সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভুটানকে ট্রানজিট

মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুর প্রতি মমত্ববোধ

স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী ভুটানকে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সড়ক, রেল, নৌ, সমুদ্র এবং বিমানবন্দরের অবকাঠামো সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। ভুটানকে বিশেষ ট্রানজিট সুবিধাদানের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতের চেয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষিত গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। ৮ লাখ জনসংখ্যার ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে খুব বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে না। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যও খুবই কম। তবে এ সুবিধা পরবর্তীতে ভারত, নেপালসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে সহায়তা করবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যে চার দেশীয় পণ্য এবং যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, ভুটান তাতে অনুমোদন দেয়নি। মাত্র ৮ লাখ জনসংখ্যার দেশটি চার দেশের গাড়ির চাপ সামলাতে পারবে না বলে তারা ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনায় তারা বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদাতা রাষ্ট্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিবেচনায় ভুটানকে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থল, রেল, নৌ, বিমান এবং সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো ব্যবহারে সম্মতি দেন। ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার খসড়া প্রটোকলে পাঁচটি সড়ক পথ ও দুটি রেলপথের প্রস্তাব করা হবে। যা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। নৌপথ, রেলপথ ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভুটানের প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবে।  ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ক্ষুদ্র দেশ। স্বল্প জনসংখ্যা ও রক্ষণশীল মনোভাবের জন্য এ দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক লাভ-লোকসানের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুর প্রতি বাংলাদেশের মমত্ববোধকেই তুলে ধরবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর