শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

কবি নজরুলকে নিয়ে সাদামাটা কিছু কথা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
কবি নজরুলকে নিয়ে সাদামাটা কিছু কথা

কথা নেই, বার্তা নেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে গেলেন। একজন কবিকে ভোট করতে দেখে উৎসাহী হলেন সাধারণ ভোটাররা। দলে দলে তারা কবির পেছনে ভিড় জমালেন। একজন জমিদারের বিরুদ্ধে ভোট করা মোটেও সহজতর ছিল না। বলগাহীন ছুটে চলা ঝাঁকড়া চুলের কবিকে আটকাবে কে? তিনি তো আর কোনো বাঁধন মানেন না। জাতীয় পরিষদের নির্বাচন করলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। হারলেন অল্প ভোটে। তারপর আর ভোটমুখী হননি। তবে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে সরেননি। বরং সম্পৃক্ততা আরও বাড়ালেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের সান্নিধ্যে গেলেন। দাঁড়ালেন সাধারণ মানুষের পক্ষে। অংশ নিলেন বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে। কলকাতা থেকে কুমিল্লা। বাদ থাকল না ফরিদপুরও। কবি ছুটছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চলছে তাঁর ক্ষুরধার লেখনী। অন্ধকারে আলোর ঝলকানি দেখল নিপীড়িত মানুষ। মাত্র ২২ বছরের লেখকজীবনে ইতিহাস গড়লেন। তারপর হুট করে বলা নেই, কওয়া নেই নির্বাক হয়ে গেলেন। জীবনের সব অজানা দুঃখ-কষ্ট তাঁকে কুরে কুরে খেল। মানুষের পৃথিবীতে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। থামিয়ে দিলেন লেখনী। কেউ প্রশ্ন করলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। ভালোবাসার স্বপ্নচারিণী সামনে এলেও একবারের জন্যও বলতেন না, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোঁপায় তারার ফুল’। গাইতেন না আর সাম্যের গান। প্রিয়ার বিরহে লিখতেন না নতুন কবিতা। হয়তো মনে মনে বলতেন-

‘পরজনমে দেখা হবে প্রিয়

ভুলিও মোরে হেথা ভুলিও।

এ জনমে যাহা বলা হলো না,

আমি বলিব না, তুমিও বল না।’

কবি চিরতরে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। অজানা অসুস্থতা তাঁকে ভর করল। সভ্য দুনিয়ার মানুষের অসততা, ভন্ডামি, নোংরামি, দ্বিচারিতা, মিথ্যাচার, হিংসা, বিদ্বেষ, মুহূর্তে রূপ বদলানো, স্বার্থপরতা তাঁকে স্তব্ধ করে দিল। তাঁর নির্বাক চাউনিতে লুকিয়ে থাকত অজানা বেদনা। হয়তো বলতে চাইতেন অনেক কিছু। কিন্তু বলতে পারতেন না। এভাবে কঠিন অসুখে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট, ১২ ভাদ্র কবি নজরুল মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। তখন তিনি ছিলেন ঢাকায়। তাঁকে ১৯৭২ সালে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’ সেøাগান কবি নজরুলের লেখনীর চরণ থেকে নেওয়া। নেতাজি সুভাষ বসু বলতেন, নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনের সবখানে আছেন। প্রেম, দ্রোহ, কারাগার সবখানেই নজরুল। আসলেই তাই। মাহে রমজান শুরু করতে হয় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আর গানের লাইন নিয়ে। আবার ঈদের খুশির আলো ঝরে তাঁর গানে। সেই নজরুলকে আমরা পাই পূজায়ও। এত শ্যামাসংগীত নজরুল ছাড়া আর কে লিখবেন বলেন? মাত্র ২২ বছর লেখালেখি করে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। জগৎকে জানিয়ে দিয়েছিলেন নজরুল মানে বিদ্রোহ, ঘূর্ণি, প্রেম, বিরহ, ভালোবাসার সুখছাউনি। এত বর্ণাঢ্য লেখনীর বৈচিত্র্য দুনিয়ার আর কোনো লেখকের আছে? আমাদের জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে আছেন নজরুল। তিনি লিখলেন বিদ্রোহের কবিতা, ‘বল বীর’। আবার তিনিই লিখলেন, ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, দিল ওহি মেরা ফাসগিয়ে...’। তিনি মুগ্ধ হয়েছেন দূর দ্বীপবাসিনীকে দেখে। আবার লাইলির ফিরে আসায় মজনুর আঁখি খোলার বাসনা তাঁর কবিতায়। তিনি লিখেছেন, ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে, বাহিরে ঝড় বহে...’। মনের অব্যক্ত কথা তিনি লিখেছেন, ‘ভীরু এ মনের কলি, ফোটালে না কেন জয় করে কেন নিলে না আমারে, কেন তুমি গেলে চলি’। দুই হাতে গান লিখেছেন। তাঁর লেখা গানের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। অনেকে বলেন, আরও অনেক ছিল। যা সংরক্ষণ হয়নি ঠিকভাবে।

জেলখানায় পাঠিয়েও তাঁর লেখনী থামানো যায়নি। জেলেই লিখলেন, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’। প্রকৃতি আর প্রেম তাঁকে মুগ্ধ করত। ঘুরতে পছন্দ করতেন। সব ধরনের সাহিত্য লিখে গেছেন। তাঁর কবিতা ছাড়া ঈদ, পূজা কিছুই হয় না। তাঁর লেখা শ্যামাসংগীত দুর্গা ও কালী পূজায় বাজে। ভালোবেসে যুদ্ধে গেলে রণসংগীতেও আছেন নজরুল! আবার না-পাওয়ার বেদনা তাঁকে করেছিল নিঃস্ব। মনোবেদনায় লিখেছেন, ‘দূরের প্রিয়া! পাইনি তোমায় তাই এ কাঁদন-রোল!’ চলার পথে ক্লান্ত হতেন। কিন্তু থামেননি। পুত্রশোকেও টাকার জন্য গ্রামোফোন কোম্পানিকে লিখে দিয়েছেন গান। দুঃখ-কষ্ট ছিল। অপূর্ণতা তাঁকে কুরে কুরে খেত। তার পরও নিজের স্বকীয়তা থেকে বের হননি। ১৯১৭ সালে কবি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন মাত্র আড়াই বছর। সেই সময় শুরু হয় তাঁর লেখনী। ‘হেনা’, ‘মেহের নেগার’, ‘ব্যথার দান’, ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’, ‘মুক্তি’ লিখেছিলেন সেনাছাউনিতে বসে। বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের ময়দান কবির জীবন ও চিন্তা বদলে দিয়েছিল। দ্রোহ, প্রেম, বিরহ তাঁকে জাগিয়ে দিয়েছিল মানুষের হৃদয় মন্দিরে। ‘পথ চলিতে যদি চকিতে’ চোখের জলেই অজানা ডাকের আহ্বানে থাকতেন কবি। সেনাবাহিনী ছেড়ে কবি চলে আসেন কলকাতা। ৩২ কলেজ স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন। থাকতেন বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে। যাত্রা করেন সাহিত্যজগতে। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তিনি লেখেন ‘রবিহারা’। ১৯২০ সালে তিনি শেরেবাংলা সম্পাদিত ‘নবযুগ’ পত্রিকায় যোগ দেন। শুরু করেন সাংবাদিকতা। সে সময় শরৎচন্দ্রসহ তৎকালীন সব সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত অসাধারণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। নজরুল পত্রিকায় যোগদানের পর তাঁকে উৎসাহিত করেন রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র লেখা দিয়ে। ১৯২২ সালে নজরুল প্রকাশ করেন ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা। এ পত্রিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দেয় তোর বিজয় কেতন’। কবি বিজয় কেতন উড়িয়েছিলেন। ব্রিটিশদের ভালো লাগেনি সেই কেতন। তাই আটক হন কবি। তারপর পত্রিকা বন্ধ। তাঁর ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়। কুমিল্লা থেকে আটক করে কবিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। আটকের পর আদালতে জবানবন্দি দেন। সাহিত্যের পাতায় যা এখন ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ হিসেবে খ্যাত। এ জবানবন্দিতে কবি তুলে ধরেছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিজেকে।

বঙ্গীয় মুসলমানদের দুটি গ্রুপ ছিল নজরুলকে ঘিরে। এক গ্রুপ তাঁকে পছন্দ করত। আরেক গ্রুপ ছিল বিরোধী। এখন কবিকে নিজেদের লোক দাবি করে অনেকে কান্নাকাটি করেন। আবার এই মুসলমানের একটি অংশই হইচই করলেন যখন কবি লিখলেন, ‘মোরা একটি বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’। আবার গোঁড়া হিন্দুরা খুশি ছিলেন না তাঁর ওপর। তাঁরা খেপলেন কবির লেখা মন্দির ও মসজিদ প্রকাশের পর। বাস্তব জীবনে কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার। তাঁর বাড়িতে পূজা হতো। আবার নামাজও হতো। এক পুত্রের নাম রাখলেন কৃষ্ণ, আরেকজনের মুহাম্মদ। এভাবে সবাই সব কিছু পারে না। নজরুল পেরেছেন। জয় করেছেন। এক ছেলেকে নিয়ে প্রমীলা দেবী বসতেন পূজায়। আরেকজনকে নিয়ে নজরুল যেতেন নামাজে। সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে কবি লড়েছেন সারা জীবন। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই লিখেছিলেন, ‘গাহি সাম্যের গান/যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান/যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রিশ্চান’। কবি সারাটা জীবন লড়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের জন্যই। মানুষের কথা বলতে গিয়েই তিনি আটক হলেন। কারাগারে গেলেন। জেল খাটলেন। ভারতবর্ষের স্বাধিকার আন্দোলন সমর্থন করতেন। বিদ্রোহী, বিপ্লবীরা পছন্দ করতেন এই মানুষটাকে। নেতাজি সুভাষ বসু বলতেন, নজরুল আমাদের অনুপ্রেরণা।

চলার পথে প্রেমের কবির স্বপ্নমিনারের বড় অংশ ছিল কুমিল্লা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ বেণুকার সুর-কে সেই সুন্দর কে!’ কুমিল্লা ছিল কবির প্রেম ও দ্রোহের শহর। বাবুদের তালপুকুর দেখে মুগ্ধ হয়ে কবিতা লিখেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন কান্দিরপাড়ে। শচীন দেববর্মণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রথম তৈরি হয় কুমিল্লা শহরে। দুজন মিলে তৈরি করতেন সুরের ঝংকার। কুমিল্লায় নজরুলের হাজারো স্মৃতি। ফরিদা বিদ্যানিকেতনের বিপরীতের সেই স্মৃতির ঘরগুলো হয়তো নেই। ঐতিহ্যের কুমিল্লার বাতাস এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে নজরুলের নিঃশ্বাসের শব্দ। গবেষকদের লেখনীতে সব কিছু ভালোভাবে উঠে আসেনি। এসেছে প্রেম ও বিয়ের বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নজরুল কুমিল্লায় সাম্যের গান গেয়েছেন। মানুষকে শুনিয়েছেন স্বাধিকারের কথা। কবি নজরুল অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। আটক হয়েছিলেন কুমিল্লা থেকে। সেসব নিয়ে কবির কোনো আক্ষেপ ছিল না। বরং কুমিল্লার প্রতি কবির মোহ ছিল। ভালোবেসে কুমিল্লায় বেঁধেছিলেন ঘর। পড়েছিলেন কুমিল্লার মেয়েদের প্রেমে। বিয়ের আসরে মোহরানা আর ঘরজামাই থাকার বিরোধ তাঁকে থামাতে পারেনি। দুঃখের গহিন বনে আবারও ভালোবাসার সূত্র খুঁজেছেন কুমিল্লায়। বের করেছেন নিজের হৃদয়ের স্পন্দন। কবির ‘এই আঁখি জল মোছো প্রিয়া’- কুমিল্লার নাম ছিল ত্রিপুরা।

কবি ত্রিপুরা আসতেন। মুরাদনগরের দৌলতপুর কবির বিরহের গ্রাম। শহর ছিল স্বস্তি ও ক্লান্তিহীন প্রেম। রানীর দিঘির জলছায়ায় কবি নিজেকে খুঁজতেন। দৌলতপুরের সেই রাতের কষ্ট ভুলতে কবি লিখেছেন প্রেম-বিরহের কবিতা। কলকাতার প্রকাশক বন্ধু আলী আকবর খানের আমন্ত্রণে দৌলতপুরে গিয়েছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। গ্রামে সবার সঙ্গে মিশে গেলেন। একদিন পুকুরঘাটে লম্বা খোলা চুলের তরুণীর ছায়া দেখলেন নজরুল। বিস্ময় নয়নে তাকালেন। দুজনের চোখাচোখি হলো। দৃষ্টি বিনিময়েই নজরুল নাম দিলেন নার্গিস। সৈয়দা খাতুন নামের মেয়েটি ছিল আলী আকবরের ভাগনি। নজরুল তাঁর ভালোলাগার কথা জানালেন। সিদ্ধান্ত হলো নজরুলের সঙ্গে বিয়ে হবে সেই তরুণীর। বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন নজরুল। সৈয়দা খাতুনেরও আপত্তি নেই। নজরুলের বাঁশি মুগ্ধ করেছে তাঁকে। বিয়ে পড়ানোর পর সবাই মত দিলেন চালচুলাহীন কবিকে ঘরজামাই থাকতে হবে। কবি সৈয়দা খাতুনকে নিয়ে ফিরতে চান কলকাতায়। ভবিষ্যৎ নিয়ে বিবাদে নজরুলের মন খারাপ হলো। ঝগড়া-বিবাদের নীরব অভিমানে মাঝরাতে কবি মুরাদনগর ছাড়লেন। হয়নি নবদম্পতির ফুলের বাসর। কাঁটার ঘায়ে জর্জরিত কবিকে ঠাঁই দিলেন কুমিল্লা শহরের বিরজা দেবী। কবি পেলেন মায়ের ¯ন্ডেœহ। ৩০ মাইল হেঁটে আসা নজরুল ছিলেন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। তাঁর মন ভেঙে গেছে। শরীরের অবস্থা ভালো ছিল না। বিরজা দেবীর বাড়িতে ছিলেন অনেক দিন। তারপর বিয়ে করলেন বিরজা দেবীর ভাশুরের মেয়ে প্রমীলা সেনগুপ্তকে। বিয়ের পর নজরুল তাঁর নাম দিলেন আশালতা। হিন্দুু-মুসলিম বিয়ে এত সহজ ছিল না। এ নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল।

বাসরঘর করতে না পারা সৈয়দা খাতুন অনেক বছর নজরুলের প্রতীক্ষায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মিলন আর হয়নি। আরেকজন কবিকে বিয়ে করে সংসার গড়েছিলেন সৈয়দা খাতুন। তাঁর শেষ জীবনটা ইংল্যান্ডে কেটেছিল। মৃত্যুর পর দাফন হয় ম্যানচেস্টারে। সৈয়দা খাতুনের দুই সন্তান ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় অবস্থান গড়েছিলেন। প্রেম ও বিরহের কবির জীবনে আরও অনেক অধ্যায় আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ফজিলাতুন্নেছার একতরফা প্রেমে পড়েছিলেন নজরুল। এ প্রেমের বিষয়টি উঠে আসে কাজী মোতাহার হোসেনের সঙ্গে কবির চিঠি বিনিময়ে। মোতাহার হোসেনের বর্ধমান হাউসের বাড়িতে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। কবি নজরুল হাত দেখতে পারতেন এমন একটা খবর ছিল ফজিলাতুন্নেছার কাছে। তিনি বর্ধমান হাউসে কবিকে তাঁর হাত দেখতে দিয়েছিলেন। কবি প্রেমে পড়েন। ১৯২৮ সালের কোনো এক রাতে ফজিলাতুন্নেছার দেওয়ানবাজারের বাড়িতে হাজির হন কবি। প্রেম নিবেদন করেন। তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলেন ফজিলাতুন্নেছা। এ নিয়ে কবির জীবনে আক্ষেপ ছিল। প্রত্যাখ্যানের যন্ত্রণা ছিল। মোতাহার হোসেনকে চিঠিতে কবি কষ্টের কথা লিখতেন। ফজিলাতুন্নেছাকেও চিঠি লিখেছিলেন নজরুল। উত্তর পাননি। কবি সন্দেহ করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিন্দুু শিক্ষকের সঙ্গে ফজিলাতুন্নেছার প্রেম ছিল। সেই সন্দেহের কথাও তিনি লিখে গেছেন অনেক বেদনা নিয়ে।

কবির জীবনের আরেক অংশে ছিলেন প্রতিভা বসু। ‘জীবনের জলছবি’ গ্রন্থে প্রতিভা বসু লিখেছেন নজরুল ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে স্মৃতির কথা। আছে কলকাতা ও ঢাকার অনেক হারানো সুর। প্রতিভা বসুরা থাকতেন পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। কবি নজরুল সেই বাড়িতে যেতেন। গান-আড্ডা হতো। একদিন প্রতিভা বসু বাড়ির ভিতর থেকে দেখলেন পাড়ার যুবকরা নজরুলকে মারধর করছে। নজরুল কেন প্রতিভা বসুদের বাড়িতে আসতেন তা সহ্য করতে পারছিল না তারা। এ ঘটনা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কবির আরেকটি প্রেমের কথা কলকাতার একটি পত্রিকা রসালোভাবে প্রকাশ করে। কানন দেবী নামে এক গায়িকাকে গান শেখাতেন কবি। অনেক সময় গান শেখাতে গিয়ে সেই বাড়িতে বেশি সময় থাকতেন। কখনো রাতের খাবার খেতে দেরি হতো। কবির এ আসা-যাওয়া সহ্য হলো না অনেকের। গসিপ ছড়াল। এমন আরও অনেক গল্পে কবি বিস্মিত হতেন। হতাশ হতেন। থামতেন না।

অচেনা কষ্ট কবির বুকে বাসা বাঁধত সব সময়। ‘ব্যথার দান’ গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে কবি লিখেছেন, ‘মানসী আমার, মাথার কাঁটা নিয়েছিলুম বলে ক্ষমা করোনি, তাই বুকের কাঁটা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলুম।’ দহনে সিক্ত হয়ে কবি লিখেছেন ভালোবাসার মানুষকে, ‘তুমি দেবী চিরশুদ্ধা তাপস কুমারী, তুমি মম পুজারিণী’। আবার দুঃখের দহনে লিখেছেন, ‘এরা দেবী, এরা লোভী যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো! ইহাদের অতিলোভী মন একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়, যাচে বহু জন।’ কবি ১৯৪২ সালে অসুস্থ হন। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত নীরবে এক ধরনের কষ্টের জীবন অতিবাহিত করেন। এই সময়ে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১৯৫৩ সালে কবি নজরুল ও প্রমীলা দেবীর চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে ফিরে এলেন। আর সুস্থ হয়ে উঠলেন না। বললেন না নতুন করে কাউকে ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি, আর হাতে রণ-তূর্য’। তিনি আর উচ্চারণ করতে পারলেন না ‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’।  বললেন না বিধাতাকে, ‘খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে। প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে’।

রানু সোম নামে খ্যাত প্রতিভা বসুর সঙ্গে একবার রেলস্টেশনে দেখা হলো। কবি ফ্যালফ্যাল করে তাকালেন। চিনতে পারলেন না। অজানা কষ্ট নিয়ে কবি চিরতরে স্তব্ধ হলেন। ১৯৭৬ সালে চলে গেলেন চিরতরে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশেই কবির ঠাঁই হয়েছে। সেখানে শুয়ে তিনি হয়তো শুনছেন আজানের ধ্বনি। হয়তো খুঁজছেন বুক চিরে ব্যথা জড়ানো সেই প্রিয়াকে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
জনশক্তির নতুন বাজার
জনশক্তির নতুন বাজার
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়
কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ