শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৬ আগস্ট, ২০২২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় গুণ তিনি স্পষ্ট কথা বলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে বলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি স্পষ্ট কিছু উচ্চারণ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। আবার ইলেকশন যতই সামনে আসছে, আবারও...’। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তিনি টিকে আছেন। এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে। কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো আন্তর্জাতিক মহল, কখনো বা আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছিল। নানা কারণে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। জনপ্রিয় করেছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মতো। তিনি কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করেন না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁকে এক অদ্ভুত বাস্তবতা শিক্ষা দিয়েছে। একজন মানুষ যখন ‘প্রত্যাশা’মুক্ত হন, তখন তিনি নির্ভার থাকেন। কোনো হতাশা কাজ করে না। বিশ্বাসঘাতকতা বিমর্ষ করে না। অবহেলা আহত করে না। ধরা যাক, আপনি কাউকে কিছু টাকা দিলেন। আপনি যদি তাকে এটা ধার দেন তাহলে টাকা ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে। আপনি অপেক্ষায় থাকবেন। বিলম্বে কিংবা টাকা ফেরত না পেলে দুঃখিত হবেন। হতাশ হবেন। কখনো বা ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যদি আপনি টাকাটা একেবারে দিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা থেকে আপনি মুক্ত। কোনো প্রতারণা, হতাশা আপনাকে আক্রান্ত করবে না। একজন বন্ধুর উপকার করলেন। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ের আকাক্সক্ষা থেকে যদি করেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। আপনি অপেক্ষা করবেন প্রতিদানের। একসময় আপনি সংকটে পড়লেন। তখন আপনার বন্ধুর কথা মনে পড়বে। আপনি ভাবলেন, এবার বন্ধু ঋণ শোধরাবে। প্রতিদান দেবে। কিন্তু ওই বন্ধুটি এগিয়ে এলো না আপনার বিপদে। বিপদের জন্য আপনি যত না কষ্ট পাবেন তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাবেন বন্ধুর আচরণে। ‘প্রত্যাশা’ এক মারাত্মক ব্যাধি। প্রত্যাশার বিপরীতে যখন প্রত্যাখ্যান এবং বিশ্বাসঘাতকতা আসে তখন মানুষ কষ্ট পায়। তার কর্মশক্তি কমে যায়। জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলে। শেখ হাসিনা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সম্ভবত ‘প্রত্যাশা’ শব্দটি তাঁর হৃদয় থেকে উপড়ে ফেলেছেন। তিনি কাউকে মন্ত্রী বানালেন কিংবা সচিব। ব্যস। ওই মন্ত্রী কিংবা সচিব বিনিময়ে শেখ হাসিনার জন্য কিছু করবেন এমন আশা তিনি কখনো করেন না। বরং শেখ হাসিনা ’৭৫ থেকে শিখেছেন, যাকে তিনি পাদপ্রদীপে নিয়ে এলেন সে-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক। অন্যদের কথা বাদ দিলাম। আওয়ামী লীগ নেতাদের (যাদের তিনি সামনে এনেছেন) কাছ থেকেও কোনো কিছু আশা করেন না শেখ হাসিনা। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আকাক্সক্ষাহীন একজন মানুষ হন ভারহীন, ঝরঝরে, লক্ষ্যে অবিচল। আপন বলয়ে তিনি অবিরাম কাজ করে যান। বিনিময়ে কী পাব এ চিন্তা থেকে একজন মানুষ যখন নিজেকে আলাদা করতে পারেন তখন তিনি অসম্ভবকে জয় করতে পারেন। শেখ হাসিনা তেমনি একজন মানুষ। ভয় বিশেষত মৃত্যুভয় মানুষকে সংকুচিত করে। দ্বিধান্বিত করে। মানুষকে ভীতু করে। ভীতু মানুষ যে-কোনো কাজ করার আগে সাতপাঁচ ভাবে। কিন্তু একজন মানুষ যখন মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারেন তখন তিনি অজেয়-অপরাজেয় হয়ে ওঠেন। যেমন জাতির পিতা। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। মুসলমান একবার মরে দুইবার নয়।’ মৃত্যুকে তুচ্ছ করেছিলেন এজন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ’৭৫-এর আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাঁর বাবা-মা এবং নিকটজনকেই কেড়ে নেয়নি। তাঁকে ভয়শূন্য একজন মানুষে রূপান্তর করেছে। ফলে মৃত্যুভয়হীন শেখ হাসিনা অনন্য সাহসী নির্ভীক। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন তিনি অবলীলায়। সাহসের হিমালয় হয়ে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ান। একজন মানুষ যখন স্পষ্টবাদী হন। বৈষয়িক প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা মুক্ত থাকেন এবং সাহসী হন তখন তিনি পরিণত হন দুর্দান্ত ক্ষমতাবান এক অজেয় মহামানবে। সেই মানুষটির মধ্যে যদি মানুষের মঙ্গল কামনা, কল্যাণ এবং ভালো করার আকাক্সক্ষা থাকে তখন তাকে দমিয়ে রাখা অসম্ভব। সে কারণেই শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য। এ সমাজ হলো মানবতার সঙ্গে দানবের লড়াইয়ের ক্ষেত্র। এ বিশ্ব হলো শুভাশুভের যুদ্ধের মাঠ। ভালোর সঙ্গে মন্দের চিরন্তন সংঘাতই হলো পৃথিবীর ইতিহাস। যখন আপনি মানবতার পক্ষে থাকবেন, শুভকাজের ব্রত হবেন, ভালোকে আলিঙ্গন করবেন তখন ‘দানব’ আপনাকে আঘাত করবে। আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। এটাই নিয়ম। তাই শেখ হাসিনার মঙ্গলচিন্তার প্রতিপক্ষ থাকবে না তা তো হতে পারবে না। শেখ হাসিনা যত ভালো করবেন দানবরা তত ক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনা মানুষের যত কল্যাণ করবেন দানবরা তত হিংস্র হবে। শেখ হাসিনা যত তাঁর লক্ষ্যে সফল হবেন দানবরা তত ভয়ংকর হবে। এটাই স্বাভাবিক। এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি সেই একই গতিপথে প্রবাহিত।

’৭৫-এর পর থেকেই দানবরা ষড়যন্ত্র করেছে। ষড়যন্ত্রের রূপ-রং বদলেছে সময়ের সঙ্গে। ষড়যন্ত্র ভয়ংকর হয়েছে দিনে দিনে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল তিনি যেন দেশে না আসেন। তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল। লোভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেই পিতার রক্তে রঞ্জিত দেশে এসেছিলেন। ’৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ই তাঁকে হত্যা করা হতে পারত। তাঁকে গ্রেফতার করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তো এত দিনে মৃত্যুভয়কে জয় করেছেন। তাঁর সাহস আর উত্তাল জনস্রোতে ভেসে যায় ষড়যন্ত্র।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবার খোদ আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তখন সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যেমন ছিলেন তেমনি ছিল খুনি মোশতাকের পদলেহী ভীরু ও পথভ্রষ্ট কাপুরুষরাও। তারাই বরং শক্তিশালী ছিল। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পদে পদে শেখ হাসিনাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অপমানিত করা হয়েছে। ‘চাচা’রা শেখ হাসিনার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। অন্য কেউ হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতেন। একবার ভাবুন তো আপনার পিতার খুনির সঙ্গে বসে আপনি কি কথা বলতে পারবেন? এক অখ্যাত তরুণ আইনজীবীকে বঙ্গবন্ধু নতুন পরিচয় দিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদারতায় তিনি পেলেন ‘আন্তর্জাতিক’ খ্যাতি। আর সেই চাচাই শুরু করলেন ষড়যন্ত্র। ভাগ্যিস ‘প্রত্যাশা’ নামক আবেগটি শেখ হাসিনা উপড়ে ফেলেছিলেন। না হলে নব্য মোশতাকদের বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি পাগল হয়ে যেতেন। দলের ভিতর ষড়যন্ত্রকারীদের কোণঠাসা করেই শেখ হাসিনাকে এগোতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে। একটা সময় ‘দানব’রা বুঝল, শেখ হাসিনাকে দমানো এত সহজ না। তখন ষড়যন্ত্র আরও ভয়ংকর হয়ে উঠল। একটা দল আবার আরেকটা ’৭৫ ঘটাতে চাইল। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। একের পর এক হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বারবার শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন অলৌকিকভাবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে যে সবকিছুই করতে পারেন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়া। এ অলৌকিক এক ঘটনা।

এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি যে একচুল ছাড় দেবেন না তা পরিষ্কার হয়ে যায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তাঁর দেশ পরিচালনায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হলে তো বাংলাদেশ স্বনির্ভর হবে। আত্মমর্যাদাশীল হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তখন বিদেশি প্রভুদের কী হবে? তারা তো এ দেশের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। এ দেশের গ্যাস পানির দামে নিয়ে যেতে পারবে না। সেন্ট মার্টিনে সামরিক খাঁটি করতে পারবে না। এবার শুরু হলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তত দিনে বাংলাদেশে যাদের লোলুপ চোখ তারা বুঝে গেছে, শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জীবন থাকতে বিকিয়ে দেবেন না। চাপ দিয়ে তাঁকে ‘একান্ত অনুগত’ করা যাবে না। ক্ষমতার মোহে তিনি নতজানু হবেন না। ব্যস, আবার সেই নাটক শুরু হলো। ২০০১-এর নির্বাচনে হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনা হটাও মিশনে যুক্ত হলেন এ দেশের সুশীল, আমলা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মহল। বিএনপিকে কেবল জেতানোই হলো না। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তাদের যা খুশি তা করার লাইসেন্স দেওয়া হলো। জিয়া পরিবার দুর্নীতির উৎসবে মাতল। সবাই মিলে ‘ওলটপালট করে দেমা লুটেপুটে খাই’। সংগীত গাইতে গাইতে দুর্নীতির উৎসব শুরু করল। অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতার অংশীদার জামায়াত শুরু করল ইসলামী বিপ্লবের নীলনকশার বাস্তবায়ন। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান মঞ্চে আবির্ভূত হলেন। সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা ঘটিয়ে জঙ্গিরা জানিয়ে দিল ‘বাংলা হবে আফগান’। শেখ হাসিনার সম্বল তখন কেবল জনগণ। খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিক, কৃষক। তাদের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস প্রতিবাদের গর্জনে রূপান্তরিত হলো। এবারও ষড়যন্ত্রকারীরা প্রমাদ গুনল। নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তাই বিএনপিকে ক্ষমতার ‘হাড্ডি’ দেখিয়ে উত্তেজিত করল সুশীল ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা। মান্নান-জলিলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে সুশীলদের হাতে দেশের চাবি তুলে দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হলো। অবশেষে সুশীলরা বর সেজে বঙ্গভবনে শোভিত হলেন। পশ্চিমারা তাদের ‘আপন’ মানুষদের ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হলো। এবার বাংলাদেশকে ‘খোবলা’ বানানো যাবে। কিন্তু ওই যে শেখের বেটি। ভীষণ অবাধ্য। যা মনে হয় সেটাই হাটবাজারে প্রকাশ্যে বলেন। সাধারণ মানুষও তাঁকে বিশ্বাস করে। এ তো ভারি জ্বালা। আবার শুরু হলো সুশীল গবেষণা। এবার আবিষ্কার হলো ‘মাইনাস ফরমুলা’। এত দিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো ছিল ভিন্ন রকমের। কখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ’৭১-এর ঘাতক-দালালরা। আওয়ামী লীগের ‘চাচা’রা ষড়যন্ত্র করেছেন, সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিমা প্রভুরা। কিন্তু ২০০৭ সালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল সর্বব্যাপী এবং সম্মিলিত। সব প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ’৭৫-এর আগস্টের চেয়েও ঘৃণ্য নোংরা ও কুৎসিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। শেখ হাসিনার পাশে ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং নিজের সাহস, দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় শেখ হাসিনা এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন। এক-এগারো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। তিনি বুঝতে পারেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো অপশক্তি তাঁকে পরাস্ত করতে পারবে না। মূলত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়ক থেকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদে রূপান্তরিত হতে থাকেন। এ রূপান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলছে। জনগণ ছাড়া আর সবকিছু এখন তাঁর কাছে অপ্রয়োজনীয়। এজন্য তিনি মন্ত্রীদের শোকেসের পুতুল হিসেবে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও তাঁর কোনো প্রত্যাশা নেই। শেখ হাসিনা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুধাবনের চেষ্টা করেন। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নই তাঁর রাজনীতি। এখানে পন্ডিতরা কী ভাবলেন, গণমাধ্যম কী সমালোচনা করল এসব মূল্যহীন। এ দেশের জনগণ এ মুহূর্তে শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে সম্ভবত বিশ্বাসও করে না।

প্রয়াত ড. হুমায়ুন আজাদ জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই সাক্ষাৎকারে জ্ঞানতাপস বলেছিলেন, ‘...আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত। একটু বেশি শক্তিশালীবোধ করত। তারপরে যে তারা খুব খারাপ আর্থিক অবস্থায় পড়ে গেছে বা তার সময়ে যে খুব ভালো আর্থিক অবস্থায় ছিল তা না। তবে এটা আমি খুব স্পষ্টভাবে বুঝি যে, এখন বিপুলসংখ্যক মানুষ অনেকটা অসহায়বোধ করে। আগে এমন অসহায়বোধ করত না। সমাজের যত বেশিসংখ্যক মানুষ বুঝতে পারে যে, সমাজের তারাও গুরুত্বপূর্ণ, তারাও সমাজের জন্য অপরিহার্য ততই ভালো। গান্ধী বা জিন্নাহ জনগণের নেতা ছিলেন, জনগণের অংশ ছিলেন না। কিন্তু মুজিবের সময় জনগণ এমন বোধ করতে থাকে যে, শেখ মুজিব তাদেরই অংশ।’ শেখ হাসিনাও জনগণের মধ্যে সেই বোধ আবার ফিরিয়ে এনেছেন। এ দেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা তাদেরই অংশ। এ কারণেই তিনি শক্তিশালী। প্রচ- ক্ষমতাবান। কারণ জনগণের শক্তির চেয়ে কোনো বড় শক্তি নেই। এ কারণেই সমাজের উঁচুতলার সফেদ পরিপাটি মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁকে উৎখাত করতে চায়। ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় তাদের আমরা চিনি। শেখ হাসিনাও চেনেন। এজন্যই তিনি জনগণের কাছে বার্তাটা পৌঁছে দিলেন। কারণ তিনি জানেন, সংকটে এই বস্তিবাসী, রিকশাওয়ালা, জেলে, কৃষক, শ্রমিকরাই মানবপ্রাচীর হয়ে তাঁকে রক্ষা করবেন।

শেখ হাসিনা ’৭৫ দেখেছেন, ’৮১ দেখেছেন, ’৯১ দেখেছেন। ২০০১ এবং ২০০৭ সালে খাদের কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে এই আমলারা রং বদল করবেন। অথবা অসহায় আত্মসমর্পণ করবেন। যেমন ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন আমলারা করেছিলেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়ে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারে না। প্রতি সংকটেই কিছু নব্য মোশতাকের জন্ম হয়। শেখ হাসিনা জানেন যাদের তিনি বিত্তবৈভবের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তাঁকে চিনবে না। এজন্যই তাঁর প্রকৃত যোদ্ধাদের কাছেই তিনি ষড়যন্ত্রের বার্তা দিলেন। কারণ জনগণ জানে শেখ হাসিনা তাদের। যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনগণই সব সংকটের মেঘ সরিয়ে দেয় সব সময়। এই যে এখন অর্থনৈতিক সংকটের মেঘ কেটে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই। রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২.১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এক মাসে। শ্রমিকরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। কৃষক ফসল উৎপাদন করছে নিবিষ্টভাবে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের মহড়া শুরু হয়েছিল, তা ক্রমে খেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে সামনে আরও ষড়যন্ত্র হবে। জনগণই রুখে দেবে সেই ষড়যন্ত্র। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনা না থাকলে তারা আবার অধিকারহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা না থাকলে তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ এখন সমার্থক। শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী
চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’
‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি
উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫
প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে
কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩
ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা
বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন