শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৬ আগস্ট, ২০২২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় গুণ তিনি স্পষ্ট কথা বলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে বলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি স্পষ্ট কিছু উচ্চারণ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। আবার ইলেকশন যতই সামনে আসছে, আবারও...’। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তিনি টিকে আছেন। এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে। কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো আন্তর্জাতিক মহল, কখনো বা আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছিল। নানা কারণে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। জনপ্রিয় করেছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মতো। তিনি কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করেন না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁকে এক অদ্ভুত বাস্তবতা শিক্ষা দিয়েছে। একজন মানুষ যখন ‘প্রত্যাশা’মুক্ত হন, তখন তিনি নির্ভার থাকেন। কোনো হতাশা কাজ করে না। বিশ্বাসঘাতকতা বিমর্ষ করে না। অবহেলা আহত করে না। ধরা যাক, আপনি কাউকে কিছু টাকা দিলেন। আপনি যদি তাকে এটা ধার দেন তাহলে টাকা ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে। আপনি অপেক্ষায় থাকবেন। বিলম্বে কিংবা টাকা ফেরত না পেলে দুঃখিত হবেন। হতাশ হবেন। কখনো বা ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যদি আপনি টাকাটা একেবারে দিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা থেকে আপনি মুক্ত। কোনো প্রতারণা, হতাশা আপনাকে আক্রান্ত করবে না। একজন বন্ধুর উপকার করলেন। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ের আকাক্সক্ষা থেকে যদি করেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। আপনি অপেক্ষা করবেন প্রতিদানের। একসময় আপনি সংকটে পড়লেন। তখন আপনার বন্ধুর কথা মনে পড়বে। আপনি ভাবলেন, এবার বন্ধু ঋণ শোধরাবে। প্রতিদান দেবে। কিন্তু ওই বন্ধুটি এগিয়ে এলো না আপনার বিপদে। বিপদের জন্য আপনি যত না কষ্ট পাবেন তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাবেন বন্ধুর আচরণে। ‘প্রত্যাশা’ এক মারাত্মক ব্যাধি। প্রত্যাশার বিপরীতে যখন প্রত্যাখ্যান এবং বিশ্বাসঘাতকতা আসে তখন মানুষ কষ্ট পায়। তার কর্মশক্তি কমে যায়। জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলে। শেখ হাসিনা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সম্ভবত ‘প্রত্যাশা’ শব্দটি তাঁর হৃদয় থেকে উপড়ে ফেলেছেন। তিনি কাউকে মন্ত্রী বানালেন কিংবা সচিব। ব্যস। ওই মন্ত্রী কিংবা সচিব বিনিময়ে শেখ হাসিনার জন্য কিছু করবেন এমন আশা তিনি কখনো করেন না। বরং শেখ হাসিনা ’৭৫ থেকে শিখেছেন, যাকে তিনি পাদপ্রদীপে নিয়ে এলেন সে-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক। অন্যদের কথা বাদ দিলাম। আওয়ামী লীগ নেতাদের (যাদের তিনি সামনে এনেছেন) কাছ থেকেও কোনো কিছু আশা করেন না শেখ হাসিনা। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আকাক্সক্ষাহীন একজন মানুষ হন ভারহীন, ঝরঝরে, লক্ষ্যে অবিচল। আপন বলয়ে তিনি অবিরাম কাজ করে যান। বিনিময়ে কী পাব এ চিন্তা থেকে একজন মানুষ যখন নিজেকে আলাদা করতে পারেন তখন তিনি অসম্ভবকে জয় করতে পারেন। শেখ হাসিনা তেমনি একজন মানুষ। ভয় বিশেষত মৃত্যুভয় মানুষকে সংকুচিত করে। দ্বিধান্বিত করে। মানুষকে ভীতু করে। ভীতু মানুষ যে-কোনো কাজ করার আগে সাতপাঁচ ভাবে। কিন্তু একজন মানুষ যখন মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারেন তখন তিনি অজেয়-অপরাজেয় হয়ে ওঠেন। যেমন জাতির পিতা। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। মুসলমান একবার মরে দুইবার নয়।’ মৃত্যুকে তুচ্ছ করেছিলেন এজন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ’৭৫-এর আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাঁর বাবা-মা এবং নিকটজনকেই কেড়ে নেয়নি। তাঁকে ভয়শূন্য একজন মানুষে রূপান্তর করেছে। ফলে মৃত্যুভয়হীন শেখ হাসিনা অনন্য সাহসী নির্ভীক। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন তিনি অবলীলায়। সাহসের হিমালয় হয়ে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ান। একজন মানুষ যখন স্পষ্টবাদী হন। বৈষয়িক প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা মুক্ত থাকেন এবং সাহসী হন তখন তিনি পরিণত হন দুর্দান্ত ক্ষমতাবান এক অজেয় মহামানবে। সেই মানুষটির মধ্যে যদি মানুষের মঙ্গল কামনা, কল্যাণ এবং ভালো করার আকাক্সক্ষা থাকে তখন তাকে দমিয়ে রাখা অসম্ভব। সে কারণেই শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য। এ সমাজ হলো মানবতার সঙ্গে দানবের লড়াইয়ের ক্ষেত্র। এ বিশ্ব হলো শুভাশুভের যুদ্ধের মাঠ। ভালোর সঙ্গে মন্দের চিরন্তন সংঘাতই হলো পৃথিবীর ইতিহাস। যখন আপনি মানবতার পক্ষে থাকবেন, শুভকাজের ব্রত হবেন, ভালোকে আলিঙ্গন করবেন তখন ‘দানব’ আপনাকে আঘাত করবে। আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। এটাই নিয়ম। তাই শেখ হাসিনার মঙ্গলচিন্তার প্রতিপক্ষ থাকবে না তা তো হতে পারবে না। শেখ হাসিনা যত ভালো করবেন দানবরা তত ক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনা মানুষের যত কল্যাণ করবেন দানবরা তত হিংস্র হবে। শেখ হাসিনা যত তাঁর লক্ষ্যে সফল হবেন দানবরা তত ভয়ংকর হবে। এটাই স্বাভাবিক। এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি সেই একই গতিপথে প্রবাহিত।

’৭৫-এর পর থেকেই দানবরা ষড়যন্ত্র করেছে। ষড়যন্ত্রের রূপ-রং বদলেছে সময়ের সঙ্গে। ষড়যন্ত্র ভয়ংকর হয়েছে দিনে দিনে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল তিনি যেন দেশে না আসেন। তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল। লোভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেই পিতার রক্তে রঞ্জিত দেশে এসেছিলেন। ’৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ই তাঁকে হত্যা করা হতে পারত। তাঁকে গ্রেফতার করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তো এত দিনে মৃত্যুভয়কে জয় করেছেন। তাঁর সাহস আর উত্তাল জনস্রোতে ভেসে যায় ষড়যন্ত্র।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবার খোদ আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তখন সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যেমন ছিলেন তেমনি ছিল খুনি মোশতাকের পদলেহী ভীরু ও পথভ্রষ্ট কাপুরুষরাও। তারাই বরং শক্তিশালী ছিল। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পদে পদে শেখ হাসিনাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অপমানিত করা হয়েছে। ‘চাচা’রা শেখ হাসিনার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। অন্য কেউ হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতেন। একবার ভাবুন তো আপনার পিতার খুনির সঙ্গে বসে আপনি কি কথা বলতে পারবেন? এক অখ্যাত তরুণ আইনজীবীকে বঙ্গবন্ধু নতুন পরিচয় দিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদারতায় তিনি পেলেন ‘আন্তর্জাতিক’ খ্যাতি। আর সেই চাচাই শুরু করলেন ষড়যন্ত্র। ভাগ্যিস ‘প্রত্যাশা’ নামক আবেগটি শেখ হাসিনা উপড়ে ফেলেছিলেন। না হলে নব্য মোশতাকদের বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি পাগল হয়ে যেতেন। দলের ভিতর ষড়যন্ত্রকারীদের কোণঠাসা করেই শেখ হাসিনাকে এগোতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে। একটা সময় ‘দানব’রা বুঝল, শেখ হাসিনাকে দমানো এত সহজ না। তখন ষড়যন্ত্র আরও ভয়ংকর হয়ে উঠল। একটা দল আবার আরেকটা ’৭৫ ঘটাতে চাইল। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। একের পর এক হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বারবার শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন অলৌকিকভাবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে যে সবকিছুই করতে পারেন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়া। এ অলৌকিক এক ঘটনা।

এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি যে একচুল ছাড় দেবেন না তা পরিষ্কার হয়ে যায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তাঁর দেশ পরিচালনায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হলে তো বাংলাদেশ স্বনির্ভর হবে। আত্মমর্যাদাশীল হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তখন বিদেশি প্রভুদের কী হবে? তারা তো এ দেশের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। এ দেশের গ্যাস পানির দামে নিয়ে যেতে পারবে না। সেন্ট মার্টিনে সামরিক খাঁটি করতে পারবে না। এবার শুরু হলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তত দিনে বাংলাদেশে যাদের লোলুপ চোখ তারা বুঝে গেছে, শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জীবন থাকতে বিকিয়ে দেবেন না। চাপ দিয়ে তাঁকে ‘একান্ত অনুগত’ করা যাবে না। ক্ষমতার মোহে তিনি নতজানু হবেন না। ব্যস, আবার সেই নাটক শুরু হলো। ২০০১-এর নির্বাচনে হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনা হটাও মিশনে যুক্ত হলেন এ দেশের সুশীল, আমলা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মহল। বিএনপিকে কেবল জেতানোই হলো না। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তাদের যা খুশি তা করার লাইসেন্স দেওয়া হলো। জিয়া পরিবার দুর্নীতির উৎসবে মাতল। সবাই মিলে ‘ওলটপালট করে দেমা লুটেপুটে খাই’। সংগীত গাইতে গাইতে দুর্নীতির উৎসব শুরু করল। অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতার অংশীদার জামায়াত শুরু করল ইসলামী বিপ্লবের নীলনকশার বাস্তবায়ন। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান মঞ্চে আবির্ভূত হলেন। সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা ঘটিয়ে জঙ্গিরা জানিয়ে দিল ‘বাংলা হবে আফগান’। শেখ হাসিনার সম্বল তখন কেবল জনগণ। খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিক, কৃষক। তাদের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস প্রতিবাদের গর্জনে রূপান্তরিত হলো। এবারও ষড়যন্ত্রকারীরা প্রমাদ গুনল। নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তাই বিএনপিকে ক্ষমতার ‘হাড্ডি’ দেখিয়ে উত্তেজিত করল সুশীল ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা। মান্নান-জলিলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে সুশীলদের হাতে দেশের চাবি তুলে দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হলো। অবশেষে সুশীলরা বর সেজে বঙ্গভবনে শোভিত হলেন। পশ্চিমারা তাদের ‘আপন’ মানুষদের ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হলো। এবার বাংলাদেশকে ‘খোবলা’ বানানো যাবে। কিন্তু ওই যে শেখের বেটি। ভীষণ অবাধ্য। যা মনে হয় সেটাই হাটবাজারে প্রকাশ্যে বলেন। সাধারণ মানুষও তাঁকে বিশ্বাস করে। এ তো ভারি জ্বালা। আবার শুরু হলো সুশীল গবেষণা। এবার আবিষ্কার হলো ‘মাইনাস ফরমুলা’। এত দিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো ছিল ভিন্ন রকমের। কখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ’৭১-এর ঘাতক-দালালরা। আওয়ামী লীগের ‘চাচা’রা ষড়যন্ত্র করেছেন, সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিমা প্রভুরা। কিন্তু ২০০৭ সালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল সর্বব্যাপী এবং সম্মিলিত। সব প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ’৭৫-এর আগস্টের চেয়েও ঘৃণ্য নোংরা ও কুৎসিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। শেখ হাসিনার পাশে ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং নিজের সাহস, দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় শেখ হাসিনা এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন। এক-এগারো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। তিনি বুঝতে পারেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো অপশক্তি তাঁকে পরাস্ত করতে পারবে না। মূলত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়ক থেকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদে রূপান্তরিত হতে থাকেন। এ রূপান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলছে। জনগণ ছাড়া আর সবকিছু এখন তাঁর কাছে অপ্রয়োজনীয়। এজন্য তিনি মন্ত্রীদের শোকেসের পুতুল হিসেবে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও তাঁর কোনো প্রত্যাশা নেই। শেখ হাসিনা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুধাবনের চেষ্টা করেন। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নই তাঁর রাজনীতি। এখানে পন্ডিতরা কী ভাবলেন, গণমাধ্যম কী সমালোচনা করল এসব মূল্যহীন। এ দেশের জনগণ এ মুহূর্তে শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে সম্ভবত বিশ্বাসও করে না।

প্রয়াত ড. হুমায়ুন আজাদ জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই সাক্ষাৎকারে জ্ঞানতাপস বলেছিলেন, ‘...আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত। একটু বেশি শক্তিশালীবোধ করত। তারপরে যে তারা খুব খারাপ আর্থিক অবস্থায় পড়ে গেছে বা তার সময়ে যে খুব ভালো আর্থিক অবস্থায় ছিল তা না। তবে এটা আমি খুব স্পষ্টভাবে বুঝি যে, এখন বিপুলসংখ্যক মানুষ অনেকটা অসহায়বোধ করে। আগে এমন অসহায়বোধ করত না। সমাজের যত বেশিসংখ্যক মানুষ বুঝতে পারে যে, সমাজের তারাও গুরুত্বপূর্ণ, তারাও সমাজের জন্য অপরিহার্য ততই ভালো। গান্ধী বা জিন্নাহ জনগণের নেতা ছিলেন, জনগণের অংশ ছিলেন না। কিন্তু মুজিবের সময় জনগণ এমন বোধ করতে থাকে যে, শেখ মুজিব তাদেরই অংশ।’ শেখ হাসিনাও জনগণের মধ্যে সেই বোধ আবার ফিরিয়ে এনেছেন। এ দেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা তাদেরই অংশ। এ কারণেই তিনি শক্তিশালী। প্রচ- ক্ষমতাবান। কারণ জনগণের শক্তির চেয়ে কোনো বড় শক্তি নেই। এ কারণেই সমাজের উঁচুতলার সফেদ পরিপাটি মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁকে উৎখাত করতে চায়। ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় তাদের আমরা চিনি। শেখ হাসিনাও চেনেন। এজন্যই তিনি জনগণের কাছে বার্তাটা পৌঁছে দিলেন। কারণ তিনি জানেন, সংকটে এই বস্তিবাসী, রিকশাওয়ালা, জেলে, কৃষক, শ্রমিকরাই মানবপ্রাচীর হয়ে তাঁকে রক্ষা করবেন।

শেখ হাসিনা ’৭৫ দেখেছেন, ’৮১ দেখেছেন, ’৯১ দেখেছেন। ২০০১ এবং ২০০৭ সালে খাদের কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে এই আমলারা রং বদল করবেন। অথবা অসহায় আত্মসমর্পণ করবেন। যেমন ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন আমলারা করেছিলেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়ে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারে না। প্রতি সংকটেই কিছু নব্য মোশতাকের জন্ম হয়। শেখ হাসিনা জানেন যাদের তিনি বিত্তবৈভবের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তাঁকে চিনবে না। এজন্যই তাঁর প্রকৃত যোদ্ধাদের কাছেই তিনি ষড়যন্ত্রের বার্তা দিলেন। কারণ জনগণ জানে শেখ হাসিনা তাদের। যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনগণই সব সংকটের মেঘ সরিয়ে দেয় সব সময়। এই যে এখন অর্থনৈতিক সংকটের মেঘ কেটে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই। রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২.১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এক মাসে। শ্রমিকরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। কৃষক ফসল উৎপাদন করছে নিবিষ্টভাবে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের মহড়া শুরু হয়েছিল, তা ক্রমে খেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে সামনে আরও ষড়যন্ত্র হবে। জনগণই রুখে দেবে সেই ষড়যন্ত্র। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনা না থাকলে তারা আবার অধিকারহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা না থাকলে তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ এখন সমার্থক। শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
আরাউহোকে বিক্রির ভাবনা বার্সার, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রির ভাবনা বার্সার, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

১১ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

২১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

৩৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

৫৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি