দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য সাক্ষাৎ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা। শহর-গ্রাম সর্বত্রই এখন তাদের দাপট। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে প্রায় প্রতিটি এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এলাকার মাস্তান অথবা রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-পাতি নেতাদের প্রশ্রয়ে প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। অপরাধ সংঘটনে তারা পেশাদার অপরাধীদের চেয়েও বেপরোয়া। রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও সমানভাবে অনুভূত হচ্ছে তাদের দাপট। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রায়শই গ্রুপ বেঁধে যায় নেতার কাছে। নেতার নির্দেশে অনেকে জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। কথিত নেতাদের প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব শিক্ষার্থী। বেশির ভাগ কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে কোচিং সেন্টারে পড়ার নামে বাসা থেকে বের হয়ে নানা ধরনের কিশোরের সঙ্গে পরিচয় ও চলাফেরায়। চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার, জামালখান এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়ার নামে বিভিন্ন আড্ডায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী। এরপর নিজেরাই একটি গ্রুপ তৈরি করে স্থানীয় কোনো কথিত ‘বড়ভাই’য়ের শেল্টারে কাজ করে। নানা সময়ে সুবিধা-অসুবিধায় কথিত ‘বড়ভাই’দের কাছে গিয়ে নিজেদের সঁপে দেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নানা অপরাধে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছুরি, চাকু, হকিস্টিক। কিশোরদের ব্যবহার করে শোডাউন দিয়ে কথিত বড়ভাইয়েরা মূলত চঁাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভ টিজিং এবং রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করে। ঘটনাটি শুধু চট্টগ্রাম মহানগরীর নয়। রাজধানী ঢাকাসহ সব শহর-নগরে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে একই প্রক্রিয়ায়। কখনো কখনো এসব গ্যাং গড়ে উঠছে বস্তির কিশোরদের নেতৃত্বে। যারা শিশুবেলায়ই মাদকাসক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বহু এলাকায় অনিরাপদ হয়ে উঠছে। মেয়েদের বাল্যবিয়ের পেছনে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হতে হবে।
শিরোনাম
- পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
- গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
- ৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
- ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
- টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
- হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
- ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
- ১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
- টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
- গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
- বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন
- ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোর গ্যাং
আইনশৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকি
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম