শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

সুশীলদের তৈরি সূচকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান কেন এগিয়ে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সুশীলদের তৈরি সূচকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান কেন এগিয়ে?

দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি; যা দিয়ে দেশটি মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ২৭৪ বিলিয়ন ডলার। মুদ্রাস্ফীতি ২৪ শতাংশের বেশি। এ রকম চরম পরিস্থিতিতে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ৭৫০ কোটি ডলারের জরুরি ঋণ সহায়তা চেয়েছিল। আইএমএফ ১১০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এজন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। এ শর্ত পূরণ করতে গিয়ে এখন আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এ কষ্টের মধ্যেই পাকিস্তানে একটা কৌতুক বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। পাকিস্তানের সাংবাদিকরা বলেছেন, আইএমএফের কাছে ঋণ নেওয়ার দরকার কী? বরং পারভেজ মোশাররফ, নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলী জারদারির কাছ থেকে ঋণ নিলেই পারে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের এই তিন সাবেক সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের কাছে লুণ্ঠিত সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে এদের লুণ্ঠিত অর্থ অলস পড়ে আছে। এ কৌতুক নিয়ে যখন পাকিস্তানে নানামুখী আলোচনা তখন ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের জন্য এক সুখবর দিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। ওই দিন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রতিবেদন ২০২২ প্রকাশ করে। ১৮০টি দেশের এ তালিকায় পাকিস্তান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের চেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২৫ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান যখন তালিকায় ১৪৭তম। সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে ২ পয়েন্ট (২৭) বেশি পেয়ে পাকিস্তান সাত ধাপ এগিয়ে (১৪০তম)। এতে পাকিস্তানিদের নিশ্চয়ই খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয় বরং পাকিস্তানিরা এতে বিস্মিত এবং হতবাক। ‘দুনিয়া নিউজ’-এর জনপ্রিয় ‘দুনিয়া কামরান খানকে সাথ’ অনুষ্ঠানে টিআইয়ের প্রতিবেদনকে বছরের সেরা কৌতুক বললেন একজন অর্থনীতিবিদ। রসিকতা করে বললেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি’কে নিশ্চয়ই পাকিস্তান সরকার নজরানা দিয়েছে, যেন পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের ওপর রাখা হয়। ওই অর্থনীতিবিদ বললেন, ‘পাকিস্তানে যেভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুণ্ঠন হয়েছে, তা বিশ্বে কোথাও হয়নি। দুর্নীতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। বাংলাদেশের চেয়ে যদি পাকিস্তানে কম দুর্নীতি হয়, তাহলে তো দেখতে হবে এত দুর্নীতি করেও বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের চেয়ে এত এগিয়ে। সে ক্ষেত্রে অর্থনীতির অনেক সূত্রই বদলে ফেলতে হবে।’ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানে বাংলাদেশচর্চা বেশ জোরেশোরে চলছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া, বিস্ময়কর উন্নতি ইত্যাদি নিয়ে এখন খোলামেলা আত্মসমালোচনা হয়। পাকিস্তানের গণমাধ্যমকর্মী, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদদের মধ্যে যখন বাংলাদেশ বন্দনা, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশে কিছু পাকিস্তানপ্রেমীর পাকিস্তানপ্রীতি লক্ষ করার মতো। তারা পাকিস্তানের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। পাকিস্তানের মতো সুপ্রিম কোর্ট চায়। পাকিস্তানের মতো ভারতবিরোধিতা চায়। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের করিৎকর্মা মহাসচিব বলেন, পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল। টিআইয়ের দুর্নীতি সূচক প্রতিবেদনে তারা নিশ্চয়ই উল্লসিত হবেন। যে দেশটিতে রাজনীতিবিদ এবং সেনাবাহিনী মিলেমিশে লুণ্ঠনের উৎসব করে। যে দেশে ১২৬ হাজার কোটি রুপির উন্নয়ন কাগজে আছে বাস্তবে নেই। সিন্ধুতে ৪২টি সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাগজে-কলমে দেখানো হয়েছে সেতু নির্মাণ সমাপ্ত! ঠিকাদার টাকা তুলে হজম করে ফেলেছে। পাঁচ বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছে, আদতে কোনো সেতুই নির্মিত হয়নি। টাকা স্রেফ সরকারি কোষাগার থেকে ঠিকাদারের কাছে গেছে। ঠিকাদার টাকা ভাগ করে দিয়েছে রাজনীতিবিদ, জেনারেলদের মধ্যে। আইএমএফ পাকিস্তান সম্পর্কে বলেছে, দেশটির ন্যূনতম জবাবদিহিতা নেই। মার্কিন কংগ্রেসে অভিযোগ করা হয়েছে, বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা পাকিস্তানের সরকারি ব্যক্তিরা মেরে দিয়েছেন। সেই দেশকে বাংলাদেশের চেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ দেখিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কী প্রমাণ করল? শুধু পাকিস্তান কেন, টিআইয়ের প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার দুর্নীতির অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ভালো। রাজাপক্ষে পরিবারের নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে দেশটি এখন দেউলিয়া। মুদ্রাস্ফীতি ৯৫ শতাংশ। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘একটি পরিবারের সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই শ্রীলঙ্কার এই পরিণতি।’ ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘একটি পরিবারের লোভে ধ্বংসপ্রাপ্ত এক দেশ’। সেই শ্রীলঙ্কা টিআইয়ের দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ৪৬ ধাপ এগিয়ে (১০১তম)। শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৩৬। দুর্নীতির পরীক্ষায় পাস করেও শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতায় ‘শ্রীলঙ্কা’ এক বড় প্রশ্ন। এর আগেও বার্লিনভিত্তিক এই দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনটি বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে। দুর্নীতির ধারণা সূচক বাংলাদেশকে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দেশ হিসেবেই চিত্রায়ণ করে সংস্থাটি। তখন পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার এ অবস্থা ছিল না। দেশ দুটির ভিতরের দুর্নীতির চিত্র উঠে আসেনি ট্রান্সপারেন্সির আগের প্রতিবেদনগুলোয়। চরম সংকটে থাকা দেশ দুটির অর্থনৈতিক সংকটের আসল কারণ এখন নানাভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে দেশ দুটির সীমাহীন দুর্নীতি, প্রকাশ্য লুণ্ঠনের যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, তা ভয়ংকর। কোনো দেশের দুর্নীতির সঙ্গেই এ দুই দেশের তুলনা করা চলে না। টিআইয়ের প্রতিবেদন যে অর্ধসত্য, মনগড়া এবং রাজনৈতিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক, তা এ দুটি দেশের মান নির্ণয় থেকেই পরিষ্কার হয়। সম্প্রতি ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানিকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে হুলুস্থুল চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গের এক গবেষণা প্রতিবেদনে তছনছ হচ্ছে আদানি সাম্রাজ্য। হিনডেনবার্গ দাবি করেছে, ‘ভারতের পতাকায় শরীর ঢেকে তারা দেশকে লুণ্ঠন করে চলেছে।’ এক আদানি শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার পরিমাণ বাংলাদেশের এক বছরের জাতীয় বাজেটের সমপরিমাণ। অথচ টিআইয়ের ধারণা সূচকে ভারতের অবস্থান ৮৭তম। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির স্কোর ৪০। ভারত ও বাংলাদেশের দুর্নীতির কি এত পার্থক্য?

শুধু দুর্নীতির ধারণা সূচক কেন, যে কোনো সূচকে বাংলাদেশকে হতশ্রী, ব্যর্থ, খারাপ দেখানোর একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এই যে গত বছর ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করল। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২। ওই প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের চেয়েও পাকিস্তান (১৫৭), আফগানিস্তান (১৫৬) ও রাশিয়ার (১৫৫) গণমাধ্যম স্বাধীন। কী অদ্ভুত ব্যাপার! কোনো তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই এ সূচককে হাস্যকর, কাল্পনিক বলা যায়। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সম্পর্কে এএফপির একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করতে চাই। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের গণমাধ্যম বুটের তলায় পিষ্ট। সেখানকার গণমাধ্যম ততটুকু স্বাধীন যতটুকু সেনাবাহিনী চায়।’ ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) এ বছরের ১২ জানুয়ারি পাকিস্তানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০২২-এর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের ওপর এই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের ৩৮টি গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শনাক্ত করে আইপিআই। এর মধ্যে এপ্রিলে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার গণমাধ্যমের অবস্থা নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘কমিউনিস্ট শাসনের সময়ও রাশিয়ার গণমাধ্যম বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে ভালো ছিল।’ রাশিয়ার গণমাধ্যম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত এবং শতভাগ সেন্সরশিপের আওতায়। আফগানিস্তানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বে গণমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে দুরূহ এবং দুর্গম জায়গা হলো আফগানিস্তান।’ গণমাধ্যমের জন্য এসব ভীতিকর দেশের পেছনে বাংলাদেশকে রাখা হয় কীভাবে? ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। সম্প্রতি বিবিসিতে ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোশ্চেন’ শিরোনামে প্রায় এক ঘণ্টার একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই ভারত এ প্রামাণ্যচিত্রটির ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে। ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই প্রামাণ্যচিত্রটি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভারতে প্রামাণ্যচিত্রটির সব ধরনের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করে। বলে নেওয়া দরকার, ‘দ্য মোদি কোশ্চেন’ একপেশে একটি তথ্যচিত্র। সাংবাদিকতার ন্যূনতম রীতিনীতি এতে অনুসরণ করা হয়নি। যে-কেউ প্রতিবেদনটি দেখলেই বুঝবেন এর পেছনে একটি রাজনৈতিক মতলব আছে। প্রতিবেদনের শেষ ভাগে এসে ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও সংশয় এবং শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিরোধীমত দমন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরও ভারতের মতো মুক্তচিন্তার দেশে একটি তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ হওয়াটা অবশ্যই গণমাধ্যমের জন্য অস্বস্তিকর ঘটনা। সে তুলনায় বাংলাদেশ কি তাহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক থেকে অনেক উদার নয়? বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও আলজাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি অসত্য ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার কিন্তু ওই প্রতিবেদনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। একপেশে, মনগড়া ভিত্তিহীন এ প্রতিবেদনটি এখনো ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু ওই প্রতিবেদন কেন, ইউটিউব, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন চলছে ঘৃণা উৎসব। চরিত্রহননের খেলা। কিছু ব্যক্তি রাষ্ট্র, দেশ, সরকার এবং বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুৎসিত আক্রমণ করছে। এসব লাগামহীন কনটেন্ট বন্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। অবাধে এসব কুরুচিপূর্ণ নোংরা প্রচারণা জনগণ দেখছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণহীন স্বেচ্ছাচারিতা এখন এক বড় ব্যাধির নাম। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া কেন, টেলিভিশন টকশোগুলোয় সরকারকে কেটে ছিঁড়ে লবণ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দু-একটি মূলধারার গণমাধ্যম তো পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক নিয়ে দুটি গণমাধ্যম যেভাবে অপতৎপরতা চালাল তা রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপ আরোপ করেনি। কোনো বিধিনিষেধও দেয়নি। এজন্য কেউ নিপীড়িত হয়েছেন কিংবা কাউকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, এমন তথ্যও পাওয়া যায়নি। জনগণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করছে অবাধে। গণমাধ্যমকর্মীরা নিশ্চয়ই যে কোনো উৎস থেকে সংবাদ সংগ্রহ করবেন। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকতা বিকশিত করবেন। কিন্তু সরকারি নথি চুরি তথ্য সংগ্রহের উপায় হতে পারে না। এটি শুধু সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী নয়, নৈতিকতা পরিপন্থীও। চুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ বাংলাদেশে সরকারি নথি চুরি করা গণমাধ্যমকর্মীকেও কেউ কেউ হিরো বানিয়ে ফেলেছেন। নানান পুরস্কারে ভূষিত করে, তার আসল অপরাধ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। কারও কারও মনোভাব এমন যে, নথি চুরি করাটাই আসল স্বাধীনতা। দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। যে কোনো গণমাধ্যমকর্মী সরকারের যে কোনো বিভাগের তথ্য চাইতে পারেন। তথ্য না দিলে কমিশনে অভিযোগ করার ব্যবস্থাও আছে আইনে।  তার পরও কেন তথ্য চুরি করতে হবে? অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়। এ কথা সত্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু কিছু ধারা আপত্তিকর। এ ধারাগুলো বাতিলের দাবি সাংবাদিক সমাজের দীর্ঘদিনের। আইনমন্ত্রী একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছিলেন এ আইনের অসংগতিগুলো দূর করার। এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। তবে সম্প্রতি এ আইনের অপপ্রয়োগ অনেক কমেছে। কিন্তু এ আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার একমাত্র বাধা, তা আমি মানতে রাজি নই। এ আইনের আগে মানিক চন্দ্র সাহা (১৫ জানুয়ারি, ২০০৪), হুমায়ুন কবীর বালু (২৭ জুন, ২০০৪)সহ বহু সংবাদকর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁদের নির্মম হত্যাকান্ড গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে কী ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থা? সেই ভয়ংকর সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। এ ধরনের ঘটনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়ায় অবাধে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। সঙ্গে চলছে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে চরিত্রহনন। তার পরও সূচকে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার করুণ অবস্থা কেন? টিআইয়ের সূচকে যে কারণে বাংলাদেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। ঠিক একই কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকেও বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে। এর কারণ বুঝতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সূচক তৈরি করে কীভাবে। এ সংস্থাগুলো রিপোর্টের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ থেকেই। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের কথাই ধরা যাক। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি বা বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের আর্থিক বিষয় নিয়ে বছরজুড়ে নানা জরিপ এবং গবেষণা করে। এ জরিপ ও গবেষণাগুলোর তথ্যই টিআইয়ের দুর্নীতির ধারণা সূচকের প্রধান উৎস। এ জরিপ ও গবেষণার কাজ করেন আমাদের সুশীল বুদ্ধিজীবীরা। তারা ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সেবা গ্রহণকারীর সঙ্গে কথা বলেই জরিপ এবং গবেষণার কাজ করেন। দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের এই সুশীলরা দুই দোষে দুষ্ট। প্রথমত, তারা মনে করেন তাদের আয়-উপার্জন টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে দেখাতে হবে। বাংলাদেশ ভালো, সবকিছু ঠিক আছে দেখালে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিবাজারে তাদের কদর কমে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যার কথাই ধরা যাক। রোহিঙ্গারা যদি তাদের দেশে ফিরে যায় তাহলে এ মুহূর্তে ছোটবড় প্রায় ১ হাজার দেশি-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বন্ধ হয়ে যাবে অথবা অর্থসংকটে পড়বে। কাজেই যে কোনো মূল্যে রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রাখা তাদের মহান দায়িত্ব। এজন্য এ ইস্যুতে তারা নানান মনগড়া তথ্য দেন। রোহিঙ্গাদের উসকে দেন। তাদের অধিকারের লম্বা ফিরিস্তি তৈরি করেন। ঠিক তেমনি দুর্নীতির বিষয়টিও। বাংলাদেশে দুর্নীতি কমছে। কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার চেষ্টা করছে, এমন বার্তা অনেকের পাজেরো গাড়ি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসকে ঝুঁকিতে ফেলবে। ফলে দুর্নীতিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলাটাই তাদের রুটিরুজির জন্য জরুরি। কেউ বলবে না বাংলাদেশে দুর্নীতি নেই। একটি শ্রেণির লাগামহীন দুর্নীতি দেশের উন্নয়ন গ্রাস করছে। অর্থ পাচার বাংলাদেশের জন্য এক মরণঘাতী ব্যাধি। আগামী প্রজন্মের জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত- এ কথা কোনো বিবেকবান, সুস্থ মানুষ বিশ্বাস করবে না। বাংলাদেশ তো নয়, বিশ্বে কোনো দেশেই নাগরিক সচেতনতা ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। কিন্তু ছিদ্রান্বেষণ এবং দোষারোপের সংস্কৃতি দুর্নীতিবাজদের আড়াল করবে।

বাংলাদেশে যেসব সুশীল বুদ্ধিজীবী দুর্নীতি, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমসংক্রান্ত জরিপ ও গবেষণা করেন তাদের আরেকটি সমস্যা রয়েছে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে বলা যায়, এদের একটি ‘মতলব’ রয়েছে। এ মতলবটা হলো, বিরাজনীতিকরণ। বাংলাদেশের সুশীলসমাজের একটি অংশ গণতন্ত্রবিরোধী। ’৭৫ থেকে আজ পর্যন্ত যতবার অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করেছে, ততবার সুশীলদের এ অংশটি ছিল উচ্ছিষ্টভোগী। অগণতান্ত্রিক সরকারের পদলেহন করে এরা নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের নেশা এদের। এই উচ্ছিষ্টভোগী সুশীলদের লক্ষ্য হলো যে কোনো ধরনের রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক ধারা বিপন্ন করা। সর্বশেষ এরা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। দীর্ঘদিন এরা অভুক্ত, ক্ষুধার্ত। তাই দুর্নীতি, মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি শব্দমালায় এরা গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করতে চায়। সেজন্যই এরা এমন সব জরিপ করে যাতে বাংলাদেশের একটি বিবর্ণ চেহারা ফুটে ওঠে। যাতে জনগণ রাজনীতির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে। অগণতান্ত্রিক শাসনকে স্বাগত জানায়। সে কারণেই এসব প্রতিবেদনে বাড়তি রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়। প্রকৃত অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ দেখানো হয় বাংলাদেশকে।

এ ছাড়া আরও একটি কারণ আছে। আমাদের এই উঁচুতলার সফেদ সুশীলরা বংশগতভাবে বাংলাদেশবিরোধী। পাকিস্তানপন্থি। পৈতৃকসূত্রে পাকিস্তানপ্রীতি এদের রক্তে প্রবাহিত। প্রকাশ্যে বলতে পারে না, কিন্তু পাকিস্তানের জন্য এদের মন কাঁদে। তাই এরা এমনভাবে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে যেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে এটি প্রমাণ করা যায়। কিন্তু এবার পাকিস্তানপ্রেম দেখাতে গিয়ে এদের আসল চেহারাটাই ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেখাতে গিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে খারাপ বানিয়ে ফেলেছে। এখন তো সুশীলদের মাথা হেঁট হওয়ার কথা। তাতে কী? এভাবেই তো সুশীলরা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সব ভবিষ্যদ্বাণী, অনুমান, প্রক্ষেপণ ভুল হওয়ার পরও তারা গর্বিত ভঙ্গিতে বলতেই থাকে, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ বাংলাদেশ যতই এগিয়ে যায়, ততই এদের হতাশার দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

এই মাত্র | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন

নগর জীবন

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন

ইচ্ছা হলে হাসুন
ইচ্ছা হলে হাসুন

রকমারি রম্য

কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়
কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক
ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক

নগর জীবন

গরম খাবার
গরম খাবার

রকমারি রম্য

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

মূল্যবৃদ্ধি
মূল্যবৃদ্ধি

রকমারি রম্য

হিতে বিপরীত
হিতে বিপরীত

রকমারি রম্য

৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

নগর জীবন