বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তন দুনিয়ার যেসব দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশের স্থান তার প্রথম কাতারে। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ুর অশুভ পরিবর্তন বিপজ্জনক পরিণতির আভাস দিচ্ছে। পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন বন্যাকবলিত। যা এ দেশটির হাজার বছরের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। ভারতেও এ বছর খরা ও বন্যা সমভাবে আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অশুভ থাবা কয়েক দশক ধরে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়বে ৬ শতাংশ। ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার আয়তন প্রায় ৩ হাজার বর্গকিলোমিটার বৃদ্ধি পাবে এবং ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ সুপেয় পানি বঞ্চিত হবে। মঙ্গলবার খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানিয়ে এ অভিঘাত মোকাবিলায় সঠিক নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ওই কর্মশালায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে খুলনার উপকূলীয় এলাকাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করতে হবে। কর্মশালায় জলবায়ুর অশুভ পরিবর্তন সম্পর্কে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা উদ্বেগের। চলতি বছর গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে অনাবৃষ্টির শিকার হয়েছে খুলনা অঞ্চল। আমন ও শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আবহাওয়ার এ অপখেলা আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তা মোকাবিলায় পরিপূর্ণ প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। এজন্য দেশের উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। পরিবর্তিত আবহাওয়ার উপযোগী ফসল উদ্ভাবনও জরুরি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর