শিরোনাম
বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

বিলাসী পণ্য আমদানি বন্ধ হোক

ডলার সংকটের মধ্যেও দেশে বিলাসী পণ্যের আমদানি চলছে। দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেসব পণ্য আমদানিতেও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। চলছে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর। অন্যদিকে ডলার সংকটে দেশে নিত্যপণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। কলকারখানার মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হচ্ছে নাকাল। গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদন প্রক্রিয়া হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। সর্বনাশা ডলার সংকট মোচনে সরকারের সামনে প্রধান করণীয় হওয়া উচিত দেশে উৎপাদিত হয় এমন সব পণ্যের পাশাপাশি বিলাসী পণ্য আমদানিতে বাদসাধা। ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৩৩০টি পণ্যের তালিকা তৈরি করে। ট্যারিফ কমিশন ওইসব পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করে বলেছে, বিলাসী ও কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওপর সাময়িক উচ্চহারে শুল্ক আরোপ হলে দেশীয় শিল্পের ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম। তাই যানবাহন, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সরঞ্জাম, মূল্যবান ধাতু, প্রসাধন, পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সিরামিক পণ্য, সাজসজ্জা সামগ্রী, ফল ও ফুল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও পানীয়, টিনজাত খাদ্য, চকোলেট, বিস্কুট, ফলের রস, কোমলপানীয়, অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়, তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্য ইত্যাদিতে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো এবং ট্যারিফ বা শুল্কায়নযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এ সুপারিশ মানা হলে অন্তত ১০০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হতে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা। পাশাপাশি বিদেশ সফরে সংযমী হতে হবে। ডলার সংকট মোচনে হুন্ডির ঘাঁটিতে হানতে হবে আঘাত। হুন্ডির সঙ্গে যেসব মোবাইল ফোন ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবতে হবে। বিদেশ থেকে বাংলাদেশের কর্মজীবীরা যে অর্থ পাঠায় তা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা আরও বাড়ানোর কথা ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর