রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বছরপূর্তি ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বছরপূর্তি ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

আজ থেকে ঠিক ৮০ বছর আগের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালের ২৩ আগস্ট জার্মানি হিটলারের নেতৃত্বে তার নাজি বাহিনী নিয়ে ভলগা নদীর তীরে গড়ে ওঠা রাশিয়ার অন্যতম শহর স্টালিনগ্রাদ আক্রমণ করে। হিটলার ও তার মিত্ররা এই যুদ্ধে প্রথমে ২ লাখ ৭০ হাজার সৈন্য, ৫০০ ট্যাংক, ৩০০০ কামান ও ১৬০০ জঙ্গি বিমান মোতায়েন করে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। রাশিয়া সেই তুলনায় অনেক কম সামরিক শক্তি নিয়েও জার্মানদের হারিয়ে দেয়। এই পরাজয়ের শুরু ১৯৪৩ সালের জানুয়ারি মাসে হলেও ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ তারিখে ২২ জন জেনারেলসহ ৯১ হাজার রণক্লান্ত, ক্ষুধার্ত, আহত ও অসুস্থ সৈন্যকে যুদ্ধবন্দি করার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের প্রথমবারের মতো পরাজয় মেনে নিতে হয়।

এই পরাজয় দুটি বিশেষ কারণে সামরিক ইতিহাসে স্মরণীয় ও শিক্ষণীয়। প্রথমত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ তারিখে হিটলারের কুখ্যাত গুজব বা প্রপাগান্ডা মন্ত্রী জোসেফ গোয়েবেলস সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে কোনো যুদ্ধে জার্মানি বা তার মিত্রদের পরাজয় স্বীকার করে। দ্বিতীয়ত, জার্মানদের যথেষ্ট যুদ্ধ সরঞ্জাম বিশেষত ট্যাংক থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়া ও যথাযথ প্রশাসনিক বা লজিস্টিক ভিত্তি না থাকায় তা অকার্যকর থাকে ও পরাজয় ডেকে আনে। কাকতালীয়ভাবে ঠিক ৮০ বছর পর আবারও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মান ট্যাংক গর্জে ওঠার রণহুঙ্কার শুরু হয়েছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বছরপূর্তির আগেই বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যখন যুদ্ধের একটি শান্তিপূর্ণ অবসান কামনা করছিল, তখনই নতুন শঙ্কা জাগাল কিছু নেতিবাচক খবর। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে জার্মানির সরকারি বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেলে (ডি ডব্লিউ) প্রচারিত সংবাদমতে সে দেশের সরকার ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ২৯টি লিওপার্ড-১ সিরিজের মেইন ব্যাটেল ট্যাংক (এমবিটি) প্রদানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তদুপরি জার্মানি আরও ১৪টি অত্যাধুনিক লিওপার্ড-২ দুই সিরিজের ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে। এর বাইরে জার্মানির সামরিক কারখানায় কয়েক ডজন পুরনো ট্যাংক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধোপযোগী করার প্রক্রিয়াও চলমান। তবে এসব ট্যাংকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ১০৫ মিলিমিটার ব্যাসার্ধ্বের ধ্বংসাত্মক গোলা বা বোমার পর্যাপ্ত মজুদ নেই খোদ জার্মানিতে। যদিও ব্রাজিলে এ ধরনের গোলার ব্যাপক মজুদ রয়েছে, তথাপি ব্রাজিল তার দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত সামরিক ও বাণিজ্যিক মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের প্রশ্নে এই গোলা হস্তান্তর বা বিক্রি করার সম্ভাবনা বা প্রস্তাব নাকোচ করেছে। ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে অবস্থান করে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস লুইজ এনাসিও লুনা ডা. সিলভা খোদ মার্কিন মূলক থেকে মাত্র ৪৫০০ মাইল দূরে অবস্থান করে কত দিন এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারবেন সেই প্রশ্ন বারবার ঘুরেফিরে আসছে।

এরই মধ্যে ৮০ বছর আগে জার্মানদের উচিত শিক্ষা দেওয়া রাশিয়ান সেনা দল, বিশেষত স্টালিনগ্রাদ যুদ্ধে আহত ও নিহত রাশিয়ার সেনাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভøাদিমির পুতিন বলেন, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আবারও রাশিয়া জার্মানির ট্যাংকের হুমকির সম্মুখীন। পশ্চিমারা হিটলারের কুখ্যাত নাজি বাহিনীর মনমানসিকতা নিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তার প্রতি হুমকি দিচ্ছে। আগে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের সম্ভাবনার কথা বলা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আবারও প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, রাশিয়া সীমান্তে কেবল ট্যাংক বা লোহার বর্ম আচ্ছাদিত যুদ্ধযান পাঠাচ্ছে না, শত্রুকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার মতো রাশিয়ার আরও কিছু আছে। যারা রাশিয়াকে যুদ্ধের ময়দানে হারানোর আশা করছে, তারা সম্ভবত পুরোপুরি অনুধাবন করছেন না যে, এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আধুনিক যুদ্ধ তাদের জন্য হবে নতুন অভিজ্ঞতা।

এরই প্রতিউত্তরে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখেই নতুন করে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠানোর জন্য ২.১৭৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২,২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। এই টাকার এক বড় অংশ ব্যয় হবে ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য ‘গ্রাউন্ড লাউঞ্চড স্মল ডায়ামিটার বোম’ (জিএলএসডিবি) নামক বিশেষ ধরনের রকেট ক্রয় ও ইউক্রেনে পরিবহন বাবদ। সাধারণ রকেট আকৃতির এই মারণাস্ত্র সাধারণত আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হলেও ইউক্রেনের সুবিধার্থে ভূমি থেকেই তা নিক্ষেপের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আমেরিকা। এই বোমা ৯৪ মাইল বা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা ৩ মিটার ডায়া বিশিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এমনকি একটি সুনির্দিষ্ট গাড়ির টায়ারকেও নিখুঁতভাবে আঘাত আনতে পারবে। আমেরিকা এ ধরনের রকেটের পাশাপাশি আরও পাঠাবে হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএম আরএস), যা মুহূর্তের মধ্যেই ৩০০ মাইল বা ৪৮০ কিলোমিটার দূরে একাধিক রকেট নিক্ষেপে সক্ষম। রাশিয়ার অব্যাহত বিমান আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেন এবার পাচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত ‘হোমিং অল দ্য ওয়ে কিলার’ (এইচ এ ডব্লিউ কে) বা হাউক নামে অধিক পরিচিত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল। এর বাইরে প্রচুর গোলাবারুদ, সামরিক যান্ত্রিক যানবাহন, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট, দূরপাল্লার মেশিনগান, রাডার, ড্রোন বিধ্বংসী সমরাস্ত্র, চিকিৎসা সামগ্রী ও সৈন্যদের জন্য শীতের পোশাকে নতুন রণসাজে সজ্জিত হচ্ছে ইউক্রেন সেনারা। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ প্রসঙ্গে বলেন, রাশিয়া তার একক সিদ্ধান্তে আজই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। আর যদি তা না করে তবে যতদিনই লাগুক, আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের সঙ্গে থাকবে।

উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতেই আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা সমমূল্যের যুদ্ধ সহায়তার ঘোষণা দেয়। জার্মানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেইন ইনস্টিটিউট ফর ওয়ার্ল্ড ইকোনমি এক গবেষণায় জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর, এই ১০ মাসে বিশ্বের ৪৬টি দেশ ইউক্রেনে ১০৮.৮ বিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের যুদ্ধ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা ছিল ৫১.৮ বিলিয়ন ইউরো ও খোদ মার্কিন সহায়তা ছিল ৪৭.৮ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিগত প্রায় এক বছরে ইউক্রেনকে নানাভাবে সামরিক যুদ্ধ সহায়তা প্রদানকারী দেশের শীর্ষ তালিকায় আরও রয়েছে বেলজিয়াম, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, সেøাভাকিয়া, স্পেন, তুরস্ক, ইংল্যান্ড ও খোদ আমেরিকা। এর বাইরে বহু দেশ ও দাতা সংস্থা অর্থ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে ইউক্রেনকে।

২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর ফ্রান্স থেকে সর্বাধিক সমরাস্ত্র কিনেছে ইউক্রেন। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের শুরু থেকে অদ্যাবধি ফ্রান্স ইউক্রেনের পাশে রয়েছে হরেক রকম যুদ্ধ সরঞ্জামের ব্যাপক সমাহার নিয়ে। এই ধারাবাহিকতায় এই বছরের শুরুতেই উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। এরপর গত ৪ জানুয়ারি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শত্রুর ট্যাংকের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে কার্যকর ‘এএমএক্স-১০আরসি’ নামক ট্যাংক সদৃশ্য শক্তিশালী আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকেল ইউক্রেনে পাঠানোর এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে ইউক্রেনে প্রচুর যুদ্ধ সামগ্রী পাঠিয়েছে। তদুপরি গত ১৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস আরও চৌদ্দটি চ্যালেঞ্জার ২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর ঘোষণা দেন। এভাবেই ক্রমেই ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি ইউরিইডভিচ রিজনিকভ বলেছেন, রাশিয়া আসছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের বর্ষপূর্তিতে বড় ধরনের আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে মস্কো হাজার হাজার সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে এবং এই সৈন্যরা ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে কিছু একটা ঘটাতে পারে। প্রতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সৈন্যরা ‘পিতৃভূমি রক্ষা দিবস’ বা ‘ডিফেন্ডার অব দ্য ফাদার ল্যান্ড ডে’ পালন করে। এই দিনটিকেও স্মরণীয় করে রাখতে প্রচেষ্টা চালাতে পারে রাশিয়া। এ বিষয়ের ওপর এক বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ বলেন, মস্কো সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য পাঁচ লাখ সেনার বহর সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান “ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার’ (আইএসডব্লিউ) রাশিয়ার দিক থেকে বড় ধরনের আক্রমণের পূর্বাভাস দিয়েছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ‘নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের’ (ন্যাটো) মহাসচিব জেমস স্টলেন বার্জ সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, ইউক্রেনের পূর্বভাগ দখল করার ক্ষেত্রে পুতিনের সামরিক প্রস্তুতিতে কোনো রকম কমতি বা বিরতি দৃশ্যমান হচ্ছে না। বরং ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে আরও অস্ত্র এনে এবং গোলাবারুদ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রস্তুত করে বড় ধরনের যুদ্ধের আভাস দিচ্ছে রাশিয়া। আর এমনটা চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন ন্যাটো প্রধান।

অন্যদিকে অতি সম্প্রতি মার্কিন আকাশে উড়তে দেখা গেছে চীনের দুটি গোয়েন্দা বেলুন। চীনের দাবি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণার জন্য এই বেলুন দুটি উড়ানো হয়েছিল এবং বেপরোয়া বাতাসের কারণে তা অন্যত্র উড়ে গেছে। কিন্তু আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ আছে, এমন এলাকার ওপর বেলুনের উড়ে বেড়ানোকে মানতে পারেনি ওয়াশিংটন। ফলে চীনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্ব-নির্ধারিত সফর বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস। এতে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন উত্তেজনা কমানোর একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা আরও ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছে। পাকিস্তানে একের পর এক মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যু ঘটিয়ে উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদকে উসকে দিচ্ছে। ভালো নেই আফ্রিকার দেশগুলোও। সার্বিক বিচারে তাই প্রশ্ন উঠেছে ‘তবে কি এই পৃথিবী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে?’ এর উত্তর হয়তো এ মাসেই মিলে যেতে পারে। আশাবাদী মানুষ মনে করে সব পক্ষই এহেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ হবে, তা অনুধাবন করে। ফলে ‘যুদ্ধ প্রস্তুতিই যুদ্ধ বন্ধের উপায়’ এমনটা ভাবতে দোষ কী?

            লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

 

সর্বশেষ খবর