শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

গল্পটি একটি হিন্দি সিনেমার। এক রাতে মেয়েটিকে এক মুখোশ পরা নারী হত্যা করতে আসে। মেয়েটি নানা কসরত করে বাঁচার জন্য। দুজনের ধস্তাধস্তিতে একসময় ঘাতক মেয়েটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খসে পড়ে তার মুখোশটি। এ সময় বিদ্যুতের চমকে দেখা যায় ঘাতক নারীটি তারই আপন বোন। মেয়েটি হতভম্ব হয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আমলাদের কাজকর্ম দেখে আমার কেন যেন হিন্দি থ্রিলারের সে দৃশ্যটি বারবার মনে পড়ছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ যাদের আদর-আপ্যায়নে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারাই যেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় হন্তারক হয়ে কাজ করছে। মুখে তারা আওয়ামী লীগের স্তুতি করে যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর মনে বলছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘এত আওয়ামী লীগার হওয়ার দরকার নেই। এত চাটুকারিতার দরকার নেই।’ বরিশালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একটু হলেও কি মোহভঙ্গ হয়েছে? একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরিহার্য অংশ। একটি রাজনৈতিক সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল কাজ। কিন্তু আমলারা সব সময়ই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক হতে চান। দুর্নীতির হালুয়া-রুটির বেশির ভাগই তাদের পাতে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখলাম আমলারা যেন যখন যার তখন তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমলারা যে কী পরিমাণ মুজিবভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তা নতুন করে বলতে চাই না। সে সময় আমলাদের অতিচাটুকারিতায় প্র্রমাদ গুনেছিলেন অনেকেই। ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সে সময় এক ঐতিহাসিক উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ মণির লেখার শিরোনাম ছিল ‘আইয়ুবের আমলা দিয়ে মুজিবের প্রশাসন চলবে না’। শেখ মণির ওই বক্তব্য যে কতটা সত্যি ছিল তা বোঝা যায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি মোশতাককে শপথবাক্য পাঠ করান আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। বাংলাদেশে আমলারা যেন গিরগিটির মতো। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার রূপ, রং ধারণ করে। আরও সহজ করে বলা যায় জলের মতো। যে পাত্রে যায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। জিয়ার আমলে সাফারি, সানগ্লাস পরা আমলা এরশাদের আমলে এসে রাজকবি হয়ে যান। জিয়ার খাল কাটাকে ‘বিপ্লব’ বলে, এ নিয়ে বিপুল গবেষণা করে পিএইচডি করা আমলা আবার আওয়ামী লীগের দন্ডমুন্ডের কর্তা হতেও সময় নেন না। এরশাদকে ‘সর্বকালের সেরা শাসক’ বলা আমলাকে দেখেছি দ্রুতপদে বিএনপির দরজা দিয়ে ঢুকতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেখ হাসিনার বদান্যতায় সচিব হওয়া আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার টাকার ব্যাগ টেনেছেন। আমলাদের ডিগবাজি, পদস্খলনের কাহিনি লিখলে তা আরব্য রজনীকেও হার মানাবে। সেই ফিরিস্তি এখন নাই-বা লিখলাম। কিন্তু আমলাদের এ রকম বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আগে কখনো দেখা যায়নি। গত ১২ বছরে আমলারা যেন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। যার নাম দেওয়া যায় ‘আওয়ামী আমলা লীগ’। আস্তে আস্তে সরকারে আমলাদের প্রভাব বেড়েছে। এখন আমলারাই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে গত দেড় বছরে দেশে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এ আমলারা কি আসলে আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী? দুঃসময়ে কি এরা থাকবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কি এরা দাঁড়াবেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা বিতর্ক। নানা জনের নানা মত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের কিছু ঘটনায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

১৮ আগস্ট বরিশাল। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। গোটা জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রুটিন কাজের মধ্যেই গুটিয়ে রাখেন। সেই আগস্টে এক ভয়ংকর কান্ড ঘটানো হলো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বরিশালে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগের বিরোধ। এ বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিল। শখানেক মানুষ আহত হলো। সারা দেশ স্তম্ভিত। ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহই খলনায়ক। শোনা গেল মেয়র অপসারিত হচ্ছেন। সাদিক আবদুল্লাহ যে ধোয়া তুলসী পাতা নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ ঘটনায় তার দায় আদৌ যে ছিল না তা পরে বেরিয়ে আসতে লাগল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হলো। প্রধান আসামি মেয়র। বাদবাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। সবাই আওয়ামী লীগ। বরিশালে প্রশাসনই যেন সরকার, আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে এ ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এ সমঝোতার পর অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এলো। জানা গেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা হলো, বরিশালে সহিংসতার ঘটনার জন্যই সম্ভবত তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করল যে মুনিবুরকে বদলি করা হয়েছে ১০ আগস্ট। মুনিবুর নিজেও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি তার বদলির আদেশের কথা জানতেন। বদলির প্রক্রিয়াধীন থাকা একজন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতেন তিনি বিদায় নিচ্ছেন। বিদায় নেওয়ার আগে মেয়রকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যে এ লঙ্কাকান্ডের আয়োজন তা বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। কিছুদিন আগে ঘোড়াঘাটে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন বন্দুকধারী আনসার দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে তোফায়েল আহমেদসহ বহু রাজনীতিবিদ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর অপব্যবহার হতে পারে। বরিশালে এর বাড়াবাড়ি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের চরিত্রহননের এক নিপুণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী পক্ষ এ ঘটনার সুপার এডিটেড ভিডিও প্রকাশ করবে। বলবে আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের দল’। ‘আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন নিরাপদ নয়’ ঠিক যেমনটি করেছিল বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে। বদলি প্রক্রিয়াধীন একজন মাঠ কর্মকর্তা বিদায়ের আগে বরিশাল আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সিল লাগিয়ে দিয়ে গেল।

বরিশালের ঘটনার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আরও ভয়ংকর। এ ঘটনার পরদিন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সারা দেশে হইচই এবং যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হলো- ‘বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সব সময় আমলাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘এরা মুখে এক মনে আরেক। আমলারা যা বিশ্বাস করেন তা বলেন না, যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না।’ ১৯ আগস্ট আমলাদের তথাকথিত সংগঠনের নামে বিবৃতিটি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আওয়ামী লীগের পদলেহন করা আমলারা আসলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনে কী ভাবেন তা এক লহমায় প্রকাশিত হয়ে গেছে এ বিবৃতিতে। এ যেন মুখোশ পরা এক মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ার মতোই। এ বিবৃতি আমলাদের মনের কথার দলিল। গুরুজনেরা বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে মনের গোপন কুঠরি খোলে। সত্যটা বেরিয়ে আসে। এ বিবৃতি সে কথারই যেন এক সত্য প্রকাশ। এ ঘটনার চার দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, এ বিবৃতির সঙ্গে অধিকাংশ সচিব একমত নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তো তার পদাধিকারবলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নন। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা কি তিনি জানেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত (২৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে তো ওই বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হতো। কিংবা ওই বিবৃতির সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা আরেকটি বিবৃতি দিয়ে বলতেন যে ওই বিবৃতির সঙ্গে তাদের সংশ্রব নেই। তারা কোনোটাই করেননি। এ বিবৃতিটি একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক বোমা। এ বিবৃতি কতবার, কতভাবে বিরোধী পক্ষ ব্যবহার করবে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিবৃতি বিরোধী পক্ষের পোস্টার হবে। ‘শুধু বরিশাল নয়, সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ’ এমন কথা বলা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠবে এক মারণাস্ত্র। পাঠক! আমলাদের ঔপনিবেশিক চতুরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ বিবৃতিটি। ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্রকে লাল ফিতার সৌন্দর্য দিয়েছে। আমলাতন্ত্রের মূল কথা হলো মুখের কথা মূল্যহীন, ফাইলের কাগজই আসল। আমলারা আওয়ামী লীগ মেয়রের কথিত ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ‘ফাইলবন্দী’ করে ফেলেছেন। এখন আমলারা যা-ই বলুন না কেন তা মূল্যহীন। মুখের কথা মানুষ ভুলে যাবে। কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি রয়ে যাবে। যুগ যুগ ধরে এ নথি আওয়ামী লীগকে বিদ্ধ করবে। বরিশালের ঘটনায় আমলাদের চরিত্রের আরেকটি অনবদ্য দিক হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো উদ্ভাসিত হলো। এটি হলো দলবদল, মতবদল। সহজ বাংলায় যাকে বলে ভোল পাল্টানো। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শীর্ষ আমলারা জানবেন না তা কেউই বিশ্বাস করে না। এর আগেও এ সংগঠনটি ফরিদপুরের ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর, রাজনীতিপ্রবণ বিবৃতি দিয়েছিল। এ ধরনের বৈঠকের আগে সমিতির নেতারা শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কী কথা হলো না হলো তা নিশ্চয়ই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আমলারা চলেন একটা চেনে। কবির বিন আনোয়ার কারও সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বানান ভুলের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যখনই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো, সারা দেশ এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলো তখন শুধু কবির বিন আনোয়ারকেই বলির পাঁঠা বানানো হলো। অন্যরা এমন ভাব করলেন তারা কিছুই জানেন না। এটাই আমলাদের বৈশিষ্ট্য। তাই এখন যারা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বলে মুখে ফেনা তুলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এরাই বলবেন ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলাম না।’ হাঁসের মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বলবেন, ‘আমরা কিছুই জানতাম না।’ ঠিক যেমনটি করেছিলেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর।

কিছুদিন ধরেই আমলারা সরকারকে অস্থির করে তুলছেন। আমলাদের ভুলে এবং অযৌক্তিক কাজকর্মে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। আমলাদের কারণেই সরকারের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে দেখলে মনে হবে এটি অযোগ্যতা, সমন্বয়হীনতা। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পর তা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমলাদের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে সর্বনাশের খেলায় মেতেছেন। যার একমাত্র লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে অজনপ্রিয় করা। সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। গৃহহীনদের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দুই রুমের পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্ভট সিদ্ধান্ত ভুল নয়, অপরাধ। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার লকডাউন নিয়ে ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ প্রজ্ঞাপন অপরাধ। অর্ধেক গাড়ি চলবে, গার্মেন্ট খুলবে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে স্যাবোটাজ তা বরিশালের ঘটনার পর উন্মোচিত হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের এসব কান্ড আমাকে ’৭৫-এর আগের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাসদ এবং সর্বহারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সিঁধ কাটছিল খুনি মোশতাক চক্র। যারা ছিল জাতির পিতার কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারা দিন ঘুরঘুর করত। এবার শোকের মাসেও দেখলাম আওয়ামী লীগ ভুল নিশানায় গুলি ছুড়ছে। আওয়ামী লীগের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হলো বিএনপি। ১৫ ও ২১ আগস্ট নিয়ে যতগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর পড়লাম তার সবটিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু জিয়া, খালেদা আর তারেক জিয়া। ওই দুই ঘটনার যে এরাই মূল ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেকের বিএনপি এখন আরেকটা ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটাতে পারবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এতটাই নাজুক যে একটা বড় মিছিল, কিংবা একটা কঠিন হরতাল করার মতো শক্তিও তাদের নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বরং এখন বিএনপির সমালোচনা করে দলটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখছেন। বিএনপিও এতে খুশি। আওয়ামী লীগের সমালোচনার সব তীর বিএনপির দিকে তাক করিয়ে নব্য মোশতাকরা সিঁধ কাটছে। চারপাশে ষড়যন্ত্রগুলো এখন দৃশ্যমান। আপাত বিক্ষিপ্ত এ ঘটনাগুলোকে পাজল গেমের মতো মেলালে দেখা যাবে ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ। আওয়ামী লীগের নেতারা কি সব ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন?

শোকের মাসের একটা আবহ থাকে। আগে এ আবহ নষ্ট করত খালেদা জিয়ার তথাকথিত জন্মদিনের বীভৎস উৎসব। শোকের নিস্তব্ধতা ম্লান করার জন্যই এটা করা হতো। এবার আগস্টে জন্মদিনের উৎকট বিকৃতি নেই। তাতে কী? এবার আগস্টজুড়ে চলল অন্য রকম বিকৃতির উৎসব। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের নিয়ে এসব নোংরা খেলা কেন এ শোকের মাসে? বরিশালে সংঘাত কেন এ শোকের মাসে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। বিএনপিকে গালি দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আওয়ামী লীগের নেতারা কি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন? পরীমণিকান্ড, আমলাদের কান্ড একসূত্রে গাঁথা। যারা এসব করছেন, এসব ঘটনার যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা এ সময়ের মোশতাক। এরা সরকারের চারপাশেই আছে। এরাই ক্ষমতাবান। মৃত শত্রুকে আঘাত করার চেয়ে ঘরের শত্রুকে চিহ্নিত করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংতম ঘটনা ঘটে। দেশকে যখন তিনি বাকশালের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তখনই আগস্ট ট্র্যাজেডি ঘটে। এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী আমলাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। সচিবদের সঙ্গে সভা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দেশকে বিভক্তি থেকে মুক্ত করে ঐক্যের সুতোয় বেঁধেছেন শেখ হাসিনা। এ রকম একটি সময়ে এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে- বিএনপি, না মুখোশ পরে থাকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ হওয়া আমলারা?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৫৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন