শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৬ আগস্ট, ২০২২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় গুণ তিনি স্পষ্ট কথা বলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে বলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি স্পষ্ট কিছু উচ্চারণ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। আবার ইলেকশন যতই সামনে আসছে, আবারও...’। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তিনি টিকে আছেন। এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে। কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো আন্তর্জাতিক মহল, কখনো বা আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছিল। নানা কারণে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। জনপ্রিয় করেছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মতো। তিনি কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করেন না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁকে এক অদ্ভুত বাস্তবতা শিক্ষা দিয়েছে। একজন মানুষ যখন ‘প্রত্যাশা’মুক্ত হন, তখন তিনি নির্ভার থাকেন। কোনো হতাশা কাজ করে না। বিশ্বাসঘাতকতা বিমর্ষ করে না। অবহেলা আহত করে না। ধরা যাক, আপনি কাউকে কিছু টাকা দিলেন। আপনি যদি তাকে এটা ধার দেন তাহলে টাকা ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে। আপনি অপেক্ষায় থাকবেন। বিলম্বে কিংবা টাকা ফেরত না পেলে দুঃখিত হবেন। হতাশ হবেন। কখনো বা ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যদি আপনি টাকাটা একেবারে দিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা থেকে আপনি মুক্ত। কোনো প্রতারণা, হতাশা আপনাকে আক্রান্ত করবে না। একজন বন্ধুর উপকার করলেন। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ের আকাক্সক্ষা থেকে যদি করেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। আপনি অপেক্ষা করবেন প্রতিদানের। একসময় আপনি সংকটে পড়লেন। তখন আপনার বন্ধুর কথা মনে পড়বে। আপনি ভাবলেন, এবার বন্ধু ঋণ শোধরাবে। প্রতিদান দেবে। কিন্তু ওই বন্ধুটি এগিয়ে এলো না আপনার বিপদে। বিপদের জন্য আপনি যত না কষ্ট পাবেন তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাবেন বন্ধুর আচরণে। ‘প্রত্যাশা’ এক মারাত্মক ব্যাধি। প্রত্যাশার বিপরীতে যখন প্রত্যাখ্যান এবং বিশ্বাসঘাতকতা আসে তখন মানুষ কষ্ট পায়। তার কর্মশক্তি কমে যায়। জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলে। শেখ হাসিনা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সম্ভবত ‘প্রত্যাশা’ শব্দটি তাঁর হৃদয় থেকে উপড়ে ফেলেছেন। তিনি কাউকে মন্ত্রী বানালেন কিংবা সচিব। ব্যস। ওই মন্ত্রী কিংবা সচিব বিনিময়ে শেখ হাসিনার জন্য কিছু করবেন এমন আশা তিনি কখনো করেন না। বরং শেখ হাসিনা ’৭৫ থেকে শিখেছেন, যাকে তিনি পাদপ্রদীপে নিয়ে এলেন সে-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক। অন্যদের কথা বাদ দিলাম। আওয়ামী লীগ নেতাদের (যাদের তিনি সামনে এনেছেন) কাছ থেকেও কোনো কিছু আশা করেন না শেখ হাসিনা। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আকাক্সক্ষাহীন একজন মানুষ হন ভারহীন, ঝরঝরে, লক্ষ্যে অবিচল। আপন বলয়ে তিনি অবিরাম কাজ করে যান। বিনিময়ে কী পাব এ চিন্তা থেকে একজন মানুষ যখন নিজেকে আলাদা করতে পারেন তখন তিনি অসম্ভবকে জয় করতে পারেন। শেখ হাসিনা তেমনি একজন মানুষ। ভয় বিশেষত মৃত্যুভয় মানুষকে সংকুচিত করে। দ্বিধান্বিত করে। মানুষকে ভীতু করে। ভীতু মানুষ যে-কোনো কাজ করার আগে সাতপাঁচ ভাবে। কিন্তু একজন মানুষ যখন মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারেন তখন তিনি অজেয়-অপরাজেয় হয়ে ওঠেন। যেমন জাতির পিতা। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। মুসলমান একবার মরে দুইবার নয়।’ মৃত্যুকে তুচ্ছ করেছিলেন এজন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ’৭৫-এর আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাঁর বাবা-মা এবং নিকটজনকেই কেড়ে নেয়নি। তাঁকে ভয়শূন্য একজন মানুষে রূপান্তর করেছে। ফলে মৃত্যুভয়হীন শেখ হাসিনা অনন্য সাহসী নির্ভীক। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন তিনি অবলীলায়। সাহসের হিমালয় হয়ে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ান। একজন মানুষ যখন স্পষ্টবাদী হন। বৈষয়িক প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা মুক্ত থাকেন এবং সাহসী হন তখন তিনি পরিণত হন দুর্দান্ত ক্ষমতাবান এক অজেয় মহামানবে। সেই মানুষটির মধ্যে যদি মানুষের মঙ্গল কামনা, কল্যাণ এবং ভালো করার আকাক্সক্ষা থাকে তখন তাকে দমিয়ে রাখা অসম্ভব। সে কারণেই শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য। এ সমাজ হলো মানবতার সঙ্গে দানবের লড়াইয়ের ক্ষেত্র। এ বিশ্ব হলো শুভাশুভের যুদ্ধের মাঠ। ভালোর সঙ্গে মন্দের চিরন্তন সংঘাতই হলো পৃথিবীর ইতিহাস। যখন আপনি মানবতার পক্ষে থাকবেন, শুভকাজের ব্রত হবেন, ভালোকে আলিঙ্গন করবেন তখন ‘দানব’ আপনাকে আঘাত করবে। আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। এটাই নিয়ম। তাই শেখ হাসিনার মঙ্গলচিন্তার প্রতিপক্ষ থাকবে না তা তো হতে পারবে না। শেখ হাসিনা যত ভালো করবেন দানবরা তত ক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনা মানুষের যত কল্যাণ করবেন দানবরা তত হিংস্র হবে। শেখ হাসিনা যত তাঁর লক্ষ্যে সফল হবেন দানবরা তত ভয়ংকর হবে। এটাই স্বাভাবিক। এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি সেই একই গতিপথে প্রবাহিত।

’৭৫-এর পর থেকেই দানবরা ষড়যন্ত্র করেছে। ষড়যন্ত্রের রূপ-রং বদলেছে সময়ের সঙ্গে। ষড়যন্ত্র ভয়ংকর হয়েছে দিনে দিনে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল তিনি যেন দেশে না আসেন। তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল। লোভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেই পিতার রক্তে রঞ্জিত দেশে এসেছিলেন। ’৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ই তাঁকে হত্যা করা হতে পারত। তাঁকে গ্রেফতার করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তো এত দিনে মৃত্যুভয়কে জয় করেছেন। তাঁর সাহস আর উত্তাল জনস্রোতে ভেসে যায় ষড়যন্ত্র।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবার খোদ আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তখন সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যেমন ছিলেন তেমনি ছিল খুনি মোশতাকের পদলেহী ভীরু ও পথভ্রষ্ট কাপুরুষরাও। তারাই বরং শক্তিশালী ছিল। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পদে পদে শেখ হাসিনাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অপমানিত করা হয়েছে। ‘চাচা’রা শেখ হাসিনার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। অন্য কেউ হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতেন। একবার ভাবুন তো আপনার পিতার খুনির সঙ্গে বসে আপনি কি কথা বলতে পারবেন? এক অখ্যাত তরুণ আইনজীবীকে বঙ্গবন্ধু নতুন পরিচয় দিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদারতায় তিনি পেলেন ‘আন্তর্জাতিক’ খ্যাতি। আর সেই চাচাই শুরু করলেন ষড়যন্ত্র। ভাগ্যিস ‘প্রত্যাশা’ নামক আবেগটি শেখ হাসিনা উপড়ে ফেলেছিলেন। না হলে নব্য মোশতাকদের বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি পাগল হয়ে যেতেন। দলের ভিতর ষড়যন্ত্রকারীদের কোণঠাসা করেই শেখ হাসিনাকে এগোতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে। একটা সময় ‘দানব’রা বুঝল, শেখ হাসিনাকে দমানো এত সহজ না। তখন ষড়যন্ত্র আরও ভয়ংকর হয়ে উঠল। একটা দল আবার আরেকটা ’৭৫ ঘটাতে চাইল। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। একের পর এক হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বারবার শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন অলৌকিকভাবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে যে সবকিছুই করতে পারেন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়া। এ অলৌকিক এক ঘটনা।

এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি যে একচুল ছাড় দেবেন না তা পরিষ্কার হয়ে যায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তাঁর দেশ পরিচালনায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হলে তো বাংলাদেশ স্বনির্ভর হবে। আত্মমর্যাদাশীল হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তখন বিদেশি প্রভুদের কী হবে? তারা তো এ দেশের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। এ দেশের গ্যাস পানির দামে নিয়ে যেতে পারবে না। সেন্ট মার্টিনে সামরিক খাঁটি করতে পারবে না। এবার শুরু হলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তত দিনে বাংলাদেশে যাদের লোলুপ চোখ তারা বুঝে গেছে, শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জীবন থাকতে বিকিয়ে দেবেন না। চাপ দিয়ে তাঁকে ‘একান্ত অনুগত’ করা যাবে না। ক্ষমতার মোহে তিনি নতজানু হবেন না। ব্যস, আবার সেই নাটক শুরু হলো। ২০০১-এর নির্বাচনে হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনা হটাও মিশনে যুক্ত হলেন এ দেশের সুশীল, আমলা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মহল। বিএনপিকে কেবল জেতানোই হলো না। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তাদের যা খুশি তা করার লাইসেন্স দেওয়া হলো। জিয়া পরিবার দুর্নীতির উৎসবে মাতল। সবাই মিলে ‘ওলটপালট করে দেমা লুটেপুটে খাই’। সংগীত গাইতে গাইতে দুর্নীতির উৎসব শুরু করল। অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতার অংশীদার জামায়াত শুরু করল ইসলামী বিপ্লবের নীলনকশার বাস্তবায়ন। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান মঞ্চে আবির্ভূত হলেন। সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা ঘটিয়ে জঙ্গিরা জানিয়ে দিল ‘বাংলা হবে আফগান’। শেখ হাসিনার সম্বল তখন কেবল জনগণ। খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিক, কৃষক। তাদের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস প্রতিবাদের গর্জনে রূপান্তরিত হলো। এবারও ষড়যন্ত্রকারীরা প্রমাদ গুনল। নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তাই বিএনপিকে ক্ষমতার ‘হাড্ডি’ দেখিয়ে উত্তেজিত করল সুশীল ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা। মান্নান-জলিলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে সুশীলদের হাতে দেশের চাবি তুলে দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হলো। অবশেষে সুশীলরা বর সেজে বঙ্গভবনে শোভিত হলেন। পশ্চিমারা তাদের ‘আপন’ মানুষদের ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হলো। এবার বাংলাদেশকে ‘খোবলা’ বানানো যাবে। কিন্তু ওই যে শেখের বেটি। ভীষণ অবাধ্য। যা মনে হয় সেটাই হাটবাজারে প্রকাশ্যে বলেন। সাধারণ মানুষও তাঁকে বিশ্বাস করে। এ তো ভারি জ্বালা। আবার শুরু হলো সুশীল গবেষণা। এবার আবিষ্কার হলো ‘মাইনাস ফরমুলা’। এত দিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো ছিল ভিন্ন রকমের। কখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ’৭১-এর ঘাতক-দালালরা। আওয়ামী লীগের ‘চাচা’রা ষড়যন্ত্র করেছেন, সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিমা প্রভুরা। কিন্তু ২০০৭ সালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল সর্বব্যাপী এবং সম্মিলিত। সব প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ’৭৫-এর আগস্টের চেয়েও ঘৃণ্য নোংরা ও কুৎসিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। শেখ হাসিনার পাশে ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং নিজের সাহস, দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় শেখ হাসিনা এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন। এক-এগারো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। তিনি বুঝতে পারেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো অপশক্তি তাঁকে পরাস্ত করতে পারবে না। মূলত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়ক থেকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদে রূপান্তরিত হতে থাকেন। এ রূপান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলছে। জনগণ ছাড়া আর সবকিছু এখন তাঁর কাছে অপ্রয়োজনীয়। এজন্য তিনি মন্ত্রীদের শোকেসের পুতুল হিসেবে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও তাঁর কোনো প্রত্যাশা নেই। শেখ হাসিনা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুধাবনের চেষ্টা করেন। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নই তাঁর রাজনীতি। এখানে পন্ডিতরা কী ভাবলেন, গণমাধ্যম কী সমালোচনা করল এসব মূল্যহীন। এ দেশের জনগণ এ মুহূর্তে শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে সম্ভবত বিশ্বাসও করে না।

প্রয়াত ড. হুমায়ুন আজাদ জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই সাক্ষাৎকারে জ্ঞানতাপস বলেছিলেন, ‘...আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত। একটু বেশি শক্তিশালীবোধ করত। তারপরে যে তারা খুব খারাপ আর্থিক অবস্থায় পড়ে গেছে বা তার সময়ে যে খুব ভালো আর্থিক অবস্থায় ছিল তা না। তবে এটা আমি খুব স্পষ্টভাবে বুঝি যে, এখন বিপুলসংখ্যক মানুষ অনেকটা অসহায়বোধ করে। আগে এমন অসহায়বোধ করত না। সমাজের যত বেশিসংখ্যক মানুষ বুঝতে পারে যে, সমাজের তারাও গুরুত্বপূর্ণ, তারাও সমাজের জন্য অপরিহার্য ততই ভালো। গান্ধী বা জিন্নাহ জনগণের নেতা ছিলেন, জনগণের অংশ ছিলেন না। কিন্তু মুজিবের সময় জনগণ এমন বোধ করতে থাকে যে, শেখ মুজিব তাদেরই অংশ।’ শেখ হাসিনাও জনগণের মধ্যে সেই বোধ আবার ফিরিয়ে এনেছেন। এ দেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা তাদেরই অংশ। এ কারণেই তিনি শক্তিশালী। প্রচ- ক্ষমতাবান। কারণ জনগণের শক্তির চেয়ে কোনো বড় শক্তি নেই। এ কারণেই সমাজের উঁচুতলার সফেদ পরিপাটি মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁকে উৎখাত করতে চায়। ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় তাদের আমরা চিনি। শেখ হাসিনাও চেনেন। এজন্যই তিনি জনগণের কাছে বার্তাটা পৌঁছে দিলেন। কারণ তিনি জানেন, সংকটে এই বস্তিবাসী, রিকশাওয়ালা, জেলে, কৃষক, শ্রমিকরাই মানবপ্রাচীর হয়ে তাঁকে রক্ষা করবেন।

শেখ হাসিনা ’৭৫ দেখেছেন, ’৮১ দেখেছেন, ’৯১ দেখেছেন। ২০০১ এবং ২০০৭ সালে খাদের কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে এই আমলারা রং বদল করবেন। অথবা অসহায় আত্মসমর্পণ করবেন। যেমন ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন আমলারা করেছিলেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়ে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারে না। প্রতি সংকটেই কিছু নব্য মোশতাকের জন্ম হয়। শেখ হাসিনা জানেন যাদের তিনি বিত্তবৈভবের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তাঁকে চিনবে না। এজন্যই তাঁর প্রকৃত যোদ্ধাদের কাছেই তিনি ষড়যন্ত্রের বার্তা দিলেন। কারণ জনগণ জানে শেখ হাসিনা তাদের। যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনগণই সব সংকটের মেঘ সরিয়ে দেয় সব সময়। এই যে এখন অর্থনৈতিক সংকটের মেঘ কেটে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই। রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২.১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এক মাসে। শ্রমিকরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। কৃষক ফসল উৎপাদন করছে নিবিষ্টভাবে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের মহড়া শুরু হয়েছিল, তা ক্রমে খেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে সামনে আরও ষড়যন্ত্র হবে। জনগণই রুখে দেবে সেই ষড়যন্ত্র। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনা না থাকলে তারা আবার অধিকারহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা না থাকলে তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ এখন সমার্থক। শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১১ বছর পর ইসরায়েলি সেনার মরদেহ ফেরত দিল হামাস
১১ বছর পর ইসরায়েলি সেনার মরদেহ ফেরত দিল হামাস

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভায়েকানোর মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের হোঁচট
ভায়েকানোর মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের হোঁচট

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে শেল্টার হোম থেকে অর্ধশতাধিক বিড়াল উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শেল্টার হোম থেকে অর্ধশতাধিক বিড়াল উদ্ধার

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অপরিচ্ছন্ন-অস্বাস্থ্যকর শেল্টার হোম থেকে উদ্ধার করা হল বিড়ালগুলোকে
অপরিচ্ছন্ন-অস্বাস্থ্যকর শেল্টার হোম থেকে উদ্ধার করা হল বিড়ালগুলোকে

৩৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করল ঢাকা
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করল ঢাকা

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর চক্রান্ত মেনে নেবে না বিএনপি: সালাউদ্দিন বাবু
নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর চক্রান্ত মেনে নেবে না বিএনপি: সালাউদ্দিন বাবু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে
তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার
বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নারী পর্যটক
দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নারী পর্যটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি
এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস
মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি
ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল
ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন
নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন
মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ
হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা
এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ
হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার
বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’
কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক

১০ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’
বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক