শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কেন এখনো অপরিহার্য

শ ম রেজাউল করিম

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কেন এখনো অপরিহার্য

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তির মহানায়ক, স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের অমর কবি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। তিনি বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। সংকটে তিনি পরিত্রাণদাত্রী। সংগ্রামে তিনি অবিচল আস্থার মূর্ত প্রতীক। রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্র পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে অসাধারণ নেতৃত্ব তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা এখন সর্বজনবিদিত। বিশ্ব নেতৃত্ব আজ শেখ হাসিনাকে বলছেন বিশ্বের দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা। তাদের চোখে শেখ হাসিনা উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান আর বেস্ট ক্রাইসিস ম্যানেজার। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি একজন মানবিক রাষ্ট্রনায়কও বটে।  একটি রাষ্ট্র কতদূর এগিয়ে যাবে, কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে, সেটা কী রাজনীতিতে, কী সমাজনীতিতে, কী অর্থনীতিতে, সেটা নির্ভর করে একজন রাষ্ট্রনায়কের নেতৃত্বের ওপর। শোষণ ও বঞ্চনার অবসান এবং অর্থনৈতিক মুক্তির অভিপ্রায়ে সৃষ্ট বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের দূরদর্শী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা করেছিল। সে ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার স্বপ্ন ‘রূপকল্প-২০২১’ ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি এখন আর স্বপ্ন নয়, কারণ ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ পেয়েছে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ জাতিসংঘ অনুমোদন করেছে। এ সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের। শুধু এখানেই থেমে যাননি ভিশনারি লিডার শেখ হাসিনা। ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ২০২৫ সালে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং ২১০০ সালের মধ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অদম্য প্রত্যয়ী নেতা শেখ হাসিনা। এ রকম দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক বিশ্বে বিরল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ ও বঞ্চনাহীন সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। জাতির পিতা যখন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিমগ্ন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে গড়ে তোলার সুযোগ পাননি। পিতার সেই অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। কিন্তু জাতির জনকের কন্যার পথচলা মোটেই সুখকর ছিল না। জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ছয় বছর ছোট বোন শেখ রেহানা, স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া, পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলকে নিয়ে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। বাবা-মা, ছোট ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, আদরের ছোট্ট রাসেল আর আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে নিদারুণ যন্ত্রণা আর অবর্ণনীয় কষ্ট বুকে চেপে একরকম বন্দি প্রবাস জীবনে থেকেও তিনি ভেবেছেন, বাংলার মানুষের কল্যাণের কথা, তাদের অধিকারের কথা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার বজ্র শপথে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

দীর্ঘ চার দশক ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের এবং প্রায় ১৯ বছর সরকারের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছে। এ সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার, সমুদ্রসীমা জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ বিজয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও চালু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু নির্মাণ, মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আনয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত করা, বিদ্যুতের উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা ও প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আইসিটি খাতে বিপ্লব সাধন, ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘর প্রদান, দুস্থ ও অসহায়দের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা, করোনা মহামারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ও বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আসীন করা, দেশকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে শামিল করাসহ বাংলাদেশের এরকম অসংখ্য কালোত্তীর্ণ অর্জনের কারিগর সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন রীতিমতো বিস্ময়কর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বড় বড় সংস্থা থেকে তিনি পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি। শান্তির প্রচার, অনুসন্ধান ও সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কো থেকে পেয়েছেন ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার। অর্জন করেছেন ‘মেডেল অব ডিস্টিনকশন’ ও ‘হেড অব স্টেট’ পদক। বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ থেকে পেয়েছেন ‘মাদার তেরেসা পুরস্কার’। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দূরদর্শী ভূমিকার জন্য বিশ্বের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ অর্জন করেছেন। খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি তাঁকে এনে দিয়েছে ‘দ্য সিরিস মেডেল’। মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ভূষিত হয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সম্মানে। অর্জন করেছেন জাতিসংঘের ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’। নারী রাজনীতিবিদদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক উইমেন পলিটিক্যাল লিডার্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করেছে ‘রিজিওনাল লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ডে। নারী ও কন্যা শিশুদের শিক্ষা প্রসারে অবদানের স্বীকৃতি ‘পিস ট্রি’ অ্যাওয়ার্ড, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি সাউথ-সাউথ পুরস্কার, নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য ইউএন উইমেন প্রদত্ত ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার ও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ অ্যাওয়ার্ড রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অর্জনের মুকুটে এক একটি জ্বলজ্বলে পালক। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাষ্ট্র-নায়কোচিত ভূমিকা রেখে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘স্টেট ম্যান’। বিশ্ব নেতৃত্ব শেখ হাসিনাকে বলেছেন, ‘স্টার অব ইস্ট’। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক তাঁকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করে ‘মুকুটমণি’ অভিধায় ভূষিত করেছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের সোচ্চার কণ্ঠস্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিবিসি বলেছে ‘The voice of the Vulnerable’। এসবই দূরদর্শী নেতা ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার অনবদ্য নেতৃত্বের স্বীকৃতি। এখানেই একজন শেখ হাসিনা অনন্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

বাংলাদেশে এখনো শেখ হাসিনার বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। তিনি জাতির পিতার রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, নেতৃত্বের সৌকর্যে, দল ও দেশ পরিচালনায় আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও পরিপক্বতায় তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। ন্যায়-নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি অবিচল। তিনি সততার মূর্ত প্রতীক, সংগ্রামে তিনি আপসহীন, অধিকার আদায়ে তিনি বজ্রকণ্ঠ, দেশপ্রেমে তিনি অনন্য। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ। তাঁর বিকল্প তিনি নিজেই। তিনি ফিরে না এলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না। তিনি ফিরে না এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতির পিতার হত্যার বিচার হতো না, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হতো না। তিনি ফিরে না এলে নিকষ কালো অন্ধকার থেকে বাংলাদেশ আলোর পথে ফিরে আসত না। তিনি ফিরে না এলে এ দেশ পরিচিত হতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মডেল দেশ হিসেবে। তিনি ফিরে না এলে এক সময় সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতো না। তিনি ফিরে না এলে জাতির পিতার হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কলঙ্ক থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব হতো না। যুদ্ধাপরাধীদের ভ্রুকুটি আর আস্ফালনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ, সেটি বন্ধ করা যেত না। তাই এ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য, এ জাতির কল্যাণের জন্য, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল পথচলার জন্য, মানচিত্রের জন্য উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে এবং বাংলাদেশের সরকার পরিচালনায় তিনি এখনো অপরিহার্য। এমনকি বিশ্ব ফোরামেও তাঁর নেতৃত্ব অপরিহার্য।

লেখক : এমপি, মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

সর্বশেষ খবর