শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার নির্বাচনী চমক?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
বেগম জিয়া কি শেখ হাসিনার নির্বাচনী চমক?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মুখ্য আলোচ্য বিষয়। নির্বাচনে কে জিতবে তা নয়। বরং আগামী নির্বাচন কেমন হবে অথবা হবে কি না তা নিয়ে নানা মত, নানা ভাবনা। বিএনপি কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে? বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সেই নির্বাচন কি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন দলগুলো কি তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে পারবে?  ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এখন সর্বত্র। এসব আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন না। এমনকি তার মুক্তির দাবিটিও বিএনপি নেতারা প্রায় ভুলতে বসেছেন। বিএনপিতে ‘রাজা’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া। তার একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্তেই দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি পরিচালিত হচ্ছে। বেগম জিয়ার নাম উচ্চারিত হয় কর্মীদের স্লোগানে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়া যেন আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি নাম। কিন্তু গত কয়েক দিন পরিত্যক্ত, মেয়াদোত্তীর্ণ বেগম জিয়া দমকা বাতাসের মতো রাজনীতিতে উচ্চারিত হচ্ছেন। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেগম জিয়ার রাজনীতি করা বিষয়ে কিছু নতুন, চমকপ্রদ এবং ইঙ্গিতবাহী কথা বলেছেন। বেগম জিয়ার রাজনীতি করা প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রথম কথা বলেন আইনমন্ত্রী। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সহকারী জজদের একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটি শর্তে তাকে (বেগম জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ রকম শর্ত সেটার মধ্যে ছিল না।’ আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি একজন স্বাধীন মানুষ। কাজেই তিনি কী করবেন সেটা আমার বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে যখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় অসুস্থ বলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে লিখে রাখিনি তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি কার্যক্রমের কথা বলি, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তাহলে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘না’। তিনি পারবেন না।’ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে- যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ দুই বছর বা তার বেশি কারাদন্ডে দন্ডিত হন তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই একই প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যান সেতুমন্ত্রী। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচনে বিএনপি বেগম জিয়ার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দন্ডিত, এ অবস্থাটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য নন তিনি। বিএনপি নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।’

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর বক্তব্য একত্রিত করলে যা অর্থ দাঁড়ায় তা হলো- বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। তবে সাংবিধানিক অযোগ্যতার কারণে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

বেগম জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী প্রমাণিত হন। রায় ঘোষণার পরপর তাকে কারান্তরিন করা হয়। সেই থেকে ২৪ মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত কারান্তরিন ছিলেন বেগম জিয়া। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া দোষী প্রমাণিত হন। দুটি মামলায় মোট ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত তিনি। এর মধ্যে এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলায় হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সাজা অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাড়িয়েছে। বেগম জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে আটকে রাখার সাধ্য কারও নেই।’ আইনি লড়াই এবং আন্দোলনের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই বিএনপি সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। খালেদা জিয়ার জামিনের আইনি লড়াই আপিল বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়। সর্বোচ্চ আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেননি। বিএনপির আইনজীবীরা বেগম জিয়ার জামিনের ব্যাপারে কতটা নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই নানা আলোচনা শোনা যায়। সে বিতর্কে যেতে চাই না। বাস্তবতা হলো- আইনি পথে বেগম জিয়ার জামিন লাভের দুয়ার বন্ধ। আইনের চোখে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে আদালতেই। প্রথম মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিএনপি। কিন্তু হাই কোর্টেও প্রমাণিত হয় বেগম জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। কিন্তু সেই আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেই বিএনপির আইনজীবীদের। আপিল পড়ে আছে বাক্সবন্দি হয়ে। বিএনপির আইনজীবীরা প্রকাশ্যে বলছেন, ভয় থেকেই তারা আপিলের ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন। কারণ আপিল বিভাগে যদি অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি হবে সর্বোচ্চ রায়। সর্বোচ্চ আদালত যদি হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে তাহলে আইনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবেন। বিএনপি নেতারা প্রায়ই বলার চেষ্টা করেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দন্ড এবং মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এসব সাজানো মামলা। এ প্রসঙ্গে দুটি কথা বলতে চাই। প্রথমত, বেগম জিয়া যে দুুটি মামলায় দন্ডিত হয়েছেন তার একটিও বর্তমান সরকার করেনি। এক-এগারোর সময় মামলাগুলো দায়ের করা। দ্বিতীয়ত, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিএনপির বহু নেতাই প্রতিকার পেয়েছেন। জামিন পেয়েছেন। এই তো কদিন আগেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাস সর্বোচ্চ আদালত থেকেই জামিন পেলেন। বিএনপির আইনজীবীদের আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে বেগম জিয়া নির্দোষ। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই প্রমাণ করতে হবে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেননি। কিন্তু তা না করে বেগম জিয়াকে বিএনপি থেকে আস্তে আস্তে মাইনাস করা হচ্ছে। বেগম জিয়া বিএনপির ক্ষমতা কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব এবং বিবাদের বলি কি না তা নিয়েও ইদানীং নানা আলোচনা হয়। বেগম জিয়াকে আইনি মারপ্যাঁচে বন্দি রেখে কে বা কারা বিএনপিকে কুক্ষিগত করেছে সেই বিতর্ক কান পাতলেই শোনা যায়। আমি সেসব বিতর্কে যেতে চাই না। তবে এটা ঠিক, আইনি লড়াইয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপির আইনজীবীরা যেমন অনাগ্রহী, তারচেয়েও খালেদা মুক্তি আন্দোলনে অনীহা ছিল বিএনপির। বেগম জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ছিল লোকদেখানো, দায়সারা। বিএনপিতেই যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার আয়োজন চূড়ান্ত, ঠিক তখনই ‘চমক’ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী। কারাগার থেকে নির্বাহী আদেশে জামিনে মুক্তি দিলেন বেগম জিয়াকে। প্রথমে ছয় মাসের জন্য এ জামিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছয় মাস করে বাড়িয়ে প্রায় তিন বছর খালেদা জিয়া ‘ফিরোজায়’ থাকছেন শেখ হাসিনার দয়ায়। ২০২০ এর মার্চে বেগম জিয়ার জামিন ছিল আকস্মিক। বিএনপি নেতারা প্রথমে এ সিদ্ধান্ত বিশ্বাসই করতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও এ সিদ্ধান্ত ছিল অবিশ্বাস্য। শেখ হাসিনা খুব ভালো করেই জানেন, বেগম জিয়া তার বিরুদ্ধে কী কী করেছেন। ২১ আগস্টের বীভৎসতা হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। বেগম জিয়া সে সময় প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের এ নারকীয় ঘটনা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতে হয়েছে এটা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে বেগম জিয়া সবকিছুই করেছেন। জজ মিয়া নাটক সাজানো, হামলার আলামত নষ্ট করাসহ নানা অপকর্ম করা হয়েছে তৎকালীন সরকারের মদদে। এমনকি এরকম একটি নৃশংসতম ঘটনার পর একে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার কুৎসিত তৎপরতা গোটা জাতিকে হতবাক করেছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমঝোতা এবং সহ-অবস্থানের সব দরজা বন্ধ করে দেয়। শুধু এ ঘটনা কেন, ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার বানোয়াট জন্মদিন পালন কোন যুক্তিতে? কিছুদিন আগেও শোকাবহ ওই দিনটিতে কেক কেটে বীভৎস উৎসব করতেন বেগম জিয়া। এসব কুরুচির চর্চা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সহনশীলতাকে বিদায় করে দিয়েছে। এসব ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিরল। এ রকম উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব।

বেগম জিয়ার সাময়িক মুক্তি আন্দোলনের ফসল নয়। আদালতের আদেশও নয়। তাই তিনি স্বাভাবিক মুক্ত নন। সাধারণত যারা বিভিন্ন সময় দন্ডিত হয়ে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন, তারা রাজনীতি বন্ধ করেননি। প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। নিম্ন আদালতে দন্ডিত হওয়ার পর এরশাদ আইনি লড়াই এবং রাজনীতি সমান্তরালভাবে চালিয়ে গেছেন। আদালত থেকে জামিন পেলে খালেদা জিয়া অবশ্যই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন কি না এটা সম্পূর্ণ সরকারের ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। গত প্রায় তিন বছর বিশেষ বিবেচনায় জামিনে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন রাজনীতি নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। এমনকি ঈদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলেও কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। সচেতনভাবেই রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। কেন? এ ব্যাপারে কি সরকারের পক্ষ থেকে তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে? এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর পাওয়া গিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্যে। গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে তিনি দাবি করেন, ‘বেগম জিয়া রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে জামিন নিয়েছেন।’ যদিও তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বিএনপি। কিন্তু বেগম জিয়া অন্য জামিনপ্রাপ্ত দন্ডিতদের মতো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কেন অংশ নেন না, এ ব্যাপারে বিএনপি নেতারা কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। আইনমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি খোলাসা করে দিয়েছেন। বেগম জিয়া যে পদ্ধতিতে জামিন পেয়েছেন তাতে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। সরকার চাইলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। সরকার না চাইলে পারবেন না। এখন কি সরকার বেগম জিয়াকে রাজনীতির মাঠে আনতে চাইছে? দুই মন্ত্রীর কথার মানে হচ্ছে- হ্যাঁ। বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে আনলে কার লাভ, কার ক্ষতি? কদিন আগেও বিএনপি নেতারা বক্তৃতায় বললেন, ‘বেগম জিয়া মুক্ত হলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’ বিএনপি মহাসচিব কিছুদিন আগেও এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্য, জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই বেগম জিয়াকে জোর করে আটকে রেখেছে।’ বিএনপির প্রায় সব নেতাই ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন বেগম জিয়া রাজনীতির মাঠে নামলেই দেশে বিপ্লব হবে। দেশের জনগণ হুড়মুড় করে রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সরকারের পতন হবে। আবার আইনমন্ত্রী যখন জানালেন বেগম জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই, তখন বিএনপি নেতারা নড়েচড়ে বসলেন। তারা মনে করলেন এটা ‘টোপ’। বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা সংবাদপত্রে বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ’। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব বিএনপির কাছে দুই কারণে সন্দেহজনক। প্রথমত, বিএনপির নেতারা মনে করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চায়। বেশ কয়েক মাস ধরেই খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য দেনদরবার করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এ জন্য তাকে আগে সারেন্ডার করতে হবে। আগের জামিন বাতিল হবে। তারপর নতুন করে আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করবে। বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি তার এবং পরিবারের বিষয়। এখানে দলের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি বেগম জিয়ার জামিনও হয়েছিল তার ভাই ও বোন যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়া বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেই বিএনপি কেন সুড়সুড় করে নির্বাচনে যাবে? দলের কোনো নীতি নেই, আদর্শ নেই! বিএনপির মধ্যে কারও কারও এ নিয়ে ভীতি আরও উদ্বেগজনক। বিএনপির কেউ কেউ মনে করেন, বেগম জিয়াকে ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে রাজনীতির মাঠে নামানো হবে। রাজনীতিতে এসেই তিনি দলকে নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশ দেবেন। তাদের মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো দলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি যদি সরকারের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির অবস্থার কথা অনেকে স্মরণ করিয়ে দেন। সে সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু রওশন এরশাদ স্বামীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদের দৃঢ় অবস্থানের কারণে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপির অনেকের শঙ্কা এবার কি তার দলেও মা-পুত্রের একই বিরোধ হতে যাচ্ছে। তারেকের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই কি বেগম জিয়াকে নির্বাচনে মাঠে নামানো হচ্ছে? তাকে রাজনীতি করার অনুমতি দেওয়া হবে সরকারের পক্ষে খেলার জন্য?

আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চান বিদেশি কূটনীতিকরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র তো এ নিয়ে রীতিমতো প্রচারণায় নেমেছে। একের পর এক যুক্তরাষ্ট্র থেকে কূটনীতিকরা ঢাকায় আসছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা খোলামেলা কথাবার্তা বলেছেন। সর্বশেষ ঢাকা সফর করে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক শোলে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবেই বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অবাধ ও সুষ্ঠু। বিএনপির আন্দোলন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখনো আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বহীন। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীই বিশ্বাস করেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে। বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অবশ্য এর কোনো ব্যাখ্যা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে নেই। তারা মনে করেন শেখ হাসিনার কাছে ম্যাজিক আছে। সেই ম্যাজিকে সব সংশয়ের মেঘ কেটে যাবে। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি ‘চমক’ দেখাবেন। সেই চমক কি ‘খালেদা জিয়া’? এই সন্দেহ এখন বিএনপির মধ্যেও পল্লবিত হয়েছে। বিএনপি নেতারা এখন খালেদা জিয়া আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে না বললেও আড়ালে তারা বলছেন, বেগম জিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আপাতত দরকার নেই। কিন্তু রাজনীতি এমন সহজ সরল যোগ-বিয়োগের পাটিগণিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর চমকও যদি এত সহজে অনুমেয় হতো তাহলে তো তা আর চমক থাকত না। সম্প্রতি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর সবাই স্বীকার করবেন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভাবনা অনেক গভীর। কিছুদিন ধরেই তিনি শক্তিশালী বিরোধী দলের কথা বলছেন। বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার কথাও বলছেন। অনির্বাচিত এবং অগণতান্ত্রিক শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক। বিএনপি যেন সুশীলদের ফাঁদে না পড়ে। সুশীলদের প্ররোচনায় আরেকটি এক-এগারো ডেকে আনার জন্য সহযোগিতা না করে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সজাগ। দলের নেতা-কর্মীদেরও এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছেন। সে জন্যই কি রাজনীতিতে বেগম জিয়াকে মাঠে নামানো হচ্ছে?  বিএনপি যেন শেষ পর্যন্ত অগণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে হাত না মেলায়। সেই লক্ষ্যেই কি পরিত্যক্ত খালেদাকে সামনে আনার উদ্যোগ?  কারণ গ্রামে যখন ডাকাত পড়ে তখন গেরস্তরা ডাকাত তাড়াতে ছিঁচকে চোরকেও সঙ্গে নেয়। সুশীলরা তো গণতন্ত্রের জন্য ডাকাত। সুশীল ডাকাতদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী কি ছিঁচকে (এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী) চোরকে সঙ্গে নেবেন?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত। [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা
অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’
প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’

শোবিজ

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন
বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন

রকমারি নগর পরিক্রমা

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম