বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

মশা নিধনের উদ্যোগ নিন

ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ। মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে মারা গেছেন পাঁচজন। এদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৪ জন। ওই দিন হাসপাতালগুলোয় ভর্তি ছিলেন ৮৫০ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু আক্রান্তের সিংহভাগ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ায় অনুমান করা যায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বিপুল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের মতে, রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বর ঘিরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ে মৌসুমি জরিপ চালানো হয়েছে। সেখানে লার্ভার উপস্থিতি গত বছরের চেয়ে বেশি। এটা সুখকর নয়। দ্রুত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৮৪ জনের মধ্যে ২২৪ জন ঢাকার বাসিন্দা। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। বর্তমানে ভর্তি ৮৫০ জনের মধ্যে ৭১১ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আর ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন সর্বমোট ১৩৯ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬ হাজার ৪৮ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ১ হাজার ৩৪৯ জন। রাজধানীতে এ বছর এডিস মশার বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত বছর দুই সিটি করপোরেশন থেকে জরিপে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ করে ১৫০টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ বছর পাওয়া গেছে দ্বিগুণের বেশি ৩৫০ বাড়িতে। মশা নিধনে যথাযোগ্য পদক্ষেপ না নেওয়ায় নগরবাসীর জন্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। স্মর্তব্য নির্মাণাধীন ভবনের মেঝেতে জমা স্বচ্ছ পানি এডিস মশার প্রধান উৎসস্থল। একটি স্ত্রী মশা তার পূর্ণ জীবৎকালে পাঁচবার ১ হাজার মশার জন্ম দিতে পারে। ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষায় মশা নিধন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে নাগরিক সচেতনতাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর