মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে

দেশে সাইবার অপরাধ আগ্রাসী রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিনই অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে শত শত মানুষ। এদের একটি ক্ষুদ্র অংশ আইনের আশ্রয় নিচ্ছে। সাইবার অপরাধের নির্দয় শিকার হচ্ছেন উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রচারের অভিযোগে অনেকে সাইবার পুলিশ ইউনিটে অভিযোগ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো সাইটে আপত্তিকর ভিডিও আপলোডের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। প্রেম, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের সুযোগে ধারণ করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব ও বিভিন্ন পর্নো সাইটে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে বেশি। এসব ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা যতটা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে সাধারণ ডায়েরি। কারণ ভুক্তভোগীরা সামাজিক ও পারিবারিক কারণে মামলা নিয়ে বেশি দূর এগোতে চান না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর ডিবির সাইবারে আসা ১৭১টি মামলার ২৯ দশমিক ২৩ শতাংশ অনলাইনে কেনাকাটায়, ২১ দশমিক ৫ শতাংশ অপপ্রচারের, ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ পর্নোগ্রাফি মামলা ও ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মামলা। এর আগে ২০২১ সালে ডিবি সাইবারে ২০৬টি মামলা আসে। যার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ অপপ্রচারের, ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ অনলাইন কেনাকাটায়, ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল পর্নোগ্রাফি মামলা। ডিবি সাইবারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সচেতনতার অভাবে এসব অপরাধ বাড়ছে। সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পড়ে মানসম্মানের ভয়ে অনেক তরুণী বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। অনেকে অপরাধীদের ফাঁদে পড়ে তাদের সর্বস্ব তুলে দিচ্ছেন অপরাধীদের হাতে। যা প্রতারকদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। এ অপরাধ বন্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আইন প্রয়োগকারীদেরও অপরাধীদের ব্যাপারে কড়া হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর