বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

৮০০ কোটির জনসংখ্যা

ধর্মান্ধতা ও অশিক্ষার ঘেরাটোপ টুটতে হবে

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটি। জাতিসংঘের হিসাবে গত ১৫ নভেম্বর জনসংখ্যা ৮০০ কোটির অঙ্ক ছুঁয়েছে। মাত্র ১২ বছরে আমাদের এই গ্রহে জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি। গত ২১৭ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে ৮ গুণ। অর্থাৎ ২১৭ বছর আগে ১৮০৪ সালে জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিক থেকে এগিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ চীন। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী আগামী বছর চীনকে টপকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশে পরিণত হবে ভারত। জাতিসংঘের মতে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থায় উন্নতি, পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং উন্নত ওষুধের কারণে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। আর এ বিষয়টি জনসংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট, ২০২২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর পরবর্তী ১০০ কোটি মানুষের বেশির ভাগের জন্ম হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- কঙ্গো, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও তানজানিয়ায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বাস মাত্র সাতটি দেশে। এগুলো হলো- চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিল। জাতিসংঘের মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ কমে আসছে। বিশ্বে জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি হতে লেগেছে প্রায় ১২ বছর। এ সংখ্যা ৯০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করতে লাগবে ১৫ বছর। ২০৩৭ সালে জনসংখ্যা ৯০০ কোটিতে পৌঁছাবে। বিশ্বের জনসংখ্যা ১ হাজার কোটিতে স্পর্শ করবে ২০৮০ সালে। অর্থাৎ বিশ্বে জনসংখ্যা আগামীতে বৃদ্ধির বদলে কমবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনআধিক্য।  ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষার যে ঘেরাটোপ কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে জনসংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর