শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রান্তিক’ কাব্যগ্রন্থে ১৮টি কবিতা লিখেছেন। শেষ কবিতার প্রথম দুই লাইন এ রকম :

‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-’

বিশ্বকবি ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর পঙ্ক্তিই যেন বাংলাদেশের বাস্তবতা। বাংলাদেশকে চারদিক থেকে যেন ঘিরে ফেলছে যড়যন্ত্রকারী নাগিনীরা। তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে এখন দম ফেলাই কঠিন হয়ে গেছে। এ সময় শান্তির বাণী যেন এক পরিহাস!

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই মুখ টিপে হেসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কৌতুক করতেও কেউ ছাড়েনি। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বিকাশ থেকে ফেসবুক। ই-টেন্ডার থেকে ইউটিউব। আমরা বুঝে না বুঝে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল আওয়ামী লীগ করলেও এর সুফল নিচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু গোয়েবলসের জন্ম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এখন রাজপথে নয়, সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। আর এ যুদ্ধে যেন ইতিমধ্যে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায়। আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট।’ মন্ত্রীর কথা শুনে বিভ্রমে পড়লাম। মন্ত্রীর অতীত পরিচয় খুব একটা সুখকর নয়। জাসদ করতেন। একসময় সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। নির্বাচন না করেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এখন আওয়ামী লীগের উপকার করছেন না কবর খুঁড়ছেন, তা নিয়েই আমার বিভ্রম। কদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিটে এক আপত্তিকর কান্ড করেছেন। তার পরও তার কিছু হয়নি। এখন ফেসবুক-ইউটিউবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার ক্রিমিনালদের উৎসাহিত করলেন কি না। ভাবখানা এমন, ‘কুচ পরোয়া নেহি, তোমরা এগিয়ে যাও’। মন্ত্রী এবং সরকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কেন অসহায় থাকবে বুঝতে পারলাম না। ফেসবুক, ইউটিউব যদি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রকাশ করে তাহলে সরকারকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতও সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবকে ভারত বাধ্য করে তাদের আইনের আওতায় এনেছে। উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফেসবুক, ইউটিউবকে হামেশা জরিমানা করছে। বাংলাদেশ যদি ফেসবুক, ইউটিউবকে তালিকা দিয়ে বলে এসব কনটেন্ট না সরালে বাংলাদেশ ফেসবুককে নিষিদ্ধ করবে তখন ফেসবুক কী করবে? তারা দৌড়ে আসবে। দেশে দেশে এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাচার প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নষ্টামি, কুৎসিত, অরুচিকর কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো তখন তথাকথিত সুশীলসমাজ এর বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামল। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হলো এ আইন কার্যকর হলে আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই এ আইনের ব্যাপারে অটল এবং অনড় ছিলেন। মূলত তাঁর দৃঢ়তার কারণেই এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা বহাল আছে। অনেক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা সুশীলদের নেকনজরে থাকার জন্য এ আইন বাতিল অথবা সংশোধনের কথা বলেছিলেন। শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সুশীলরা বোধহয় সত্যিই আইনটির বাতিল চান। বিশেষ করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যেভাবে আর্তনাদ করেছিল তাতে আমার মতো অনেকেই ভেবেছিল এ আইন বাতিল না হলে সুশীলরা বোধহয় আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরে তাদের কৌশল আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা এ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঘন্য ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। তাতে লাভ হয় স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর। ফেসবুক, টুইটারে বিদেশে বসে যা কিছু বলার লাইসেন্স পায় সাইবার ক্রিমিনালরা। সুশীলরা বিশ্বকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষ মন খুলে তার নিজের কথা বলতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হয় তা এক ধরনের বৈধতা পায়। দেশে কথা বলা যাচ্ছে না তাই বিদেশে বসে ‘সত্য’ বলা হচ্ছে- এ ধরনের একটা ধারণা সুশীলদের আড্ডায় শোনা যায়। জনগণও এসব চটুল, চানাচুর মিথ্যাচার গিলতে শুরু করে। সরকারও এসব অপরাধীর বাচালতা এবং ঠাসা বুননের মিথ্যাচার হাস্যকর বলে উপেক্ষা করে। আস্তে আস্তে এসব গুজব এবং গায়েবি মিথ্যাচার নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এখন দেখি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সুইডেন থেকে বিরামহীনভাবে ছোড়া গুজব বোমাগুলো কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পলাতক আসামি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে কিছু বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা, পতিত সাংবাদিক এবং ইতর বুদ্ধিজীবীর বমি ওগরানোর জায়গা হয়েছে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রমে এদের একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনাই এখন দেশের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের পথের দিশারি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মিছিলে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মানেই স্বপ্ন, শেখ হাসিনা মানেই এগিয়ে যাওয়া। কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। যে কারণেই লন্ডনে পলাতক গোষ্ঠী এবং রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা টার্গেট করেছে শেখ হাসিনাকে। তাঁকে ঘায়েল করতে পারলেই বাংলাদেশ আবার এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে হাঁটতে শুরু করবে। কাজেই কারও যদি এ দেশের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে তিনি এসব অপপ্রচার এক দিনের জন্যও প্রচার করতে দেবেন না। এ ধরনের জঘন্য কনটেন্ট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবের কিংবা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়টা নিয়ে কদিন আগে কথা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিমের সঙ্গে। হাই কোর্ট যখন ফেসবুক, ইউটিউবের এসব আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল তখন। হাই কোর্টের নির্দেশনার পর মোস্তাফা জব্বারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি জানাল, এসব কনটেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ নিয়েই রেজা সেলিমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ‘আমাদের গ্রাম’ নামে তাঁর এক অসম্ভবসুন্দর উন্নয়ন সংগঠন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তিনি খুলনা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নীরব বিপ্লব করছেন। রেজা সেলিম জানালেন, বিটিআরসির এ বক্তব্য দায়সারা এবং দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘এর সঙ্গে কিছু ব্যক্তির ব্যবসা জড়িত আছে। এজন্য তারা কিছু করে না।’ রেজা সেলিমের মতে, ‘আমাদের দেশে কীভাবে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম চলবে তার একটা নীতিমালা তৈরি করে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, এ নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশে ইউটিউব বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাহলে দেখবেন তারা বাধ্য হবে।’ গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বললেন, ‘২৪ ঘণ্টা ইউটিউব, ফেসবুক বন্ধ রাখুন না, ওরা আমাদের শর্ত মানবে। কারণ এটা ওদের ব্যবসা।’

রেজা সেলিম যদি এটা জানেন তাহলে মোস্তাফা জব্বারের না জানার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেছিলেন, তিনি অসহায়! আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানালেন তিনিও অসহায়! আসলে তিনি অসহায় নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুশীলরা নীরবে প্রচার করছে বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার নেই। মফস্বলের সংবাদকর্মী কিংবা নিরীহ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডেভিড বাগম্যান, তাসনিম খলিল, শহীদ উদ্দিন, তাজ হাশমী, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, নাজমুল সাকিব, নাগরিক টিভির নর্দমার মতো গালাগালি অবাধ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এখন মানুষ উন্নয়নের গল্পে রোমাঞ্চিত হয় না। পদ্মা সেতু শেষ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায় না। মেট্রোরেল নিয়ে আপ্লুত হয় না। এখন মানুষ কিছু নোংরা নদর্মার দুর্গন্ধযুক্ত কথা শুনে আতঙ্কিত হয়। ফিস ফিস করে একে অন্যকে বলে, এই এটা দেখেছিলি ইউটিউবে? এটা কি সত্যি? সাধারণ মানুষ জানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে কঠিন আইন আছে। তাই জনগণ খানিকটা বিভ্রমে পড়ে তো বটেই। আমাকে অনেকেই মাঝেমধ্যে বলেন, ‘নিশ্চয় এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। না হলে তো মামলা হতো।’ অর্থাৎ এখন একটা আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এসব কনটেন্ট বিশ্বাস করে। এর ফলে মূলধারার গণমাধ্যমে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা বিদেশে বসে বলছে, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা সব দালাল অথবা ভীরু কাপুরুষ। একমাত্র আমরাই বীর। এদের বীর বানাচ্ছে কারা? বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রীবিরোধী এসব প্রচারণা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আরে দূর, এসব কথা কি কেউ বিশ্বাস করে। এগুলো গুরুত্বহীন।’ তাদের কথা শুনে আমার আবার ১৯৭৫-এর কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে, এ রকম কথা বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে বলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এসবকে গুরুত্ব দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ার চরম মূল্য জাতিকে দিতে হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এখনো কি আওয়ামী লীগ সে পথেই হাঁটছে?

আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বিএনপিকে নিয়েই ব্যস্ত। কবর নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারা উন্মুক্ত করে দেওয়া সাইবার দুনিয়া নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নয়। ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে গালি দেন, হুমকি দেন। অনেক নেতা যেন মডেল। নানা ঢঙে ছবি দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। ইউটিউবে তো আওয়ামী লীগ শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসীরা বিলীনপ্রায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দলটি সাইবার দুনিয়ায় নিস্পৃহ এবং অগোছালো। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে তান্ডব চালাচ্ছে। সেই পুরনো ও বহুল প্রচলিত উদাহরণটি এখানে প্রযোজ্য। একটি ছুরি চিকিৎসকের হাতে থাকলে তা মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে ছুরিই দুর্বৃত্তের হাতে গেলে মানুষকে হত্যা করে। এখন এ তথ্যপ্রযুক্তির অস্ত্র ১৯৭১ ও ’৭৫-এর পরাজিত শক্তির হাতে। তারা প্রতিদিন বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত করছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং বিএনপি রাজপথে নেই, তাদের নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না, এসবই সত্য। কিন্তু সাইবার জগতে তারা কী করছেন তা কি আওয়ামী লীগের নেতারা দেখেন, জানেন? এখন নীরবে যে তারা আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে অনীহা তৈরি করছেন সে খবর কি সরকার রাখে। এসব অসত্য-ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য যে ব্যাপক প্রচারিত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম পরীমণির সঙ্গে এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন। তার মানে ইলিয়াস গংয়ের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা লোকজনের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে কনক সরওয়ারের একটি আবর্জনা অনুষ্ঠানে দেখলাম কিছু কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। ওই কাগজপত্র তো ঢাকা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ২০০৪ সালের জনসভার অনুমতিপত্র থাকার কথা নয়। কে তাদের এসব কাগজ জোগান দিচ্ছে? সম্প্রতি সরকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। এর একজন সিআইডিতে ছিলেন। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি দায়িত্ব পেয়েই বলেছিলেন, পিয়াসা-মৌদের বাসায় যারা গেছেন তাদের তালিকা হচ্ছে।

এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে দিলেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো শুরু হলো। অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, অনেকে তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা বাসায় থাকবেন কি না। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া) জেনে বুঝে এসব করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা। ইলিয়াস গংয়ের প্রচারণার মশলা দেওয়া। আমরা জানি না, প্রশাসনের বন্ধ্রে রন্ধ্রে এ করম কত গুপ্তচর রয়েছে, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিল পাচার করে দিচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে সরকারের জন্য জান কোরবান করছে আর গোপনে বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় জড়িত সাইবার ক্রিমিনালদের মদদ দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের জাল এখন বিস্তৃত। জনগণ নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস অনুভব করছে, সরকার কি করছে না? সরকার কি মনে করছে সব কিছু ঠিক আছে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি
মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা