বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার তাগিদ দিয়েছেন। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে রোজায় যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলছেন। ইফতার-সাহরিতে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া রমজানের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্দেহ নেই এ সময় ভোজ্য তেল, ছোলা, ডাল, বেসন, পিঁয়াজ, শসা, বেগুন, কলা, খেজুর, চিনি ইত্যাদির চাহিদা বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় মাংসের দাম। এ বছর মাহে রমজান আসছে গ্রীষ্মকালে। যখন সবজির আকাল থাকে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে। করোনার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রেও বিরাজ করছে মহাসংকট। সয়াবিনের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় দেশি বাজারে অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। রমজানে তা আরও বাড়বে না এমন কথা বলতে পারেননি খোদ বাণিজ্যমন্ত্রীও। চিনির বাজারেও থাবা বিস্তার করেছে মূল্যবৃদ্ধির দানব। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির দানবকে সামাল দিতে আসন্ন রমজানে দ্রব্যসামগ্রীর বাজার দুই ভাবে মনিটর করা জরুরি। এর একটি হলো যারা বাজার মনিটরের দায়িত্বে তাদের সক্রিয় হতে হবে। এ-সংক্রান্ত যে আইন আছে তার বাস্তবায়নও জরুরি। অন্যটি হলো বিকল্পভাবে বাজারে পর্যাপ্ত দ্রব্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। জবরদস্তি, মামলা-মোকদ্দমা বা জরিমানা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। বাজারে যদি দ্রব্যসামগ্রীর সরবরাহ বাড়ানো যায় তাহলে ভোক্তারা অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনতে পারবে। অনেক সময় চাহিদা বাড়বে এ আগাম বার্তা পেয়ে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। তা নিয়ন্ত্রণে জোরালোভাবে বাজার মনিটর করতে হবে। ট্যারিফ কমিশন রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর যৌক্তিক মুনাফা সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে। সরকার সে দাম তৃণমূল থেকে রাজধানী পর্যন্ত বাস্তবায়নে মনিটরিং করবে। এটি সম্ভব হলে রমজানে এ বছরও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্বস্তিতে থাকবে রোজাদাররা।

সর্বশেষ খবর