সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার, এনডিসি (অব.)

সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

১৯ অক্টোবর ১৯৭৩। সকাল ৯টা। আজকের শারদ স্নিগ্ধ সকালটিতে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অন্য ধরনের আমেজ। সকাল থেকেই ঢাকা সেনানিবাস থেকে মিলিটারি জিপগুলো ছুটছে বিমানবন্দরের দিকে। কমবেট কালারের একটি জিপ থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনালে নামলেন খাকি ইউনিফর্ম পরা দীর্ঘাঙ্গি কর্নেল খুরশীদ উদ্দিন আহমেদ। মধ্য তিরিশের এই মুক্তিযোদ্ধা কর্নেলের নেতৃত্বেই দুই ঘণ্টা পর আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে (১৯৭৩) আরবদের সহায়তার জন্য একটি মেডিকেল টিম সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগে মেডিকেল টিমকে সিরিয়া পাঠানো হচ্ছে। বিমানবন্দরে সিরিয়াগামী সেনাদলকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে সমবেত হয়েছে হাজারো মানুষ। এয়ারপোর্টে ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান, উপ-সেনাপ্রধান, চিফ অব স্টাফ ও ডাইরেক্টর জেনারেল অব মেডিকেল সার্ভিসেসসহ সিনিয়র সেনা কর্মকর্তারা। ১৯৭১-এর রণাঙ্গন কাঁপানো এই বাঙালি সেনানায়করা আরেকটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন, শরতের এই রোদভরা সকালে। ৭ অক্টোবর ১৯৭৩। মিসরে স্থানীয় সময় এখন দুপুর ১২টা। রেডিও কায়রোয় অনেকক্ষণ ধরে উদ্দীপনামূলক দেশাত্মবোধক গান বেজে চলেছে। আরবি গান শেষে একজন বেতার ঘোষক বললেন, ‘এতক্ষণ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করলেন শিল্পী উম্মে কুলসুম। এখন শুনবেন রণাঙ্গনের সর্বশেষ সংবাদ।’ ‘সুয়েজ খাল অতিক্রম করে মিসরীয় বাহিনী, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যবস্থা বারলেভ লাইন ধ্বংস করে সিনাই ফ্রন্টে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সিরিয়ার গোলান ফ্রন্টেও অবৈধ দখলদারি ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে পড়েছে। এদিকে যুদ্ধরত আরবদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। এখন শুনবেন পবিত্র কোরআনের বাণী।’

ইসরায়েল অধিকৃত ভূমি উদ্ধারের জন্য ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়া যৌথভাবে ৬ অক্টোবর ১৯৭৩ তারিখে ইসরায়েল আক্রমণ করে, যা ইতিহাসে ‘আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ অক্টোবর ১৯৭৩’ নামে খ্যাত। আরবদের ন্যায়সংগত এই যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু-সরকার সিরিয়ার রণাঙ্গনে একটি সেনা মেডিকেল টিম ও মিসর সেনাবাহিনীর জন্য চা পাঠিয়েছিল। এটিই ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম বৈদেশিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ সরকারের সেই সিদ্ধান্তটি ছিল ঐতিহাসিক, সাহসী, সুদূরপ্রসারী ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অধিকাংশ আরব দেশ তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কমবেশি সব আরব দেশগুলোতে প্রচারণা চলছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ সময় এক বিস্ময়কর কূটনৈতিক অভিযানে অবতীর্ণ হলেন বঙ্গবন্ধু। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরবদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা করলেন ‘আরবরা আমাদের স্বীকৃতি দিক না দিক, তারা আমাদের ভাই। তাদের ন্যায্য সংগ্রামে আমরা তাদের পাশে আছি।’ এই পটভূমিতেই সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছিল।

কর্নেল খুরশীদ উদ্দিন আহমেদের (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার, প্রয়াত) নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ১৯৭৩-এর ১৯ অক্টোবর সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। আর্মি মেডিকেল কোরের সাতজন ডাক্তার ও ২১ জন প্যারামেডিক, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে এই দল গঠিত হয়েছিল। মেজর আমির আলি ছিলেন এই দলের ডেপুটি টিম লিডার ও সার্জিক্যাল টিমের প্রধান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরুণ ও চৌকশ কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির (পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত) কূটনৈতিক যোগাযোগ ও সমন্বয়ের জন্য লিবিয়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন। মেডিকেল টিমের সঙ্গে আরও গিয়েছিলেন সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ ও ক্যামেরাম্যান রফিক উদ্দিন আহমেদ। উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর বিকালে, বঙ্গবন্ধু বেইলি রোডের (পুরাতন) গণভবনে মেডিকেল টিমের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধু তাদের উদ্দেশে পাঁচ-ছয় মিনিটের উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখেন। জাতির পিতার কথায় সেনাসদস্যরা অনুপ্রাণিত ও অভিভূত হন।

সৈন্যবাহী বিমানটির যাত্রা বিরতি হলো বাহরাইনে। এরপর বিমানটি তুরস্ক-গ্রিস মাল্টার আকাশ হয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় ল্যান্ড করল লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দরে। বেনগাজিতে মিসরের প্রতিনিধির কাছে মিসরীয় বাহিনীর জন্য বাংলাদেশের চায়ের প্যাকেটগুলো হস্তান্তর করা হলো। ২১ অক্টোবর, লিবিয়া সরকারের বন্দোবস্তে বাংলাদেশের সেনাদল মিডল ইস্ট এয়ারলাইনসের একটি বিমানে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পৌঁছে। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (প্রখ্যাত সাংবাদিক) কেজি মোস্তফা ও সিরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরা।

বৈরুত থেকে রাতের বেলায় সড়কপথে সিরিয়ার রাজধানীর দিকে সেনাদলটি এগিয়ে চলে। অবশেষে ২২ অক্টোবর ভোররাতে দামেস্ক নগরীতে পৌঁছাল মেডিকেল টিম। এর কিছুক্ষণ পরই দামেস্ক নগরী ভয়াবহ ইসরায়েলি বিমান আক্রমণে কেঁপে ওঠে। এদিকে, যুদ্ধের প্রথম দিকে সিরিয়া ও মিসর অসামান্য সাফল্য অর্জন করলেও পরবর্তীতে যুদ্ধের মোড় ইসরায়েলের পক্ষে চলে যায়। ইসরায়েলি বাহিনী দামেস্ক নগরীর ২৫ মাইলের মধ্যে চলে আসে।

বাংলাদেশের মেডিকেল টিমটি দামেস্ক নগরীর পশ্চিমদিকে দারেস সালাম নামক স্থানে মোতায়েন করা হয়। সেখানে মেয়েদের একটি স্কুলে ইতোপূর্বে সিরিয়ার চিকিৎসকরা একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে বাংলার মেডিকেল দল একটি ক্ষুদ্র তবে কার্যকর ফিল্ড হাসপাতালে পরিণত করে। ওই হাসপাতালে মূলত সিরিয়ার আধাসরকারি বাহিনী ও প্যালেস্টাইনি যোদ্ধাদের চিকিৎসা করা হতো।

২৪ অক্টোবর, মিসর ও সিরিয়া ফ্রন্টে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়। বাংলাদেশের সেনাদল ২২ নভেম্বর পর্যন্ত (৩০ দিন) দামেস্কে দায়িত্ব পালন করে। যুদ্ধ বিরতি হলেও ওই ফ্রন্টে তখনো মাঝে মধ্যে গোলাগুলি হতো। মেডিকেল টিমটি এক মাসে ওয়ার সার্জারিসহ শতাধিক ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদান করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল খুরশীদের নেতৃত্বে মেডিকেল টিমের সদস্যরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও মমত্ব সহকারে অসুস্থ ও আহত আরবদের সেবা প্রদান করেছিল। সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশের এই মেডিকেল টিম ছিল মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনারব দেশ থেকে আসা প্রথম সৈন্যদল। গণমাধ্যম বিশেষত কায়রো ও দামেস্ক রেডিও ফলাও করে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা প্রচার করেছিল। দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদে জুমার দিনে খুতবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কথা বলা হয়েছিল। যুদ্ধের ময়দান থেকে ২২ নভেম্বর বৈরুতে চলে আসে বাংলাদেশ কনটিনজেন্ট। ২৪ নভেম্বর বৈরুত বিমানবন্দরে সিরিয়া সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সেনাদলকে আন্তরিকভাবে বিদায় জানায়। বিমানবন্দরে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, ‘যুদ্ধকালীন সংকটে মেডিকেল দলের উপস্থিতি ছিল বাংলাদেশি সৈনিকদের সর্বাত্মক যুদ্ধে অংশগ্রহণের মতো। ১৯৭৩-এর ২৪ নভেম্বর বিমানযোগে ঢাকা পৌঁছে যায় এই সেনাদল। বিমানবন্দরে তাদের বিশেষ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

৩০ দিনের এই মেডিকেল মিশনটি ছিল ঘটনাবহুল ও নাটকীয়তায় ভরা। এর তাৎপর্যও ছিল ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। তখন সমগ্র আরব জাহানে বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে পড়ে। তারা বাংলাদেশকে বন্ধু ও মুসলিম দেশ হিসেবে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে ও স্বীকৃতি দেয়। এই সমর্থনের স্বীকৃতি স্বরূপ মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত বাংলাদেশকে ৩০টি ট্যাংক উপহার দেন। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরীয় বাহিনীকে সহায়তা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক দুর্লভ অভিজ্ঞতাও অর্জন করে। এই মিশনটি ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে অনেক পরিবর্তন আসে। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কূটনীতিরও সূচনা। বর্তমানে জাতিসংঘ বাহিনীর শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সমগ্র বিশ্বের শ্রদ্ধা ও আস্থা অর্জন করেছে। ১৯৭৩-এ সিরিয়া রণাঙ্গনে প্রেরিত এই সেনাদলই এ অর্জন ও স্বীকৃতির পথিকৃৎ।

১৯৭৪ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু মিসর সফর করেছিলেন। তখন বাংলাদেশ ডেলিগেশনকে ঐতিহাসিক স্থানসহ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের রণাঙ্গনও (সিনাই) দেখানো হয়েছিল। এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরের পর আনোয়ার সাদাত আরব বিশ্বে প্রায় এক ঘরে ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তখনো বাংলাদেশ ছিল মিসরকে ব্যাপকভাবে সমর্থনদানকারী ওআইসিভুক্ত প্রথম দেশ।

২০১২ সালে বসন্তের এক বিকালে, ধানমন্ডির বাসায় ব্রিগেডিয়ার খুরশীদ উদ্দিন আহমেদ লিবিয়ায় কর্মরত থাকাকালীন প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির দেওয়া সম্মানসূচক পদক আমাকে দেখাচ্ছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তখন তাকে সিরিয়ার মেডিকেল মিশনের জন্য কোনো পদক বা সম্মাননা পেয়েছিলেন কিনা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ব্রিগেডিয়ার আমাকে বললেন, ‘শোন আমরা তো (মেডিকেল টিম) একটা ফরগোটেন আর্মি (ভুলে যাওয়া সেনাদল) আমাদের আবার পদক, আমাদের আবার সম্মান?’ মেডিকেল টিমের ভ্যাটরানদের (যুদ্ধ প্রবীণ) কাছে সিরিয়ার স্মৃতি এখনো জীবন্ত। যদিও সিরিয়া এখন নিজেই একটি পরিত্যক্ত যুদ্ধক্ষেত্রের মতো ধ্বংসস্তূপ। মেজর জেনারেল এম শাহজাহান (অবসরপ্রাপ্ত) ছিলেন সেই মিশনের সবচেয়ে তরুণ অফিসার (ক্যাপ্টেন)। অস্তরাগে জেনারেলের স্মৃতিতে এখনো সমুজ্জ্বল এক প্রাচীনতম নগরীর (দামেস্ক) রোমান্স, হাস্যোজ্জ্বল বন্ধুসুলভ সিরীয় ডাক্তার, নার্স, জেসমিন ফুলের শোভা, উমাইয়া মসজিদ, দামেস্কে প্রবেশ মাত্রই ভয়াবহ ইসরায়েলি বিমান আক্রমণ, ইসরায়েলি দূরপাল্লার কামানের পাল্লায় থাকা (২৫ মাইল) আতঙ্কিত সময়, যুদ্ধের ভয়াবহতা...।

২০১১ সাল থেকে চলমান ভয়ংকর গৃহযুদ্ধে সিরিয়া বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ নিরীহ সিরীয়, শরণার্থী হয়েছে ৭০ লাখ মানুষ (দেশের অর্ধেক মানুষ স্থানচ্যুত)।

১৯৭৩ থেকে ২০২২-এর পর কেটে গেল ৪৯টি বছর। কালের স্রোতে দামেস্কের বারাদা নদী ও ঢাকার বুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। মেডিকেল টিমের অধিকাংশ সদস্যই আজ জীবনের ওপারে। ২৮ সদস্যের মধ্যে আমাদের মাঝে রয়েছেন মাত্র সাতজন ভ্যাটারান। জীবনের প্রায় বিকালবেলায়, জাতির পিতার বিশেষ উদ্যোগে সিরিয়ায় পাঠানো এই সাহসী সৈনিকদের কি আমরা বিশেষভাবে মূল্যায়ন ও সম্মানিত করতে পারি না? তাদের সম্মান জানানোর বিষয়টি ভবিষ্যতে সৈনিকদের সাহসিকতাপূর্ণ কাজে প্রবল অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভালো কাজের স্বীকৃতি যে কোনো সময়ই প্রদান করা যেতে পারে। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের সম্মানিত সদস্যদের, সেনাবাহিনীর বৈদেশিক দায়িত্বের পথিকৃৎদের অভিবাদন। স্যালুট টু আওয়ার গ্রেট হিরোজ।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, গবেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর