শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রান্তিক’ কাব্যগ্রন্থে ১৮টি কবিতা লিখেছেন। শেষ কবিতার প্রথম দুই লাইন এ রকম :

‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-’

বিশ্বকবি ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর পঙ্ক্তিই যেন বাংলাদেশের বাস্তবতা। বাংলাদেশকে চারদিক থেকে যেন ঘিরে ফেলছে যড়যন্ত্রকারী নাগিনীরা। তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে এখন দম ফেলাই কঠিন হয়ে গেছে। এ সময় শান্তির বাণী যেন এক পরিহাস!

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই মুখ টিপে হেসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কৌতুক করতেও কেউ ছাড়েনি। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বিকাশ থেকে ফেসবুক। ই-টেন্ডার থেকে ইউটিউব। আমরা বুঝে না বুঝে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল আওয়ামী লীগ করলেও এর সুফল নিচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু গোয়েবলসের জন্ম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এখন রাজপথে নয়, সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। আর এ যুদ্ধে যেন ইতিমধ্যে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায়। আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট।’ মন্ত্রীর কথা শুনে বিভ্রমে পড়লাম। মন্ত্রীর অতীত পরিচয় খুব একটা সুখকর নয়। জাসদ করতেন। একসময় সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। নির্বাচন না করেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এখন আওয়ামী লীগের উপকার করছেন না কবর খুঁড়ছেন, তা নিয়েই আমার বিভ্রম। কদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিটে এক আপত্তিকর কান্ড করেছেন। তার পরও তার কিছু হয়নি। এখন ফেসবুক-ইউটিউবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার ক্রিমিনালদের উৎসাহিত করলেন কি না। ভাবখানা এমন, ‘কুচ পরোয়া নেহি, তোমরা এগিয়ে যাও’। মন্ত্রী এবং সরকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কেন অসহায় থাকবে বুঝতে পারলাম না। ফেসবুক, ইউটিউব যদি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রকাশ করে তাহলে সরকারকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতও সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবকে ভারত বাধ্য করে তাদের আইনের আওতায় এনেছে। উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফেসবুক, ইউটিউবকে হামেশা জরিমানা করছে। বাংলাদেশ যদি ফেসবুক, ইউটিউবকে তালিকা দিয়ে বলে এসব কনটেন্ট না সরালে বাংলাদেশ ফেসবুককে নিষিদ্ধ করবে তখন ফেসবুক কী করবে? তারা দৌড়ে আসবে। দেশে দেশে এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাচার প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নষ্টামি, কুৎসিত, অরুচিকর কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো তখন তথাকথিত সুশীলসমাজ এর বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামল। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হলো এ আইন কার্যকর হলে আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই এ আইনের ব্যাপারে অটল এবং অনড় ছিলেন। মূলত তাঁর দৃঢ়তার কারণেই এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা বহাল আছে। অনেক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা সুশীলদের নেকনজরে থাকার জন্য এ আইন বাতিল অথবা সংশোধনের কথা বলেছিলেন। শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সুশীলরা বোধহয় সত্যিই আইনটির বাতিল চান। বিশেষ করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যেভাবে আর্তনাদ করেছিল তাতে আমার মতো অনেকেই ভেবেছিল এ আইন বাতিল না হলে সুশীলরা বোধহয় আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরে তাদের কৌশল আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা এ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঘন্য ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। তাতে লাভ হয় স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর। ফেসবুক, টুইটারে বিদেশে বসে যা কিছু বলার লাইসেন্স পায় সাইবার ক্রিমিনালরা। সুশীলরা বিশ্বকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষ মন খুলে তার নিজের কথা বলতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হয় তা এক ধরনের বৈধতা পায়। দেশে কথা বলা যাচ্ছে না তাই বিদেশে বসে ‘সত্য’ বলা হচ্ছে- এ ধরনের একটা ধারণা সুশীলদের আড্ডায় শোনা যায়। জনগণও এসব চটুল, চানাচুর মিথ্যাচার গিলতে শুরু করে। সরকারও এসব অপরাধীর বাচালতা এবং ঠাসা বুননের মিথ্যাচার হাস্যকর বলে উপেক্ষা করে। আস্তে আস্তে এসব গুজব এবং গায়েবি মিথ্যাচার নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এখন দেখি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সুইডেন থেকে বিরামহীনভাবে ছোড়া গুজব বোমাগুলো কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পলাতক আসামি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে কিছু বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা, পতিত সাংবাদিক এবং ইতর বুদ্ধিজীবীর বমি ওগরানোর জায়গা হয়েছে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রমে এদের একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনাই এখন দেশের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের পথের দিশারি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মিছিলে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মানেই স্বপ্ন, শেখ হাসিনা মানেই এগিয়ে যাওয়া। কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। যে কারণেই লন্ডনে পলাতক গোষ্ঠী এবং রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা টার্গেট করেছে শেখ হাসিনাকে। তাঁকে ঘায়েল করতে পারলেই বাংলাদেশ আবার এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে হাঁটতে শুরু করবে। কাজেই কারও যদি এ দেশের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে তিনি এসব অপপ্রচার এক দিনের জন্যও প্রচার করতে দেবেন না। এ ধরনের জঘন্য কনটেন্ট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবের কিংবা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়টা নিয়ে কদিন আগে কথা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিমের সঙ্গে। হাই কোর্ট যখন ফেসবুক, ইউটিউবের এসব আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল তখন। হাই কোর্টের নির্দেশনার পর মোস্তাফা জব্বারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি জানাল, এসব কনটেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ নিয়েই রেজা সেলিমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ‘আমাদের গ্রাম’ নামে তাঁর এক অসম্ভবসুন্দর উন্নয়ন সংগঠন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তিনি খুলনা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নীরব বিপ্লব করছেন। রেজা সেলিম জানালেন, বিটিআরসির এ বক্তব্য দায়সারা এবং দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘এর সঙ্গে কিছু ব্যক্তির ব্যবসা জড়িত আছে। এজন্য তারা কিছু করে না।’ রেজা সেলিমের মতে, ‘আমাদের দেশে কীভাবে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম চলবে তার একটা নীতিমালা তৈরি করে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, এ নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশে ইউটিউব বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাহলে দেখবেন তারা বাধ্য হবে।’ গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বললেন, ‘২৪ ঘণ্টা ইউটিউব, ফেসবুক বন্ধ রাখুন না, ওরা আমাদের শর্ত মানবে। কারণ এটা ওদের ব্যবসা।’

রেজা সেলিম যদি এটা জানেন তাহলে মোস্তাফা জব্বারের না জানার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেছিলেন, তিনি অসহায়! আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানালেন তিনিও অসহায়! আসলে তিনি অসহায় নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুশীলরা নীরবে প্রচার করছে বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার নেই। মফস্বলের সংবাদকর্মী কিংবা নিরীহ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডেভিড বাগম্যান, তাসনিম খলিল, শহীদ উদ্দিন, তাজ হাশমী, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, নাজমুল সাকিব, নাগরিক টিভির নর্দমার মতো গালাগালি অবাধ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এখন মানুষ উন্নয়নের গল্পে রোমাঞ্চিত হয় না। পদ্মা সেতু শেষ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায় না। মেট্রোরেল নিয়ে আপ্লুত হয় না। এখন মানুষ কিছু নোংরা নদর্মার দুর্গন্ধযুক্ত কথা শুনে আতঙ্কিত হয়। ফিস ফিস করে একে অন্যকে বলে, এই এটা দেখেছিলি ইউটিউবে? এটা কি সত্যি? সাধারণ মানুষ জানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে কঠিন আইন আছে। তাই জনগণ খানিকটা বিভ্রমে পড়ে তো বটেই। আমাকে অনেকেই মাঝেমধ্যে বলেন, ‘নিশ্চয় এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। না হলে তো মামলা হতো।’ অর্থাৎ এখন একটা আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এসব কনটেন্ট বিশ্বাস করে। এর ফলে মূলধারার গণমাধ্যমে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা বিদেশে বসে বলছে, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা সব দালাল অথবা ভীরু কাপুরুষ। একমাত্র আমরাই বীর। এদের বীর বানাচ্ছে কারা? বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রীবিরোধী এসব প্রচারণা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আরে দূর, এসব কথা কি কেউ বিশ্বাস করে। এগুলো গুরুত্বহীন।’ তাদের কথা শুনে আমার আবার ১৯৭৫-এর কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে, এ রকম কথা বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে বলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এসবকে গুরুত্ব দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ার চরম মূল্য জাতিকে দিতে হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এখনো কি আওয়ামী লীগ সে পথেই হাঁটছে?

আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বিএনপিকে নিয়েই ব্যস্ত। কবর নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারা উন্মুক্ত করে দেওয়া সাইবার দুনিয়া নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নয়। ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে গালি দেন, হুমকি দেন। অনেক নেতা যেন মডেল। নানা ঢঙে ছবি দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। ইউটিউবে তো আওয়ামী লীগ শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসীরা বিলীনপ্রায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দলটি সাইবার দুনিয়ায় নিস্পৃহ এবং অগোছালো। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে তান্ডব চালাচ্ছে। সেই পুরনো ও বহুল প্রচলিত উদাহরণটি এখানে প্রযোজ্য। একটি ছুরি চিকিৎসকের হাতে থাকলে তা মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে ছুরিই দুর্বৃত্তের হাতে গেলে মানুষকে হত্যা করে। এখন এ তথ্যপ্রযুক্তির অস্ত্র ১৯৭১ ও ’৭৫-এর পরাজিত শক্তির হাতে। তারা প্রতিদিন বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত করছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং বিএনপি রাজপথে নেই, তাদের নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না, এসবই সত্য। কিন্তু সাইবার জগতে তারা কী করছেন তা কি আওয়ামী লীগের নেতারা দেখেন, জানেন? এখন নীরবে যে তারা আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে অনীহা তৈরি করছেন সে খবর কি সরকার রাখে। এসব অসত্য-ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য যে ব্যাপক প্রচারিত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম পরীমণির সঙ্গে এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন। তার মানে ইলিয়াস গংয়ের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা লোকজনের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে কনক সরওয়ারের একটি আবর্জনা অনুষ্ঠানে দেখলাম কিছু কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। ওই কাগজপত্র তো ঢাকা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ২০০৪ সালের জনসভার অনুমতিপত্র থাকার কথা নয়। কে তাদের এসব কাগজ জোগান দিচ্ছে? সম্প্রতি সরকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। এর একজন সিআইডিতে ছিলেন। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি দায়িত্ব পেয়েই বলেছিলেন, পিয়াসা-মৌদের বাসায় যারা গেছেন তাদের তালিকা হচ্ছে।

এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে দিলেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো শুরু হলো। অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, অনেকে তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা বাসায় থাকবেন কি না। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া) জেনে বুঝে এসব করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা। ইলিয়াস গংয়ের প্রচারণার মশলা দেওয়া। আমরা জানি না, প্রশাসনের বন্ধ্রে রন্ধ্রে এ করম কত গুপ্তচর রয়েছে, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিল পাচার করে দিচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে সরকারের জন্য জান কোরবান করছে আর গোপনে বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় জড়িত সাইবার ক্রিমিনালদের মদদ দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের জাল এখন বিস্তৃত। জনগণ নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস অনুভব করছে, সরকার কি করছে না? সরকার কি মনে করছে সব কিছু ঠিক আছে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
তিন রোগের সংক্রমণ
তিন রোগের সংক্রমণ
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
নফল ইবাদতের মাস মহররম
নফল ইবাদতের মাস মহররম
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
জাতীয় ঐকমত্য
জাতীয় ঐকমত্য
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
ওপরে হইচই ভিতরে কী
ওপরে হইচই ভিতরে কী
সর্বশেষ খবর
ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আরবে প্রেরিত পাঁচ নবী-রাসুল
আরবে প্রেরিত পাঁচ নবী-রাসুল

২৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

নববর্ষে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করুন
নববর্ষে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করুন

৫২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব
জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘হিজরি সপ্তাহ ১৪৪৭’ উদযাপন
‘হিজরি সপ্তাহ ১৪৪৭’ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫১ বলে সেঞ্চুরি করে মান্ধানার অনন্য কীর্তি
৫১ বলে সেঞ্চুরি করে মান্ধানার অনন্য কীর্তি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬২
গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু
সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে পুরস্কার জিতল ‘নীলপদ্ম’
জাপানে পুরস্কার জিতল ‘নীলপদ্ম’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগ ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগ ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার
সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ
এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে
ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না
মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!
৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমপ্লিট শাটডাউনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
কমপ্লিট শাটডাউনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকায় বাফুফের ট্রায়ালে ১৪ দেশের ৫২ তরুণ
ঢাকায় বাফুফের ট্রায়ালে ১৪ দেশের ৫২ তরুণ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন
সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধর্ষণ-হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, গ্রেফতার ৬
ধর্ষণ-হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, গ্রেফতার ৬

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালপুরে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
লালপুরে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ত্রাণের আটায় মাদক!
গাজায় ত্রাণের আটায় মাদক!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নড়াইলে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্ননে সুধীজনদের মতবিনিময়
নড়াইলে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্ননে সুধীজনদের মতবিনিময়

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট
পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালীগঞ্জে ৬৫ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
কালীগঞ্জে ৬৫ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বাড়ল ডেঙ্গু রোগী
সিলেটে বাড়ল ডেঙ্গু রোগী

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবু সাঈদ হত্যা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বেরোবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আবু সাঈদ হত্যা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বেরোবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা মোকাবেলায় তিন মাসব্যাপী অভিযান চালাবে চসিক: মেয়র
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা মোকাবেলায় তিন মাসব্যাপী অভিযান চালাবে চসিক: মেয়র

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারবে না ভারত: আন্তর্জাতিক আদালত
একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারবে না ভারত: আন্তর্জাতিক আদালত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার
ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের
ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প
এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন
পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানকে আলোচনায় আনতে লোভনীয় প্রস্তাবের সিরিজ টোপ যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানকে আলোচনায় আনতে লোভনীয় প্রস্তাবের সিরিজ টোপ যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের উদ্যোগে বিচারবিভাগের বাধা নয় : মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের উদ্যোগে বিচারবিভাগের বাধা নয় : মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল
ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাঝ আকাশে হঠাৎ বিমানের ক্রুর মৃত্যু
মাঝ আকাশে হঠাৎ বিমানের ক্রুর মৃত্যু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা

১১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিরিয়ায় আসাদপন্থী আলাউইদের হত্যা-অপহরণ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের
সিরিয়ায় আসাদপন্থী আলাউইদের হত্যা-অপহরণ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন
সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ
বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত
বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?

পেছনের পৃষ্ঠা

দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের
দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’
মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’

শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে গাড়িমেলা
আইসিসিবিতে গাড়িমেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...
‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...

শোবিজ

সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে
গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী
সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী

শোবিজ

অচল ব্যবসাবাণিজ্য
অচল ব্যবসাবাণিজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

প্যাডেল স্ল্যাম-২৫
প্যাডেল স্ল্যাম-২৫

মাঠে ময়দানে

প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব
প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব

প্রথম পৃষ্ঠা

হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’

সম্পাদকীয়

রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট
রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট

মাঠে ময়দানে

নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন
নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’
জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’

শোবিজ

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের
পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি
গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফুটবলে অন্যরকম দিন
ফুটবলে অন্যরকম দিন

মাঠে ময়দানে

তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা
তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা

শোবিজ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে
বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে

মাঠে ময়দানে

ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার
ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা
দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক

পেছনের পৃষ্ঠা

মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া
মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্ট আমলের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাতিলের দাবি
ফ্যাসিস্ট আমলের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাতিলের দাবি

নগর জীবন