রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবন ও জীবিকা

অস্তিত্বের স্বার্থেই সুরক্ষা জরুরি

জীবন ও জীবিকা এর একটি অন্যটির অনুষঙ্গ। মহামারী মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি যথার্থভাবে পালনের কোনো বিকল্প নেই। একইভাবে স্বাস্থ্যবিধির নামে জীবিকার পথ যাতে রুদ্ধ হয়ে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের দেশে করোনা মোকাবিলার যে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে তার বাস্তবায়ন পর্যায়ে ছিল সীমাহীন ত্রুটি। এ ত্রুটির কারণে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখানোর আত্মঘাতী প্রবণতায় মেতে উঠেছিল দেশের সিংহভাগ মানুষ। পরিণতিতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার টুঁটি চেপে ধরার মতো বিপদ সৃষ্টি করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম সংকটের বিপদ থাকা সত্ত্বেও সরকার জরুরি সার্ভিস ছাড়া ৫ আগস্ট পর্যন্ত কলকারখানাসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। তবে সে বিধিনিষেধ শিথিল করে আজ থেকে গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত অভিহিত করতে চাই। একই সঙ্গে শুধু রপ্তানিমুখী নয়, উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম চালু রাখারও পরামর্শ দিতে চাই। তবে কোনো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যাতে উপেক্ষিত না হয় সেদিকেও সর্বাত্মক নজর রাখতে হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি মহামারী মোকাবিলায় এমন কৌশল অবলম্বন করতে হবে যাতে মানুষের জীবিকার পথ স্তব্ধ না হয়। এজন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং এ নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের শাস্তির সম্মুখীন করাও প্রয়োজন। কিন্তু এ বিষয়টি হেলাফেলা করায় দেশ ও জাতি ইতিমধ্যে সমূহ সর্বনাশের শিকার হয়েছে। আরও বড় বিপর্যয় না চাইলে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। বাজার, ধর্মীয় উপাসনাগারসহ রাস্তাঘাটে কেউ মাস্ক ছাড়া থাকলে জেল বা জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা নিজেদের খামখেয়ালি চরিতার্থ করে ১৭ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলতে চায় তাদের অপরাধ খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ থাকা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর