শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

গল্পটি একটি হিন্দি সিনেমার। এক রাতে মেয়েটিকে এক মুখোশ পরা নারী হত্যা করতে আসে। মেয়েটি নানা কসরত করে বাঁচার জন্য। দুজনের ধস্তাধস্তিতে একসময় ঘাতক মেয়েটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খসে পড়ে তার মুখোশটি। এ সময় বিদ্যুতের চমকে দেখা যায় ঘাতক নারীটি তারই আপন বোন। মেয়েটি হতভম্ব হয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আমলাদের কাজকর্ম দেখে আমার কেন যেন হিন্দি থ্রিলারের সে দৃশ্যটি বারবার মনে পড়ছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ যাদের আদর-আপ্যায়নে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারাই যেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় হন্তারক হয়ে কাজ করছে। মুখে তারা আওয়ামী লীগের স্তুতি করে যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর মনে বলছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘এত আওয়ামী লীগার হওয়ার দরকার নেই। এত চাটুকারিতার দরকার নেই।’ বরিশালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একটু হলেও কি মোহভঙ্গ হয়েছে? একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরিহার্য অংশ। একটি রাজনৈতিক সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল কাজ। কিন্তু আমলারা সব সময়ই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক হতে চান। দুর্নীতির হালুয়া-রুটির বেশির ভাগই তাদের পাতে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখলাম আমলারা যেন যখন যার তখন তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমলারা যে কী পরিমাণ মুজিবভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তা নতুন করে বলতে চাই না। সে সময় আমলাদের অতিচাটুকারিতায় প্র্রমাদ গুনেছিলেন অনেকেই। ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সে সময় এক ঐতিহাসিক উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ মণির লেখার শিরোনাম ছিল ‘আইয়ুবের আমলা দিয়ে মুজিবের প্রশাসন চলবে না’। শেখ মণির ওই বক্তব্য যে কতটা সত্যি ছিল তা বোঝা যায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি মোশতাককে শপথবাক্য পাঠ করান আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। বাংলাদেশে আমলারা যেন গিরগিটির মতো। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার রূপ, রং ধারণ করে। আরও সহজ করে বলা যায় জলের মতো। যে পাত্রে যায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। জিয়ার আমলে সাফারি, সানগ্লাস পরা আমলা এরশাদের আমলে এসে রাজকবি হয়ে যান। জিয়ার খাল কাটাকে ‘বিপ্লব’ বলে, এ নিয়ে বিপুল গবেষণা করে পিএইচডি করা আমলা আবার আওয়ামী লীগের দন্ডমুন্ডের কর্তা হতেও সময় নেন না। এরশাদকে ‘সর্বকালের সেরা শাসক’ বলা আমলাকে দেখেছি দ্রুতপদে বিএনপির দরজা দিয়ে ঢুকতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেখ হাসিনার বদান্যতায় সচিব হওয়া আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার টাকার ব্যাগ টেনেছেন। আমলাদের ডিগবাজি, পদস্খলনের কাহিনি লিখলে তা আরব্য রজনীকেও হার মানাবে। সেই ফিরিস্তি এখন নাই-বা লিখলাম। কিন্তু আমলাদের এ রকম বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আগে কখনো দেখা যায়নি। গত ১২ বছরে আমলারা যেন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। যার নাম দেওয়া যায় ‘আওয়ামী আমলা লীগ’। আস্তে আস্তে সরকারে আমলাদের প্রভাব বেড়েছে। এখন আমলারাই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে গত দেড় বছরে দেশে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এ আমলারা কি আসলে আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী? দুঃসময়ে কি এরা থাকবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কি এরা দাঁড়াবেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা বিতর্ক। নানা জনের নানা মত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের কিছু ঘটনায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

১৮ আগস্ট বরিশাল। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। গোটা জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রুটিন কাজের মধ্যেই গুটিয়ে রাখেন। সেই আগস্টে এক ভয়ংকর কান্ড ঘটানো হলো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বরিশালে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগের বিরোধ। এ বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিল। শখানেক মানুষ আহত হলো। সারা দেশ স্তম্ভিত। ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহই খলনায়ক। শোনা গেল মেয়র অপসারিত হচ্ছেন। সাদিক আবদুল্লাহ যে ধোয়া তুলসী পাতা নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ ঘটনায় তার দায় আদৌ যে ছিল না তা পরে বেরিয়ে আসতে লাগল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হলো। প্রধান আসামি মেয়র। বাদবাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। সবাই আওয়ামী লীগ। বরিশালে প্রশাসনই যেন সরকার, আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে এ ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এ সমঝোতার পর অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এলো। জানা গেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা হলো, বরিশালে সহিংসতার ঘটনার জন্যই সম্ভবত তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করল যে মুনিবুরকে বদলি করা হয়েছে ১০ আগস্ট। মুনিবুর নিজেও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি তার বদলির আদেশের কথা জানতেন। বদলির প্রক্রিয়াধীন থাকা একজন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতেন তিনি বিদায় নিচ্ছেন। বিদায় নেওয়ার আগে মেয়রকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যে এ লঙ্কাকান্ডের আয়োজন তা বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। কিছুদিন আগে ঘোড়াঘাটে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন বন্দুকধারী আনসার দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে তোফায়েল আহমেদসহ বহু রাজনীতিবিদ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর অপব্যবহার হতে পারে। বরিশালে এর বাড়াবাড়ি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের চরিত্রহননের এক নিপুণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী পক্ষ এ ঘটনার সুপার এডিটেড ভিডিও প্রকাশ করবে। বলবে আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের দল’। ‘আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন নিরাপদ নয়’ ঠিক যেমনটি করেছিল বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে। বদলি প্রক্রিয়াধীন একজন মাঠ কর্মকর্তা বিদায়ের আগে বরিশাল আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সিল লাগিয়ে দিয়ে গেল।

বরিশালের ঘটনার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আরও ভয়ংকর। এ ঘটনার পরদিন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সারা দেশে হইচই এবং যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হলো- ‘বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সব সময় আমলাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘এরা মুখে এক মনে আরেক। আমলারা যা বিশ্বাস করেন তা বলেন না, যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না।’ ১৯ আগস্ট আমলাদের তথাকথিত সংগঠনের নামে বিবৃতিটি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আওয়ামী লীগের পদলেহন করা আমলারা আসলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনে কী ভাবেন তা এক লহমায় প্রকাশিত হয়ে গেছে এ বিবৃতিতে। এ যেন মুখোশ পরা এক মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ার মতোই। এ বিবৃতি আমলাদের মনের কথার দলিল। গুরুজনেরা বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে মনের গোপন কুঠরি খোলে। সত্যটা বেরিয়ে আসে। এ বিবৃতি সে কথারই যেন এক সত্য প্রকাশ। এ ঘটনার চার দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, এ বিবৃতির সঙ্গে অধিকাংশ সচিব একমত নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তো তার পদাধিকারবলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নন। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা কি তিনি জানেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত (২৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে তো ওই বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হতো। কিংবা ওই বিবৃতির সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা আরেকটি বিবৃতি দিয়ে বলতেন যে ওই বিবৃতির সঙ্গে তাদের সংশ্রব নেই। তারা কোনোটাই করেননি। এ বিবৃতিটি একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক বোমা। এ বিবৃতি কতবার, কতভাবে বিরোধী পক্ষ ব্যবহার করবে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিবৃতি বিরোধী পক্ষের পোস্টার হবে। ‘শুধু বরিশাল নয়, সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ’ এমন কথা বলা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠবে এক মারণাস্ত্র। পাঠক! আমলাদের ঔপনিবেশিক চতুরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ বিবৃতিটি। ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্রকে লাল ফিতার সৌন্দর্য দিয়েছে। আমলাতন্ত্রের মূল কথা হলো মুখের কথা মূল্যহীন, ফাইলের কাগজই আসল। আমলারা আওয়ামী লীগ মেয়রের কথিত ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ‘ফাইলবন্দী’ করে ফেলেছেন। এখন আমলারা যা-ই বলুন না কেন তা মূল্যহীন। মুখের কথা মানুষ ভুলে যাবে। কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি রয়ে যাবে। যুগ যুগ ধরে এ নথি আওয়ামী লীগকে বিদ্ধ করবে। বরিশালের ঘটনায় আমলাদের চরিত্রের আরেকটি অনবদ্য দিক হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো উদ্ভাসিত হলো। এটি হলো দলবদল, মতবদল। সহজ বাংলায় যাকে বলে ভোল পাল্টানো। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শীর্ষ আমলারা জানবেন না তা কেউই বিশ্বাস করে না। এর আগেও এ সংগঠনটি ফরিদপুরের ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর, রাজনীতিপ্রবণ বিবৃতি দিয়েছিল। এ ধরনের বৈঠকের আগে সমিতির নেতারা শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কী কথা হলো না হলো তা নিশ্চয়ই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আমলারা চলেন একটা চেনে। কবির বিন আনোয়ার কারও সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বানান ভুলের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যখনই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো, সারা দেশ এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলো তখন শুধু কবির বিন আনোয়ারকেই বলির পাঁঠা বানানো হলো। অন্যরা এমন ভাব করলেন তারা কিছুই জানেন না। এটাই আমলাদের বৈশিষ্ট্য। তাই এখন যারা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বলে মুখে ফেনা তুলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এরাই বলবেন ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলাম না।’ হাঁসের মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বলবেন, ‘আমরা কিছুই জানতাম না।’ ঠিক যেমনটি করেছিলেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর।

কিছুদিন ধরেই আমলারা সরকারকে অস্থির করে তুলছেন। আমলাদের ভুলে এবং অযৌক্তিক কাজকর্মে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। আমলাদের কারণেই সরকারের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে দেখলে মনে হবে এটি অযোগ্যতা, সমন্বয়হীনতা। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পর তা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমলাদের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে সর্বনাশের খেলায় মেতেছেন। যার একমাত্র লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে অজনপ্রিয় করা। সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। গৃহহীনদের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দুই রুমের পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্ভট সিদ্ধান্ত ভুল নয়, অপরাধ। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার লকডাউন নিয়ে ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ প্রজ্ঞাপন অপরাধ। অর্ধেক গাড়ি চলবে, গার্মেন্ট খুলবে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে স্যাবোটাজ তা বরিশালের ঘটনার পর উন্মোচিত হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের এসব কান্ড আমাকে ’৭৫-এর আগের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাসদ এবং সর্বহারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সিঁধ কাটছিল খুনি মোশতাক চক্র। যারা ছিল জাতির পিতার কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারা দিন ঘুরঘুর করত। এবার শোকের মাসেও দেখলাম আওয়ামী লীগ ভুল নিশানায় গুলি ছুড়ছে। আওয়ামী লীগের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হলো বিএনপি। ১৫ ও ২১ আগস্ট নিয়ে যতগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর পড়লাম তার সবটিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু জিয়া, খালেদা আর তারেক জিয়া। ওই দুই ঘটনার যে এরাই মূল ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেকের বিএনপি এখন আরেকটা ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটাতে পারবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এতটাই নাজুক যে একটা বড় মিছিল, কিংবা একটা কঠিন হরতাল করার মতো শক্তিও তাদের নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বরং এখন বিএনপির সমালোচনা করে দলটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখছেন। বিএনপিও এতে খুশি। আওয়ামী লীগের সমালোচনার সব তীর বিএনপির দিকে তাক করিয়ে নব্য মোশতাকরা সিঁধ কাটছে। চারপাশে ষড়যন্ত্রগুলো এখন দৃশ্যমান। আপাত বিক্ষিপ্ত এ ঘটনাগুলোকে পাজল গেমের মতো মেলালে দেখা যাবে ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ। আওয়ামী লীগের নেতারা কি সব ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন?

শোকের মাসের একটা আবহ থাকে। আগে এ আবহ নষ্ট করত খালেদা জিয়ার তথাকথিত জন্মদিনের বীভৎস উৎসব। শোকের নিস্তব্ধতা ম্লান করার জন্যই এটা করা হতো। এবার আগস্টে জন্মদিনের উৎকট বিকৃতি নেই। তাতে কী? এবার আগস্টজুড়ে চলল অন্য রকম বিকৃতির উৎসব। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের নিয়ে এসব নোংরা খেলা কেন এ শোকের মাসে? বরিশালে সংঘাত কেন এ শোকের মাসে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। বিএনপিকে গালি দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আওয়ামী লীগের নেতারা কি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন? পরীমণিকান্ড, আমলাদের কান্ড একসূত্রে গাঁথা। যারা এসব করছেন, এসব ঘটনার যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা এ সময়ের মোশতাক। এরা সরকারের চারপাশেই আছে। এরাই ক্ষমতাবান। মৃত শত্রুকে আঘাত করার চেয়ে ঘরের শত্রুকে চিহ্নিত করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংতম ঘটনা ঘটে। দেশকে যখন তিনি বাকশালের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তখনই আগস্ট ট্র্যাজেডি ঘটে। এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী আমলাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। সচিবদের সঙ্গে সভা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দেশকে বিভক্তি থেকে মুক্ত করে ঐক্যের সুতোয় বেঁধেছেন শেখ হাসিনা। এ রকম একটি সময়ে এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে- বিএনপি, না মুখোশ পরে থাকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ হওয়া আমলারা?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা