শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত

নিশ্চিত হোক পর্যটনবান্ধব পরিবেশ

কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের গর্বের অনুষঙ্গ। অব্যবস্থাপনার কারণে নষ্ট হচ্ছে এ সৈকতের পরিবেশ। পদ্মা সেতু চালু হলে কুয়াকাটার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজতর হবে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহজে কুয়াকাটায় ছুটে আসার সুযোগ পাবেন। একই জায়গায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় বলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে কুয়াকাটা সৈকতের কদর আলাদা। সারা বছরই পর্যটকের ভিড় থাকে এ সৈকতে। কুয়াকাটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত, শত বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহারে অষ্টধাতুর তৈরি ৩৭ মণ ওজনের ধ্যানমগ্ন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, সবুজ বেষ্টনী, সৈকতে ঢেউয়ের খেলা, লাল কাঁকড়া, লেম্বুর চর, লতাচাপলী সৈকত, ঝাউবন, ইকো পার্ক, প্রাচীন আমলের বিশাল কাঠের বজরা, কেরানীপাড়ার রাখাইন পল্লীসহ আশপাশ এলাকা ঘুরে মন জুড়িয়ে যায় পর্যটকদের। দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকতে বস্তির মতো সারি সারি খুপরি, দোকান ও বাঁধে টং ঘর গড়ে ওঠায় বিরক্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। সৈকতের ডান দিকে প্রশাসনের উচ্ছেদ করা ভাঙা কাঠের খুপরি আবার গড়ে তোলা ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে কোনো বাধা ছাড়াই। যত্রতত্র টং ঘর ওঠানো হচ্ছে সৈকতে। সৈকত লাগোয়া বাঁধের পাশে ডান দিকে গড়ে উঠেছে একাধিক খুপরি। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটার আকর্ষণ বাড়াতে সৈকত ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, কোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা গড়তে না এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার জন্য মানসম্মত হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্মাণের উদ্যোগও নিতে হবে। বখাটেদের উৎপাত থেকে সৈকত এলাকা মুক্ত রাখার বিষয়টিও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর