রাখা দরকার বা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, এ দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বেদনা জড়িয়ে আছে। আমরা দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছি’ কথাটা একটা লাইনের মধ্যে উচ্চারণ করে আমাদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলছি। সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারছি না। কথাটি বলতে গেলে কত সহজ মনে হয় কিন্তু বিষয়টি এত সহজ ছিল না। এই বিস্মৃতি আমাদের ভবিষ্যৎ নারী জাতিকে বিপদগ্রস্ত করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ তরুণপ্রজন্ম যদি আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম হারানোর বেদনা হৃদয়ঙ্গম করত তাহলে তারা মায়ের জাতি, বোনের জাতি নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন করতে পারত না। মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্যই শুধু যে মানুষের ভিতরে বিবেকবোধ আছে যা সেই মানুষকে কখনো অন্যায় কাজে প্ররোচিত করতে সায় দেয় না। বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের লড়াই ছিল অসাম্প্রদায়িক ও অসাধারণ। যা ছিল সমগ্র জাতির একতাবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সংগ্রাম। বাঙালির এই সংগ্রামের ইতিহাস পূর্ব-পুরুষের বীরত্বগাথা, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের গর্ব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রেরণা। বাঙালির বীরত্বগাথা ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির গৌরবগাথার সঙ্গে বাংলার মা-বোন মেয়েদের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতন কাহিনি প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। ঘরে ঘরে পাকিস্তানি বাহিনীর লুটপাট হত্যা-নির্যাতন শেষে তাদের প্রশ্ন ছিল ‘আওরাত কাহা?’ বাবা, ভাইয়ের সম্মুখ থেকে সেইসব মেয়েদের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা ছোট সন্তান, বাবা, ছোট ভাইদের গুলি করে মেরে রেখে যেত। তখন পাকিস্তানি জওয়ানদের বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে ‘ধর্ম যুদ্ধ’, ‘কাফের খতম’ ইত্যাদি মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করা হয়। বাংলার নারীকে তারা চরম ঘৃণাভরে ‘গনিমতের মাল’ গণ্য করে নির্বিচারে নির্যাতন চালায়। সেনাপতি টিক্কা খান আদেশ দিয়েছিল ‘বাঙালিদের তোমরা হত্যা করে তাদের দোকানপাট লুট কর, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দাও, তাদের মেয়েদের ধর্ষণ কর’। দুঃখের বিষয় যে এই কাজে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের ধর্মান্ধ, উগ্র ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী কুলাঙ্গার কিছু দালাল। ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আচমকা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ঢাকা শহরের সম্ভ্রান্ত মহিলাদের ধরে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে দিনের পর দিন নির্যাতন চালানো হয়। অপমানের জ্বালা মেটাতে পাঞ্জাবি অফিসারকে খুন করে পরে বুকে মাইন বেঁধে মিলিটারি ভর্তি ট্রাকের নিচে আত্মাহুতি দিয়েছেন এমন ঘটনাও ঘটিয়েছেন বাংলার সম্ভ্রমহারা সাহসী নারীরা। বাঙালির অস্ত্রের শক্তি সীমিত ছিল; কিন্তু ক্ষোভের শক্তির কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। তাদের ভালোবাসার সম্পদ ছিল অফুরন্ত এবং সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। ৭ মার্চের ভাষণ তাদের প্রতিমুহূর্তে উজ্জীবিত রেখে মুক্তিযুদ্ধে শক্তি জোগাত। বাঙালির সেই প্রীতি ভালোবাসার সঙ্গে অস্ত্রের সম্মেলনে বাঙালি হয়েছিল দুর্জয়। বাংলার স্বাধীনতাকামী নারী ও সশস্ত্র যুদ্ধে অনুপ্রাণিত হয়ে অস্ত্রহাতে তুলে নিয়েছিল। পাকহানাদার কর্তৃক সম্ভ্রমহানির শিকার হয় প্রায় দুই লক্ষাধিক মা-বোন। সবচেয়ে হতাশা ও দুঃখের বিষয় আমাদের দেশেরই সেই সব দালাল, রাজাকার, আলবদর, আলশামস পাকফৌজদের দোসর হিসেবে আমাদের দেশের মা-বোনকে তাদের হাতে তুলে দেয়, তারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে মেনে নিতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধাগণ ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় একটু শিক্ষিত মেয়েদের খোঁজ করা হয়, তখন বহু মেয়ে সাহস করে নার্স হিসেবে কাজ করতে সম্মত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে অসুস্থ এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করেন বাংলার সাহসী নারী।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সর্বস্ব হারানো এই নারীদের সমাজ গ্রহণ করেনি। সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাবা তার ঘরে আশ্রয় দিতে পারেনি তার সম্ভ্রমহারা কন্যাকে, স্বামী ঘরে আনতে পারেনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে। ভাইকে যেন সামাজিক গ্লানি সহ্য করতে না হয় সেজন্য আত্মাহুতি দিয়ে মুক্ত করেছে পরিবারকে আমাদেরই সম্ভ্রমহারা বোন। তাদের কোনো দোষ না থাকলেও প্রতিমুহূর্তে সামাজিকভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মধ্যবিত্ত মানসিকতায় তারা মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিষয়টি অশ্রু ভারাক্রন্ত মনে হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে রেখেছে। তাদের গর্ভে যে সব সন্তান বেড়ে ওঠে পৃথিবীর আলো দেখেছিল ঘৃণা ও মাতৃত্বের ভালোবাসার দোদুল্যমানতায় তারা আজীবন দুঃসহ যন্ত্রণার স্মৃতি বয়ে বেড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারানো নারীর অবদান কোনো অংশে কম ছিল না। তারই বেদনা অনুভব করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পরম মমতায় তাদের বিরোচিত বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত করেন। পরিচয় সংকটে পিতার নামের স্থানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের ঠিকানা ছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সম্ভ্রমহারা মেয়েদের পাশে মায়ের ভূমিকা নিয়ে দাঁড়ান। গঠিত হয় নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র। সম্ভ্রমহারা মেয়েদের চিকিৎসা করানো, স্বাবলম্বী করা, যুদ্ধ শিশুদের দেশে বিদেশে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বাংলার সব মানুষ যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছিল। এই ভাষণে যুদ্ধের সব কৌশল ও নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে চরম মূল্য বাংলার মানুষকে দিতে হয়েছিল তা মনে হয় কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের মনে বাঙালি বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছিল বর্ণনাতীত। তারা যুদ্ধ কৌশল হিসেবে ‘পোড়ামাটি নীতি’ ও বাঙালি নারী ধর্ষণকে বেছে নিয়েছিল। নারীকে মহান সৃষ্টিকর্তা শারীরিকভাবে একটু দুর্বল হিসেবে সৃষ্টি করলেও নারীকে দিয়েছেন স্বাভাবিক সহজাত বুদ্ধিমত্তা। এই বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগেই স্বাধীন বাংলাদেশের নারীকে ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা নিশ্চয়ই ডানে-বাঁয়ে যানবাহন না দেখে সড়ক পার হই না। সতর্কতা অবলম্বন করি রাস্তা পারাপারের সময়। তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে, ঘটে যায়। নারীর ক্ষমতায়নে কর্মমুখী নারীকে, কর্মজীবী নারীকে চলার পথে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো অপরিচিত, স্বল্প পরিচিত, সন্দেহজনক ব্যক্তির চাটুকারিতায় বা আশ্বাসে বা প্রলোভনে বা প্রশংসায় নারীকে অধিকতর সতর্ক হতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে ম্যাজিক হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নকে মূল্যায়ন করছে বিশ্ব জনমত। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান কোনো অংশে কম ছিল না। নেপথ্যে নারীর সহযোগিতা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছে। যে সব সম্ভ্রমহারা বীরাঙ্গনা নারী এতদিন স্বীকৃতি পায়নি শেখ হাসিনার সরকার তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সব ধরনের সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। জীবন সায়াহ্ণে তারা কৃতজ্ঞতার অশ্রুজলে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনার সরকার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে। এর মাধ্যমে আজ বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর দীপ্ত পদচারণা। নারীর আত্মবিশ্বাস তাকে যে কোনো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করলেও নারীর জন্য নিরাপদ নয় কোনো স্থান। এখনো নারী রাস্তাঘাটে, কর্মস্থলে, অফিস-আদালতে শিষ্টাচার-বহির্ভূত আচরণের শিকার হচ্ছে। গণপ্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহনশীলতা, সম্মানবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে, বহুল প্রচারের মাধ্যমে আমাদের জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে। নারী জাতি মায়ের জাতি, বোনের জাতি, মেয়ের জাতি। নারীকে সামাজিকভাবে, শ্রদ্ধার আসন দিতে পারলে নারী নির্যাতনের হার কমে যাবে আশা করা যায় এবং সন্তানকে পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে নারীকে সম্মান করা শেখাতে হবে। নারী তাঁর সহজাত বুদ্ধিমত্তা থেকে অনাকাক্সিক্ষত এসব পরিস্থিতি বা বিপদ কিছুটা এড়াতে পারে। নারীর ক্ষমতায়নে নারীকে ঘরের বের হতেই হবে। একজন সম্ভ্রমহারা নারী অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হওয়া মানুষের মতো সহানুভূতি পাওয়ার অধিকার রাখে কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের পুরোটা দায় নিয়ে অনেক সময় আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ পথ তাঁকে বেছে নিতে সমাজ থেকেই প্ররোচিত করা হয়। আমাদের সন্তানদের আমরা যেমন বলতাম বাইরে গেলে অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলবে না, কিছু দিলে নেবে না বা খাবে না, একাকী কোথাও যেতে বললে যাবে না, তেমন আজকের কর্মজীবী নারীকেও সচেতন হতে হবে অপরিচিত পরিবেশ ও অপরিচিত লোক হতে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে বহুমুখী সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলেছে, কত রকমের ফাঁদ পাতা আছে ইন্টারনেটে সে সম্বন্ধে নিজে জেনে নিজের সন্তানকেও সাবধান করতে হবে। সাইবার সিকিউরিটি সম্বন্ধে জেনে ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের। কোনো সংকটকে এড়িয়ে না গিয়ে যথাযথ উপায়ে মোকাবিলা করতে হবে। ইন্টারনেট মানে সবকিছুই খারাপ না সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের নিরাপদ রাখার উপায়টা জানাও জরুরি। সহিংসতার শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও শিশুরা একটু বেশি ভঙ্গুর। করোনাকালে আমরা নতুন বাস্তবতায় এসেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা অনলাইনে ক্লাস করছে। অজ্ঞতাবশত আমাদের সন্তানরা যেন সাইবার অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত প্রচার মাধ্যমে এ ধরনের সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে। কারও পুত্রসন্তান অন্য কারও কন্যাসন্তানের দুর্ভোগের কারণ না হয়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা ও পুত্রসন্তানের পিতা-মাতাকে সতর্ক থাকাও জরুরি। শত সাবধানতার পরও সন্তান যদি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয় সেক্ষেত্রে পুরো পরিবারকে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। পত্রিকায় দেখি পারিবারিক সহিংসতায় বাংলাদেশের স্থান প্রায় শীর্ষে। জানি না কোন পরিমাপে এটা বলা হয়েছে। গ্রামে নির্যাতনের শিকার যেসব মেয়ে তাদের অধিকাংশ বাল্যবিয়ের কারণে। অল্প বয়সে সন্তান জন্ম দিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ ও অক্ষম হয়ে পড়া এবং স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, দারিদ্র্য, অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম না হওয়া, যৌতুক দাবিসহ নানা কারণ দেখা যায়। আশার কথা যে, আইনপ্রয়োগে বাল্যবিয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যায়। এখনো শিক্ষা-দীক্ষায় যোগ্যতায় মেয়েরা এগিয়ে গেলেও ভালো পাত্রস্থ করতে পারাটাই অভিভাবকের একমাত্র লক্ষ্য। সেই পাত্রটা সমাজে যত সফল পেশায় থাকুন না কেন সে মানুষ হিসেবে কেমন, তার পারিবারিক মূল্যবোধ কেমন, নারীজাতির ওপর সম্মানবোধ কেমন তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খোঁজ নেওয়া হয় না। একজন পুরুষের তার পরিবারের মূল্যবোধ থেকেই নারীর প্রতি সম্মানবোধ তৈরি হয়। পারিবারিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বোধই দাম্পত্য জীবনে নারী-পুরুষকে সুখী করে। অভিভাবকের উচিত পারিবারিকভাবে পাত্রস্থ করার ক্ষেত্রে যে পরিবারে মেয়েটি যাবে তাদের পরিবারের মূল্যবোধ, নারীর প্রতি সম্মানবোধ আছে কিনা খোঁজ নেওয়া। তার মেয়েটি নিরাপদে থাকবে কিনা নিশ্চিত হওয়া।

বাংলাদেশের নারীরা এখন খেলাধুলা ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জিং পেশা বেছে নিচ্ছে। খেলাধুলায় পরিবারের, সমাজের বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া মেয়ে, উত্তাল সমুদ্রে সার্ফিং করা, হিমালয় পর্বত আরোহী মেয়ে, ঘোড়ায় চড়া, সাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, চা-শ্রমিক, পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করা নারী দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। নারী কাজ করছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, নারীর দক্ষ হাতে সংসার পরিচালনা, উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ হাতে নারীর অবদান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নারীর শক্তহাত এখন সবার মনে ভরসা জোগায়, এ ছাড়া সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, শিল্প ও চারুকলা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পেশায় নারী সক্ষমতার সঙ্গে পদচারণা করছে। আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে তারা শিখছে মার্শাল আর্ট, তাইকোন্দোর মতো অপ্রচলিত শারীরিক আত্মরক্ষার কলা-কৌশল।

আমাদের গৌরবের ইতিহাসের সঙ্গে মার্চ মাসকে কখনো অগ্নিঝরা মার্চ, উত্তাল মার্চ, হিসেবে অভিহিত করি। জাতীয় জীবনে মার্চ মাস আনন্দ, বেদনা ও গৌরবের মাস। এই মাসের ৭ তারিখে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ভাষণ বাংলার মানুষকে জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত করে। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তারা সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধ জনযুদ্ধে রূপ নেয়। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী পুরুষের জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল। বাংলার নারীর অবস্থান কোথায় ছিল, এখন কোথায় তার মূল্যায়নে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পিছনে নারীর ক্ষমতায়নকে ইঙ্গিত করা হয়। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনীমূলক নীতি-নির্ধারণে গত এক দশকে নারীর অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছেন। সব ধর্মের অপব্যাখ্যা, কূপমন্ডূকতা ও কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে নারী স্বাবলম্বী হচ্ছে। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান এখন বাংলাদেশের নারী।।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। যে দিনটিতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা কে স্মরণ করে মহাসমারোহে দিনটি উদযাপিত হয়। এবারে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জাতীয় উৎসবে অন্যান্য বন্ধু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ অংশগ্রহণ করায় ২০২১ সালের মার্চ মাসটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক ১৭ মার্চ ২০২১ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠান সফলভাবে পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য উন্নত বিশ্বের কাতারে শামিল হওয়া। যে মহান নেতার জন্ম না হলে এ দেশে স্বাধীনতা আসত না, বাংলার দুঃখী মানুষের শোষণ-বঞ্চনার অবসান হতো না, জেল-জুলুম নির্যাতনের ভিতর তিনি তাঁর সারা জীবন বাংলার দুঃখী মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার লক্ষ্যে তাঁর আপসহীন সংগ্রাম ও ত্যাগ, যা ধাপে ধাপে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে দিয়েছে সেই মহান নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।  এখানে আবারও স্মরণ করছি শিল্পী আবদুল লতিফের লেখা :

“দাম দিয়াছি মায়ের অশ্রু বোনের সম্ভ্রম রে

বলতে কি পার তোমরা

সে দাম কার ও কম রে?

কত কুলের কুলাঙ্গনা নাম নিয়াছে বীরাঙ্গনা

দুঃখে বাংলার পদ্মা মেঘনা যমুনা যে উজান বয়

আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা

কারও দানে পাওয়া নয়”।

            লেখক : অতিরিক্ত সচিব।

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
সর্বশেষ খবর
আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা
আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর
ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর

৩০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল
হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল

৩৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২
হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ
শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা
দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা
বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা
গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার
সোনারগাঁয়ে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী
টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম