সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সীতাকুন্ডে ফের বিস্ফোরণ

নয় মাসের ব্যবধানে আরেক বিপর্যয়

নয় মাসের ব্যবধানে আবারও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড কেঁপে উঠল প্রচন্ড বিস্ফোরণে। গত বছরের ৪ জুনে সীতাকুন্ডের কেশবপুরে বিএমএ ডিপোতে বিস্ফোরণে আগুন লেগে প্রাণ হারায় ৫০ জন। ৯ মাস পর শনিবার ৪ মার্চ একই উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মারা গেছেন ছয়জন। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। শনিবার বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে অক্সিজেন প্লান্টের বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে কদমরসুলপুরসহ সংলগ্ন এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। বিস্ফোরণের পর অক্সিজেন প্লান্টের লোহা এবং কারখানার ছাদ আছড়ে পড়ে কয়েক শ গজ দূরে। কারখানার আশপাশের কয়েক শ গজ দূরের বসতবাড়ির ঘর ও স্থাপনার দেয়াল ভেঙে যায়। ভেঙে যায় ঘরের দরজা-জানালা। ১ কিলোমিটার দূরের অনেক ঘরের দেয়ালেও ফাটল দেখা দেয়। বিস্ফোরণের পর পর স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও উদ্ধারে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণের ঘটনায় অক্সিজেন প্লান্টের লোহা উড়ে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে পড়ে। এ সময় আধাকিলোমিটার দূরে থাকা এক ব্যক্তি উড়ে আসা লোহার আঘাতে প্রাণ হারান। এলাকাবাসীর ভাষ্য, মনে হচ্ছিল প্রচন্ড ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। কারও কারও মতে, প্রচন্ড বোমা বিস্ফোরণেও এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় কিনা সন্দেহ। ৯ মাসের ব্যবধানে সীতাকুন্ডের দুটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিপুল সংখ্যক মানুষের হতাহতের ঘটনায় গোটা এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। সীতাকুন্ড জুড়ে রয়েছে অনেক বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদাম এবং বিস্ফোরক পণ্যের কারখানা। সেখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অক্সিজেন প্লান্টের দুর্ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগল তা জানতে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ এলাকায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

সর্বশেষ খবর