শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

৪ ডিসেম্বর ১৯৯০। সন্ধ্যা থেকেই টেলিভিশনে ঘোষণা করা হচ্ছিল রাতে উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা। উত্তাল জনতা। এরশাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কিছুই। দিনভর মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরশাদের মন্ত্রী-এমপিদের গণপ্রতিরোধ। দেশে এক আন্দোলন উৎসবের আমেজ। এরশাদ কীভাবে পদত্যাগ করবেন, কীভাবে নির্দলীয় ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হবেন এ নিয়ে নানা আলোচনায় ভরপুর দেশ। তখন দেশে একটাই টেলিভিশন- বিটিভি। একটাই বেতার- রেডিও বাংলাদেশ। বিবিসি শুনি গোল হয়ে অনেকজন একসঙ্গে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কী বলবেন তা শোনার জন্য আমরা সবাই উদ্গ্রীব। এরশাদ সাক্ষাৎকার দিলেন কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে। তার হাসির মধ্যে কতটা সততা আর কতটা শঠতা তা সব সময়ই এক রহস্য। ব্যারিস্টার মওদুদ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কীভাবে বিরোধী দলের দাবি মেটানো সম্ভব তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। এরশাদ ছুটিতে যাবেন, তিনি (ব্যারিস্টার মওদুদ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হবেন। বিরোধী দলের পছন্দের ব্যক্তিকে উপরাষ্ট্রপতি বানাবেন। সংবিধান, আইনের কী চুলচেরা বিশ্লেষণ! এর মধ্যেই টেলিভিশনে স্ক্রল প্রচারিত হলো- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুহূর্তে উৎসবের নগরীতে পরিণত হলো গোটা ঢাকা, সারা দেশ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই রাস্তায় নেমে এলেন। এ যেন এক বিজয় উৎসব। মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ৫ ডিসেম্বর তিন জোটের বৈঠক হলো ধানমন্ডিতে প্রয়াত বাকশাল নেতা মহিউদ্দিন আহমদের বাড়িতে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিন জোটের নেতারা একমত হলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘোষণা করলেন, প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান।

অনেকেই বলেন, ৪ ডিসেম্বর এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা ছিল একটি কৌশল। এরশাদ ভেবেছিলেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে বিভক্ত বিরোধী জোটগুলো ব্যর্থ হবে। এরশাদ আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু সবকিছু ঘটে গেল মুহূর্তেই। কোনো জটিলতা ছাড়াই। অবশ্য সমস্যা আরও ছিল। বেঁকে বসলেন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও ক’বছর ছিল। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে এ দায়িত্ব নিতে তিনি ছিলেন দ্বিধান্বিত। এ সময় সংকট সমাধানে এগিয়ে এলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ফোন করলেন। জাতির প্রয়োজনে তাঁকে দায়িত্ব গ্রহণে অনুরোধ জানালেন। তাঁর স্বপদে ফেরার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। মূলত শেখ হাসিনার অনুরোধেই দ্রুত রাজি হলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।

৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতন হলো। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন এরশাদের ঘনিষ্ঠতম আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম কে আনোয়ার। এরশাদের রাজত্বে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ক্ষমতার দাপট ছিল অকল্পনীয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এরশাদ মন্ত্রীদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতেন। আমলাদের ফ্লোর দিয়ে গভীর মনোযোগে তাদের কথা শুনতেন। এরশাদের জমানায় অনেক মন্ত্রী টেলিভিশন বা পত্রিকায় খবর দেখে অনেক সরকারি সিদ্ধান্ত জানতেন। আমলারাই তার বিশ্বস্ত ছিল। এরশাদ নয় বছর দেশ চালিয়েছেন সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের ওপর নির্ভর করে। বিদায়ের আগে এরশাদ সেনাপ্রধান নূরউদ্দীন খানের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নিজের লোক সেনাপ্রধানও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সরি স্যার’। অনুগত, চাটুকার আমলারাই ছিল এরশাদের বিশ্বস্ত। রাজনীতিবিদদের এরশাদ সন্দেহের চোখে দেখতেন, বিশ্বাস করতেন না। শুধু তাই নয়, এরশাদের জমানা নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বইয়ে জানা যায় তিনি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মূর্খ মনে করতেন।

এরশাদ আমলের শেষ দিকের ছবিগুলো দেখলে দেখা যায়, এম কে আনোয়ার এবং আমলারা যেন ছায়ার মতো। যেখানেই এরশাদ সেখানেই আমলারা। কিন্তু এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যেই তিনি সটকে পড়লেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের দরজায় টোকা দিলেন। বলে রাখা ভালো, এরশাদের পতনের আগেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল ও জাসদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দল কয়েক দফা বৈঠক করেছিল। আগামীর সরকার কেমন হবে এ নিয়ে এক রূপরেখাও প্রণয়ন করেছিল। একে বলা হয় ‘তিন জোটের রূপরেখা’। সিপিবি কার্যালয়ে চূড়ান্ত হয়েছিল এ ঐতিহাসিক দলিলটি। সংসদীয় গণতন্ত্র, বেতার-টেলিভশনের স্বায়ত্তশাসন, সব কালাকানুন বাতিলসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার ছিল এ রূপরেখায়। তিন জোটের রূপরেখায় বলা হয়েছিল, স্বৈরাচার এরশাদের সহযোগী কাউকে তিন জোটের কেউ কোনো দলে নেবে না। এরশাদের পতনের পর সম্মিলিত ছাত্রঐক্য এরশাদের দালালদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। ওই তালিকায় আমলাদের মধ্যে প্রথম নামটা ছিল এম কে আনোয়ারের। এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যে এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী- কেতাদুরস্ত এ দুই আমলা উল্টে গেলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তিন জোটের রূপরেখাকে সম্মান জানিয়ে তাদের পত্রপাঠ বিদায় করে দিলেন। কিন্তু এরশাদের সুসময়ের চাটুকার এ দুই আমলা অবলীলায় ঝাঁকের কইয়ের মতো মিশে গেলেন বিএনপিতে। কোথায় অঙ্গীকার, কোথায় তিন জোট। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জয়ী হওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। সে প্রসঙ্গ নিয়ে এ লেখায় আলোচনা করব না।

এরশাদের প্রিয় পাত্র, সুসময়ে এরশাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী দুই আমলা দুঃসময়ে এক মুহূর্তের জন্যও এরশাদের পাশে থাকলেন না। এরশাদের চরম বিপদে এতটুকু সহানুভূতি দেখালেন না। তখন নির্বাচন আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। এখন যেমন অবসরের পর তিন বছর পর্যন্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করতে পারেন না। সে সময় তেমনটি ছিল না। এম কে আনোয়ার ও কেরামত আলী দুজনই বিএনপির টিকিট পেলেন। ’৯১-এর নির্বাচনে বিএনপি সবাইকে চমকে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকারও গঠন করল। এরশাদের দুই দোসর গণতান্ত্রিক সরকারে মন্ত্রী হয়ে গেলেন। সত্যি বিস্ময়কর। এরশাদ বিদায়ের আগে যেসব আমলাকে নিয়ে থাকতেন তারা কেউ এরশাদের পাশে দাঁড়াননি। মুহূর্তে তারা নিরপেক্ষ হয়ে যান।

উপেক্ষিত মিজানুর রহমান চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আগলে রেখেছিলেন। ‘স্বৈরাচার এরশাদ’কে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদই। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সুসময়ে এরশাদের জন্য কী না করতেন। এরশাদের মায়ের মৃত্যুর পর তার কান্না দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। কার মা মারা গেলেন- এরশাদের না শাহ মোয়াজ্জেমের? এরশাদকে খুশি করতে কি কুৎসিত, অরুচিকর, কদর্য কথাবার্তা বলতেন শাহ মোয়াজ্জেম। ‘দুই নারী মিলিত হলে কিছুই উৎপাদন হয় না’, কিংবা ‘পদত্যাগপত্র কি জিরো পয়েন্টে দিয়ে আসব?’ এ ধরনের অসৌজন্যমূলক ও অশালীন বক্তব্যের জন্যই আলোচিত হতেন তিনি। (ভাগ্যিস তখন এসব ফেসবুক, ইউটিউব ছিল না, তাহলে এসব কথা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেত) সেই শাহ মোয়াজ্জেম কিন্তু এরশাদের দুঃসহ যাত্রার সঙ্গী হননি বেশি দিন। সুযোগ পেয়েই জার্সি বদল করেন। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ নেতা হিসেবে বিএনপিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন। ব্যারিস্টার মওদুদও দুর্দিনে এরশাদের সঙ্গে বেশি দিন থাকেননি। এরশাদ যখন চরম আইনি সংকটে তখন তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছেন। এরশাদের চাটুকারদের খুব কমই আছেন এখন জাতীয় পার্টিতে। এটাই বোধহয় নিয়ম। যুগে যুগে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের এক ক্লান্তিহীন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেও ঘিরে ফেলেছিল চাটুকাররা। খুনি মোশতাক ও খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর চারপাশে গিজগিজ করত। তাজউদ্দীন আহমদরা দূরে সরে গিয়েছিলেন। বাকি ইতিহাস কারও অজানা নয়। বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন ফরাসউদ্দিন আহমেদ। ১৪ আগস্ট গণভবনে ফরাসউদ্দিন আহমেদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন ফরাসউদ্দিন। ওই অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ছিলেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নম্বরে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর ফরাসউদ্দিন কিছুই করেননি। বরং খুনি মোশতাকের অনাপত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনিই খুনি মোশতাকের অবৈধ মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

জিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্য কী না করেছেন। তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। সেনাপ্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এরশাদকে। প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতে, এরশাদের চাটুকারিতায় মুগ্ধ হয়েই জেনারেল শওকত, জেনারেল মঞ্জুরের মতো মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন পাকিস্তান-প্রত্যাগত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। ফল সবাই জানেন। জিয়ার হত্যাকান্ডের পর তার চারপাশের চাটুকাররাই এরশাদকে ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করেছিলেন।

বেগম জিয়ার চারপাশে ছায়ার মতো থাকতেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। ফালুর রাজনৈতিক পরিচয় বেগম জিয়ার দান। আজ বেগম জিয়া অসুস্থ। আর ফালু দূরদেশে বিত্তের বৈভবে দিন কাটাচ্ছেন। বেগম জিয়ারও আমলাপ্রীতি কম ছিল না। দুই মেয়াদেই ড. কামাল সিদ্দিকী ছিলেন বেগম জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছিলেন একদা চৈনিক এই আমলা। ক্ষমতায় পালাবদল হতেই পালিয়ে গেলেন। বেগম জিয়ার দুঃসময়ে তার টিকিটিও কেউ পায়নি। এখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। খাচ্ছেন, দাচ্ছেন, চকচক ব্লেডে দাড়ি কামাচ্ছেন। বেগম জিয়ার জেল, অসুখ তাকে কি বিচলিত করে?

হারিছ চৌধুরীর কথা মনে আছে? কী ক্ষমতাবান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার ভয়ে ব্যবসায়ীরা তটস্থ থাকতেন। ওয়ান-ইলেভেনে বেগম জিয়াকে ফেলে পালিয়ে গেলেন। শোনা যায়, এখন অবৈধ অর্থে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন।

১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনলেন শেখ হাসিনা। ’৯০-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ছুটে গেলেন জাতির পিতার দুই মেয়ে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন। শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদটিকে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে যে সম্মান ও মর্যাদা শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি অনন্য উদাহরণ। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দীন দুঃসময়ে শেখ হাসিনার পাশে থাকেননি। এমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও তাঁকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতেও শুনিনি। আওয়ামী লীগ সরকারে যেসব আমলার বাড়বাড়ন্ত ছিল বিএনপি আমলে তাদের অনেকের আসল চেহারা প্রকাশ হয়।

বাংলাদেশে ক্ষমতা বলয়ে সারাক্ষণ ঘোরাফেরা করে সুবিধাবাদী চক্র। সুসময়ের এই অতিভক্তরা দুঃসময়ে থাকে না। আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছর ক্ষমতায়। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের পুনর্জাগরণের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের আজকের এ সুসময়ের প্রধান সেনাপতি তিনিই। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত ভয়ডরহীন বিপুল কর্মী। যারা লোভহীন, ত্যাগী। যাঁরা শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে এঁরা জেল খেটেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। অনেকে পিতা হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। মাঝেমধ্যে এঁদের জীবনকাহিনি শুনলে চমকে উঠি। দুঃসময়ের এই কর্মীরা কিংবা সেই পরিবারগুলো কি আওয়ামী লীগের মূলধারায় আছে? নাকি আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে সুবিধাবাদী চাটুকাররা? আজ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ টইটম্বুর। এত আওয়ামী লীগ এলো কোত্থেকে? দুঃসময়ে এরা কই ছিল? আবার খারাপ সময়ে এরা কই থাকবে? কোনো দিন রাজপথে মিছিল না করে, জেল-জুলুম-নির্যাতন না সয়ে যে ব্যক্তিটি এখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সে দুঃসময়ে কোথায় থাকবে, কানাডা না মার্কিন মুলুকে?

বাংলাদেশে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তানরা। নৌকার টিকিট পেয়ে তারা এখন ভেংচি কাটছেন। জিয়ার সাফারি পরা ব্যক্তি এখন মুজিবকোট পরেন। আয়নায় তার চেহারা দেখে নিজেই হয়তো লজ্জা পান। এত চাটুকার, এত মতলববাজ এখন আওয়ামী লীগে যে আসল-নকল খুঁজে বের করাই দায়। দুঃসময়ের কান্ডারিরা এখন যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। কঠিন সময়ের বন্ধুরা সুসময়ে যখন দূরে সরে যায়, তখন তা দুঃসময়ের আগমনি বার্তা শোনায়। এখন ভুঁইফোঁড় রাজনীতিবিদ, আদর্শহীন সুযোগসন্ধানী আমলা ও মতলববাজ চক্র চাটুকারিতার মেলা বসিয়েছে, দুঃসময়ে তারা থাকবে না। সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে পালায়। এরা দেশের জন্য ভাবে না, দলের জন্য ভাবে না, নেতার কথা চিন্তা করে না। আজ এরা যা কিছু করে সব নিজেদের জন্য। সুসময়ের চাটুকাররা স্মার্ট। এরা তৈলমর্দনে অসাধারণ। এরা ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। পরিণতির কথা ভাবে না। এরা সাহস করে সত্য কথা বলে না। বাস্তবতা আড়াল করে এরা সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চায়। একটা রঙিন ফ্রেমে বাস্তবতাকে স্বপ্নলোকের মেকি আবরণ দিতে চায়। এদের উপদ্রব সুসময়ে বাড়ে। যখন আওয়ামী লীগের সুসময়ে অতিথি পাখির ভিড় তখন প্রশাসনে নব্য আওয়ামী লীগের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের চারপাশে শুধু সুবিধাবাদী, ধূর্তদের আনাগোনা। সব দেখে-শুনে চোখ বন্ধ করি। মস্তিষ্কে মুকুল দত্তের লেখা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটি বেজে ওঠে- ‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও... ভুলো না তাকে ডেকে নিতে...’।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
জলবায়ু দারিদ্র্য
জলবায়ু দারিদ্র্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
মানবতন্ত্রী সালাহ্উদ্দীন আহমদ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
নাদির শাহর প্রমোদবালা ও আমাদের দেশপ্রেম
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সর্বশেষ খবর
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঠ না ছাড়ার আহ্বান সামান্তা শারমিনের
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঠ না ছাড়ার আহ্বান সামান্তা শারমিনের

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী
হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

১০ মাসে কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক
১০ মাসে কর্মহীন ৬০ হাজার শ্রমিক

৫৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’
ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ
হাজির-নাজির কেবল আল্লাহর গুণ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’
‘আত্মহত্যা নয়, ঘুরে দাঁড়ানোই সমাধান’

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল
ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন
এবার কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫
অ্যাপল উন্মোচন করলো নতুন আইপ্যাড প্রো এম৫

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা
কারামুক্ত বিএনপি নেতাকে কুমিল্লায় সংবর্ধনা

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
খুলনা কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু
ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা: অন্তত ১০ নিহত, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!
মাদ্রাসা সুপারের বেত্রাঘাত, অভিভাবক আহত!

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ
গাজীপুর-৩ আসনে মাওলানা এহসানুল হকের গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় প্রসূতি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আজও বিক্ষোভ
আশুলিয়ায় প্রসূতি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আজও বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টেনে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ
টি-টেনে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান
৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন
শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০
আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিমান হামলা পাকিস্তানের, নিহত বেড়ে ৪০

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের
পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন
যেভাবে ট্রাম্পের ‘দুর্বল জায়গায়’ আঘাত করল চীন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ
মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার
লেবাননে গাদ্দাফির ছেলে জামিন, তবে কার্যকরে দরকার ১১০ কোটি ডলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
শীর্ষ ৯ জেনারেলকে বরখাস্ত করলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক
নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’
‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি’

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল
নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে আপিল প্রত্যাখ্যান আইসিসির

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প
যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
আফগানিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’
‘অন্য কেউ হলে আমার এই সব সহ্য করতো না’

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ চলাকালীন ট্রাফিক নির্দেশনা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে
ঢাকাগামী ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা
লঙ্কানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আরও কাছে প্রোটিয়ারা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম
হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট
গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ালেন অ্যাথলেট

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ
‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক : ইইউ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম
রবিবার ২টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ
বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ

মাঠে ময়দানে

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের
গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগানের

পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০
বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি, আহত ৩০

দেশগ্রাম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ
মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ

দেশগ্রাম

চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং
চলে গেলেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চেন নিং

পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা

দেশগ্রাম

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল পেরু

পূর্ব-পশ্চিম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ
ইকসু রোডম্যাপের দাবিতে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা
ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে হামলা

পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড
নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার ৫৪১ জেলের দন্ড

দেশগ্রাম

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম