মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তালগাছ নিধন

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য

রাজশাহীর বাগমারার বাইগাছায় কীটনাশক প্রয়োগ করে ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন শাহরিয়ার আলম নামের একজন স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা। এ অপকর্মের তথ্যটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর হাই কোর্ট গত ৩১ জানুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। রুলে কেন ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলতে কীটনাশক প্রয়োগের জন্য শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রবিবার শাহরিয়ার আলম আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যদিকে বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ ঘটনায় তাদের সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন ছবিসহ দাখিল করেন। পরে আদালত চলাকালীন দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকতে শাহরিয়ার আলমকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিকেও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রবিবার শুনানিতে হাই কোর্ট বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয় জাগ্রত বিবেক। আমরা তালগাছগুলোতে বিষ দেওয়ার সংবাদ দেখে আহত হয়েছি। এটাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। সেই লোককে হাজার সালাম জানাচ্ছি, যিনি এই গাছগুলো লাগিয়েছেন। শুনানির এক পর্যায়ে হাই কোর্ট বলেন, আইন-আদালত দিয়ে দেশের কোটি-কোটি মানুষকে ভালো করা সম্ভব নয়, যদি আমরা নিজেরাই মানবিক ও সচেতন না হই। বাগমারায় ৫০টি তালগাছ কীটনাশক দিয়ে মেরে ফেলার দায় কার- তা আদালতেই নির্ধারিত হবে। তবে এ ধরনের কাজ যে মনুষ্য চেতনার পরিপন্থী তা সহজেই অনুমেয়। বজ্রপাতে প্রাণহানি রোধে দেশে বেশি বেশি তালগাছ লাগানো দরকার। তার বদলে যে বা যারা ৫০টি তালগাছ মেরে ফেলেছে তারা তাদের অপকর্মের মাধ্যমে নিজেদের অধঃপতিত মানসিকতার পরিচয়ই দিয়েছে। এ অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর