শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে। এবার বাংলাদেশে রোগব্যাধির বিস্তার ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। ‘দ্য ক্লাইমেট অ্যাফ্লিকশন্স’ (জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব) নামে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রামক ব্যাধি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশবাসীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালে আগের তুলনায় যেমন বেশি গরম পড়ছে তেমন তা দীর্ঘতর হচ্ছে। অন্যদিকে শীতকাল তুলনামূলকভাবে হচ্ছে উষ্ণতর। বর্ষা মৌসুমের মেয়াদ বেড়ে গেছে। মৌসুমি বায়ুর তৎপরতা চলছে এখন ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুগুলোর মধ্যকার তফাত ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শ্বাসতন্ত্র এবং পানি ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি এর সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যারও যোগসূত্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্করা। আর অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় নগরে বসবাসকারীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছরের বিবেচনায় প্রাণী ও অণুজীবের মতো জীবিত বাহকের মাধ্যমে ছড়ানো এবং পানিবাহিত রোগের তুলনায় দেশে শ্বাসতন্ত্রের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়ার ধরনে রদবদল মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রভাবের বিষয়ে আরও বেশি সাক্ষ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। বাংলাদেশকে এখন অভিযোজনের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের ওপর নির্ভর করে নতুন নতুন জলবায়ুসংশ্লিষ্ট রোগব্যাধির বিস্তার রোধ করতে একটি অধিকতর শক্তিশালী স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর