বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ হাব

নিশ্চিত করবে দেশের সমৃদ্ধি

ঘোড়াশাল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ চলছে। দেশের প্রথমদিককার এই পাওয়ার হাবের আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হলে ধারেকাছের শিল্প এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। এ মুহূর্তে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৭৫০ মেগাওয়াট হলেও এখান থেকে ৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় পরিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। আধুনিকায়ন শেষ হলে বর্তমানের চেয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। ঢাকা ও নরসিংদী-টঙ্গীসহ আশপাশের এলাকায় মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নতুন সঞ্চালন লাইন তৈরিতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ কাজ করছে। পুরনো সাবস্টেশন সরিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নতুন সাবস্টেশন। কেন্দ্রটির পুরনো ইউনিটগুলো মেরামতের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে কেন্দ্রটি থেকে ১ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এমনটি হলে শীতলক্ষ্যার তীরে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ঘিরে হবে নির্ভরযোগ্য পাওয়ার হাব। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতে বদলে যাবে আশপাশের শিল্পাঞ্চল, হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট কমিশনিং হয়েছিল। দ্বিতীয় ইউনিটটি কমিশনিং হয় ১৯৭৬ সালে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সাতটি ইউনিটের মধ্যে ইউনিট-১ ও ২ অবসরে গেছে। ভবিষ্যতে এখানে ২৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। ইউনিট-৩ রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ৪ নম্বর ইউনিট স্ট্যান্ডবাই আছে। গ্যাস পাওয়া গেলে যেগুলো চালু করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ঘোড়াশালে গ্যাস ও স্টিম টারবাইনে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। গ্যাসের চাপ কম থাকায় বর্তমানে কেন্দ্রটির পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করা না গেলেও আশা করা হচ্ছে আগামী বছর গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে।  ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন এ কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল এলাকার শিল্প উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নিশ্চিত করবে দেশের সমৃদ্ধি।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর