বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর পর তিন ঘটনা

দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত নির্ণয় করুন

সায়েন্সল্যাবের ভয়াবহ বিস্ফোরণের দুই দিন পর রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে মঙ্গলবার আরেক বিস্ফোরণে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ১৭ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আহত প্রায় ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও অন্তত দেড় শ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে নতুন কোনো লাশ উদ্ধার করতে না পারলেও অনেকেই তাদের স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছেন না এমন দাবি করছেন। গত রবিবার সায়েন্সল্যাবের শিরিন ম্যানসন নামের একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু ঘটে। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এর আগে ৪ মার্চ শনিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মারা গেছেন ছয়জন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। শনিবার বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে অক্সিজেন প্লান্টের বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে কদমরসুলসহ সংলগ্ন এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। বিস্ফোরণের পর অক্সিজেন প্লান্টের লোহা এবং কারখানার ছাদ আছড়ে পড়ে কয়েক শ গজ দূরে। তারপর রাজধানীতে দুই দিনের ব্যবধানে বড় দুটি বিস্ফোরণে জনমনে যেমন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তেমনি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাতমূলক কাজ তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সরকারি দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করেছেন। এটি নিছক রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা না আদতে সত্যি তা তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে এক সপ্তাহে দেশের প্রধান দুই নগরে তিনটি বড় বিস্ফোরণ যে নিরাপত্তাহীনতার উদ্ভব ঘটিয়েছে তা উদ্বেগজনক। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে দুর্ঘটনাগুলোর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে জনগণকে জানানো সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর