শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

সামাজিক অপরাধ

মাদকের ওপর আঘাত হানতে হবে

দেশে সামাজিক অপরাধ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাদক ও অভাবের দোলাচলে বাড়ছে সামাজিক অপরাধের থাবা। বলা হয় ক্ষুধা মানুষের বিবেককেও জিম্মি করে। মাদকাসক্তদের মধ্যে প্রায়ই বিবেক বলে কিছু থাকে না। নেশার জন্য হেন অপরাধ নেই যা তারা করতে পিছপা হয়। রাজধানীতে যেসব ছিনতাই ঘটে তার প্রায় সিংহভাগের সঙ্গে মাদকাসক্তির সম্পর্ক রয়েছে। অভাবে পড়েও মানুষ একের পর এক সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধে জড়াচ্ছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে সারা দেশে পারিবারিক সহিংসতায় খুনোখুনির সংখ্যা ৫০টির বেশি। এর মধ্যে স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী, ভাইয়ের হাতে ভাই, সন্তানের হাতে বাবা কিংবা বাবার দ্বারা সন্তান খুন রয়েছেন। ঢাকায় বছরে গড়ে ২৫০টি হত্যাকাণ্ড ঘটে। সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার। ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির বিভিন্ন মামলার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় রাজধানীতে খুন, চাঁদাবাজি, গাড়ি চুরি ও দস্যুতার মতো অপরাধ বেড়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও রাশ টেনে ধরা যায়নি। এ বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীতে খুন হন নয়জন। ফেব্রুয়ারিতে ১২ জন। এর পাঁচজনই মিরপুরে। খুনের পাশাপাশি বেড়েছে মোটরসাইকেল ও গাড়ি চুরি। ফেব্রুয়ারিতে এ রকম ৩৬টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে মোটরসাইকেল ও গাড়ি চুরির মামলা হয়েছিল ৩১টি। চাঁদাবাজির ঘটনায় গত দুই মাসে ঢাকায় মামলা হয়েছে ১৬টি। বাস্তবে চাঁদাবাজির ঘটনা শতগুণের বেশি। শুধু রাজধানী নয়, দেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে চাঁদাবাজ নামের মানুষ শকুনদের দৌরাত্ম্য নেই। অপরাধ দমনে অপরাধের মূল কারণ মাদকের ওপর আঘাত হানতে হবে। পাশাপাশি অভাবী মানুষের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও এ ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর