শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুখোশের আড়ালে আমলাদের আসল চেহারা

গল্পটি একটি হিন্দি সিনেমার। এক রাতে মেয়েটিকে এক মুখোশ পরা নারী হত্যা করতে আসে। মেয়েটি নানা কসরত করে বাঁচার জন্য। দুজনের ধস্তাধস্তিতে একসময় ঘাতক মেয়েটি পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খসে পড়ে তার মুখোশটি। এ সময় বিদ্যুতের চমকে দেখা যায় ঘাতক নারীটি তারই আপন বোন। মেয়েটি হতভম্ব হয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে আমলাদের কাজকর্ম দেখে আমার কেন যেন হিন্দি থ্রিলারের সে দৃশ্যটি বারবার মনে পড়ছে। গত এক যুগে আওয়ামী লীগ যাদের আদর-আপ্যায়নে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারাই যেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় হন্তারক হয়ে কাজ করছে। মুখে তারা আওয়ামী লীগের স্তুতি করে যেন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আর মনে বলছে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘এত আওয়ামী লীগার হওয়ার দরকার নেই। এত চাটুকারিতার দরকার নেই।’ বরিশালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একটু হলেও কি মোহভঙ্গ হয়েছে? একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরিহার্য অংশ। একটি রাজনৈতিক সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কৌশল বাস্তবায়নই প্রশাসনের মূল কাজ। কিন্তু আমলারা সব সময়ই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক হতে চান। দুর্নীতির হালুয়া-রুটির বেশির ভাগই তাদের পাতে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখলাম আমলারা যেন যখন যার তখন তার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমলারা যে কী পরিমাণ মুজিবভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তা নতুন করে বলতে চাই না। সে সময় আমলাদের অতিচাটুকারিতায় প্র্রমাদ গুনেছিলেন অনেকেই। ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি সে সময় এক ঐতিহাসিক উপসম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ মণির লেখার শিরোনাম ছিল ‘আইয়ুবের আমলা দিয়ে মুজিবের প্রশাসন চলবে না’। শেখ মণির ওই বক্তব্য যে কতটা সত্যি ছিল তা বোঝা যায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি মোশতাককে শপথবাক্য পাঠ করান আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠা আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। বাংলাদেশে আমলারা যেন গিরগিটির মতো। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার রূপ, রং ধারণ করে। আরও সহজ করে বলা যায় জলের মতো। যে পাত্রে যায় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। জিয়ার আমলে সাফারি, সানগ্লাস পরা আমলা এরশাদের আমলে এসে রাজকবি হয়ে যান। জিয়ার খাল কাটাকে ‘বিপ্লব’ বলে, এ নিয়ে বিপুল গবেষণা করে পিএইচডি করা আমলা আবার আওয়ামী লীগের দন্ডমুন্ডের কর্তা হতেও সময় নেন না। এরশাদকে ‘সর্বকালের সেরা শাসক’ বলা আমলাকে দেখেছি দ্রুতপদে বিএনপির দরজা দিয়ে ঢুকতে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে। শেখ হাসিনার বদান্যতায় সচিব হওয়া আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার টাকার ব্যাগ টেনেছেন। আমলাদের ডিগবাজি, পদস্খলনের কাহিনি লিখলে তা আরব্য রজনীকেও হার মানাবে। সেই ফিরিস্তি এখন নাই-বা লিখলাম। কিন্তু আমলাদের এ রকম বাড়াবাড়ি এবং রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আগে কখনো দেখা যায়নি। গত ১২ বছরে আমলারা যেন আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। যার নাম দেওয়া যায় ‘আওয়ামী আমলা লীগ’। আস্তে আস্তে সরকারে আমলাদের প্রভাব বেড়েছে। এখন আমলারাই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে গত দেড় বছরে দেশে পুরোপুরি আমলাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। এ আমলারা কি আসলে আওয়ামী লীগের শুভাকাক্সক্ষী? দুঃসময়ে কি এরা থাকবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? আওয়ামী লীগের পক্ষে কি এরা দাঁড়াবেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা বিতর্ক। নানা জনের নানা মত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের কিছু ঘটনায় আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।

১৮ আগস্ট বরিশাল। আগস্ট বাঙালির শোকের মাস। গোটা জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে রুটিন কাজের মধ্যেই গুটিয়ে রাখেন। সেই আগস্টে এক ভয়ংকর কান্ড ঘটানো হলো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে। বরিশালে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগের বিরোধ। এ বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিল। শখানেক মানুষ আহত হলো। সারা দেশ স্তম্ভিত। ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপিত হলো যেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহই খলনায়ক। শোনা গেল মেয়র অপসারিত হচ্ছেন। সাদিক আবদুল্লাহ যে ধোয়া তুলসী পাতা নন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ ঘটনায় তার দায় আদৌ যে ছিল না তা পরে বেরিয়ে আসতে লাগল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা হলো। প্রধান আসামি মেয়র। বাদবাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। সবাই আওয়ামী লীগ। বরিশালে প্রশাসনই যেন সরকার, আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে এ ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এ সমঝোতার পর অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এলো। জানা গেল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ধারণা হলো, বরিশালে সহিংসতার ঘটনার জন্যই সম্ভবত তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করল যে মুনিবুরকে বদলি করা হয়েছে ১০ আগস্ট। মুনিবুর নিজেও গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি তার বদলির আদেশের কথা জানতেন। বদলির প্রক্রিয়াধীন থাকা একজন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন? উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতেন তিনি বিদায় নিচ্ছেন। বিদায় নেওয়ার আগে মেয়রকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই যে এ লঙ্কাকান্ডের আয়োজন তা বুঝতে বোদ্ধা হওয়ার দরকার নেই। কিছুদিন আগে ঘোড়াঘাটে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন বন্দুকধারী আনসার দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে তোফায়েল আহমেদসহ বহু রাজনীতিবিদ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর অপব্যবহার হতে পারে। বরিশালে এর বাড়াবাড়ি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের চরিত্রহননের এক নিপুণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন। এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী পক্ষ এ ঘটনার সুপার এডিটেড ভিডিও প্রকাশ করবে। বলবে আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের দল’। ‘আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন নিরাপদ নয়’ ঠিক যেমনটি করেছিল বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ‘শাবাশ বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে। বদলি প্রক্রিয়াধীন একজন মাঠ কর্মকর্তা বিদায়ের আগে বরিশাল আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সিল লাগিয়ে দিয়ে গেল।

বরিশালের ঘটনার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আরও ভয়ংকর। এ ঘটনার পরদিন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সারা দেশে হইচই এবং যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হলো- ‘বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সব সময় আমলাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘এরা মুখে এক মনে আরেক। আমলারা যা বিশ্বাস করেন তা বলেন না, যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না।’ ১৯ আগস্ট আমলাদের তথাকথিত সংগঠনের নামে বিবৃতিটি এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আওয়ামী লীগের পদলেহন করা আমলারা আসলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনে কী ভাবেন তা এক লহমায় প্রকাশিত হয়ে গেছে এ বিবৃতিতে। এ যেন মুখোশ পরা এক মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ার মতোই। এ বিবৃতি আমলাদের মনের কথার দলিল। গুরুজনেরা বলেন, মানুষ বিপদে পড়লে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে মনের গোপন কুঠরি খোলে। সত্যটা বেরিয়ে আসে। এ বিবৃতি সে কথারই যেন এক সত্য প্রকাশ। এ ঘটনার চার দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, এ বিবৃতির সঙ্গে অধিকাংশ সচিব একমত নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব তো তার পদাধিকারবলে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নন। ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা কি তিনি জানেন? সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত (২৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে তো ওই বিবৃতিটি প্রত্যাহার করা হতো। কিংবা ওই বিবৃতির সঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা আরেকটি বিবৃতি দিয়ে বলতেন যে ওই বিবৃতির সঙ্গে তাদের সংশ্রব নেই। তারা কোনোটাই করেননি। এ বিবৃতিটি একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক বোমা। এ বিবৃতি কতবার, কতভাবে বিরোধী পক্ষ ব্যবহার করবে তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিবৃতি বিরোধী পক্ষের পোস্টার হবে। ‘শুধু বরিশাল নয়, সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ’ এমন কথা বলা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠবে এক মারণাস্ত্র। পাঠক! আমলাদের ঔপনিবেশিক চতুরতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ বিবৃতিটি। ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্রকে লাল ফিতার সৌন্দর্য দিয়েছে। আমলাতন্ত্রের মূল কথা হলো মুখের কথা মূল্যহীন, ফাইলের কাগজই আসল। আমলারা আওয়ামী লীগ মেয়রের কথিত ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ‘ফাইলবন্দী’ করে ফেলেছেন। এখন আমলারা যা-ই বলুন না কেন তা মূল্যহীন। মুখের কথা মানুষ ভুলে যাবে। কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি রয়ে যাবে। যুগ যুগ ধরে এ নথি আওয়ামী লীগকে বিদ্ধ করবে। বরিশালের ঘটনায় আমলাদের চরিত্রের আরেকটি অনবদ্য দিক হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো উদ্ভাসিত হলো। এটি হলো দলবদল, মতবদল। সহজ বাংলায় যাকে বলে ভোল পাল্টানো। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভার কথা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং শীর্ষ আমলারা জানবেন না তা কেউই বিশ্বাস করে না। এর আগেও এ সংগঠনটি ফরিদপুরের ঘটনা নিয়ে আপত্তিকর, রাজনীতিপ্রবণ বিবৃতি দিয়েছিল। এ ধরনের বৈঠকের আগে সমিতির নেতারা শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেন। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কী কথা হলো না হলো তা নিশ্চয়ই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে অবহিত করা হয়েছে। আমলারা চলেন একটা চেনে। কবির বিন আনোয়ার কারও সঙ্গে কথা না বলেই ১৭টি বানান ভুলের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কিন্তু যখনই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো, সারা দেশ এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলো তখন শুধু কবির বিন আনোয়ারকেই বলির পাঁঠা বানানো হলো। অন্যরা এমন ভাব করলেন তারা কিছুই জানেন না। এটাই আমলাদের বৈশিষ্ট্য। তাই এখন যারা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বলে মুখে ফেনা তুলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এরাই বলবেন ‘আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলাম না।’ হাঁসের মতো গা-ঝাড়া দিয়ে বলবেন, ‘আমরা কিছুই জানতাম না।’ ঠিক যেমনটি করেছিলেন ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর।

কিছুদিন ধরেই আমলারা সরকারকে অস্থির করে তুলছেন। আমলাদের ভুলে এবং অযৌক্তিক কাজকর্মে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। আমলাদের কারণেই সরকারের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খালি চোখে দেখলে মনে হবে এটি অযোগ্যতা, সমন্বয়হীনতা। কিন্তু বরিশালের ঘটনার পর তা মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমলাদের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে সর্বনাশের খেলায় মেতেছেন। যার একমাত্র লক্ষ্য হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে অজনপ্রিয় করা। সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা। গৃহহীনদের জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় দুই রুমের পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্ভট সিদ্ধান্ত ভুল নয়, অপরাধ। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার লকডাউন নিয়ে ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ প্রজ্ঞাপন অপরাধ। অর্ধেক গাড়ি চলবে, গার্মেন্ট খুলবে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে স্যাবোটাজ তা বরিশালের ঘটনার পর উন্মোচিত হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের এসব কান্ড আমাকে ’৭৫-এর আগের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাসদ এবং সর্বহারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সিঁধ কাটছিল খুনি মোশতাক চক্র। যারা ছিল জাতির পিতার কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারা দিন ঘুরঘুর করত। এবার শোকের মাসেও দেখলাম আওয়ামী লীগ ভুল নিশানায় গুলি ছুড়ছে। আওয়ামী লীগের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হলো বিএনপি। ১৫ ও ২১ আগস্ট নিয়ে যতগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর পড়লাম তার সবটিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু জিয়া, খালেদা আর তারেক জিয়া। ওই দুই ঘটনার যে এরাই মূল ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তা এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কিন্তু বেগম জিয়া এবং তারেকের বিএনপি এখন আরেকটা ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটাতে পারবে না। বিএনপির অবস্থা এখন এতটাই নাজুক যে একটা বড় মিছিল, কিংবা একটা কঠিন হরতাল করার মতো শক্তিও তাদের নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বরং এখন বিএনপির সমালোচনা করে দলটির গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখছেন। বিএনপিও এতে খুশি। আওয়ামী লীগের সমালোচনার সব তীর বিএনপির দিকে তাক করিয়ে নব্য মোশতাকরা সিঁধ কাটছে। চারপাশে ষড়যন্ত্রগুলো এখন দৃশ্যমান। আপাত বিক্ষিপ্ত এ ঘটনাগুলোকে পাজল গেমের মতো মেলালে দেখা যাবে ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপ। আওয়ামী লীগের নেতারা কি সব ঘটনা একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন?

শোকের মাসের একটা আবহ থাকে। আগে এ আবহ নষ্ট করত খালেদা জিয়ার তথাকথিত জন্মদিনের বীভৎস উৎসব। শোকের নিস্তব্ধতা ম্লান করার জন্যই এটা করা হতো। এবার আগস্টে জন্মদিনের উৎকট বিকৃতি নেই। তাতে কী? এবার আগস্টজুড়ে চলল অন্য রকম বিকৃতির উৎসব। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের নিয়ে এসব নোংরা খেলা কেন এ শোকের মাসে? বরিশালে সংঘাত কেন এ শোকের মাসে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে নির্মোহভাবে। বিএনপিকে গালি দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা আওয়ামী লীগের নেতারা কি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন? পরীমণিকান্ড, আমলাদের কান্ড একসূত্রে গাঁথা। যারা এসব করছেন, এসব ঘটনার যারা কলকাঠি নাড়ছেন তারা এ সময়ের মোশতাক। এরা সরকারের চারপাশেই আছে। এরাই ক্ষমতাবান। মৃত শত্রুকে আঘাত করার চেয়ে ঘরের শত্রুকে চিহ্নিত করা জরুরি। বঙ্গবন্ধু যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংতম ঘটনা ঘটে। দেশকে যখন তিনি বাকশালের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তখনই আগস্ট ট্র্যাজেডি ঘটে। এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রধানমন্ত্রী আমলাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। সচিবদের সঙ্গে সভা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দেশকে বিভক্তি থেকে মুক্ত করে ঐক্যের সুতোয় বেঁধেছেন শেখ হাসিনা। এ রকম একটি সময়ে এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে- বিএনপি, না মুখোশ পরে থাকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ হওয়া আমলারা?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
সুগন্ধি মনকে সতেজ করে
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
একটা ভিডিওর আয়নায় আমাদের সমাজ
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
জাতীয় মর্যাদা ও পুনর্জাগরণের সেই দিন
সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

২৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান

৪৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
জাপানের শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর
রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বুঝে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে: নুর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
‌‌‌‌‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপির শোভাযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো
আরবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি
পরবর্তী আইপিএলও খেলবেন ধোনি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক
ধানের শীষের পক্ষে জনমত বাড়াতে মোংলায় বিএনপির উঠান বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!
হঠাৎ মাঝ আকাশে পোড়া গন্ধ, আতঙ্কে উড়োজাহাজের যাত্রীরা!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি
চাঁদপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিএনপি
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিএনপি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি
গাইবান্ধায় হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক : মীর হেলাল
শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক : মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৩
কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ৩

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি নেতাদের ঐক্যের আহ্বান
বরিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি নেতাদের ঐক্যের আহ্বান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে মাইকে ঘোষণা দিলেন বড় ভাই

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ

২১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারাল প্রোটিয়ারা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না
জাতিসংঘে আ. লীগের চিঠিতে কাজ হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

দেশগ্রাম

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা