ডেঙ্গুর থাবা প্রতি বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুভূত হলেও এ বছর অক্টোবরেও তা জোরেশোরে অনুভূত হয়েছে। অক্টোবরে এ ঘাতক জ্বরে ২৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৩৯ জন আর মারা গেছেন ৭৯ জন। আক্রান্তের এই সংখ্যাকে চূড়ান্ত ভাবার কোনো অবকাশ নেই। কারণ যারা বাসগৃহে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের অনেকের তথ্য এ পরিসংখ্যানে আসেনি। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি হতে পারে। চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে দেরিতে। ফলে ডেঙ্গুর আগ্রাসনও দেরিতে অনুভূত হয়েছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ১৩১ জন, মারা গেছেন ১৩৪ জন। জানুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুন মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৭ জন, মারা গেছেন একজন। জুলাই মাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৫৭১ জন, মারা গেছেন নয়জন। আগস্টে আক্রান্ত ৩ হাজার ৫২১ জন, মারা গেছেন ১১ জন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত ৯ হাজার ৯১১ জন, মারা যান ৩৪ জন। অক্টোবরে ২৯ দিনে বছরের সব রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ২০ হাজার ৩৯ জন, মারা গেছেন ৭৯ জন। গত বছরের অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৬৭ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬২ জন। ওই বছর মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। ২০ বছরের মধ্যে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা দেয় ২০১৯ সালে। ওই বছর অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ৮ হাজার ১৪৩ জন এবং মৃত্যু হয় ১১ জনে। এ বছর সে রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু। শনিবার দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৯ জন, এর মধ্যে ৪৮১ জন ঢাকায়; ঢাকার বাইরে ৩৮৮ জন। বর্তমানে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু মোকাবিলার একমাত্র উপায় এডিস মশা নিধন করা। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সেদিকেই এগোতে হবে।