শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রান্তিক’ কাব্যগ্রন্থে ১৮টি কবিতা লিখেছেন। শেষ কবিতার প্রথম দুই লাইন এ রকম :

‘নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,

শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-’

বিশ্বকবি ১৯৩৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এ কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর পঙ্ক্তিই যেন বাংলাদেশের বাস্তবতা। বাংলাদেশকে চারদিক থেকে যেন ঘিরে ফেলছে যড়যন্ত্রকারী নাগিনীরা। তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে এখন দম ফেলাই কঠিন হয়ে গেছে। এ সময় শান্তির বাণী যেন এক পরিহাস!

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন অনেকেই মুখ টিপে হেসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কৌতুক করতেও কেউ ছাড়েনি। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। বিকাশ থেকে ফেসবুক। ই-টেন্ডার থেকে ইউটিউব। আমরা বুঝে না বুঝে ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশকে ডিজিটাল আওয়ামী লীগ করলেও এর সুফল নিচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু গোয়েবলসের জন্ম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এখন রাজপথে নয়, সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। আর এ যুদ্ধে যেন ইতিমধ্যে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায়। আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট।’ মন্ত্রীর কথা শুনে বিভ্রমে পড়লাম। মন্ত্রীর অতীত পরিচয় খুব একটা সুখকর নয়। জাসদ করতেন। একসময় সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি। নির্বাচন না করেও মন্ত্রী হয়েছেন টেকনোক্র্যাট কোটায়। এখন আওয়ামী লীগের উপকার করছেন না কবর খুঁড়ছেন, তা নিয়েই আমার বিভ্রম। কদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিটে এক আপত্তিকর কান্ড করেছেন। তার পরও তার কিছু হয়নি। এখন ফেসবুক-ইউটিউবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার ক্রিমিনালদের উৎসাহিত করলেন কি না। ভাবখানা এমন, ‘কুচ পরোয়া নেহি, তোমরা এগিয়ে যাও’। মন্ত্রী এবং সরকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কেন অসহায় থাকবে বুঝতে পারলাম না। ফেসবুক, ইউটিউব যদি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রকাশ করে তাহলে সরকারকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতও সম্প্রতি টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবকে ভারত বাধ্য করে তাদের আইনের আওতায় এনেছে। উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফেসবুক, ইউটিউবকে হামেশা জরিমানা করছে। বাংলাদেশ যদি ফেসবুক, ইউটিউবকে তালিকা দিয়ে বলে এসব কনটেন্ট না সরালে বাংলাদেশ ফেসবুককে নিষিদ্ধ করবে তখন ফেসবুক কী করবে? তারা দৌড়ে আসবে। দেশে দেশে এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাচার প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রথম যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নষ্টামি, কুৎসিত, অরুচিকর কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো তখন তথাকথিত সুশীলসমাজ এর বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামল। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হলো এ আইন কার্যকর হলে আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই এ আইনের ব্যাপারে অটল এবং অনড় ছিলেন। মূলত তাঁর দৃঢ়তার কারণেই এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা বহাল আছে। অনেক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা সুশীলদের নেকনজরে থাকার জন্য এ আইন বাতিল অথবা সংশোধনের কথা বলেছিলেন। শুরুতে আমার মনে হয়েছিল সুশীলরা বোধহয় সত্যিই আইনটির বাতিল চান। বিশেষ করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যেভাবে আর্তনাদ করেছিল তাতে আমার মতো অনেকেই ভেবেছিল এ আইন বাতিল না হলে সুশীলরা বোধহয় আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু পরে তাদের কৌশল আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা এ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী প্রচারণার মূল লক্ষ্য ছিল এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঘন্য ‘কালো আইন’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। তাতে লাভ হয় স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর। ফেসবুক, টুইটারে বিদেশে বসে যা কিছু বলার লাইসেন্স পায় সাইবার ক্রিমিনালরা। সুশীলরা বিশ্বকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মধ্যে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষ মন খুলে তার নিজের কথা বলতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কে যেসব নোংরা কথাবার্তা বলা হয় তা এক ধরনের বৈধতা পায়। দেশে কথা বলা যাচ্ছে না তাই বিদেশে বসে ‘সত্য’ বলা হচ্ছে- এ ধরনের একটা ধারণা সুশীলদের আড্ডায় শোনা যায়। জনগণও এসব চটুল, চানাচুর মিথ্যাচার গিলতে শুরু করে। সরকারও এসব অপরাধীর বাচালতা এবং ঠাসা বুননের মিথ্যাচার হাস্যকর বলে উপেক্ষা করে। আস্তে আস্তে এসব গুজব এবং গায়েবি মিথ্যাচার নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এখন দেখি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সুইডেন থেকে বিরামহীনভাবে ছোড়া গুজব বোমাগুলো কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পলাতক আসামি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে কিছু বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা, পতিত সাংবাদিক এবং ইতর বুদ্ধিজীবীর বমি ওগরানোর জায়গা হয়েছে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ক্রমে এদের একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনাই এখন দেশের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। শেখ হাসিনাই এখন বাংলাদেশের পথের দিশারি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মিছিলে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনা একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মানেই স্বপ্ন, শেখ হাসিনা মানেই এগিয়ে যাওয়া। কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়বে। স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। যে কারণেই লন্ডনে পলাতক গোষ্ঠী এবং রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা টার্গেট করেছে শেখ হাসিনাকে। তাঁকে ঘায়েল করতে পারলেই বাংলাদেশ আবার এক ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে হাঁটতে শুরু করবে। কাজেই কারও যদি এ দেশের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে তিনি এসব অপপ্রচার এক দিনের জন্যও প্রচার করতে দেবেন না। এ ধরনের জঘন্য কনটেন্ট প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবের কিংবা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ বিষয়টা নিয়ে কদিন আগে কথা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেজা সেলিমের সঙ্গে। হাই কোর্ট যখন ফেসবুক, ইউটিউবের এসব আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলল তখন। হাই কোর্টের নির্দেশনার পর মোস্তাফা জব্বারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি জানাল, এসব কনটেন্ট বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই। এ নিয়েই রেজা সেলিমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ‘আমাদের গ্রাম’ নামে তাঁর এক অসম্ভবসুন্দর উন্নয়ন সংগঠন আছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তিনি খুলনা অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নীরব বিপ্লব করছেন। রেজা সেলিম জানালেন, বিটিআরসির এ বক্তব্য দায়সারা এবং দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘এর সঙ্গে কিছু ব্যক্তির ব্যবসা জড়িত আছে। এজন্য তারা কিছু করে না।’ রেজা সেলিমের মতে, ‘আমাদের দেশে কীভাবে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম চলবে তার একটা নীতিমালা তৈরি করে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, এ নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশে ইউটিউব বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাহলে দেখবেন তারা বাধ্য হবে।’ গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বললেন, ‘২৪ ঘণ্টা ইউটিউব, ফেসবুক বন্ধ রাখুন না, ওরা আমাদের শর্ত মানবে। কারণ এটা ওদের ব্যবসা।’

রেজা সেলিম যদি এটা জানেন তাহলে মোস্তাফা জব্বারের না জানার কোনো কারণ নেই। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ বলেছিলেন, তিনি অসহায়! আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানালেন তিনিও অসহায়! আসলে তিনি অসহায় নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?

একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুশীলরা নীরবে প্রচার করছে বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার নেই। মফস্বলের সংবাদকর্মী কিংবা নিরীহ মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডেভিড বাগম্যান, তাসনিম খলিল, শহীদ উদ্দিন, তাজ হাশমী, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, নাজমুল সাকিব, নাগরিক টিভির নর্দমার মতো গালাগালি অবাধ ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এখন মানুষ উন্নয়নের গল্পে রোমাঞ্চিত হয় না। পদ্মা সেতু শেষ হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখায় না। মেট্রোরেল নিয়ে আপ্লুত হয় না। এখন মানুষ কিছু নোংরা নদর্মার দুর্গন্ধযুক্ত কথা শুনে আতঙ্কিত হয়। ফিস ফিস করে একে অন্যকে বলে, এই এটা দেখেছিলি ইউটিউবে? এটা কি সত্যি? সাধারণ মানুষ জানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ হলে কঠিন আইন আছে। তাই জনগণ খানিকটা বিভ্রমে পড়ে তো বটেই। আমাকে অনেকেই মাঝেমধ্যে বলেন, ‘নিশ্চয় এর মধ্যে কিছু সত্যতা আছে। না হলে তো মামলা হতো।’ অর্থাৎ এখন একটা আবহ তৈরি করা হয়েছে যাতে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ এসব কনটেন্ট বিশ্বাস করে। এর ফলে মূলধারার গণমাধ্যমে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা বিদেশে বসে বলছে, বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা সব দালাল অথবা ভীরু কাপুরুষ। একমাত্র আমরাই বীর। এদের বীর বানাচ্ছে কারা? বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রীবিরোধী এসব প্রচারণা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আরে দূর, এসব কথা কি কেউ বিশ্বাস করে। এগুলো গুরুত্বহীন।’ তাদের কথা শুনে আমার আবার ১৯৭৫-এর কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে, এ রকম কথা বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে বলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এসবকে গুরুত্ব দেননি। গুরুত্ব না দেওয়ার চরম মূল্য জাতিকে দিতে হয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। এখনো কি আওয়ামী লীগ সে পথেই হাঁটছে?

আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় বিএনপিকে নিয়েই ব্যস্ত। কবর নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারা উন্মুক্ত করে দেওয়া সাইবার দুনিয়া নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নয়। ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের নেতারা একে অন্যকে গালি দেন, হুমকি দেন। অনেক নেতা যেন মডেল। নানা ঢঙে ছবি দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। ইউটিউবে তো আওয়ামী লীগ শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় বিশ্বাসীরা বিলীনপ্রায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দলটি সাইবার দুনিয়ায় নিস্পৃহ এবং অগোছালো। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীরা সোশ্যাল মিডিয়া দখল করে তান্ডব চালাচ্ছে। সেই পুরনো ও বহুল প্রচলিত উদাহরণটি এখানে প্রযোজ্য। একটি ছুরি চিকিৎসকের হাতে থাকলে তা মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে ছুরিই দুর্বৃত্তের হাতে গেলে মানুষকে হত্যা করে। এখন এ তথ্যপ্রযুক্তির অস্ত্র ১৯৭১ ও ’৭৫-এর পরাজিত শক্তির হাতে। তারা প্রতিদিন বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত করছে। ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং বিএনপি রাজপথে নেই, তাদের নেতারা তাদের দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেন না, এসবই সত্য। কিন্তু সাইবার জগতে তারা কী করছেন তা কি আওয়ামী লীগের নেতারা দেখেন, জানেন? এখন নীরবে যে তারা আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে অনীহা তৈরি করছেন সে খবর কি সরকার রাখে। এসব অসত্য-ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য যে ব্যাপক প্রচারিত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম পরীমণির সঙ্গে এক তরুণ পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন। তার মানে ইলিয়াস গংয়ের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা লোকজনের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে কনক সরওয়ারের একটি আবর্জনা অনুষ্ঠানে দেখলাম কিছু কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। ওই কাগজপত্র তো ঢাকা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তো আর ২০০৪ সালের জনসভার অনুমতিপত্র থাকার কথা নয়। কে তাদের এসব কাগজ জোগান দিচ্ছে? সম্প্রতি সরকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। এর একজন সিআইডিতে ছিলেন। পরীমণি, পিয়াসা, মৌদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। তিনি দায়িত্ব পেয়েই বলেছিলেন, পিয়াসা-মৌদের বাসায় যারা গেছেন তাদের তালিকা হচ্ছে।

এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে দিলেন। ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের ভয় দেখানো শুরু হলো। অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, অনেকে তাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা বাসায় থাকবেন কি না। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা (সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া) জেনে বুঝে এসব করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা। ইলিয়াস গংয়ের প্রচারণার মশলা দেওয়া। আমরা জানি না, প্রশাসনের বন্ধ্রে রন্ধ্রে এ করম কত গুপ্তচর রয়েছে, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি, দলিল পাচার করে দিচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে সরকারের জন্য জান কোরবান করছে আর গোপনে বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় জড়িত সাইবার ক্রিমিনালদের মদদ দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের জাল এখন বিস্তৃত। জনগণ নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস অনুভব করছে, সরকার কি করছে না? সরকার কি মনে করছে সব কিছু ঠিক আছে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী
দুই দিনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন ৩১ প্রার্থী

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক
জামালপুরে ইয়াবাসহ নারী আটক

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে
বরিশালে অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
‘ভুয়া ভিডিও’ সম্পর্কে সচেতন হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার
এবার ১০ গোলে বাংলাদেশের হার

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব
কুয়েতে হোমনা প্রবাসীদের মিলনমেলা ও পিঠা উৎসব

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা
গৌরনদীতে তিন মরদেহ উদ্ধার: দুটি হত্যা, একটি আত্মহত্যা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারাত্মক মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা
চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক সংকটে বিঘ্নিত গুণগত শিক্ষা

২৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
খুলনা-বরিশাল বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতা গ্রেফতার

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬
গোপালগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা, গ্রেফতার ৬

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি
রূপগঞ্জের গোলাম ফারুক খোকন বিএসটিএমপিআইএ'র সভাপতি

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন

৩৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক
জুলাই সনদ আদেশ সংশোধন করে কেবল মতৈক্যের বিষয়গুলো গণভোটে দিন: সাইফুল হক

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৪১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা

৪৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর
আশরাফুল হত্যা: ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোপালপুর

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
৩০ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

৫০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মতভেদ ঐক্য ভাঙবে না: তুলি-আরমান

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে যারা পেশি শক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে : ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচনে যারা পেশি শক্তি দেখাবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে : ইসি সানাউল্লাহ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে ‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ প্রভাষকদের কর্মবিরতি পালন
নীলফামারীতে ‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ প্রভাষকদের কর্মবিরতি পালন

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি কর্মী আটক
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি কর্মী আটক

৫৭ মিনিট আগে | পরবাস

টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন
টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত
মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা