মাদকের চালান প্রায়ই ধরা পড়ছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পোষা যে একেবারে বৃথা যাচ্ছে না তাও প্রমাণিত হচ্ছে। তবে মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের হদিস মিলছে না। মাদকরাজ্যে যারা কোকেন, ক্রিস্টাল মেথ এবং ফেইনথাইলামিনসহ নতুন ধরনের নেশার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সম্পর্কে দৃশ্যত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অন্ধকারে। এ জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের অশুভ প্রভাব যেমন নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে তেমনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দুর্বলতাও অনেকাংশে দায়ী। অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, প্রত্যেক মাদক চালানের পয়েন্ট অব অরজিন এবং পয়েন্ট অব ডেসটিনেশন থাকে। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার নানা দুর্বলতার কারণে তা বের হচ্ছে না। এ দুর্বলতা কাটাতে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ধারণা কোকেন, ক্রিস্টাল মেথ, ফেইনথাইলামিনের মতো দামি মাদকের পাচারকারীরা সার্কিট ব্রেকার পদ্ধতিতে কাজ করছে। যখন কোনো চালান জব্দ হয় তখন চালানের আগে-পরে যারা থাকে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। ক্যারিয়ারও ক্রেতা ও বিক্রেতার বিষয়ে খুব একটা জানে না। ফলে দামি মাদকের উৎস ও গন্তব্য অজানা থাকছে। স্মর্তব্য, ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রাম নতুন ধরনের মাদকের প্রবেশদ্বারে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেশ কিছু নতুন মাদকের চালান জব্দ করেছে। তবে উদ্ধার করা মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত সেই মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তা কোনো উপকারে আসছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে গত এক যুগে সরকার কড়া মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। মাদক পাচার ও ব্যবসার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে মাদক আগ্রাসনের গতি কিছুটা রোধ করা গেলেও এ অবৈধ ব্যবসা যে বন্ধ হয়নি তা এক বাস্তবতা। মাদক ব্যবসায় লাভের পাল্লা খুব ভারী হওয়ায় যেসব দেশে মাদক ব্যবসা ও পাচারের শাস্তি মৃত্যুদন্ড সেসব দেশেও তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে মাদকবিরোধী লড়াইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে।
শিরোনাম
- ব্রয়লার ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা
- গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
- রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
- সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
- খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
- ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন ফের গ্রেপ্তার
- দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
- এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
- সেই আলফি পাস করেছে
- এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
- ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
- দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
- মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
- আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
ধরাছোঁয়ার বাইরে ওরা
মাদকচক্রের মূল হোতাদের ধরুন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর