শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৬ আগস্ট, ২০২২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল আছে থাকবে, তবে...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় গুণ তিনি স্পষ্ট কথা বলেন। তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে বলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি স্পষ্ট কিছু উচ্চারণ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, ‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করেছে। আবার ইলেকশন যতই সামনে আসছে, আবারও...’। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তিনি টিকে আছেন। এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে। কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, কখনো আন্তর্জাতিক মহল, কখনো বা আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছিল। নানা কারণে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। জনপ্রিয় করেছে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মতো। তিনি কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করেন না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁকে এক অদ্ভুত বাস্তবতা শিক্ষা দিয়েছে। একজন মানুষ যখন ‘প্রত্যাশা’মুক্ত হন, তখন তিনি নির্ভার থাকেন। কোনো হতাশা কাজ করে না। বিশ্বাসঘাতকতা বিমর্ষ করে না। অবহেলা আহত করে না। ধরা যাক, আপনি কাউকে কিছু টাকা দিলেন। আপনি যদি তাকে এটা ধার দেন তাহলে টাকা ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে। আপনি অপেক্ষায় থাকবেন। বিলম্বে কিংবা টাকা ফেরত না পেলে দুঃখিত হবেন। হতাশ হবেন। কখনো বা ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যদি আপনি টাকাটা একেবারে দিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা থেকে আপনি মুক্ত। কোনো প্রতারণা, হতাশা আপনাকে আক্রান্ত করবে না। একজন বন্ধুর উপকার করলেন। এটা কোনো কিছুর বিনিময়ের আকাক্সক্ষা থেকে যদি করেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। আপনি অপেক্ষা করবেন প্রতিদানের। একসময় আপনি সংকটে পড়লেন। তখন আপনার বন্ধুর কথা মনে পড়বে। আপনি ভাবলেন, এবার বন্ধু ঋণ শোধরাবে। প্রতিদান দেবে। কিন্তু ওই বন্ধুটি এগিয়ে এলো না আপনার বিপদে। বিপদের জন্য আপনি যত না কষ্ট পাবেন তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাবেন বন্ধুর আচরণে। ‘প্রত্যাশা’ এক মারাত্মক ব্যাধি। প্রত্যাশার বিপরীতে যখন প্রত্যাখ্যান এবং বিশ্বাসঘাতকতা আসে তখন মানুষ কষ্ট পায়। তার কর্মশক্তি কমে যায়। জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলে। শেখ হাসিনা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সম্ভবত ‘প্রত্যাশা’ শব্দটি তাঁর হৃদয় থেকে উপড়ে ফেলেছেন। তিনি কাউকে মন্ত্রী বানালেন কিংবা সচিব। ব্যস। ওই মন্ত্রী কিংবা সচিব বিনিময়ে শেখ হাসিনার জন্য কিছু করবেন এমন আশা তিনি কখনো করেন না। বরং শেখ হাসিনা ’৭৫ থেকে শিখেছেন, যাকে তিনি পাদপ্রদীপে নিয়ে এলেন সে-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক। অন্যদের কথা বাদ দিলাম। আওয়ামী লীগ নেতাদের (যাদের তিনি সামনে এনেছেন) কাছ থেকেও কোনো কিছু আশা করেন না শেখ হাসিনা। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আকাক্সক্ষাহীন একজন মানুষ হন ভারহীন, ঝরঝরে, লক্ষ্যে অবিচল। আপন বলয়ে তিনি অবিরাম কাজ করে যান। বিনিময়ে কী পাব এ চিন্তা থেকে একজন মানুষ যখন নিজেকে আলাদা করতে পারেন তখন তিনি অসম্ভবকে জয় করতে পারেন। শেখ হাসিনা তেমনি একজন মানুষ। ভয় বিশেষত মৃত্যুভয় মানুষকে সংকুচিত করে। দ্বিধান্বিত করে। মানুষকে ভীতু করে। ভীতু মানুষ যে-কোনো কাজ করার আগে সাতপাঁচ ভাবে। কিন্তু একজন মানুষ যখন মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারেন তখন তিনি অজেয়-অপরাজেয় হয়ে ওঠেন। যেমন জাতির পিতা। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। মুসলমান একবার মরে দুইবার নয়।’ মৃত্যুকে তুচ্ছ করেছিলেন এজন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ’৭৫-এর আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাঁর বাবা-মা এবং নিকটজনকেই কেড়ে নেয়নি। তাঁকে ভয়শূন্য একজন মানুষে রূপান্তর করেছে। ফলে মৃত্যুভয়হীন শেখ হাসিনা অনন্য সাহসী নির্ভীক। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন তিনি অবলীলায়। সাহসের হিমালয় হয়ে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ান। একজন মানুষ যখন স্পষ্টবাদী হন। বৈষয়িক প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা মুক্ত থাকেন এবং সাহসী হন তখন তিনি পরিণত হন দুর্দান্ত ক্ষমতাবান এক অজেয় মহামানবে। সেই মানুষটির মধ্যে যদি মানুষের মঙ্গল কামনা, কল্যাণ এবং ভালো করার আকাক্সক্ষা থাকে তখন তাকে দমিয়ে রাখা অসম্ভব। সে কারণেই শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য। এ সমাজ হলো মানবতার সঙ্গে দানবের লড়াইয়ের ক্ষেত্র। এ বিশ্ব হলো শুভাশুভের যুদ্ধের মাঠ। ভালোর সঙ্গে মন্দের চিরন্তন সংঘাতই হলো পৃথিবীর ইতিহাস। যখন আপনি মানবতার পক্ষে থাকবেন, শুভকাজের ব্রত হবেন, ভালোকে আলিঙ্গন করবেন তখন ‘দানব’ আপনাকে আঘাত করবে। আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। এটাই নিয়ম। তাই শেখ হাসিনার মঙ্গলচিন্তার প্রতিপক্ষ থাকবে না তা তো হতে পারবে না। শেখ হাসিনা যত ভালো করবেন দানবরা তত ক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনা মানুষের যত কল্যাণ করবেন দানবরা তত হিংস্র হবে। শেখ হাসিনা যত তাঁর লক্ষ্যে সফল হবেন দানবরা তত ভয়ংকর হবে। এটাই স্বাভাবিক। এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়েই সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনীতি সেই একই গতিপথে প্রবাহিত।

’৭৫-এর পর থেকেই দানবরা ষড়যন্ত্র করেছে। ষড়যন্ত্রের রূপ-রং বদলেছে সময়ের সঙ্গে। ষড়যন্ত্র ভয়ংকর হয়েছে দিনে দিনে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল তিনি যেন দেশে না আসেন। তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল। লোভ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেই পিতার রক্তে রঞ্জিত দেশে এসেছিলেন। ’৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ই তাঁকে হত্যা করা হতে পারত। তাঁকে গ্রেফতার করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তো এত দিনে মৃত্যুভয়কে জয় করেছেন। তাঁর সাহস আর উত্তাল জনস্রোতে ভেসে যায় ষড়যন্ত্র।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এবার খোদ আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তখন সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা যেমন ছিলেন তেমনি ছিল খুনি মোশতাকের পদলেহী ভীরু ও পথভ্রষ্ট কাপুরুষরাও। তারাই বরং শক্তিশালী ছিল। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর পদে পদে শেখ হাসিনাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। অপমানিত করা হয়েছে। ‘চাচা’রা শেখ হাসিনার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। অন্য কেউ হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতেন। একবার ভাবুন তো আপনার পিতার খুনির সঙ্গে বসে আপনি কি কথা বলতে পারবেন? এক অখ্যাত তরুণ আইনজীবীকে বঙ্গবন্ধু নতুন পরিচয় দিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদারতায় তিনি পেলেন ‘আন্তর্জাতিক’ খ্যাতি। আর সেই চাচাই শুরু করলেন ষড়যন্ত্র। ভাগ্যিস ‘প্রত্যাশা’ নামক আবেগটি শেখ হাসিনা উপড়ে ফেলেছিলেন। না হলে নব্য মোশতাকদের বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি পাগল হয়ে যেতেন। দলের ভিতর ষড়যন্ত্রকারীদের কোণঠাসা করেই শেখ হাসিনাকে এগোতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে। একটা সময় ‘দানব’রা বুঝল, শেখ হাসিনাকে দমানো এত সহজ না। তখন ষড়যন্ত্র আরও ভয়ংকর হয়ে উঠল। একটা দল আবার আরেকটা ’৭৫ ঘটাতে চাইল। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। একের পর এক হত্যাচেষ্টা হয়েছে। বারবার শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন অলৌকিকভাবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে যে সবকিছুই করতে পারেন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার বেঁচে যাওয়া। এ অলৌকিক এক ঘটনা।

এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তাঁর লক্ষ্য স্পষ্ট করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি যে একচুল ছাড় দেবেন না তা পরিষ্কার হয়ে যায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তাঁর দেশ পরিচালনায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হলে তো বাংলাদেশ স্বনির্ভর হবে। আত্মমর্যাদাশীল হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তখন বিদেশি প্রভুদের কী হবে? তারা তো এ দেশের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। এ দেশের গ্যাস পানির দামে নিয়ে যেতে পারবে না। সেন্ট মার্টিনে সামরিক খাঁটি করতে পারবে না। এবার শুরু হলো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তত দিনে বাংলাদেশে যাদের লোলুপ চোখ তারা বুঝে গেছে, শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জীবন থাকতে বিকিয়ে দেবেন না। চাপ দিয়ে তাঁকে ‘একান্ত অনুগত’ করা যাবে না। ক্ষমতার মোহে তিনি নতজানু হবেন না। ব্যস, আবার সেই নাটক শুরু হলো। ২০০১-এর নির্বাচনে হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনা হটাও মিশনে যুক্ত হলেন এ দেশের সুশীল, আমলা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মহল। বিএনপিকে কেবল জেতানোই হলো না। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তাদের যা খুশি তা করার লাইসেন্স দেওয়া হলো। জিয়া পরিবার দুর্নীতির উৎসবে মাতল। সবাই মিলে ‘ওলটপালট করে দেমা লুটেপুটে খাই’। সংগীত গাইতে গাইতে দুর্নীতির উৎসব শুরু করল। অন্যদিকে বিএনপির ক্ষমতার অংশীদার জামায়াত শুরু করল ইসলামী বিপ্লবের নীলনকশার বাস্তবায়ন। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান মঞ্চে আবির্ভূত হলেন। সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা ঘটিয়ে জঙ্গিরা জানিয়ে দিল ‘বাংলা হবে আফগান’। শেখ হাসিনার সম্বল তখন কেবল জনগণ। খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিক, কৃষক। তাদের সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস প্রতিবাদের গর্জনে রূপান্তরিত হলো। এবারও ষড়যন্ত্রকারীরা প্রমাদ গুনল। নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তাই বিএনপিকে ক্ষমতার ‘হাড্ডি’ দেখিয়ে উত্তেজিত করল সুশীল ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা। মান্নান-জলিলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে সুশীলদের হাতে দেশের চাবি তুলে দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হলো। অবশেষে সুশীলরা বর সেজে বঙ্গভবনে শোভিত হলেন। পশ্চিমারা তাদের ‘আপন’ মানুষদের ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হলো। এবার বাংলাদেশকে ‘খোবলা’ বানানো যাবে। কিন্তু ওই যে শেখের বেটি। ভীষণ অবাধ্য। যা মনে হয় সেটাই হাটবাজারে প্রকাশ্যে বলেন। সাধারণ মানুষও তাঁকে বিশ্বাস করে। এ তো ভারি জ্বালা। আবার শুরু হলো সুশীল গবেষণা। এবার আবিষ্কার হলো ‘মাইনাস ফরমুলা’। এত দিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো ছিল ভিন্ন রকমের। কখনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ’৭১-এর ঘাতক-দালালরা। আওয়ামী লীগের ‘চাচা’রা ষড়যন্ত্র করেছেন, সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিমা প্রভুরা। কিন্তু ২০০৭ সালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল সর্বব্যাপী এবং সম্মিলিত। সব প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনাকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ’৭৫-এর আগস্টের চেয়েও ঘৃণ্য নোংরা ও কুৎসিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। শেখ হাসিনার পাশে ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং নিজের সাহস, দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় শেখ হাসিনা এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেছিলেন। এক-এগারো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। তিনি বুঝতে পারেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো অপশক্তি তাঁকে পরাস্ত করতে পারবে না। মূলত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়ক থেকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদে রূপান্তরিত হতে থাকেন। এ রূপান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলছে। জনগণ ছাড়া আর সবকিছু এখন তাঁর কাছে অপ্রয়োজনীয়। এজন্য তিনি মন্ত্রীদের শোকেসের পুতুল হিসেবে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও তাঁর কোনো প্রত্যাশা নেই। শেখ হাসিনা জনগণের আকাক্সক্ষা অনুধাবনের চেষ্টা করেন। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নই তাঁর রাজনীতি। এখানে পন্ডিতরা কী ভাবলেন, গণমাধ্যম কী সমালোচনা করল এসব মূল্যহীন। এ দেশের জনগণ এ মুহূর্তে শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে সম্ভবত বিশ্বাসও করে না।

প্রয়াত ড. হুমায়ুন আজাদ জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই সাক্ষাৎকারে জ্ঞানতাপস বলেছিলেন, ‘...আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসী শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত। একটু বেশি শক্তিশালীবোধ করত। তারপরে যে তারা খুব খারাপ আর্থিক অবস্থায় পড়ে গেছে বা তার সময়ে যে খুব ভালো আর্থিক অবস্থায় ছিল তা না। তবে এটা আমি খুব স্পষ্টভাবে বুঝি যে, এখন বিপুলসংখ্যক মানুষ অনেকটা অসহায়বোধ করে। আগে এমন অসহায়বোধ করত না। সমাজের যত বেশিসংখ্যক মানুষ বুঝতে পারে যে, সমাজের তারাও গুরুত্বপূর্ণ, তারাও সমাজের জন্য অপরিহার্য ততই ভালো। গান্ধী বা জিন্নাহ জনগণের নেতা ছিলেন, জনগণের অংশ ছিলেন না। কিন্তু মুজিবের সময় জনগণ এমন বোধ করতে থাকে যে, শেখ মুজিব তাদেরই অংশ।’ শেখ হাসিনাও জনগণের মধ্যে সেই বোধ আবার ফিরিয়ে এনেছেন। এ দেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা তাদেরই অংশ। এ কারণেই তিনি শক্তিশালী। প্রচ- ক্ষমতাবান। কারণ জনগণের শক্তির চেয়ে কোনো বড় শক্তি নেই। এ কারণেই সমাজের উঁচুতলার সফেদ পরিপাটি মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁকে উৎখাত করতে চায়। ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় তাদের আমরা চিনি। শেখ হাসিনাও চেনেন। এজন্যই তিনি জনগণের কাছে বার্তাটা পৌঁছে দিলেন। কারণ তিনি জানেন, সংকটে এই বস্তিবাসী, রিকশাওয়ালা, জেলে, কৃষক, শ্রমিকরাই মানবপ্রাচীর হয়ে তাঁকে রক্ষা করবেন।

শেখ হাসিনা ’৭৫ দেখেছেন, ’৮১ দেখেছেন, ’৯১ দেখেছেন। ২০০১ এবং ২০০৭ সালে খাদের কিনারা থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে এই আমলারা রং বদল করবেন। অথবা অসহায় আত্মসমর্পণ করবেন। যেমন ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন আমলারা করেছিলেন। শেখ হাসিনা জানেন সংকটে আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়ে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারে না। প্রতি সংকটেই কিছু নব্য মোশতাকের জন্ম হয়। শেখ হাসিনা জানেন যাদের তিনি বিত্তবৈভবের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের অনেকেই তাঁকে চিনবে না। এজন্যই তাঁর প্রকৃত যোদ্ধাদের কাছেই তিনি ষড়যন্ত্রের বার্তা দিলেন। কারণ জনগণ জানে শেখ হাসিনা তাদের। যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনগণই সব সংকটের মেঘ সরিয়ে দেয় সব সময়। এই যে এখন অর্থনৈতিক সংকটের মেঘ কেটে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই। রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২.১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে এক মাসে। শ্রমিকরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। কৃষক ফসল উৎপাদন করছে নিবিষ্টভাবে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের মহড়া শুরু হয়েছিল, তা ক্রমে খেই হারিয়ে ফেলেছে। তবে সামনে আরও ষড়যন্ত্র হবে। জনগণই রুখে দেবে সেই ষড়যন্ত্র। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনা না থাকলে তারা আবার অধিকারহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা না থাকলে তারা ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ এখন সমার্থক। শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা