শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

গল্পটি একটি হিন্দি সিনেমার। এক রাতে মেয়েটিকে এক মুখোশ পরা নারী হত্যা করতে আসে। মেয়েটি নানা কসরত করে বাঁচার জন্য। দুজনের ধস্তাধস্তিতে একসময় ঘাতক মেয়েটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খসে পড়ে তার মুখোশটি। এ সময় বিদ্যুতের চমকে দেখা যায় ঘাতক নারীটি তারই আপন বোন। মেয়েটি হতভম্ব হয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আমলাদের কাজকর্ম দেখে আমার কেন যেন হিন্দি থ্রিলারের সে দৃশ্যটি বারবার মনে পড়ছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ যাদের আদর-আপ্যায়নে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারাই যেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় হন্তারক হয়ে কাজ করছে। মুখে তারা আওয়ামী লীগের স্তুতি করে যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর মনে বলছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘এত আওয়ামী লীগার হওয়ার দরকার নেই। এত চাটুকারিতার দরকার নেই।’ বরিশালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একটু হলেও কি মোহভঙ্গ হয়েছে? একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরিহার্য অংশ। একটি রাজনৈতিক সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল কাজ। কিন্তু আমলারা সব সময়ই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক হতে চান। দুর্নীতির হালুয়া-রুটির বেশির ভাগই তাদের পাতে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখলাম আমলারা যেন যখন যার তখন তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমলারা যে কী পরিমাণ মুজিবভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তা নতুন করে বলতে চাই না। সে সময় আমলাদের অতিচাটুকারিতায় প্র্রমাদ গুনেছিলেন অনেকেই। ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সে সময় এক ঐতিহাসিক উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ মণির লেখার শিরোনাম ছিল ‘আইয়ুবের আমলা দিয়ে মুজিবের প্রশাসন চলবে না’। শেখ মণির ওই বক্তব্য যে কতটা সত্যি ছিল তা বোঝা যায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি মোশতাককে শপথবাক্য পাঠ করান আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। বাংলাদেশে আমলারা যেন গিরগিটির মতো। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার রূপ, রং ধারণ করে। আরও সহজ করে বলা যায় জলের মতো। যে পাত্রে যায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। জিয়ার আমলে সাফারি, সানগ্লাস পরা আমলা এরশাদের আমলে এসে রাজকবি হয়ে যান। জিয়ার খাল কাটাকে ‘বিপ্লব’ বলে, এ নিয়ে বিপুল গবেষণা করে পিএইচডি করা আমলা আবার আওয়ামী লীগের দন্ডমুন্ডের কর্তা হতেও সময় নেন না। এরশাদকে ‘সর্বকালের সেরা শাসক’ বলা আমলাকে দেখেছি দ্রুতপদে বিএনপির দরজা দিয়ে ঢুকতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেখ হাসিনার বদান্যতায় সচিব হওয়া আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার টাকার ব্যাগ টেনেছেন। আমলাদের ডিগবাজি, পদস্খলনের কাহিনি লিখলে তা আরব্য রজনীকেও হার মানাবে। সেই ফিরিস্তি এখন নাই-বা লিখলাম। কিন্তু আমলাদের এ রকম বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আগে কখনো দেখা যায়নি। গত ১২ বছরে আমলারা যেন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। যার নাম দেওয়া যায় ‘আওয়ামী আমলা লীগ’। আস্তে আস্তে সরকারে আমলাদের প্রভাব বেড়েছে। এখন আমলারাই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে গত দেড় বছরে দেশে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এ আমলারা কি আসলে আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী? দুঃসময়ে কি এরা থাকবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কি এরা দাঁড়াবেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা বিতর্ক। নানা জনের নানা মত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের কিছু ঘটনায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

১৮ আগস্ট বরিশাল। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। গোটা জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রুটিন কাজের মধ্যেই গুটিয়ে রাখেন। সেই আগস্টে এক ভয়ংকর কান্ড ঘটানো হলো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বরিশালে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগের বিরোধ। এ বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিল। শখানেক মানুষ আহত হলো। সারা দেশ স্তম্ভিত। ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহই খলনায়ক। শোনা গেল মেয়র অপসারিত হচ্ছেন। সাদিক আবদুল্লাহ যে ধোয়া তুলসী পাতা নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ ঘটনায় তার দায় আদৌ যে ছিল না তা পরে বেরিয়ে আসতে লাগল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হলো। প্রধান আসামি মেয়র। বাদবাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। সবাই আওয়ামী লীগ। বরিশালে প্রশাসনই যেন সরকার, আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে এ ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এ সমঝোতার পর অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এলো। জানা গেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা হলো, বরিশালে সহিংসতার ঘটনার জন্যই সম্ভবত তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করল যে মুনিবুরকে বদলি করা হয়েছে ১০ আগস্ট। মুনিবুর নিজেও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি তার বদলির আদেশের কথা জানতেন। বদলির প্রক্রিয়াধীন থাকা একজন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতেন তিনি বিদায় নিচ্ছেন। বিদায় নেওয়ার আগে মেয়রকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যে এ লঙ্কাকান্ডের আয়োজন তা বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। কিছুদিন আগে ঘোড়াঘাটে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন বন্দুকধারী আনসার দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে তোফায়েল আহমেদসহ বহু রাজনীতিবিদ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর অপব্যবহার হতে পারে। বরিশালে এর বাড়াবাড়ি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের চরিত্রহননের এক নিপুণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী পক্ষ এ ঘটনার সুপার এডিটেড ভিডিও প্রকাশ করবে। বলবে আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের দল’। ‘আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন নিরাপদ নয়’ ঠিক যেমনটি করেছিল বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে। বদলি প্রক্রিয়াধীন একজন মাঠ কর্মকর্তা বিদায়ের আগে বরিশাল আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সিল লাগিয়ে দিয়ে গেল।

বরিশালের ঘটনার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আরও ভয়ংকর। এ ঘটনার পরদিন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সারা দেশে হইচই এবং যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হলো- ‘বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সব সময় আমলাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘এরা মুখে এক মনে আরেক। আমলারা যা বিশ্বাস করেন তা বলেন না, যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না।’ ১৯ আগস্ট আমলাদের তথাকথিত সংগঠনের নামে বিবৃতিটি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আওয়ামী লীগের পদলেহন করা আমলারা আসলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনে কী ভাবেন তা এক লহমায় প্রকাশিত হয়ে গেছে এ বিবৃতিতে। এ যেন মুখোশ পরা এক মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ার মতোই। এ বিবৃতি আমলাদের মনের কথার দলিল। গুরুজনেরা বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে মনের গোপন কুঠরি খোলে। সত্যটা বেরিয়ে আসে। এ বিবৃতি সে কথারই যেন এক সত্য প্রকাশ। এ ঘটনার চার দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, এ বিবৃতির সঙ্গে অধিকাংশ সচিব একমত নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তো তার পদাধিকারবলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নন। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা কি তিনি জানেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত (২৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে তো ওই বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হতো। কিংবা ওই বিবৃতির সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা আরেকটি বিবৃতি দিয়ে বলতেন যে ওই বিবৃতির সঙ্গে তাদের সংশ্রব নেই। তারা কোনোটাই করেননি। এ বিবৃতিটি একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক বোমা। এ বিবৃতি কতবার, কতভাবে বিরোধী পক্ষ ব্যবহার করবে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিবৃতি বিরোধী পক্ষের পোস্টার হবে। ‘শুধু বরিশাল নয়, সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ’ এমন কথা বলা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠবে এক মারণাস্ত্র। পাঠক! আমলাদের ঔপনিবেশিক চতুরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ বিবৃতিটি। ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্রকে লাল ফিতার সৌন্দর্য দিয়েছে। আমলাতন্ত্রের মূল কথা হলো মুখের কথা মূল্যহীন, ফাইলের কাগজই আসল। আমলারা আওয়ামী লীগ মেয়রের কথিত ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ‘ফাইলবন্দী’ করে ফেলেছেন। এখন আমলারা যা-ই বলুন না কেন তা মূল্যহীন। মুখের কথা মানুষ ভুলে যাবে। কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি রয়ে যাবে। যুগ যুগ ধরে এ নথি আওয়ামী লীগকে বিদ্ধ করবে। বরিশালের ঘটনায় আমলাদের চরিত্রের আরেকটি অনবদ্য দিক হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো উদ্ভাসিত হলো। এটি হলো দলবদল, মতবদল। সহজ বাংলায় যাকে বলে ভোল পাল্টানো। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শীর্ষ আমলারা জানবেন না তা কেউই বিশ্বাস করে না। এর আগেও এ সংগঠনটি ফরিদপুরের ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর, রাজনীতিপ্রবণ বিবৃতি দিয়েছিল। এ ধরনের বৈঠকের আগে সমিতির নেতারা শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কী কথা হলো না হলো তা নিশ্চয়ই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আমলারা চলেন একটা চেনে। কবির বিন আনোয়ার কারও সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বানান ভুলের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যখনই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো, সারা দেশ এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলো তখন শুধু কবির বিন আনোয়ারকেই বলির পাঁঠা বানানো হলো। অন্যরা এমন ভাব করলেন তারা কিছুই জানেন না। এটাই আমলাদের বৈশিষ্ট্য। তাই এখন যারা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বলে মুখে ফেনা তুলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এরাই বলবেন ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলাম না।’ হাঁসের মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বলবেন, ‘আমরা কিছুই জানতাম না।’ ঠিক যেমনটি করেছিলেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর।

কিছুদিন ধরেই আমলারা সরকারকে অস্থির করে তুলছেন। আমলাদের ভুলে এবং অযৌক্তিক কাজকর্মে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। আমলাদের কারণেই সরকারের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে দেখলে মনে হবে এটি অযোগ্যতা, সমন্বয়হীনতা। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পর তা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমলাদের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে সর্বনাশের খেলায় মেতেছেন। যার একমাত্র লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে অজনপ্রিয় করা। সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। গৃহহীনদের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দুই রুমের পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্ভট সিদ্ধান্ত ভুল নয়, অপরাধ। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার লকডাউন নিয়ে ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ প্রজ্ঞাপন অপরাধ। অর্ধেক গাড়ি চলবে, গার্মেন্ট খুলবে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে স্যাবোটাজ তা বরিশালের ঘটনার পর উন্মোচিত হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের এসব কান্ড আমাকে ’৭৫-এর আগের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাসদ এবং সর্বহারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সিঁধ কাটছিল খুনি মোশতাক চক্র। যারা ছিল জাতির পিতার কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারা দিন ঘুরঘুর করত। এবার শোকের মাসেও দেখলাম আওয়ামী লীগ ভুল নিশানায় গুলি ছুড়ছে। আওয়ামী লীগের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হলো বিএনপি। ১৫ ও ২১ আগস্ট নিয়ে যতগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর পড়লাম তার সবটিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু জিয়া, খালেদা আর তারেক জিয়া। ওই দুই ঘটনার যে এরাই মূল ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেকের বিএনপি এখন আরেকটা ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটাতে পারবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এতটাই নাজুক যে একটা বড় মিছিল, কিংবা একটা কঠিন হরতাল করার মতো শক্তিও তাদের নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বরং এখন বিএনপির সমালোচনা করে দলটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখছেন। বিএনপিও এতে খুশি। আওয়ামী লীগের সমালোচনার সব তীর বিএনপির দিকে তাক করিয়ে নব্য মোশতাকরা সিঁধ কাটছে। চারপাশে ষড়যন্ত্রগুলো এখন দৃশ্যমান। আপাত বিক্ষিপ্ত এ ঘটনাগুলোকে পাজল গেমের মতো মেলালে দেখা যাবে ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ। আওয়ামী লীগের নেতারা কি সব ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন?

শোকের মাসের একটা আবহ থাকে। আগে এ আবহ নষ্ট করত খালেদা জিয়ার তথাকথিত জন্মদিনের বীভৎস উৎসব। শোকের নিস্তব্ধতা ম্লান করার জন্যই এটা করা হতো। এবার আগস্টে জন্মদিনের উৎকট বিকৃতি নেই। তাতে কী? এবার আগস্টজুড়ে চলল অন্য রকম বিকৃতির উৎসব। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের নিয়ে এসব নোংরা খেলা কেন এ শোকের মাসে? বরিশালে সংঘাত কেন এ শোকের মাসে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। বিএনপিকে গালি দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আওয়ামী লীগের নেতারা কি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন? পরীমণিকান্ড, আমলাদের কান্ড একসূত্রে গাঁথা। যারা এসব করছেন, এসব ঘটনার যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা এ সময়ের মোশতাক। এরা সরকারের চারপাশেই আছে। এরাই ক্ষমতাবান। মৃত শত্রুকে আঘাত করার চেয়ে ঘরের শত্রুকে চিহ্নিত করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংতম ঘটনা ঘটে। দেশকে যখন তিনি বাকশালের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তখনই আগস্ট ট্র্যাজেডি ঘটে। এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী আমলাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। সচিবদের সঙ্গে সভা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দেশকে বিভক্তি থেকে মুক্ত করে ঐক্যের সুতোয় বেঁধেছেন শেখ হাসিনা। এ রকম একটি সময়ে এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে- বিএনপি, না মুখোশ পরে থাকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ হওয়া আমলারা?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৪৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৫৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নোয়াখালীতে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাউবির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুলের নতুন ডিন ড. সিরাজুল ইসলাম
বাউবির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুলের নতুন ডিন ড. সিরাজুল ইসলাম

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই প্রথম গোলটি আমি সারাজীবন মনে রাখব: লেভানদোভস্কি
এই প্রথম গোলটি আমি সারাজীবন মনে রাখব: লেভানদোভস্কি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা
আমার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই খুশি হবো : সোহেল রানা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেরপুরে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব
শেরপুরে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৈশ্বিক মান অর্জনে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অ্যাক্রেডিটেশন জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য
বৈশ্বিক মান অর্জনে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অ্যাক্রেডিটেশন জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ধানের শীষে ভোট চেয়ে তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
ধানের শীষে ভোট চেয়ে তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৩১ দফা বাস্তবায়নে বগুড়ায় লিফলেট বিতরণ
৩১ দফা বাস্তবায়নে বগুড়ায় লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মুন্সীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষককে গণপিটুনি
মুন্সীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় শিক্ষককে গণপিটুনি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল আজ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল আজ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা