শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রান্তিক’ কাব্যগ্রন্থে ১৮টি কবিতা লিখেছেন। শেষ কবিতার প্রথম দুই লাইন এ রকম :

‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-’

বিশ্বকবি ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর পঙ্ক্তিই যেন বাংলাদেশের বাস্তবতা। বাংলাদেশকে চারদিক থেকে যেন ঘিরে ফেলছে যড়যন্ত্রকারী নাগিনীরা। তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে এখন দম ফেলাই কঠিন হয়ে গেছে। এ সময় শান্তির বাণী যেন এক পরিহাস!

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই মুখ টিপে হেসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কৌতুক করতেও কেউ ছাড়েনি। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বিকাশ থেকে ফেসবুক। ই-টেন্ডার থেকে ইউটিউব। আমরা বুঝে না বুঝে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল আওয়ামী লীগ করলেও এর সুফল নিচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু গোয়েবলসের জন্ম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এখন রাজপথে নয়, সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। আর এ যুদ্ধে যেন ইতিমধ্যে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায়। আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট।’ মন্ত্রীর কথা শুনে বিভ্রমে পড়লাম। মন্ত্রীর অতীত পরিচয় খুব একটা সুখকর নয়। জাসদ করতেন। একসময় সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। নির্বাচন না করেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এখন আওয়ামী লীগের উপকার করছেন না কবর খুঁড়ছেন, তা নিয়েই আমার বিভ্রম। কদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিটে এক আপত্তিকর কান্ড করেছেন। তার পরও তার কিছু হয়নি। এখন ফেসবুক-ইউটিউবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার ক্রিমিনালদের উৎসাহিত করলেন কি না। ভাবখানা এমন, ‘কুচ পরোয়া নেহি, তোমরা এগিয়ে যাও’। মন্ত্রী এবং সরকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কেন অসহায় থাকবে বুঝতে পারলাম না। ফেসবুক, ইউটিউব যদি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রকাশ করে তাহলে সরকারকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতও সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবকে ভারত বাধ্য করে তাদের আইনের আওতায় এনেছে। উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফেসবুক, ইউটিউবকে হামেশা জরিমানা করছে। বাংলাদেশ যদি ফেসবুক, ইউটিউবকে তালিকা দিয়ে বলে এসব কনটেন্ট না সরালে বাংলাদেশ ফেসবুককে নিষিদ্ধ করবে তখন ফেসবুক কী করবে? তারা দৌড়ে আসবে। দেশে দেশে এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাচার প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নষ্টামি, কুৎসিত, অরুচিকর কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো তখন তথাকথিত সুশীলসমাজ এর বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামল। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হলো এ আইন কার্যকর হলে আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই এ আইনের ব্যাপারে অটল এবং অনড় ছিলেন। মূলত তাঁর দৃঢ়তার কারণেই এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা বহাল আছে। অনেক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা সুশীলদের নেকনজরে থাকার জন্য এ আইন বাতিল অথবা সংশোধনের কথা বলেছিলেন। শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সুশীলরা বোধহয় সত্যিই আইনটির বাতিল চান। বিশেষ করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যেভাবে আর্তনাদ করেছিল তাতে আমার মতো অনেকেই ভেবেছিল এ আইন বাতিল না হলে সুশীলরা বোধহয় আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরে তাদের কৌশল আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা এ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঘন্য ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। তাতে লাভ হয় স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর। ফেসবুক, টুইটারে বিদেশে বসে যা কিছু বলার লাইসেন্স পায় সাইবার ক্রিমিনালরা। সুশীলরা বিশ্বকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষ মন খুলে তার নিজের কথা বলতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হয় তা এক ধরনের বৈধতা পায়। দেশে কথা বলা যাচ্ছে না তাই বিদেশে বসে ‘সত্য’ বলা হচ্ছে- এ ধরনের একটা ধারণা সুশীলদের আড্ডায় শোনা যায়। জনগণও এসব চটুল, চানাচুর মিথ্যাচার গিলতে শুরু করে। সরকারও এসব অপরাধীর বাচালতা এবং ঠাসা বুননের মিথ্যাচার হাস্যকর বলে উপেক্ষা করে। আস্তে আস্তে এসব গুজব এবং গায়েবি মিথ্যাচার নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এখন দেখি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সুইডেন থেকে বিরামহীনভাবে ছোড়া গুজব বোমাগুলো কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পলাতক আসামি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে কিছু বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা, পতিত সাংবাদিক এবং ইতর বুদ্ধিজীবীর বমি ওগরানোর জায়গা হয়েছে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রমে এদের একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনাই এখন দেশের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের পথের দিশারি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মিছিলে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মানেই স্বপ্ন, শেখ হাসিনা মানেই এগিয়ে যাওয়া। কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। যে কারণেই লন্ডনে পলাতক গোষ্ঠী এবং রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা টার্গেট করেছে শেখ হাসিনাকে। তাঁকে ঘায়েল করতে পারলেই বাংলাদেশ আবার এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে হাঁটতে শুরু করবে। কাজেই কারও যদি এ দেশের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে তিনি এসব অপপ্রচার এক দিনের জন্যও প্রচার করতে দেবেন না। এ ধরনের জঘন্য কনটেন্ট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবের কিংবা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়টা নিয়ে কদিন আগে কথা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিমের সঙ্গে। হাই কোর্ট যখন ফেসবুক, ইউটিউবের এসব আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল তখন। হাই কোর্টের নির্দেশনার পর মোস্তাফা জব্বারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি জানাল, এসব কনটেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ নিয়েই রেজা সেলিমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ‘আমাদের গ্রাম’ নামে তাঁর এক অসম্ভবসুন্দর উন্নয়ন সংগঠন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তিনি খুলনা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নীরব বিপ্লব করছেন। রেজা সেলিম জানালেন, বিটিআরসির এ বক্তব্য দায়সারা এবং দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘এর সঙ্গে কিছু ব্যক্তির ব্যবসা জড়িত আছে। এজন্য তারা কিছু করে না।’ রেজা সেলিমের মতে, ‘আমাদের দেশে কীভাবে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম চলবে তার একটা নীতিমালা তৈরি করে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, এ নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশে ইউটিউব বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাহলে দেখবেন তারা বাধ্য হবে।’ গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বললেন, ‘২৪ ঘণ্টা ইউটিউব, ফেসবুক বন্ধ রাখুন না, ওরা আমাদের শর্ত মানবে। কারণ এটা ওদের ব্যবসা।’

রেজা সেলিম যদি এটা জানেন তাহলে মোস্তাফা জব্বারের না জানার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেছিলেন, তিনি অসহায়! আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানালেন তিনিও অসহায়! আসলে তিনি অসহায় নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুশীলরা নীরবে প্রচার করছে বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার নেই। মফস্বলের সংবাদকর্মী কিংবা নিরীহ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডেভিড বাগম্যান, তাসনিম খলিল, শহীদ উদ্দিন, তাজ হাশমী, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, নাজমুল সাকিব, নাগরিক টিভির নর্দমার মতো গালাগালি অবাধ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এখন মানুষ উন্নয়নের গল্পে রোমাঞ্চিত হয় না। পদ্মা সেতু শেষ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায় না। মেট্রোরেল নিয়ে আপ্লুত হয় না। এখন মানুষ কিছু নোংরা নদর্মার দুর্গন্ধযুক্ত কথা শুনে আতঙ্কিত হয়। ফিস ফিস করে একে অন্যকে বলে, এই এটা দেখেছিলি ইউটিউবে? এটা কি সত্যি? সাধারণ মানুষ জানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে কঠিন আইন আছে। তাই জনগণ খানিকটা বিভ্রমে পড়ে তো বটেই। আমাকে অনেকেই মাঝেমধ্যে বলেন, ‘নিশ্চয় এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। না হলে তো মামলা হতো।’ অর্থাৎ এখন একটা আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এসব কনটেন্ট বিশ্বাস করে। এর ফলে মূলধারার গণমাধ্যমে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা বিদেশে বসে বলছে, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা সব দালাল অথবা ভীরু কাপুরুষ। একমাত্র আমরাই বীর। এদের বীর বানাচ্ছে কারা? বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রীবিরোধী এসব প্রচারণা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আরে দূর, এসব কথা কি কেউ বিশ্বাস করে। এগুলো গুরুত্বহীন।’ তাদের কথা শুনে আমার আবার ১৯৭৫-এর কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে, এ রকম কথা বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে বলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এসবকে গুরুত্ব দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ার চরম মূল্য জাতিকে দিতে হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এখনো কি আওয়ামী লীগ সে পথেই হাঁটছে?

আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বিএনপিকে নিয়েই ব্যস্ত। কবর নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারা উন্মুক্ত করে দেওয়া সাইবার দুনিয়া নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নয়। ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে গালি দেন, হুমকি দেন। অনেক নেতা যেন মডেল। নানা ঢঙে ছবি দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। ইউটিউবে তো আওয়ামী লীগ শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসীরা বিলীনপ্রায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দলটি সাইবার দুনিয়ায় নিস্পৃহ এবং অগোছালো। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে তান্ডব চালাচ্ছে। সেই পুরনো ও বহুল প্রচলিত উদাহরণটি এখানে প্রযোজ্য। একটি ছুরি চিকিৎসকের হাতে থাকলে তা মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে ছুরিই দুর্বৃত্তের হাতে গেলে মানুষকে হত্যা করে। এখন এ তথ্যপ্রযুক্তির অস্ত্র ১৯৭১ ও ’৭৫-এর পরাজিত শক্তির হাতে। তারা প্রতিদিন বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত করছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং বিএনপি রাজপথে নেই, তাদের নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না, এসবই সত্য। কিন্তু সাইবার জগতে তারা কী করছেন তা কি আওয়ামী লীগের নেতারা দেখেন, জানেন? এখন নীরবে যে তারা আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে অনীহা তৈরি করছেন সে খবর কি সরকার রাখে। এসব অসত্য-ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য যে ব্যাপক প্রচারিত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম পরীমণির সঙ্গে এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন। তার মানে ইলিয়াস গংয়ের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা লোকজনের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে কনক সরওয়ারের একটি আবর্জনা অনুষ্ঠানে দেখলাম কিছু কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। ওই কাগজপত্র তো ঢাকা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ২০০৪ সালের জনসভার অনুমতিপত্র থাকার কথা নয়। কে তাদের এসব কাগজ জোগান দিচ্ছে? সম্প্রতি সরকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। এর একজন সিআইডিতে ছিলেন। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি দায়িত্ব পেয়েই বলেছিলেন, পিয়াসা-মৌদের বাসায় যারা গেছেন তাদের তালিকা হচ্ছে।

এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে দিলেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো শুরু হলো। অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, অনেকে তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা বাসায় থাকবেন কি না। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া) জেনে বুঝে এসব করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা। ইলিয়াস গংয়ের প্রচারণার মশলা দেওয়া। আমরা জানি না, প্রশাসনের বন্ধ্রে রন্ধ্রে এ করম কত গুপ্তচর রয়েছে, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিল পাচার করে দিচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে সরকারের জন্য জান কোরবান করছে আর গোপনে বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় জড়িত সাইবার ক্রিমিনালদের মদদ দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের জাল এখন বিস্তৃত। জনগণ নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস অনুভব করছে, সরকার কি করছে না? সরকার কি মনে করছে সব কিছু ঠিক আছে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

৩২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম