শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আয়কর রিটার্ন

ভীতি বন্ধে প্রচারণা চালাতে হবে

বিশ্বে যেসব দেশে করদাতার সংখ্যা কম সেদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। কর ফাঁকির প্রবণতা এ জন্য যেমন দায়ী তেমন দায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে করদাতাবান্ধব ভূমিকার অভাব। বলা যায়, শেষোক্ত কারণে অনেকে কর দেওয়ার যোগ্য হলেও করদাতার তালিকাভুক্ত হতে ভয় পান। আশার কথা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করভীতি বন্ধের নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সরাসরি কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতিও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে ওঠার পর ২০২৬ সালে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ এবং ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত ১২ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণে এখন থেকে গাড়ি, বাড়ি ও ব্যাংক হিসাবের দিকে নজর দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তাদের হিসাবে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৮২ লাখ। কিন্তু চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন ২২ লাখ। অর্থাৎ প্রায় এক-চতুর্থাংশের সামান্য বেশি। বাদবাকি টিআইএনধারীরা রিটার্ন দাখিল করলে সরকার যে বিপুল পরিমাণ রাজস্বের অধিকারী হতো তা সহজে অনুমেয়। এ কারণে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে এ সময়েও সন্তোষজনক হারে আয়কর রিটার্ন প্রদান করা হয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ সংশয়ের অবসানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। আয়কর ভীতির পেছনে যেসব কারণ রয়েছে তার গ্রন্থি মোচনে চালাতে হবে চেষ্টা। দেশে বাড়ি ভাড়ার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেও আয়কর দেন না এমন লোকের সংখ্যা বিপুল। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদেরও বেশির ভাগ আয়কর তালিকার বাইরে। সেদিকে নজর দিলে ২০২৬ সাল নয়, আগামী বছরের মধ্যেই রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এ জন্য প্রয়োজনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লোকবল বাড়ানোর বিষয়ও ভাবা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর