শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
ভেষজ

অর্জুনের গুণাগুণ

অর্জুনের ভেষজগুণ অসাধারণ। ১. হৃদরোগ উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বাজারে এর অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। অর্জুন ছাল ভালোভাবে পেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খেলে হৃদরোগ ও বুক ধড়ফড় কমে যায়। ২. রক্তে নিম্নচাপ থাকলে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। ৩. রক্তক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। ৪. শ্বেত বা রক্ত প্রদহে ছাল ভেজানো পানি আধা চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়। ৫. ক্ষয়কাশে অর্জুনের ছালের গুঁড়া বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ৬. এ ছাড়া হাঁপানিতে অর্জুন ফল টুকরা করে তামাকের মতো ধোঁয়া টানলে উপকার হয়। ৭. হার্নিয়ায় অর্জুন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয় ভালো হয়। ৮. হৃৎপিন্ডের দুর্বলতা ও সাধারণ দুর্বলতায় ৩-৪ গ্রাম অর্জুন ছাল চূর্ণ প্রতিদিন দুবার এক গ্লাস পরিমাণ দুধসহ সেব্য। এক মাস নিয়মিত সেবন করতে হবে। ৯. কাঁচা অর্জুনের ছাল ৫ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে পিষে ঠান্ডা পানিসহ দিনে দুবার খেলে রক্ত আমাশয়ে বিশেষ উপকারী। ১০. ২০ গ্রাম পরিমাণ আধাচূর্ণ অর্জুন ছাল নিয়ে ২ কেজি পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ছেঁকে সেব্য। উল্লিখিত নিয়মে দিনে দু-তিন বার সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। ১১. বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায়, মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিসে টনিক হিসেবে কাজ করে। ১২. এ ছাল মুখ, জিব ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।           

আলমগীর মতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর