বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাঁচ ক্ষেত্রে সহযোগিতা

স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে নেবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সংগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উত্তরণে পাঁচটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে যা অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ৭ মার্চ কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান শুধু প্রাসঙ্গিকই নয়, বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশিত পাঁচটি প্রধান সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে প্রথমত, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকরী প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতকে যথাযথ প্রণোদনা প্রদান। দ্বিতীয়, ব্রডব্যান্ড বিভাজন ও প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ সহায়তা। তৃতীয়ত, এলডিসিভুক্ত দেশগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা মোকাবিলায় পেশাদার গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি। চতুর্থত, উত্তরণের পরও বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি-রাসায়নিকের জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীনে এলডিসি মওকুফের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা। পঞ্চমত, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন দুটির জন্যই সহায়ক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থা বিকাশে সহায়তা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্পে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। বলেন, আমরা এখন ২০২৬ সালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই অন্তর্বর্তীকালে আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় হবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিজেদের নেওয়ার উচ্চভিলাসী পরিকল্পনাও সরকার ঘোষণা করেছে। করোনাভাইরাস ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে অটল। এ লক্ষ্য পূরণে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। পারস্পরিক স্বার্থেই বিকাশমান দেশগুলোকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর হাত বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর