সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বই উৎসব

এ কৃতিত্ব ধরে রাখতে হবে

প্রতিবারের মতো বছরের প্রথম দিন রবিবার পালিত হয়েছে বই উৎসব। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা, নানা ঝামেলা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী কষ্ট, তার মধ্যেও আমরা শিশুদের কথা ভুলিনি। তাদের বই ছাপানোর খরচটা অন্যদিক থেকে আমরা সাশ্রয় করেছি, বই ছাপানোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা অর্থাৎ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি দেওয়া হয়েছে গুরুত্ব। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে পাঠ্যবই উৎসব উদযাপন করে। এ বছর সারা দেশে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হবে। ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সর্বমোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া সরকারের একটি অসামান্য কৃতিত্ব। উন্নত বিশ্বে যেটি সম্ভব হয়নি সে অভাবনীয় কৃতিত্বই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বিনামূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে বছরের প্রথম দিন বই তুলে দেওয়ার কর্মসূচি শুরুর আগে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা ছিলেন বই ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত বই বছরের শুরুতে পাওয়া ছিল দুষ্কর। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে নোটবই কিনতে বাধ্য করা হতো। গড়ে ৫-৬ গুণ বেশি দামে কিনতে হতো নোটবই।  বিনামূল্যে বই বিতরণের পর সেই জিম্মি অবস্থার অবসান ঘটেছে। কাগজ ও মুদ্রণসামগ্রীর দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সময়মতো বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় কৃতিত্ব। আগামীতে তা যাতে আরও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর