সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাবির সমাবর্তন

জাতির প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে শনিবার উৎসবে মেতেছিল দেশের এই সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে আনন্দঘন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. জ্যঁ তিরল। ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক, আর তা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন- আমরা চাই উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হোক, সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠুক। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সমাবর্তন বক্তা ড. জ্যঁ তিরল বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করেন। নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে আপনাদেরই কাজ করতে হবে। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে শুরু হয় চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জড়ো হন গ্র্যাজুয়েটরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পটভূমি রচিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই বাঙালির স্বাধিকারের স্বপ্ন দেখা শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা বাঙালি জাতির আশা-আকাক্সক্ষার সঙ্গে সবসময় একাত্ম ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালি জাতির প্রতিটি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।  সংগত কারণেই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ তার সমাবর্তন বক্তৃতায় মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বানও খুবই প্রাসঙ্গিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর