শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাতালরেল

যানজট নিরসনে অবদান রাখবে

বাঙালি আত্মপরিচয় অন্বেষণের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে পাতালরেল যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ ঘটল। বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে আয়োজিত এক সুধীসমাবেশ থেকে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের উদ্বোধনে উৎসবী পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। পাতালরেল নির্মাণকাজ ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দৈনিক ৮ লাখ যাত্রী এ পাতালরেল পথে যাতায়াতের সুযোগ পাবে। ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার উড়াল ও পাতালরেল পথ। এর মধ্যে জাপানি ঋণ থাকবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এ রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে রেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট। এ রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আর পূর্বাচল রুটে নতুনবাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুনবাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে ৯টি। এগুলো হচ্ছে- নতুনবাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউসিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো। পাতাল ও উড়াল মেট্রোরেল পরিবেশ দূষণ ছাড়াই যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করবে। ঢাকার যানজট নিরসনেও অবদান রাখবে এ রেলপথ। ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিন রুটে মেট্রোরেল তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে। ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকীকরণের কার্যক্রম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর