বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির মচ্ছব শুরু হয় প্রতি বছর দুই ঈদ সামনে রেখে। এমনিতেই টিকিট কালোবাজারি ঘটে বছরজুড়ে। রেলওয়ের বুকিং সহকারীরা এ অপকর্মে সরাসরি জড়িত। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে রেলপুলিশের সদস্যসহ রেলের কিছু কর্মচারী। এমনকি বাইরের কালোবাজারিরা। বিশেষ করে ঈদের আগে দুই, এমনকি তিন গুণ দামে বিক্রি হয় ট্রেনের টিকিট। তাই ঈদ এলেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিরাও সক্রিয় হয়ে ওঠে। নানা কৌশলে রেল প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এবারের ঈদেও থেমে নেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিরা। সোমবার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে র‌্যাবের জালে ধরা খেয়েছে ‘খোদ’ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন হাবিলদার ও সিপাই। এর আগে রবিবার রাতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকায় বেশি দামে টিকিট বিক্রি করার সময় ধরা পড়েন আরএনবির দুই সদস্য। তারা ৩৪৮ টাকার টিকিট ১ হাজারে বিক্রি করতে গিয়ে আটক হন। ঈদযাত্রা সামনে রেখে টিকিট কালোবাজারি করছিলেন আরএনবির এ দুই সদস্য। নজরদারির পর টিকিট বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের কয়েকজন বুকিং সহকারীর সহযোগিতায় কাউন্টার থেকে প্রতিদিনই নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নামে টিকিট সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সেখানেও ঘটেছে সীমাহীন কেলেঙ্কারি। কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে কালোবাজারিদের কারণে। ফলে অনেকেই ট্রেনে চলাচল আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ রেলওয়েকে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। টিকিট ছাড়া ট্রেনে চলাচল বন্ধেও কঠোর হতে হবে।

সর্বশেষ খবর