শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার নির্বাচনী চমক?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার নির্বাচনী চমক?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মুখ্য আলোচ্য বিষয়। নির্বাচনে কে জিতবে তা নয়। বরং আগামী নির্বাচন কেমন হবে অথবা হবে কি না তা নিয়ে নানা মত, নানা ভাবনা। বিএনপি কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে? বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সেই নির্বাচন কি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন দলগুলো কি তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে পারবে?  ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এখন সর্বত্র। এসব আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন না। এমনকি তার মুক্তির দাবিটিও বিএনপি নেতারা প্রায় ভুলতে বসেছেন। বিএনপিতে ‘রাজা’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া। তার একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্তেই দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি পরিচালিত হচ্ছে। বেগম জিয়ার নাম উচ্চারিত হয় কর্মীদের স্লোগানে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়া যেন আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি নাম। কিন্তু গত কয়েক দিন পরিত্যক্ত, মেয়াদোত্তীর্ণ বেগম জিয়া দমকা বাতাসের মতো রাজনীতিতে উচ্চারিত হচ্ছেন। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেগম জিয়ার রাজনীতি করা বিষয়ে কিছু নতুন, চমকপ্রদ এবং ইঙ্গিতবাহী কথা বলেছেন। বেগম জিয়ার রাজনীতি করা প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রথম কথা বলেন আইনমন্ত্রী। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সহকারী জজদের একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটি শর্তে তাকে (বেগম জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ রকম শর্ত সেটার মধ্যে ছিল না।’ আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি একজন স্বাধীন মানুষ। কাজেই তিনি কী করবেন সেটা আমার বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে যখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় অসুস্থ বলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে লিখে রাখিনি তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি কার্যক্রমের কথা বলি, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তাহলে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘না’। তিনি পারবেন না।’ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে- যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ দুই বছর বা তার বেশি কারাদন্ডে দন্ডিত হন তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই একই প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যান সেতুমন্ত্রী। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচনে বিএনপি বেগম জিয়ার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দন্ডিত, এ অবস্থাটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য নন তিনি। বিএনপি নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।’

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর বক্তব্য একত্রিত করলে যা অর্থ দাঁড়ায় তা হলো- বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। তবে সাংবিধানিক অযোগ্যতার কারণে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

বেগম জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী প্রমাণিত হন। রায় ঘোষণার পরপর তাকে কারান্তরিন করা হয়। সেই থেকে ২৪ মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত কারান্তরিন ছিলেন বেগম জিয়া। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া দোষী প্রমাণিত হন। দুটি মামলায় মোট ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত তিনি। এর মধ্যে এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলায় হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সাজা অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাড়িয়েছে। বেগম জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে আটকে রাখার সাধ্য কারও নেই।’ আইনি লড়াই এবং আন্দোলনের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই বিএনপি সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। খালেদা জিয়ার জামিনের আইনি লড়াই আপিল বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়। সর্বোচ্চ আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেননি। বিএনপির আইনজীবীরা বেগম জিয়ার জামিনের ব্যাপারে কতটা নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই নানা আলোচনা শোনা যায়। সে বিতর্কে যেতে চাই না। বাস্তবতা হলো- আইনি পথে বেগম জিয়ার জামিন লাভের দুয়ার বন্ধ। আইনের চোখে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে আদালতেই। প্রথম মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিএনপি। কিন্তু হাই কোর্টেও প্রমাণিত হয় বেগম জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। কিন্তু সেই আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেই বিএনপির আইনজীবীদের। আপিল পড়ে আছে বাক্সবন্দি হয়ে। বিএনপির আইনজীবীরা প্রকাশ্যে বলছেন, ভয় থেকেই তারা আপিলের ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন। কারণ আপিল বিভাগে যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি হবে সর্বোচ্চ রায়। সর্বোচ্চ আদালত যদি হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে তাহলে আইনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবেন। বিএনপি নেতারা প্রায়ই বলার চেষ্টা করেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দন্ড এবং মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এসব সাজানো মামলা। এ প্রসঙ্গে দুটি কথা বলতে চাই। প্রথমত, বেগম জিয়া যে দুুটি মামলায় দন্ডিত হয়েছেন তার একটিও বর্তমান সরকার করেনি। এক-এগারোর সময় মামলাগুলো দায়ের করা। দ্বিতীয়ত, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিএনপির বহু নেতাই প্রতিকার পেয়েছেন। জামিন পেয়েছেন। এই তো কদিন আগেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাস সর্বোচ্চ আদালত থেকেই জামিন পেলেন। বিএনপির আইনজীবীদের আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে বেগম জিয়া নির্দোষ। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেননি। কিন্তু তা না করে বেগম জিয়াকে বিএনপি থেকে আস্তে আস্তে মাইনাস করা হচ্ছে। বেগম জিয়া বিএনপির ক্ষমতা কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব এবং বিবাদের বলি কি না তা নিয়েও ইদানীং নানা আলোচনা হয়। বেগম জিয়াকে আইনি মারপ্যাঁচে বন্দি রেখে কে বা কারা বিএনপিকে কুক্ষিগত করেছে সেই বিতর্ক কান পাতলেই শোনা যায়। আমি সেসব বিতর্কে যেতে চাই না। তবে এটা ঠিক, আইনি লড়াইয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপির আইনজীবীরা যেমন অনাগ্রহী, তারচেয়েও খালেদা মুক্তি আন্দোলনে অনীহা ছিল বিএনপির। বেগম জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ছিল লোকদেখানো, দায়সারা। বিএনপিতেই যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার আয়োজন চূড়ান্ত, ঠিক তখনই ‘চমক’ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী। কারাগার থেকে নির্বাহী আদেশে জামিনে মুক্তি দিলেন বেগম জিয়াকে। প্রথমে ছয় মাসের জন্য এ জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছয় মাস করে বাড়িয়ে প্রায় তিন বছর খালেদা জিয়া ‘ফিরোজায়’ থাকছেন শেখ হাসিনার দয়ায়। ২০২০ এর মার্চে বেগম জিয়ার জামিন ছিল আকস্মিক। বিএনপি নেতারা প্রথমে এ সিদ্ধান্ত বিশ্বাসই করতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও এ সিদ্ধান্ত ছিল অবিশ্বাস্য। শেখ হাসিনা খুব ভালো করেই জানেন, বেগম জিয়া তার বিরুদ্ধে কী কী করেছেন। ২১ আগস্টের বীভৎসতা হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। বেগম জিয়া সে সময় প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের এ নারকীয় ঘটনা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতে হয়েছে এটা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে বেগম জিয়া সবকিছুই করেছেন। জজ মিয়া নাটক সাজানো, হামলার আলামত নষ্ট করাসহ নানা অপকর্ম করা হয়েছে তৎকালীন সরকারের মদদে। এমনকি এরকম একটি নৃশংসতম ঘটনার পর একে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার কুৎসিত তৎপরতা গোটা জাতিকে হতবাক করেছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমঝোতা এবং সহ-অবস্থানের সব দরজা বন্ধ করে দেয়। শুধু এ ঘটনা কেন, ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার বানোয়াট জন্মদিন পালন কোন যুক্তিতে? কিছুদিন আগেও শোকাবহ ওই দিনটিতে কেক কেটে বীভৎস উৎসব করতেন বেগম জিয়া। এসব কুরুচির চর্চা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সহনশীলতাকে বিদায় করে দিয়েছে। এসব ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিরল। এ রকম উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব।

বেগম জিয়ার সাময়িক মুক্তি আন্দোলনের ফসল নয়। আদালতের আদেশও নয়। তাই তিনি স্বাভাবিক মুক্ত নন। সাধারণত যারা বিভিন্ন সময় দন্ডিত হয়ে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন, তারা রাজনীতি বন্ধ করেননি। প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। নিম্ন আদালতে দন্ডিত হওয়ার পর এরশাদ আইনি লড়াই এবং রাজনীতি সমান্তরালভাবে চালিয়ে গেছেন। আদালত থেকে জামিন পেলে খালেদা জিয়া অবশ্যই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন কি না এটা সম্পূর্ণ সরকারের ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। গত প্রায় তিন বছর বিশেষ বিবেচনায় জামিনে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন রাজনীতি নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। এমনকি ঈদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলেও কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। সচেতনভাবেই রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। কেন? এ ব্যাপারে কি সরকারের পক্ষ থেকে তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে? এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর পাওয়া গিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্যে। গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে তিনি দাবি করেন, ‘বেগম জিয়া রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে জামিন নিয়েছেন।’ যদিও তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বিএনপি। কিন্তু বেগম জিয়া অন্য জামিনপ্রাপ্ত দন্ডিতদের মতো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কেন অংশ নেন না, এ ব্যাপারে বিএনপি নেতারা কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। আইনমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি খোলাসা করে দিয়েছেন। বেগম জিয়া যে পদ্ধতিতে জামিন পেয়েছেন তাতে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। সরকার চাইলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। সরকার না চাইলে পারবেন না। এখন কি সরকার বেগম জিয়াকে রাজনীতির মাঠে আনতে চাইছে? দুই মন্ত্রীর কথার মানে হচ্ছে- হ্যাঁ। বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে আনলে কার লাভ, কার ক্ষতি? কদিন আগেও বিএনপি নেতারা বক্তৃতায় বললেন, ‘বেগম জিয়া মুক্ত হলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’ বিএনপি মহাসচিব কিছুদিন আগেও এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্য, জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই বেগম জিয়াকে জোর করে আটকে রেখেছে।’ বিএনপির প্রায় সব নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন বেগম জিয়া রাজনীতির মাঠে নামলেই দেশে বিপ্লব হবে। দেশের জনগণ হুড়মুড় করে রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সরকারের পতন হবে। আবার আইনমন্ত্রী যখন জানালেন বেগম জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই, তখন বিএনপি নেতারা নড়েচড়ে বসলেন। তারা মনে করলেন এটা ‘টোপ’। বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা সংবাদপত্রে বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ’। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব বিএনপির কাছে দুই কারণে সন্দেহজনক। প্রথমত, বিএনপির নেতারা মনে করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চায়। বেশ কয়েক মাস ধরেই খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য দেনদরবার করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এ জন্য তাকে আগে সারেন্ডার করতে হবে। আগের জামিন বাতিল হবে। তারপর নতুন করে আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করবে। বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি তার এবং পরিবারের বিষয়। এখানে দলের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি বেগম জিয়ার জামিনও হয়েছিল তার ভাই ও বোন যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়া বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেই বিএনপি কেন সুড়সুড় করে নির্বাচনে যাবে? দলের কোনো নীতি নেই, আদর্শ নেই! বিএনপির মধ্যে কারও কারও এ নিয়ে ভীতি আরও উদ্বেগজনক। বিএনপির কেউ কেউ মনে করেন, বেগম জিয়াকে ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে রাজনীতির মাঠে নামানো হবে। রাজনীতিতে এসেই তিনি দলকে নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশ দেবেন। তাদের মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো দলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি যদি সরকারের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির অবস্থার কথা অনেকে স্মরণ করিয়ে দেন। সে সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু রওশন এরশাদ স্বামীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদের দৃঢ় অবস্থানের কারণে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপির অনেকের শঙ্কা এবার কি তার দলেও মা-পুত্রের একই বিরোধ হতে যাচ্ছে। তারেকের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই কি বেগম জিয়াকে নির্বাচনে মাঠে নামানো হচ্ছে? তাকে রাজনীতি করার অনুমতি দেওয়া হবে সরকারের পক্ষে খেলার জন্য?

আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চান বিদেশি কূটনীতিকরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র তো এ নিয়ে রীতিমতো প্রচারণায় নেমেছে। একের পর এক যুক্তরাষ্ট্র থেকে কূটনীতিকরা ঢাকায় আসছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা খোলামেলা কথাবার্তা বলেছেন। সর্বশেষ ঢাকা সফর করে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক শোলে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবেই বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অবাধ ও সুষ্ঠু। বিএনপির আন্দোলন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখনো আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বহীন। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীই বিশ্বাস করেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে। বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অবশ্য এর কোনো ব্যাখ্যা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে নেই। তারা মনে করেন শেখ হাসিনার কাছে ম্যাজিক আছে। সেই ম্যাজিকে সব সংশয়ের মেঘ কেটে যাবে। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি ‘চমক’ দেখাবেন। সেই চমক কি ‘খালেদা জিয়া’? এই সন্দেহ এখন বিএনপির মধ্যেও পল্লবিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা এখন খালেদা জিয়া আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে না বললেও আড়ালে তারা বলছেন, বেগম জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আপাতত দরকার নেই। কিন্তু রাজনীতি এমন সহজ সরল যোগ-বিয়োগের পাটিগণিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর চমকও যদি এত সহজে অনুমেয় হতো তাহলে তো তা আর চমক থাকত না। সম্প্রতি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর সবাই স্বীকার করবেন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভাবনা অনেক গভীর। কিছুদিন ধরেই তিনি শক্তিশালী বিরোধী দলের কথা বলছেন। বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার কথাও বলছেন। অনির্বাচিত এবং অগণতান্ত্রিক শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক। বিএনপি যেন সুশীলদের ফাঁদে না পড়ে। সুশীলদের প্ররোচনায় আরেকটি এক-এগারো ডেকে আনার জন্য সহযোগিতা না করে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সজাগ। দলের নেতা-কর্মীদেরও এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছেন। সে জন্যই কি রাজনীতিতে বেগম জিয়াকে মাঠে নামানো হচ্ছে?  বিএনপি যেন শেষ পর্যন্ত অগণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে হাত না মেলায়। সেই লক্ষ্যেই কি পরিত্যক্ত খালেদাকে সামনে আনার উদ্যোগ?  কারণ গ্রামে যখন ডাকাত পড়ে তখন গেরস্তরা ডাকাত তাড়াতে ছিঁচকে চোরকেও সঙ্গে নেয়। সুশীলরা তো গণতন্ত্রের জন্য ডাকাত। সুশীল ডাকাতদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী কি ছিঁচকে (এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী) চোরকে সঙ্গে নেবেন?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত। [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!
মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি
সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ
সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!
পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার
রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা
বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি
১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি

পেছনের পৃষ্ঠা

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে