শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

৪ ডিসেম্বর ১৯৯০। সন্ধ্যা থেকেই টেলিভিশনে ঘোষণা করা হচ্ছিল রাতে উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা। উত্তাল জনতা। এরশাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কিছুই। দিনভর মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরশাদের মন্ত্রী-এমপিদের গণপ্রতিরোধ। দেশে এক আন্দোলন উৎসবের আমেজ। এরশাদ কীভাবে পদত্যাগ করবেন, কীভাবে নির্দলীয় ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হবেন এ নিয়ে নানা আলোচনায় ভরপুর দেশ। তখন দেশে একটাই টেলিভিশন- বিটিভি। একটাই বেতার- রেডিও বাংলাদেশ। বিবিসি শুনি গোল হয়ে অনেকজন একসঙ্গে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কী বলবেন তা শোনার জন্য আমরা সবাই উদ্গ্রীব। এরশাদ সাক্ষাৎকার দিলেন কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে। তার হাসির মধ্যে কতটা সততা আর কতটা শঠতা তা সব সময়ই এক রহস্য। ব্যারিস্টার মওদুদ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কীভাবে বিরোধী দলের দাবি মেটানো সম্ভব তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। এরশাদ ছুটিতে যাবেন, তিনি (ব্যারিস্টার মওদুদ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হবেন। বিরোধী দলের পছন্দের ব্যক্তিকে উপরাষ্ট্রপতি বানাবেন। সংবিধান, আইনের কী চুলচেরা বিশ্লেষণ! এর মধ্যেই টেলিভিশনে স্ক্রল প্রচারিত হলো- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুহূর্তে উৎসবের নগরীতে পরিণত হলো গোটা ঢাকা, সারা দেশ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই রাস্তায় নেমে এলেন। এ যেন এক বিজয় উৎসব। মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ৫ ডিসেম্বর তিন জোটের বৈঠক হলো ধানমন্ডিতে প্রয়াত বাকশাল নেতা মহিউদ্দিন আহমদের বাড়িতে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিন জোটের নেতারা একমত হলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘোষণা করলেন, প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান।

অনেকেই বলেন, ৪ ডিসেম্বর এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা ছিল একটি কৌশল। এরশাদ ভেবেছিলেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে বিভক্ত বিরোধী জোটগুলো ব্যর্থ হবে। এরশাদ আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু সবকিছু ঘটে গেল মুহূর্তেই। কোনো জটিলতা ছাড়াই। অবশ্য সমস্যা আরও ছিল। বেঁকে বসলেন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও ক’বছর ছিল। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে এ দায়িত্ব নিতে তিনি ছিলেন দ্বিধান্বিত। এ সময় সংকট সমাধানে এগিয়ে এলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ফোন করলেন। জাতির প্রয়োজনে তাঁকে দায়িত্ব গ্রহণে অনুরোধ জানালেন। তাঁর স্বপদে ফেরার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। মূলত শেখ হাসিনার অনুরোধেই দ্রুত রাজি হলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।

৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতন হলো। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন এরশাদের ঘনিষ্ঠতম আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম কে আনোয়ার। এরশাদের রাজত্বে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ক্ষমতার দাপট ছিল অকল্পনীয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এরশাদ মন্ত্রীদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতেন। আমলাদের ফ্লোর দিয়ে গভীর মনোযোগে তাদের কথা শুনতেন। এরশাদের জমানায় অনেক মন্ত্রী টেলিভিশন বা পত্রিকায় খবর দেখে অনেক সরকারি সিদ্ধান্ত জানতেন। আমলারাই তার বিশ্বস্ত ছিল। এরশাদ নয় বছর দেশ চালিয়েছেন সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের ওপর নির্ভর করে। বিদায়ের আগে এরশাদ সেনাপ্রধান নূরউদ্দীন খানের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নিজের লোক সেনাপ্রধানও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সরি স্যার’। অনুগত, চাটুকার আমলারাই ছিল এরশাদের বিশ্বস্ত। রাজনীতিবিদদের এরশাদ সন্দেহের চোখে দেখতেন, বিশ্বাস করতেন না। শুধু তাই নয়, এরশাদের জমানা নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বইয়ে জানা যায় তিনি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মূর্খ মনে করতেন।

এরশাদ আমলের শেষ দিকের ছবিগুলো দেখলে দেখা যায়, এম কে আনোয়ার এবং আমলারা যেন ছায়ার মতো। যেখানেই এরশাদ সেখানেই আমলারা। কিন্তু এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যেই তিনি সটকে পড়লেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের দরজায় টোকা দিলেন। বলে রাখা ভালো, এরশাদের পতনের আগেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল ও জাসদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দল কয়েক দফা বৈঠক করেছিল। আগামীর সরকার কেমন হবে এ নিয়ে এক রূপরেখাও প্রণয়ন করেছিল। একে বলা হয় ‘তিন জোটের রূপরেখা’। সিপিবি কার্যালয়ে চূড়ান্ত হয়েছিল এ ঐতিহাসিক দলিলটি। সংসদীয় গণতন্ত্র, বেতার-টেলিভশনের স্বায়ত্তশাসন, সব কালাকানুন বাতিলসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার ছিল এ রূপরেখায়। তিন জোটের রূপরেখায় বলা হয়েছিল, স্বৈরাচার এরশাদের সহযোগী কাউকে তিন জোটের কেউ কোনো দলে নেবে না। এরশাদের পতনের পর সম্মিলিত ছাত্রঐক্য এরশাদের দালালদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। ওই তালিকায় আমলাদের মধ্যে প্রথম নামটা ছিল এম কে আনোয়ারের। এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যে এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী- কেতাদুরস্ত এ দুই আমলা উল্টে গেলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তিন জোটের রূপরেখাকে সম্মান জানিয়ে তাদের পত্রপাঠ বিদায় করে দিলেন। কিন্তু এরশাদের সুসময়ের চাটুকার এ দুই আমলা অবলীলায় ঝাঁকের কইয়ের মতো মিশে গেলেন বিএনপিতে। কোথায় অঙ্গীকার, কোথায় তিন জোট। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জয়ী হওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। সে প্রসঙ্গ নিয়ে এ লেখায় আলোচনা করব না।

এরশাদের প্রিয় পাত্র, সুসময়ে এরশাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী দুই আমলা দুঃসময়ে এক মুহূর্তের জন্যও এরশাদের পাশে থাকলেন না। এরশাদের চরম বিপদে এতটুকু সহানুভূতি দেখালেন না। তখন নির্বাচন আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। এখন যেমন অবসরের পর তিন বছর পর্যন্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করতে পারেন না। সে সময় তেমনটি ছিল না। এম কে আনোয়ার ও কেরামত আলী দুজনই বিএনপির টিকিট পেলেন। ’৯১-এর নির্বাচনে বিএনপি সবাইকে চমকে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকারও গঠন করল। এরশাদের দুই দোসর গণতান্ত্রিক সরকারে মন্ত্রী হয়ে গেলেন। সত্যি বিস্ময়কর। এরশাদ বিদায়ের আগে যেসব আমলাকে নিয়ে থাকতেন তারা কেউ এরশাদের পাশে দাঁড়াননি। মুহূর্তে তারা নিরপেক্ষ হয়ে যান।

উপেক্ষিত মিজানুর রহমান চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আগলে রেখেছিলেন। ‘স্বৈরাচার এরশাদ’কে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদই। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সুসময়ে এরশাদের জন্য কী না করতেন। এরশাদের মায়ের মৃত্যুর পর তার কান্না দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। কার মা মারা গেলেন- এরশাদের না শাহ মোয়াজ্জেমের? এরশাদকে খুশি করতে কি কুৎসিত, অরুচিকর, কদর্য কথাবার্তা বলতেন শাহ মোয়াজ্জেম। ‘দুই নারী মিলিত হলে কিছুই উৎপাদন হয় না’, কিংবা ‘পদত্যাগপত্র কি জিরো পয়েন্টে দিয়ে আসব?’ এ ধরনের অসৌজন্যমূলক ও অশালীন বক্তব্যের জন্যই আলোচিত হতেন তিনি। (ভাগ্যিস তখন এসব ফেসবুক, ইউটিউব ছিল না, তাহলে এসব কথা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেত) সেই শাহ মোয়াজ্জেম কিন্তু এরশাদের দুঃসহ যাত্রার সঙ্গী হননি বেশি দিন। সুযোগ পেয়েই জার্সি বদল করেন। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ নেতা হিসেবে বিএনপিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন। ব্যারিস্টার মওদুদও দুর্দিনে এরশাদের সঙ্গে বেশি দিন থাকেননি। এরশাদ যখন চরম আইনি সংকটে তখন তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছেন। এরশাদের চাটুকারদের খুব কমই আছেন এখন জাতীয় পার্টিতে। এটাই বোধহয় নিয়ম। যুগে যুগে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের এক ক্লান্তিহীন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেও ঘিরে ফেলেছিল চাটুকাররা। খুনি মোশতাক ও খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর চারপাশে গিজগিজ করত। তাজউদ্দীন আহমদরা দূরে সরে গিয়েছিলেন। বাকি ইতিহাস কারও অজানা নয়। বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন ফরাসউদ্দিন আহমেদ। ১৪ আগস্ট গণভবনে ফরাসউদ্দিন আহমেদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন ফরাসউদ্দিন। ওই অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ছিলেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নম্বরে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর ফরাসউদ্দিন কিছুই করেননি। বরং খুনি মোশতাকের অনাপত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনিই খুনি মোশতাকের অবৈধ মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

জিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্য কী না করেছেন। তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। সেনাপ্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এরশাদকে। প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতে, এরশাদের চাটুকারিতায় মুগ্ধ হয়েই জেনারেল শওকত, জেনারেল মঞ্জুরের মতো মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন পাকিস্তান-প্রত্যাগত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। ফল সবাই জানেন। জিয়ার হত্যাকান্ডের পর তার চারপাশের চাটুকাররাই এরশাদকে ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করেছিলেন।

বেগম জিয়ার চারপাশে ছায়ার মতো থাকতেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। ফালুর রাজনৈতিক পরিচয় বেগম জিয়ার দান। আজ বেগম জিয়া অসুস্থ। আর ফালু দূরদেশে বিত্তের বৈভবে দিন কাটাচ্ছেন। বেগম জিয়ারও আমলাপ্রীতি কম ছিল না। দুই মেয়াদেই ড. কামাল সিদ্দিকী ছিলেন বেগম জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছিলেন একদা চৈনিক এই আমলা। ক্ষমতায় পালাবদল হতেই পালিয়ে গেলেন। বেগম জিয়ার দুঃসময়ে তার টিকিটিও কেউ পায়নি। এখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। খাচ্ছেন, দাচ্ছেন, চকচক ব্লেডে দাড়ি কামাচ্ছেন। বেগম জিয়ার জেল, অসুখ তাকে কি বিচলিত করে?

হারিছ চৌধুরীর কথা মনে আছে? কী ক্ষমতাবান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার ভয়ে ব্যবসায়ীরা তটস্থ থাকতেন। ওয়ান-ইলেভেনে বেগম জিয়াকে ফেলে পালিয়ে গেলেন। শোনা যায়, এখন অবৈধ অর্থে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন।

১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনলেন শেখ হাসিনা। ’৯০-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ছুটে গেলেন জাতির পিতার দুই মেয়ে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন। শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদটিকে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে যে সম্মান ও মর্যাদা শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি অনন্য উদাহরণ। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দীন দুঃসময়ে শেখ হাসিনার পাশে থাকেননি। এমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও তাঁকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতেও শুনিনি। আওয়ামী লীগ সরকারে যেসব আমলার বাড়বাড়ন্ত ছিল বিএনপি আমলে তাদের অনেকের আসল চেহারা প্রকাশ হয়।

বাংলাদেশে ক্ষমতা বলয়ে সারাক্ষণ ঘোরাফেরা করে সুবিধাবাদী চক্র। সুসময়ের এই অতিভক্তরা দুঃসময়ে থাকে না। আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছর ক্ষমতায়। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের পুনর্জাগরণের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের আজকের এ সুসময়ের প্রধান সেনাপতি তিনিই। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত ভয়ডরহীন বিপুল কর্মী। যারা লোভহীন, ত্যাগী। যাঁরা শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে এঁরা জেল খেটেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। অনেকে পিতা হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। মাঝেমধ্যে এঁদের জীবনকাহিনি শুনলে চমকে উঠি। দুঃসময়ের এই কর্মীরা কিংবা সেই পরিবারগুলো কি আওয়ামী লীগের মূলধারায় আছে? নাকি আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে সুবিধাবাদী চাটুকাররা? আজ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ টইটম্বুর। এত আওয়ামী লীগ এলো কোত্থেকে? দুঃসময়ে এরা কই ছিল? আবার খারাপ সময়ে এরা কই থাকবে? কোনো দিন রাজপথে মিছিল না করে, জেল-জুলুম-নির্যাতন না সয়ে যে ব্যক্তিটি এখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সে দুঃসময়ে কোথায় থাকবে, কানাডা না মার্কিন মুলুকে?

বাংলাদেশে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তানরা। নৌকার টিকিট পেয়ে তারা এখন ভেংচি কাটছেন। জিয়ার সাফারি পরা ব্যক্তি এখন মুজিবকোট পরেন। আয়নায় তার চেহারা দেখে নিজেই হয়তো লজ্জা পান। এত চাটুকার, এত মতলববাজ এখন আওয়ামী লীগে যে আসল-নকল খুঁজে বের করাই দায়। দুঃসময়ের কান্ডারিরা এখন যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। কঠিন সময়ের বন্ধুরা সুসময়ে যখন দূরে সরে যায়, তখন তা দুঃসময়ের আগমনি বার্তা শোনায়। এখন ভুঁইফোঁড় রাজনীতিবিদ, আদর্শহীন সুযোগসন্ধানী আমলা ও মতলববাজ চক্র চাটুকারিতার মেলা বসিয়েছে, দুঃসময়ে তারা থাকবে না। সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে পালায়। এরা দেশের জন্য ভাবে না, দলের জন্য ভাবে না, নেতার কথা চিন্তা করে না। আজ এরা যা কিছু করে সব নিজেদের জন্য। সুসময়ের চাটুকাররা স্মার্ট। এরা তৈলমর্দনে অসাধারণ। এরা ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। পরিণতির কথা ভাবে না। এরা সাহস করে সত্য কথা বলে না। বাস্তবতা আড়াল করে এরা সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চায়। একটা রঙিন ফ্রেমে বাস্তবতাকে স্বপ্নলোকের মেকি আবরণ দিতে চায়। এদের উপদ্রব সুসময়ে বাড়ে। যখন আওয়ামী লীগের সুসময়ে অতিথি পাখির ভিড় তখন প্রশাসনে নব্য আওয়ামী লীগের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের চারপাশে শুধু সুবিধাবাদী, ধূর্তদের আনাগোনা। সব দেখে-শুনে চোখ বন্ধ করি। মস্তিষ্কে মুকুল দত্তের লেখা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটি বেজে ওঠে- ‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও... ভুলো না তাকে ডেকে নিতে...’।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের

২৩ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কালভার্টের পাশে পড়ে থাকা নবজাতকের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে কালভার্টের পাশে পড়ে থাকা নবজাতকের লাশ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল
গাইবান্ধার দুই এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
মেহেরপুরে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জেমিনিতে ছবি দিলেই তৈরি হবে ভিডিও
জেমিনিতে ছবি দিলেই তৈরি হবে ভিডিও

১০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে
ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা
ভালুকায় দাখিল পরীক্ষায় শীর্ষ অবস্থানে দারুননাজাত মডেল মাদ্রাসা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রাবিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত
রাবিতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিপ্লবত্তোর বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের অঙ্গীকার মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদের
বিপ্লবত্তোর বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের অঙ্গীকার মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদের

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৪১৮ জন গ্রেফতার
পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৪১৮ জন গ্রেফতার

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা
টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা

৫৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫
থিম্পুতে চলছে এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সীমান্তে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু
নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৬ মাসে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা, বন্ধ ৬৯৯ ইটভাটা
৬ মাসে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা, বন্ধ ৬৯৯ ইটভাটা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের
মুন্সীগঞ্জে এতিম শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আহার বিতরণ বসুন্ধরা শুভসংঘের

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা খাবেন

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ
পি-২২: পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো সিংহ হয়ে উঠল পরিবেশ আন্দোলনের মুখ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’
নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

এসএসসি: লালমনিরহাটে তিন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এসএসসি: লালমনিরহাটে তিন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন
শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মোংলায় বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু
মোংলায় বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার
৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু
এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি
৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ
জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করবেন যেভাবে
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করবেন যেভাবে

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়
সাপের হাড়ে ফাটল, এক্স-রে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়

২১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী
রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া সেই লিতুন এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা