শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২ আপডেট:

কবি নজরুলকে নিয়ে সাদামাটা কিছু কথা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
কবি নজরুলকে নিয়ে সাদামাটা কিছু কথা

কথা নেই, বার্তা নেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে গেলেন। একজন কবিকে ভোট করতে দেখে উৎসাহী হলেন সাধারণ ভোটাররা। দলে দলে তারা কবির পেছনে ভিড় জমালেন। একজন জমিদারের বিরুদ্ধে ভোট করা মোটেও সহজতর ছিল না। বলগাহীন ছুটে চলা ঝাঁকড়া চুলের কবিকে আটকাবে কে? তিনি তো আর কোনো বাঁধন মানেন না। জাতীয় পরিষদের নির্বাচন করলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। হারলেন অল্প ভোটে। তারপর আর ভোটমুখী হননি। তবে মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে সরেননি। বরং সম্পৃক্ততা আরও বাড়ালেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের সান্নিধ্যে গেলেন। দাঁড়ালেন সাধারণ মানুষের পক্ষে। অংশ নিলেন বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে। কলকাতা থেকে কুমিল্লা। বাদ থাকল না ফরিদপুরও। কবি ছুটছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে চলছে তাঁর ক্ষুরধার লেখনী। অন্ধকারে আলোর ঝলকানি দেখল নিপীড়িত মানুষ। মাত্র ২২ বছরের লেখকজীবনে ইতিহাস গড়লেন। তারপর হুট করে বলা নেই, কওয়া নেই নির্বাক হয়ে গেলেন। জীবনের সব অজানা দুঃখ-কষ্ট তাঁকে কুরে কুরে খেল। মানুষের পৃথিবীতে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। থামিয়ে দিলেন লেখনী। কেউ প্রশ্ন করলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। ভালোবাসার স্বপ্নচারিণী সামনে এলেও একবারের জন্যও বলতেন না, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোঁপায় তারার ফুল’। গাইতেন না আর সাম্যের গান। প্রিয়ার বিরহে লিখতেন না নতুন কবিতা। হয়তো মনে মনে বলতেন-

‘পরজনমে দেখা হবে প্রিয়

ভুলিও মোরে হেথা ভুলিও।

এ জনমে যাহা বলা হলো না,

আমি বলিব না, তুমিও বল না।’

কবি চিরতরে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। অজানা অসুস্থতা তাঁকে ভর করল। সভ্য দুনিয়ার মানুষের অসততা, ভন্ডামি, নোংরামি, দ্বিচারিতা, মিথ্যাচার, হিংসা, বিদ্বেষ, মুহূর্তে রূপ বদলানো, স্বার্থপরতা তাঁকে স্তব্ধ করে দিল। তাঁর নির্বাক চাউনিতে লুকিয়ে থাকত অজানা বেদনা। হয়তো বলতে চাইতেন অনেক কিছু। কিন্তু বলতে পারতেন না। এভাবে কঠিন অসুখে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট, ১২ ভাদ্র কবি নজরুল মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। তখন তিনি ছিলেন ঢাকায়। তাঁকে ১৯৭২ সালে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’ সেøাগান কবি নজরুলের লেখনীর চরণ থেকে নেওয়া। নেতাজি সুভাষ বসু বলতেন, নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনের সবখানে আছেন। প্রেম, দ্রোহ, কারাগার সবখানেই নজরুল। আসলেই তাই। মাহে রমজান শুরু করতে হয় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আর গানের লাইন নিয়ে। আবার ঈদের খুশির আলো ঝরে তাঁর গানে। সেই নজরুলকে আমরা পাই পূজায়ও। এত শ্যামাসংগীত নজরুল ছাড়া আর কে লিখবেন বলেন? মাত্র ২২ বছর লেখালেখি করে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। জগৎকে জানিয়ে দিয়েছিলেন নজরুল মানে বিদ্রোহ, ঘূর্ণি, প্রেম, বিরহ, ভালোবাসার সুখছাউনি। এত বর্ণাঢ্য লেখনীর বৈচিত্র্য দুনিয়ার আর কোনো লেখকের আছে? আমাদের জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে আছেন নজরুল। তিনি লিখলেন বিদ্রোহের কবিতা, ‘বল বীর’। আবার তিনিই লিখলেন, ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, দিল ওহি মেরা ফাসগিয়ে...’। তিনি মুগ্ধ হয়েছেন দূর দ্বীপবাসিনীকে দেখে। আবার লাইলির ফিরে আসায় মজনুর আঁখি খোলার বাসনা তাঁর কবিতায়। তিনি লিখেছেন, ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে, বাহিরে ঝড় বহে...’। মনের অব্যক্ত কথা তিনি লিখেছেন, ‘ভীরু এ মনের কলি, ফোটালে না কেন জয় করে কেন নিলে না আমারে, কেন তুমি গেলে চলি’। দুই হাতে গান লিখেছেন। তাঁর লেখা গানের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। অনেকে বলেন, আরও অনেক ছিল। যা সংরক্ষণ হয়নি ঠিকভাবে।

জেলখানায় পাঠিয়েও তাঁর লেখনী থামানো যায়নি। জেলেই লিখলেন, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’। প্রকৃতি আর প্রেম তাঁকে মুগ্ধ করত। ঘুরতে পছন্দ করতেন। সব ধরনের সাহিত্য লিখে গেছেন। তাঁর কবিতা ছাড়া ঈদ, পূজা কিছুই হয় না। তাঁর লেখা শ্যামাসংগীত দুর্গা ও কালী পূজায় বাজে। ভালোবেসে যুদ্ধে গেলে রণসংগীতেও আছেন নজরুল! আবার না-পাওয়ার বেদনা তাঁকে করেছিল নিঃস্ব। মনোবেদনায় লিখেছেন, ‘দূরের প্রিয়া! পাইনি তোমায় তাই এ কাঁদন-রোল!’ চলার পথে ক্লান্ত হতেন। কিন্তু থামেননি। পুত্রশোকেও টাকার জন্য গ্রামোফোন কোম্পানিকে লিখে দিয়েছেন গান। দুঃখ-কষ্ট ছিল। অপূর্ণতা তাঁকে কুরে কুরে খেত। তার পরও নিজের স্বকীয়তা থেকে বের হননি। ১৯১৭ সালে কবি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন মাত্র আড়াই বছর। সেই সময় শুরু হয় তাঁর লেখনী। ‘হেনা’, ‘মেহের নেগার’, ‘ব্যথার দান’, ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’, ‘মুক্তি’ লিখেছিলেন সেনাছাউনিতে বসে। বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের ময়দান কবির জীবন ও চিন্তা বদলে দিয়েছিল। দ্রোহ, প্রেম, বিরহ তাঁকে জাগিয়ে দিয়েছিল মানুষের হৃদয় মন্দিরে। ‘পথ চলিতে যদি চকিতে’ চোখের জলেই অজানা ডাকের আহ্বানে থাকতেন কবি। সেনাবাহিনী ছেড়ে কবি চলে আসেন কলকাতা। ৩২ কলেজ স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন। থাকতেন বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে। যাত্রা করেন সাহিত্যজগতে। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তিনি লেখেন ‘রবিহারা’। ১৯২০ সালে তিনি শেরেবাংলা সম্পাদিত ‘নবযুগ’ পত্রিকায় যোগ দেন। শুরু করেন সাংবাদিকতা। সে সময় শরৎচন্দ্রসহ তৎকালীন সব সাহিত্যিক, সাংবাদিকের সঙ্গে কবির ব্যক্তিগত অসাধারণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। নজরুল পত্রিকায় যোগদানের পর তাঁকে উৎসাহিত করেন রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র লেখা দিয়ে। ১৯২২ সালে নজরুল প্রকাশ করেন ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা। এ পত্রিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দেয় তোর বিজয় কেতন’। কবি বিজয় কেতন উড়িয়েছিলেন। ব্রিটিশদের ভালো লাগেনি সেই কেতন। তাই আটক হন কবি। তারপর পত্রিকা বন্ধ। তাঁর ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়। কুমিল্লা থেকে আটক করে কবিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। আটকের পর আদালতে জবানবন্দি দেন। সাহিত্যের পাতায় যা এখন ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ হিসেবে খ্যাত। এ জবানবন্দিতে কবি তুলে ধরেছিলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিজেকে।

বঙ্গীয় মুসলমানদের দুটি গ্রুপ ছিল নজরুলকে ঘিরে। এক গ্রুপ তাঁকে পছন্দ করত। আরেক গ্রুপ ছিল বিরোধী। এখন কবিকে নিজেদের লোক দাবি করে অনেকে কান্নাকাটি করেন। আবার এই মুসলমানের একটি অংশই হইচই করলেন যখন কবি লিখলেন, ‘মোরা একটি বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’। আবার গোঁড়া হিন্দুরা খুশি ছিলেন না তাঁর ওপর। তাঁরা খেপলেন কবির লেখা মন্দির ও মসজিদ প্রকাশের পর। বাস্তব জীবনে কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার। তাঁর বাড়িতে পূজা হতো। আবার নামাজও হতো। এক পুত্রের নাম রাখলেন কৃষ্ণ, আরেকজনের মুহাম্মদ। এভাবে সবাই সব কিছু পারে না। নজরুল পেরেছেন। জয় করেছেন। এক ছেলেকে নিয়ে প্রমীলা দেবী বসতেন পূজায়। আরেকজনকে নিয়ে নজরুল যেতেন নামাজে। সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে কবি লড়েছেন সারা জীবন। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই লিখেছিলেন, ‘গাহি সাম্যের গান/যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান/যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রিশ্চান’। কবি সারাটা জীবন লড়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের জন্যই। মানুষের কথা বলতে গিয়েই তিনি আটক হলেন। কারাগারে গেলেন। জেল খাটলেন। ভারতবর্ষের স্বাধিকার আন্দোলন সমর্থন করতেন। বিদ্রোহী, বিপ্লবীরা পছন্দ করতেন এই মানুষটাকে। নেতাজি সুভাষ বসু বলতেন, নজরুল আমাদের অনুপ্রেরণা।

চলার পথে প্রেমের কবির স্বপ্নমিনারের বড় অংশ ছিল কুমিল্লা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ বেণুকার সুর-কে সেই সুন্দর কে!’ কুমিল্লা ছিল কবির প্রেম ও দ্রোহের শহর। বাবুদের তালপুকুর দেখে মুগ্ধ হয়ে কবিতা লিখেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন কান্দিরপাড়ে। শচীন দেববর্মণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রথম তৈরি হয় কুমিল্লা শহরে। দুজন মিলে তৈরি করতেন সুরের ঝংকার। কুমিল্লায় নজরুলের হাজারো স্মৃতি। ফরিদা বিদ্যানিকেতনের বিপরীতের সেই স্মৃতির ঘরগুলো হয়তো নেই। ঐতিহ্যের কুমিল্লার বাতাস এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে নজরুলের নিঃশ্বাসের শব্দ। গবেষকদের লেখনীতে সব কিছু ভালোভাবে উঠে আসেনি। এসেছে প্রেম ও বিয়ের বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নজরুল কুমিল্লায় সাম্যের গান গেয়েছেন। মানুষকে শুনিয়েছেন স্বাধিকারের কথা। কবি নজরুল অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। আটক হয়েছিলেন কুমিল্লা থেকে। সেসব নিয়ে কবির কোনো আক্ষেপ ছিল না। বরং কুমিল্লার প্রতি কবির মোহ ছিল। ভালোবেসে কুমিল্লায় বেঁধেছিলেন ঘর। পড়েছিলেন কুমিল্লার মেয়েদের প্রেমে। বিয়ের আসরে মোহরানা আর ঘরজামাই থাকার বিরোধ তাঁকে থামাতে পারেনি। দুঃখের গহিন বনে আবারও ভালোবাসার সূত্র খুঁজেছেন কুমিল্লায়। বের করেছেন নিজের হৃদয়ের স্পন্দন। কবির ‘এই আঁখি জল মোছো প্রিয়া’- কুমিল্লার নাম ছিল ত্রিপুরা।

কবি ত্রিপুরা আসতেন। মুরাদনগরের দৌলতপুর কবির বিরহের গ্রাম। শহর ছিল স্বস্তি ও ক্লান্তিহীন প্রেম। রানীর দিঘির জলছায়ায় কবি নিজেকে খুঁজতেন। দৌলতপুরের সেই রাতের কষ্ট ভুলতে কবি লিখেছেন প্রেম-বিরহের কবিতা। কলকাতার প্রকাশক বন্ধু আলী আকবর খানের আমন্ত্রণে দৌলতপুরে গিয়েছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। গ্রামে সবার সঙ্গে মিশে গেলেন। একদিন পুকুরঘাটে লম্বা খোলা চুলের তরুণীর ছায়া দেখলেন নজরুল। বিস্ময় নয়নে তাকালেন। দুজনের চোখাচোখি হলো। দৃষ্টি বিনিময়েই নজরুল নাম দিলেন নার্গিস। সৈয়দা খাতুন নামের মেয়েটি ছিল আলী আকবরের ভাগনি। নজরুল তাঁর ভালোলাগার কথা জানালেন। সিদ্ধান্ত হলো নজরুলের সঙ্গে বিয়ে হবে সেই তরুণীর। বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন নজরুল। সৈয়দা খাতুনেরও আপত্তি নেই। নজরুলের বাঁশি মুগ্ধ করেছে তাঁকে। বিয়ে পড়ানোর পর সবাই মত দিলেন চালচুলাহীন কবিকে ঘরজামাই থাকতে হবে। কবি সৈয়দা খাতুনকে নিয়ে ফিরতে চান কলকাতায়। ভবিষ্যৎ নিয়ে বিবাদে নজরুলের মন খারাপ হলো। ঝগড়া-বিবাদের নীরব অভিমানে মাঝরাতে কবি মুরাদনগর ছাড়লেন। হয়নি নবদম্পতির ফুলের বাসর। কাঁটার ঘায়ে জর্জরিত কবিকে ঠাঁই দিলেন কুমিল্লা শহরের বিরজা দেবী। কবি পেলেন মায়ের ¯ন্ডেœহ। ৩০ মাইল হেঁটে আসা নজরুল ছিলেন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। তাঁর মন ভেঙে গেছে। শরীরের অবস্থা ভালো ছিল না। বিরজা দেবীর বাড়িতে ছিলেন অনেক দিন। তারপর বিয়ে করলেন বিরজা দেবীর ভাশুরের মেয়ে প্রমীলা সেনগুপ্তকে। বিয়ের পর নজরুল তাঁর নাম দিলেন আশালতা। হিন্দুু-মুসলিম বিয়ে এত সহজ ছিল না। এ নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল।

বাসরঘর করতে না পারা সৈয়দা খাতুন অনেক বছর নজরুলের প্রতীক্ষায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মিলন আর হয়নি। আরেকজন কবিকে বিয়ে করে সংসার গড়েছিলেন সৈয়দা খাতুন। তাঁর শেষ জীবনটা ইংল্যান্ডে কেটেছিল। মৃত্যুর পর দাফন হয় ম্যানচেস্টারে। সৈয়দা খাতুনের দুই সন্তান ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় অবস্থান গড়েছিলেন। প্রেম ও বিরহের কবির জীবনে আরও অনেক অধ্যায় আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ফজিলাতুন্নেছার একতরফা প্রেমে পড়েছিলেন নজরুল। এ প্রেমের বিষয়টি উঠে আসে কাজী মোতাহার হোসেনের সঙ্গে কবির চিঠি বিনিময়ে। মোতাহার হোসেনের বর্ধমান হাউসের বাড়িতে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। কবি নজরুল হাত দেখতে পারতেন এমন একটা খবর ছিল ফজিলাতুন্নেছার কাছে। তিনি বর্ধমান হাউসে কবিকে তাঁর হাত দেখতে দিয়েছিলেন। কবি প্রেমে পড়েন। ১৯২৮ সালের কোনো এক রাতে ফজিলাতুন্নেছার দেওয়ানবাজারের বাড়িতে হাজির হন কবি। প্রেম নিবেদন করেন। তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলেন ফজিলাতুন্নেছা। এ নিয়ে কবির জীবনে আক্ষেপ ছিল। প্রত্যাখ্যানের যন্ত্রণা ছিল। মোতাহার হোসেনকে চিঠিতে কবি কষ্টের কথা লিখতেন। ফজিলাতুন্নেছাকেও চিঠি লিখেছিলেন নজরুল। উত্তর পাননি। কবি সন্দেহ করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিন্দুু শিক্ষকের সঙ্গে ফজিলাতুন্নেছার প্রেম ছিল। সেই সন্দেহের কথাও তিনি লিখে গেছেন অনেক বেদনা নিয়ে।

কবির জীবনের আরেক অংশে ছিলেন প্রতিভা বসু। ‘জীবনের জলছবি’ গ্রন্থে প্রতিভা বসু লিখেছেন নজরুল ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে স্মৃতির কথা। আছে কলকাতা ও ঢাকার অনেক হারানো সুর। প্রতিভা বসুরা থাকতেন পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। কবি নজরুল সেই বাড়িতে যেতেন। গান-আড্ডা হতো। একদিন প্রতিভা বসু বাড়ির ভিতর থেকে দেখলেন পাড়ার যুবকরা নজরুলকে মারধর করছে। নজরুল কেন প্রতিভা বসুদের বাড়িতে আসতেন তা সহ্য করতে পারছিল না তারা। এ ঘটনা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কবির আরেকটি প্রেমের কথা কলকাতার একটি পত্রিকা রসালোভাবে প্রকাশ করে। কানন দেবী নামে এক গায়িকাকে গান শেখাতেন কবি। অনেক সময় গান শেখাতে গিয়ে সেই বাড়িতে বেশি সময় থাকতেন। কখনো রাতের খাবার খেতে দেরি হতো। কবির এ আসা-যাওয়া সহ্য হলো না অনেকের। গসিপ ছড়াল। এমন আরও অনেক গল্পে কবি বিস্মিত হতেন। হতাশ হতেন। থামতেন না।

অচেনা কষ্ট কবির বুকে বাসা বাঁধত সব সময়। ‘ব্যথার দান’ গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে কবি লিখেছেন, ‘মানসী আমার, মাথার কাঁটা নিয়েছিলুম বলে ক্ষমা করোনি, তাই বুকের কাঁটা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলুম।’ দহনে সিক্ত হয়ে কবি লিখেছেন ভালোবাসার মানুষকে, ‘তুমি দেবী চিরশুদ্ধা তাপস কুমারী, তুমি মম পুজারিণী’। আবার দুঃখের দহনে লিখেছেন, ‘এরা দেবী, এরা লোভী যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো! ইহাদের অতিলোভী মন একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়, যাচে বহু জন।’ কবি ১৯৪২ সালে অসুস্থ হন। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত নীরবে এক ধরনের কষ্টের জীবন অতিবাহিত করেন। এই সময়ে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১৯৫৩ সালে কবি নজরুল ও প্রমীলা দেবীর চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে ফিরে এলেন। আর সুস্থ হয়ে উঠলেন না। বললেন না নতুন করে কাউকে ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি, আর হাতে রণ-তূর্য’। তিনি আর উচ্চারণ করতে পারলেন না ‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’।  বললেন না বিধাতাকে, ‘খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে। প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে’।

রানু সোম নামে খ্যাত প্রতিভা বসুর সঙ্গে একবার রেলস্টেশনে দেখা হলো। কবি ফ্যালফ্যাল করে তাকালেন। চিনতে পারলেন না। অজানা কষ্ট নিয়ে কবি চিরতরে স্তব্ধ হলেন। ১৯৭৬ সালে চলে গেলেন চিরতরে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশেই কবির ঠাঁই হয়েছে। সেখানে শুয়ে তিনি হয়তো শুনছেন আজানের ধ্বনি। হয়তো খুঁজছেন বুক চিরে ব্যথা জড়ানো সেই প্রিয়াকে।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা