শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রান্তিক’ কাব্যগ্রন্থে ১৮টি কবিতা লিখেছেন। শেষ কবিতার প্রথম দুই লাইন এ রকম :

‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-’

বিশ্বকবি ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর পঙ্ক্তিই যেন বাংলাদেশের বাস্তবতা। বাংলাদেশকে চারদিক থেকে যেন ঘিরে ফেলছে যড়যন্ত্রকারী নাগিনীরা। তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে এখন দম ফেলাই কঠিন হয়ে গেছে। এ সময় শান্তির বাণী যেন এক পরিহাস!

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই মুখ টিপে হেসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কৌতুক করতেও কেউ ছাড়েনি। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বিকাশ থেকে ফেসবুক। ই-টেন্ডার থেকে ইউটিউব। আমরা বুঝে না বুঝে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল আওয়ামী লীগ করলেও এর সুফল নিচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু গোয়েবলসের জন্ম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এখন রাজপথে নয়, সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। আর এ যুদ্ধে যেন ইতিমধ্যে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায়। আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট।’ মন্ত্রীর কথা শুনে বিভ্রমে পড়লাম। মন্ত্রীর অতীত পরিচয় খুব একটা সুখকর নয়। জাসদ করতেন। একসময় সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। নির্বাচন না করেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এখন আওয়ামী লীগের উপকার করছেন না কবর খুঁড়ছেন, তা নিয়েই আমার বিভ্রম। কদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিটে এক আপত্তিকর কান্ড করেছেন। তার পরও তার কিছু হয়নি। এখন ফেসবুক-ইউটিউবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার ক্রিমিনালদের উৎসাহিত করলেন কি না। ভাবখানা এমন, ‘কুচ পরোয়া নেহি, তোমরা এগিয়ে যাও’। মন্ত্রী এবং সরকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কেন অসহায় থাকবে বুঝতে পারলাম না। ফেসবুক, ইউটিউব যদি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রকাশ করে তাহলে সরকারকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতও সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবকে ভারত বাধ্য করে তাদের আইনের আওতায় এনেছে। উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফেসবুক, ইউটিউবকে হামেশা জরিমানা করছে। বাংলাদেশ যদি ফেসবুক, ইউটিউবকে তালিকা দিয়ে বলে এসব কনটেন্ট না সরালে বাংলাদেশ ফেসবুককে নিষিদ্ধ করবে তখন ফেসবুক কী করবে? তারা দৌড়ে আসবে। দেশে দেশে এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাচার প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নষ্টামি, কুৎসিত, অরুচিকর কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো তখন তথাকথিত সুশীলসমাজ এর বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামল। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হলো এ আইন কার্যকর হলে আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই এ আইনের ব্যাপারে অটল এবং অনড় ছিলেন। মূলত তাঁর দৃঢ়তার কারণেই এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা বহাল আছে। অনেক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা সুশীলদের নেকনজরে থাকার জন্য এ আইন বাতিল অথবা সংশোধনের কথা বলেছিলেন। শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সুশীলরা বোধহয় সত্যিই আইনটির বাতিল চান। বিশেষ করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যেভাবে আর্তনাদ করেছিল তাতে আমার মতো অনেকেই ভেবেছিল এ আইন বাতিল না হলে সুশীলরা বোধহয় আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরে তাদের কৌশল আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা এ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঘন্য ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। তাতে লাভ হয় স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর। ফেসবুক, টুইটারে বিদেশে বসে যা কিছু বলার লাইসেন্স পায় সাইবার ক্রিমিনালরা। সুশীলরা বিশ্বকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষ মন খুলে তার নিজের কথা বলতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হয় তা এক ধরনের বৈধতা পায়। দেশে কথা বলা যাচ্ছে না তাই বিদেশে বসে ‘সত্য’ বলা হচ্ছে- এ ধরনের একটা ধারণা সুশীলদের আড্ডায় শোনা যায়। জনগণও এসব চটুল, চানাচুর মিথ্যাচার গিলতে শুরু করে। সরকারও এসব অপরাধীর বাচালতা এবং ঠাসা বুননের মিথ্যাচার হাস্যকর বলে উপেক্ষা করে। আস্তে আস্তে এসব গুজব এবং গায়েবি মিথ্যাচার নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এখন দেখি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সুইডেন থেকে বিরামহীনভাবে ছোড়া গুজব বোমাগুলো কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পলাতক আসামি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে কিছু বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা, পতিত সাংবাদিক এবং ইতর বুদ্ধিজীবীর বমি ওগরানোর জায়গা হয়েছে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রমে এদের একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনাই এখন দেশের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের পথের দিশারি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মিছিলে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মানেই স্বপ্ন, শেখ হাসিনা মানেই এগিয়ে যাওয়া। কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। যে কারণেই লন্ডনে পলাতক গোষ্ঠী এবং রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা টার্গেট করেছে শেখ হাসিনাকে। তাঁকে ঘায়েল করতে পারলেই বাংলাদেশ আবার এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে হাঁটতে শুরু করবে। কাজেই কারও যদি এ দেশের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে তিনি এসব অপপ্রচার এক দিনের জন্যও প্রচার করতে দেবেন না। এ ধরনের জঘন্য কনটেন্ট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবের কিংবা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়টা নিয়ে কদিন আগে কথা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিমের সঙ্গে। হাই কোর্ট যখন ফেসবুক, ইউটিউবের এসব আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল তখন। হাই কোর্টের নির্দেশনার পর মোস্তাফা জব্বারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি জানাল, এসব কনটেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ নিয়েই রেজা সেলিমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ‘আমাদের গ্রাম’ নামে তাঁর এক অসম্ভবসুন্দর উন্নয়ন সংগঠন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তিনি খুলনা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নীরব বিপ্লব করছেন। রেজা সেলিম জানালেন, বিটিআরসির এ বক্তব্য দায়সারা এবং দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘এর সঙ্গে কিছু ব্যক্তির ব্যবসা জড়িত আছে। এজন্য তারা কিছু করে না।’ রেজা সেলিমের মতে, ‘আমাদের দেশে কীভাবে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম চলবে তার একটা নীতিমালা তৈরি করে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, এ নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশে ইউটিউব বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাহলে দেখবেন তারা বাধ্য হবে।’ গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বললেন, ‘২৪ ঘণ্টা ইউটিউব, ফেসবুক বন্ধ রাখুন না, ওরা আমাদের শর্ত মানবে। কারণ এটা ওদের ব্যবসা।’

রেজা সেলিম যদি এটা জানেন তাহলে মোস্তাফা জব্বারের না জানার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেছিলেন, তিনি অসহায়! আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানালেন তিনিও অসহায়! আসলে তিনি অসহায় নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুশীলরা নীরবে প্রচার করছে বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার নেই। মফস্বলের সংবাদকর্মী কিংবা নিরীহ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডেভিড বাগম্যান, তাসনিম খলিল, শহীদ উদ্দিন, তাজ হাশমী, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, নাজমুল সাকিব, নাগরিক টিভির নর্দমার মতো গালাগালি অবাধ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এখন মানুষ উন্নয়নের গল্পে রোমাঞ্চিত হয় না। পদ্মা সেতু শেষ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায় না। মেট্রোরেল নিয়ে আপ্লুত হয় না। এখন মানুষ কিছু নোংরা নদর্মার দুর্গন্ধযুক্ত কথা শুনে আতঙ্কিত হয়। ফিস ফিস করে একে অন্যকে বলে, এই এটা দেখেছিলি ইউটিউবে? এটা কি সত্যি? সাধারণ মানুষ জানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে কঠিন আইন আছে। তাই জনগণ খানিকটা বিভ্রমে পড়ে তো বটেই। আমাকে অনেকেই মাঝেমধ্যে বলেন, ‘নিশ্চয় এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। না হলে তো মামলা হতো।’ অর্থাৎ এখন একটা আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এসব কনটেন্ট বিশ্বাস করে। এর ফলে মূলধারার গণমাধ্যমে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা বিদেশে বসে বলছে, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা সব দালাল অথবা ভীরু কাপুরুষ। একমাত্র আমরাই বীর। এদের বীর বানাচ্ছে কারা? বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রীবিরোধী এসব প্রচারণা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আরে দূর, এসব কথা কি কেউ বিশ্বাস করে। এগুলো গুরুত্বহীন।’ তাদের কথা শুনে আমার আবার ১৯৭৫-এর কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে, এ রকম কথা বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে বলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এসবকে গুরুত্ব দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ার চরম মূল্য জাতিকে দিতে হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এখনো কি আওয়ামী লীগ সে পথেই হাঁটছে?

আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বিএনপিকে নিয়েই ব্যস্ত। কবর নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারা উন্মুক্ত করে দেওয়া সাইবার দুনিয়া নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নয়। ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে গালি দেন, হুমকি দেন। অনেক নেতা যেন মডেল। নানা ঢঙে ছবি দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। ইউটিউবে তো আওয়ামী লীগ শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসীরা বিলীনপ্রায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দলটি সাইবার দুনিয়ায় নিস্পৃহ এবং অগোছালো। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে তান্ডব চালাচ্ছে। সেই পুরনো ও বহুল প্রচলিত উদাহরণটি এখানে প্রযোজ্য। একটি ছুরি চিকিৎসকের হাতে থাকলে তা মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে ছুরিই দুর্বৃত্তের হাতে গেলে মানুষকে হত্যা করে। এখন এ তথ্যপ্রযুক্তির অস্ত্র ১৯৭১ ও ’৭৫-এর পরাজিত শক্তির হাতে। তারা প্রতিদিন বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত করছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং বিএনপি রাজপথে নেই, তাদের নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না, এসবই সত্য। কিন্তু সাইবার জগতে তারা কী করছেন তা কি আওয়ামী লীগের নেতারা দেখেন, জানেন? এখন নীরবে যে তারা আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে অনীহা তৈরি করছেন সে খবর কি সরকার রাখে। এসব অসত্য-ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য যে ব্যাপক প্রচারিত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম পরীমণির সঙ্গে এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন। তার মানে ইলিয়াস গংয়ের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা লোকজনের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে কনক সরওয়ারের একটি আবর্জনা অনুষ্ঠানে দেখলাম কিছু কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। ওই কাগজপত্র তো ঢাকা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ২০০৪ সালের জনসভার অনুমতিপত্র থাকার কথা নয়। কে তাদের এসব কাগজ জোগান দিচ্ছে? সম্প্রতি সরকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। এর একজন সিআইডিতে ছিলেন। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি দায়িত্ব পেয়েই বলেছিলেন, পিয়াসা-মৌদের বাসায় যারা গেছেন তাদের তালিকা হচ্ছে।

এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে দিলেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো শুরু হলো। অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, অনেকে তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা বাসায় থাকবেন কি না। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া) জেনে বুঝে এসব করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা। ইলিয়াস গংয়ের প্রচারণার মশলা দেওয়া। আমরা জানি না, প্রশাসনের বন্ধ্রে রন্ধ্রে এ করম কত গুপ্তচর রয়েছে, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিল পাচার করে দিচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে সরকারের জন্য জান কোরবান করছে আর গোপনে বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় জড়িত সাইবার ক্রিমিনালদের মদদ দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের জাল এখন বিস্তৃত। জনগণ নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস অনুভব করছে, সরকার কি করছে না? সরকার কি মনে করছে সব কিছু ঠিক আছে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
একের পর এক আগুন
একের পর এক আগুন
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল হেলপারের
সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল হেলপারের

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জেন-জি বিক্ষোভে মাদাগাস্কারে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ
জেন-জি বিক্ষোভে মাদাগাস্কারে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?
দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?

৪ মিনিট আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পিআর বুঝে না’
‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পিআর বুঝে না’

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলাপার নিহত
ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলাপার নিহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া খনিজ চুক্তি সই
চীনের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া খনিজ চুক্তি সই

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে

৪৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম

৪৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মেঘনায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৯ জেলের দণ্ড
মেঘনায় মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৯ জেলের দণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুরির কাহিনীতে ‘অধ্যাপক‌' নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
চুরির কাহিনীতে ‘অধ্যাপক‌' নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২১ অক্টোবর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি: ২১ অক্টোবর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকার আবহাওয়া দুপুর পর্যন্ত শুষ্ক থাকতে পারে
ঢাকার আবহাওয়া দুপুর পর্যন্ত শুষ্ক থাকতে পারে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে দিল্লি, ঢাকার পরিস্থিতি কী?
ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে দিল্লি, ঢাকার পরিস্থিতি কী?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ
ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহান বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা
মহান বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কথাবার্তায় সংযম জরুরি
কথাবার্তায় সংযম জরুরি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্যক্তিগত ও জাতীয় সংকটে মুমিনের ১০ কাজ
ব্যক্তিগত ও জাতীয় সংকটে মুমিনের ১০ কাজ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

গ্যালাক্সির রহস্যময় আলো, উৎস হতে পারে ‘ডার্ক ম্যাটার’
গ্যালাক্সির রহস্যময় আলো, উৎস হতে পারে ‘ডার্ক ম্যাটার’

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের তুলনায় দ্রুত সঙ্কুচিত হয় : গবেষণা
পুরুষদের মস্তিষ্ক নারীদের তুলনায় দ্রুত সঙ্কুচিত হয় : গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড
চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দ্বিতীয়বারের মতো ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভালে’ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দ্বিতীয়বারের মতো ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভালে’ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি
পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ
বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি
রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার
পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান
যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?
নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...
কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত
নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী
ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী

১৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা
জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া
ইরানের পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ
সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা
দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ যথেষ্ট নয় : এ্যানী
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ যথেষ্ট নয় : এ্যানী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-কে জয়া আহসানের না বলার কারণ যা
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-কে জয়া আহসানের না বলার কারণ যা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এইচএসসিতে মাদারীপুর জেলার সেরা অর্পা
এইচএসসিতে মাদারীপুর জেলার সেরা অর্পা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি

নগর জীবন

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের
ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের

নগর জীবন

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

পেছনের পৃষ্ঠা

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

দেশগ্রাম

আমরণ অনশন চলছে
আমরণ অনশন চলছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

স্বাস্থ্য

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

নগর জীবন

ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪
ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪

দেশগ্রাম

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

সম্পাদকীয়